![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
বিশ্বের সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট বিপদে পড়লে সার্বক্ষণিক স্বর্য়ংক্রিয়ভাবে সিগন্যাল পাঠাতে পারবে। এর ফলে দুর্ঘটনায় পড়া বিমান সন্ধানে উদ্ধারকারীদের সহজে সহায়তা করা সম্ভব হবে। গত বছর কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার এমএইচ-370 বিমান অদৃশ্য হওয়ার পর নতুন এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রায় এক বছর পার হওয়ার পরও 239 আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানটির কোনো হদিস মেলেনি।
জাতিসঙ্ঘের ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্ানাইজেশন (আইসিএও) বলছে, চলতি বছরের শেষ নাগান নতুন এ নিয়ম চালূ করা হবে। কানাডার মন্ট্রিলে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্ন্ত চলা বৈঠকে আইসিএওর 191 সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের কাছে নতুন এ নিয়মের রুপরেখা তুলে ধরা হবে। এরপর অনুমোদনের জন্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে আইসিএওর কাউন্সিলে চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দেয়া হবে।
শুক্রবার এক সূত্র জানিয়েছে, এ পদক্ষেপের প্রতি আইএসওর সদস্য রাষ্ট্রগুলো সর্বসম্মত সমর্থন জানিয়েছে। বর্তমানে যে নিয়ম চালূ রয়েছে তাতে বিমান সাগরের ওপর দিয়ে বা খুব নিচু দিয়ে ওড়ার সময় রাড়ারের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতি 15 মিনিট পরপর রাড়ারে বিমানের গতিবিধির চিত্র ধরা পড়বে। কিন্তু বিমান কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে রাড়ারে তার সার্বক্ষণিক চিত্র ফুটে উঠবে। তখন জরুরি পরিস্থিতিতে এয়ারলাইন্সগুলোর কর্তৃপক্ষকে বিমানের সব তথ্য জানাতে হবে।
সূত্র জানায়, জরুরি পরিস্তিতিতে বিমানের সাথে সার্বক্ষণিক সংযোগের ফলে উদ্ধারকারী দল সর্বশেষ অবস্থান থেকে 11 কিলোমিটারের মধ্যে তাদের কাজ শুরু করতে সক্ষম হবে। এছাড়া আইসিএও এয়ারলাইন্সগুলোকে ইজেকটেবল ব্ল্যাকবক্স সম্পন্ন বিমান ব্যবহারেরও নির্দেশ দেবে। ফলে বিমান পানিতে বিধ্বস্ত হলে ব্ল্যাকবক্স ভেসে থাকবে এবং সহজেই তা উদ্ধার করা সম্ভব হবে। সূত্র আরো বলছে, 2021 সালের পর এয়ারলাইন্সগুলো নতুন বিমান তৈরি করতে বাধ্য থাকবে।
©somewhere in net ltd.