![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
আগামীকাল, রোজ মঙ্গলবার, তারিখ ১৪.০৪.২০১৫ইং। আজ পহেলা বৈশাখ। নতুন বাংলা বছরের প্রথম দিন। বৈশাখী উৎসবের মধ্যে দিয়ে বাঙ্গালি তার শিকড় খুঁজে পায়। জীবন সংগ্রামী মানুষগুলো প্রতিনিয়ত বাঙ্গালিয়ানার যে নিজস্বতা আছে সেটা ধরে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে। বৈশাখ, এই কাজে উদ্দীপনা দেয়। পয়লা বৈশাখে প্রকৃতিও যেনো নতুন জীবন ফিরে পায়। তাই এইদিনে সকলে পান্তা ইলশ খেতে খেতে হয়তো সুর তুলে একসাথে গেয়ে ওঠে-‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল/আমাকে তুই বাউল করে সঙ্গে নিয়ে ছল’। বৈশাখ বাঙ্গালীর জীবনে এক বড় সুখের সময়। এইসময় উদ্দীপ্ত ও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে জীবন। এই উদ্দীপনা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। বাঙ্গালীর হৃদয় ও মনে উৎসবের যে আমেজ ছড়িয়ে পড়ে তা নানা ধরনের কলুষতার মধ্যেও নবীন আবেগ সঞ্চার করে। প্রাণের আবেগ নিয়ে বেঁচে ওঠার প্রেরণা দেয়। বৈশাখের এইদিনে ঢাকার রাজপথ রঙ্গিন রুপ ধারন করে। লাল নীল আলোক সজ্জায় নয়, প্রকৃতির আলোতে সজ্জিত হয় জীবন। নতুন শাড়ি ও পাঞ্জাবী পরে হাজার হাজার বাঙ্গালী নানা উৎসবের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করে নেয়। দেশের শিল্প ও সঙস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই পয়লা বৈশাখ। আমাদের বুটিক হাউজগুলো বাংলা নববর্ষকে আরো সমৃদ্ধ, সুসজ্জিত করেছে তাদের নতুন নতুন দেশীয় ডিজাইনের মাধ্যমে। যা তরুণ-তরুণীদের সাজে আলাদা মাত্রা আনে। এটা ভাবতে বেশ গর্বিত লাগে যে, এই বৈশাখ উদযাপন শুধু আমাদের বাঙ্গালিদেরই উৎসব।
আমাদের সংস্কৃতিতে বারো মাসে তেরো পার্বেণের ব্যাপারটি মিলেমিশে আছে। বেশির ভাগ উৎসবই ধর্মীয় আচার-আচরণ সমৃদ্ধ। বাকি সব উৎসব লোকজ চেতনার ওপর দাঁড়ানো। বাংলা নববর্ষ সে উৎসবের মধ্যে অন্যতম। ছায়ানটের বৈশাখী আহবানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাকাই বৈশাখী উৎসব। রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরদোলা, ইলিশ পান্তা, মুড়ি, মুড়কি, খই, ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসা কাচের চুড়ি, ঢোল, একতারা, মাটির গয়না, ডুগডুগি আর বাঁশির শব্দে মুখরিত হয় আকাশ বাতাস আর চারুকলার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বর্ষবরণ আয়োজনকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। বাঙ্গালীর জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি মানুষের কাছে আরো সাবলীল ভাবে তুলে ধরে। প্রতিবারের মতো এবারো সবাই বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে ঘুরে বেড়াবে, পান্তা-ইলিশ খাবে। যেসব যায়গায় বৈশাখী অনুষ্ঠান হয় সেসব যায়গায় গিয়ে অনুষ্ঠান দেখবে। এটা বাঙ্গালীর একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। যদিও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে বাঙ্গালি কি তাদের শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ভুলে থাকবে? এ বছর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারী, স্বাধীনতা দিবস, নারী দিবস। সেভাবেই উদযাপিত হবে নববর্ষ। আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাকমতোই হবে। প্রতিবারের মতো এবারো সবাই সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবটি উদযাপন করবে। এই উৎসব সার্বজনীন। এই দিনে ভুলে যাবে সব ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ।
এ বছর ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হবে। দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে সারা দেশে চলছে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। নানা হাঙ্গামায় মানুষ নিহত হয়েছে, হচ্ছে। আহত হয়েছে অনেক নারী, পুরুষ ও শিশু এবং হচ্ছেও। রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এছাড়াও আছে রোগ-শোকসহ নানান অস্থিরতা। তারপরেও নতুন বাংলা বছরের আবেদন সকলের কাছে আলাদা এক বৈচিত্রময়। নতুন বছর মানুষকে নতুন করে উজ্জীবিত করে বাঁচতে শেখায়। তাই, নববর্ষের প্রথম দিন সবাই উদযাপন করে প্রাণভরে। নববর্ষের প্রথম দিন সবার জন্য শুভ হোক এবং ভরিয়ে দিক সকলের প্রাণের চাহিদা। শুভ বাংলা নববর্ষ-১৪২২ বঙ্গাব্দ।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলা নববর্ষ ১৪২২ এর
অগ্রীম শুভেচ্ছা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০১
রুপম হাছান বলেছেন: নূর মোহাম্মদ ভাই, আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আগামী দিনগুলোর প্রতিটি মুহুর্তে।
আবারো নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: আজ পহেলা বৈশাখ
আগামী কাল লিখলে মনে হয় সমস্যা হতো না।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
রুপম হাছান বলেছেন: সমস্যা হবে না ভেবেই গতকালকে লিখে আজকের বয়ান গেয়েছি। হা হা হা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বাকের ভাই। শুভ নববর্ষ ১৪২২ বঙ্গাব্দ।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
রুপম হাছান বলেছেন: সবাইকে রমনা বটমূলে পান্তা-ইলিশের দাওয়াত রইলো। আশা করছি সকলে এসে খেয়ে যাবেন এবং আমাকেও খাওয়াবেন। খাওয়াইয়া খোটা দিবেন না।
আপনাদের সকলকে অগ্রিম বাংলা নববর্ষের সঙ্গে মধুমাস (বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যের) শুভেচ্ছা। শুভ বাংলা নববর্ষ-২০১৫.