![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
আজকে অফিসে আসার সময় পিএম এর দপ্তর এর অপজিট রাস্তায় (বাম পাশের লেন) প্রায় পৌঁনে এক ঘন্টা প্রখর রোদ্রের মধ্যে বাসে বসে থাকতে হলো! কিন্তু পিএম তাঁর অফিসে আসার কোনো ধরণের উপলক্ষ দেখতে পেলাম না। অথচো জাহাঙ্গীর গেট বনাম ফার্মগেট অভিমুখের দুই রাস্তায় বাস-মিনি বাস চলাচল করছে! এ যেনো ট্রাফিকের এক অদ্ভুত আচরণ বাম দিকের লেনে অবস্থান করা বাসগুলোর যাত্রীর সাথে। একটা সময় বাম দিকে অবস্থান করা প্রতিটি গাড়ী থেকে যাত্রী এক এক করে নেমে যেতে লাগলো আর কিছুক্ষণ পরেই দেখি প্রায় গাড়ীগুলো খালি হয়ে গেলো; হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী বাদে অর্থাৎ মানুষ পাঁয়ে হেঁটে শাহীন কলেজ/রাওয়া এবং মহাখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
বিশ্বাস করুন আর নাই বা করুন, আমার মনে হয় কষ্ট পেলে কেউ স্বয়ং তার খোদাকে ছেড়ে কথা বলেছে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। অর্থাৎ আমরা মাঝে মাঝে মহান আল্লাহ কে অপরাধী বানিয়ে ফেলি কিংবা গালি দিয়ে বসি! সেখানে মানুষ তো দূরছাঁয় ব্যাপার। পৌঁনে এক ঘন্টা এই প্রখর রোদ্রে বাসে বসে থাকার পর কোনো স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ মুখ বন্ধ করে বসে ছিলো এটা ভাবা অস্বাভাবিক। অনেকে তখন বলতে ছিলো- ওরা মরার পর যদি এই দেশের মানুষ একটু শান্তি পায়! কেউ বলছে-ওনাদের সময়ের দাম আছে আমাদের নাই! কেউ বলছে-যারা বোম মারবে তারা তো এমন ফাঁকা যায়গায় মেরে দিবে তার জন্য কোনো নিরাপত্তায় কাজে দিবে না! কেউ বলছে-সারা পৃথিবীর প্রেসিডেন্টরা মনে হয় এই রাস্তায় দিয়ে যাবে, আগেও তো দেখেছি পিএম অফিসে আসতে; এমনটা তো আগে কখনো মনে হয় নি! কেউ বলছে-আমরা ওনাদেরকে ভোট দেয়, ওনারা আমাদের কষ্টগুলোকে বাড়িয়ে আরো পাহাড়সম করে দেয়ার জন্য!
কেউ বলছে-বাম দিকে ট্রাফিক আইনে কখনো সিগন্যাল থাকার কথা না অথচো বাম দিকেই বেশির ভাগ সময় আমরা সিগন্যাল পেয়ে থাকি। ড্রাইবারদের উদ্দেশ্যে বললেন, আপনারা মাঝে মাঝে দুই-একটি ট্রাফিক কে বাসের নিচে চাপা দিবেন। তাহলেই দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে! তখন অন্য আরেক যাত্রী ড্রাইবারের উদ্দেশ্যে যোগ করে বলছে-ট্রাফিক কখনো বাম দিকে সিগন্যাল দিলে আপনারা তা পালন করবে না। যদি ঝামেলা করে তবে আপনারা তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্যালেঞ্জ করবেন। দেখবেন পরের দিন থেকে সব সোজ হয়ে গেছে! একজন যাত্রী খুব উত্তেজিত হয়ে বলে ফেললেন- ওনি (পিএম) কালো কাঁচের গাড়ীর ভেতরে বসে আছেন আবার সেই গাড়ীর ভেতরে তিনি কালো গ্লাস চোখে পরিহিত অবস্থায় পৃথিবী দেখেন; তাহলে তিনি জগতের ভালো-মন্দ পরিষ্কার ভাবে দেখবেন কিভাবে? কারণ তিনি তো তাঁর জগতকেই অন্ধকার করে রেখেছেন!
বিশ্বাস করুণ আমার মনে হয়, ওদের থেকে আমারও রাগ কম হয়নি। আমি অন্য যাত্রীদের মতো রাগের স্বরে বলে ফেললাম, বাজ পড়ে তো কত হতদরিদ্র কিংবা সাধারণ মানুষ মারা যায়। কিন্তু যারা মানুষকে বিনা কারণে কষ্ট দেয়, দু-চারটি বাজ কেনো এদের উপর পড়ে না!!!
মানুষ যখন বিনা কারণে কষ্ট ভোগ করে তখন জগতের সঠিক মানুষটিও খারাপ দৃষ্টি থেকে বাদ যায় না। যেখানে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ বিনা কারণে মাঝে মাঝে গালি দিয়ে বসে! তাই বলবো, আপনারা যদি আপনাদের সময়ের ব্যাপারে দৃঢ় জ্ঞান রাখেন এবং যথা সময়ে অফিসে আসেন তাহলে আপনার পথের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের (প্রশাসনিক) কে নিশ্চয় নির্দেশ দিয়ে রাখবেন, অহেতুক যেনো যাত্রী কিংবা অতিব সাধারণের কষ্টের কারণ আপনার পথ চলা না হয়। কারণ গণমানুষের অভিশাপ হয়তো আপনার এই আরাম-আয়েশ কে ধ্বংস করে দিতে পারে।
ছবি : গুগল।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
রুপম হাছান বলেছেন: হয়তোবা তাই।
ধন্যবাদ ভাই ঢাকাবাসী।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।
+।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর আপনার সহমত প্রকাশ করে কষ্টপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের কাতারে নিজেকে সামিল করার জন্য।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২০
পৌষ বলেছেন: কিছুই করার নেই বাসে বসে থাকা ছাড়া! আর না হয় আমার মতো পায়ে অথবা সাইকেল চেঁপে অফিস যাত্রা করা।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
রুপম হাছান বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই পৌষ। তবে পিএম এর দপ্তর এর সামনে থেকে আমতলী পর্যন্ত রোদ্রের ভেতর পায়ে হেঁটে আসাটা একটু দূরহ বটে। আর সাইকেল চেঁপে...?
কারণ কাঁচা হাতে (নতুন) দুই চাকার যান সত্যি বিপদসংকুল আমার জন্য। হা হা হা। আমার জন্য ৩ অথবা ৪ চাকা ছাড়া উপায় নাই।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: রাগটা কমান। এইসবের মধ্যে (আপনার চেয়ে বেশি রাগ নিয়ে) এই শহরে বেঁচে আছি।
নিজেকে বুঝাই, ছোট্র একটা দেশ। মানূষ বেশি। আছে নানান সমস্যা। এই সব নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
রুপম হাছান বলেছেন: আমি তো চাই একেবারে যেনো আমার রাগ না হয়, তবে কেনো জানি এসে যায়! কারণ এই গণমানুষের মাঝে যখন দেখি কেউ কেউ খুব সুখ নিয়ে বুক ফুলিয়ে সবার সামনে দিয়ে সমস্যা বিহীন সবকিছু (অপরাধ মূলক কর্ম কান্ড) করে যায় (যাদের কিছু করার সুযোগ বা অনুমোদন নাই তারা) আর আমরা অনেক কিছুই করতে পারি বটেও কিছু করার সুযোগ থাকেনা তখন এমনিতেই রাগ এসে যায়।
সেখানে ছোট দেশ এটাকে মুখ্য দেখানোর কোনো সুযোগ আছে কি!? অসম ব্যবস্থাপনা কারো জন্য সুখের নয়। আর ছোট দেশ, জনগণ বেশিকে মূল সমস্যা ভেবে নিজেকে বুঝিয়ে বেঁচে থাকার মাঝে কোনো কৃতিত্ত্ব নাই।
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই মূল্যবান সময় এভাবে নষ্ট হতে দেখলে মেজাজ ঠিক থাকে না
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
রুপম হাছান বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু।
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রতিদিন মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে অথচ এ নিয়ে কোনো সমাধানে আসা গেলো না।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
রুপম হাছান বলেছেন: সত্যি বলতে কি ভাই, মন থেকে কর্তৃপক্ষ জাতীয় জীবনের দৈনন্দিন সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চায় না। আমি বলছি- সমাধান নিশ্চয় করা সম্ভব।
এটকু ঢাকা শহরের মগবাজার-মৌচাক প্রোজেক্টের দিকে তাকালেই খুব সহজেই অনুমেয় হবে। কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর জাতীর সাথে কি তামাশা করে যাচ্ছে?
আরেকটি দিকে দেখেন-ওয়াসার গাফলতিতে হাওরের কি দশা হলো এবার? সত্যি বললে-বিড়াল রাগ হয়। সমস্যা জিইয়ে রাখলে একটি গ্রুপের পকেট তাজা থাকে। আর সেটা করতে গিয়ে সমাধান খোঁজার পথে কেউ আসতে চায় না।
৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খুব খারাপ লাগে। এই ২০১৭ তেও আমরা রাস্তায় কত অসহায়। এর সমাধান কেউ করতে পারেনা কেন?
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
রুপম হাছান বলেছেন: খারাপ তো তার লাগবে, যার সাধারণ বুদ্ধি আর জ্ঞান আছে কারণ ভালো-মন্দ এর ফারাক সে বুঝে।
কেউ যখন বলে, কিছু করার নাই মেনে নাও; তখন আরো বেশি রাগ লাগে। কারণ আমার মেনে নেয়া তার অন্যায়কে আরো বেশি গতিশীল করার ব্যাপারে উদ্ভুদ্ধ করে। আর আমরা এখানেই নাকাল।
আর কর্তৃপক্ষ চাইলেই সব সমাধান করতে পারে এটা আমি বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
ঢাকাবাসী বলেছেন: কিছুই করার নেই!