![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের স্মৃতিধন্য পবিত্র মাহে রমজান এর বিদায়লগ্ন সন্নিকটে। শাওয়ালের চাঁদ উঁকি দেবে পঁশ্চিমাকাশে। পৃথিবীর সব মলিনতা দূর করে অসঙ্গঁতির অপমৃত্যু ঘটিয়ে সকল মুমিন বান্দাদের ঘরে ঘরে আনন্দের সওগাত বয়ে আনবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মহিমান্বিত এই দিনে ধর্মীয় আচার, অনুষ্ঠান, ভাবগাম্ভীর্য আর সামাজিক প্রীতির বন্ধনে সবাই আনন্দে একাকার হবে। উৎসবের আমেজ নিয়ে ঈদ আসবে সবার ঘরে ঘরে। ঈদ হচ্ছে সবার মাঝে সাম্য, মৈত্রী ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক। আরবী শব্দ ঈদ যার অর্থ উৎসব। ফিতর শব্দের অর্থ ভঙ্গঁ করা। এখন ঈদুল ফিতর শব্দের অর্থ হল উপবাস ব্রত ভঙ্গঁ করার উৎসব। সামাজিক জীবনে এক সর্বজনীন উৎসব হচ্ছে ঈদ। যার একটি ঈদুল ফিতর ও অন্যটি ঈদুল আযহা।
এদিনটি সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এক বিশেষ নেয়ামত। সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক ঈদুল ফিতর বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আসে একমাস সিয়াম সাধনার পর। সিয়ামের আনন্দের শেষে ঈদের অনন্দ। এ দিন ছোট বড়, ধনী-গরীব, বিবাদ বিসম্বাদ সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই উপভোগ করে ঈদের আনন্দ। সবাই ভুলে যায় হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার। একে অপরকে বুকে টেনে নেয়। ঈদের জামাত পরিণত হয় মহামিলন ক্ষেত্রে। ঈদুল ফিতরের নির্মল আনন্দ এবং শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত করতে পারলে বিপর্যস্ত জনজীবন থেকে দূরে হবে সকল প্রকার সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং নৈরাজ্য।
ঈদ আমাদের শিক্ষা দেয় সাম্য, মৈত্রী, সমমর্যাদা ও সৌহার্দের গুরুত্ব। ঈদের আনন্দের এই দিনে রাসুলে পাকের আদর্শেকে সামনে রেখে প্রতিটি মুহুর্তে আল্লাহ পাকের রেজামন্দী লাভের জন্য তৎপর হলে সমাজ হবে সুন্দর, দূর হবে সকল অন্ধকার। ঈদের নামাজের পর পরস্পর পরস্পরের প্রতি সকল প্রকার হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ভুলে হাসি মূখে যদি একে অপরকে আপন করে অালীঙ্গন ও কূশল বিনিময় করেন তাহলে এর মাধ্যমে আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার সগীরা গোনাহ সমূহ ক্ষমা করতে থাকেন। ঈদের প্রাক্কালে আমাদের প্রত্যাশা সবার জীবন সুন্দর হোক। আগত পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ ও সমৃদ্ধ।
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
রুপম হাছান বলেছেন: মূলত যারা রোজা রাখলো এবং পারিপার্শ্বিক দূরাচার থেকে নিজেকে রক্ষা করে পবিত্র রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করলো তারাই হচ্ছে প্রকৃত অর্থে ঈদের মূল হকদার। কারণ ঈদের আনন্দের পরিপূর্ণ মজা শুধুই নাকি রোজাদার ব্যক্তিরাই পেয়ে থাকেন এবং এদের জন্যই রয়েছে পরকালে খুশির সংবাদ। অন্যদের কথা বলা হয়নি। কারণ আমরা সকলেই জম্মসূত্রে কিংবা পারিবারিক সূত্রে মুসলমান তবে পার্থক্য হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার হুকুম-আহকাম পালণের মাঝে। সৃষ্টিকর্তার নিকট থেকে পুরষ্কার গ্রহণের জন্য কে কতটুকু আমল করেছি তার ভিত্তিতেই আনন্দও বন্টন করা হবে সকলের নিকট। তাই ঈদ প্রতিটি মুসলমানের জন্য হলেও প্রকৃত আনন্দ কিন্তু মুমিন বান্দাদের কথাই বলা হয়েছে। সে যাই হোক, আমরা সকলেই যেনো সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে মুমিন বনতে পারি সেই তৌফিক আমাদের সকলকেই যেন দান করেন। আমীন।
ধন্যবাদ ভাই রাজীব নূর আপনার যুক্তিটা শেয়ার করে আমাকেও কিছু শিখার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন আর মহান আল্লাহ’র হুকুম-আহকাম পালণে সচেষ্ট থাকবেন, এমনটাই প্রত্যাশা রাখি।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঈদ প্রতিটা মুসমানের। শুধু মুমিনদের না।