নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি; বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দবাজারের অযাচিত দাদাগিরি, নাকি অন্য কিছু?

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

আনন্দবাজার অনেক নাম ডাকওয়ালা প্রাচীন বাংলা দৈনিক। নাম ডাক যেমন আনন্দবাজারের ঠিক তেমনি এর লিখিয়েদেরও, সন্দেহ নেই। বাঘা বাঘা সব সাংবাদিক-কলামিষ্টরা আনন্দবাজারে ভরপুর। যারা আনন্দবাজারের লেখক- যদিও প্রিন্টেড ভার্সনটি এখন দখল করেছে 'ঘটকা আনন্দবাজার'; অর্থাৎ "পাত্রচাই" আর "পাত্রী কই" জাতীয় বিজ্ঞাপন; তার মধ্যে যে দু'এক কলম লেখা ফ্রন্ট পেজে থাকে - তা পড়তে আমার বিশেষ ভালো লাগে।


ভালোলাগার আরো কারণ আছে, যেমন: 'আনন্দবাজার পড়তে হয় নইলে পিছিয়ে পরতে হয়'- তাই। আর যাই হোক- এই বয়স অবধি অনেক পিছিয়ে পরেছি! এবার আর না! এখন এই আনন্দবাজার পড়ে পড়ে উপসক অর্থাৎ পাত্র কিংবা পাত্রী উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, নিবিহচ অর্থাৎ নিসন্তান বিধবা হলেও চলবে কিংবা অসবর্ণে আপত্তি নেই জাতীয় শব্দগুলো বাংলা ভাষার আনন্দবাজারী অলংকরণ- এগুলো না পড়লে কি এগিয়ে যাওয়া যায়! তাই পড়ছি; নিয়মিত পড়ছি, নিয়মিত মানে একেবারে নিয়মিত- অর্থাৎ অন্তত যখন খেলাটেলা- বিশেষকরে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট কোনো খেলা চলে; আর ক্রিকেট হলে তো কোনো কথাই নেই, তখন ওদের কাভারেজগুলো দেখার আগ্রহ দমিয়ে রাখতে পারি না- তাই আমি আনন্দবাজার পড়ি।

আজ দেখলাম - সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য বাবু একখানা কলাম লিখেছেন; শিরোনাম দিয়েছেন ভারতের জ্বালানি ভরার মাঠে ​​অসম্ভবের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ​"​ বুঝতে বাকি রইলো না আগামী কাল অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার T20-এশিয়াকাপ ফাইনালের ফলাফল সম্পর্কেই তার ইঙ্গিত।

বাংলাদেশের মাটিতে ভারত নিজের দেশের তুলনায় কম কিছু ফেবারিট নয়- সে সকলেই জানি। জানি বাংলাদেশ তাদের কাছে অনেকটা ঘরের মাঠের মতই! এখানে তাদের জয়ের পরিসংখ্যান ঘরের মাঠে জয়ের পরিসংখ্যান থেকে খুব একটা অনুর্বর নয়। তবুও একটা কথা থেকে যায়; বলা হয়-জানিনা কতটুকু সত্যি, তবে প্রায়ই তাদের মতো ক্রিকেট বোদ্ধাদের মুখে শুনি "ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা- যেখানে খেলা ​শেষ হওয়ার আগে ​জয় পরাজয় ​পূর্বাভাস শুধু নির্বোধেরাই করে থাকে" ​ তা - এই যদি হয় বাস্তবতা, তা গৌতম বাবু তার লেখার শিরোনামটি এতো নিশ্চয়তা দিয়ে ​"অসম্ভবের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ​" কথাটি বললেন কি করে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে?​

জানতে ইচ্ছে করে এটা কি আইসিসি বহিস্কৃত তার স্বদেশী​ শ্রীনি'র মতই বাংলাদেশকে ​- ​বাংলাদেশের ক্রিকেটের সামর্থ্যকে অবদমন করার প্রয়াস ​নাকি ​খাদের কিনারে থাকা ভারতীয় শিবিরকে চাঙ্গা করার কৌশল? নাকি এটা এই আনন্দবাজারীদের অযাচিত দাদাগিরির-ই প্রকারান্তর? না আবার ভেতরে ভেতরে কোনো আলিমদার কান্ড তৈরী করে রেখেছেন? সত্যি টা কী বলবেন?

পরিশেষে বলতে হয় ভদ্কাচাজ্যি বাবু -একটা পরামর্শ দেই, অত দৃঢ়তা নিয়ে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী না হাওয়াই ভালো! কারণ এহেন দাদাগিরির দিন এখন আর নেই, দেখছেন না এখন দিন কেমন পাল্টে গেছে!

মনে রাখবেন- আগে আপনারা আমাদের নিয়মিত হারাতেন- সে ঠিক কথা, কিন্তু এখন! ঐ যে বললাম দিন পাল্টেছে; আর এখন আমরা আপনাদের নিয়মিতই হারাই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: ওসব কিছু মাথায় নেই, মাথায় শুধু জিততে হবে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০২

হালদার গৌতম বলেছেন: কিন্তু এই অযাচিত দাদাগিরি তো সহ্য হয় না!

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: কে ভারত বা কে লংকা আমার দোখার দরকার নেই।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০

বিজন রয় বলেছেন: কারো দাদাগিরিতে এখন আমার কিছু যায় আসে না।
এখন আমরা জিততে জানি।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

আহলান বলেছেন: লিখুক না যা খুশি ...আমরা মাঠেই এর সমুচিত জবাবের প্রত্যাশায় রইলাম

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

হালদার গৌতম বলেছেন: কিন্তু ওদের মগজে যে ইহা ঢুকছে না- যে খেলাটা চরম অনিশ্চয়তার- আমরাও জিততে পারি। ভাবটা ঠিক এমনই - ওরা যেন আমাদের কাছ থেকে সেই কবে দাসখত নিয়ে রেখেছে- সারা জীবন আমরা ওদের প্রভুত্ব স্বীকার করবো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.