![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।
প্রাপক,
মাননীয় অবশিষ্ট শ্যামল কান্তি ভক্তগণ
সারা বাংলাদেশ
বিষয়: ভেবে দেখার আবেদন
মহাশয়,
যথাযোগ্য মর্যাদা পূর্বক অধীনের বিনীত নিবেদন যে, এই তো সেদিনের কথা; একটা সময় ছিল এই দেশে শিক্ষার মত মানুষ গড়ার মহান পেশায় ৭০/৮০ শতাংশ শিক্ষক ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের; তারা আপন সন্তানের দরদ দিয়ে পরের সন্তানকে আদর্শ আর নৈতিকতা শিখাতেন; শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে শ্রম দিতেন।
ব্যাপারটা তখন এমন ছিলো যে শিক্ষকতা পেশা- সে তো হিন্দুদের জন্য! আর হিন্দুগুলোও তখন মনে করতো - বেতন-পাতি কিছু পাই বা না-পাই; যাই, সম্মানের একটা চাকরি, শুরু করি না কেন? কত লোকের কত ছেলে মানুষ হবে- গর্বে বুকটা ভরে যাবে; সারা জীবন উচু-নিচু, ধনী-গরীব সবার কাছে কত সম্মান পাবে!
সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টা এমন ছিলো- যে, শিক্ষকতা- 'বাই ডিফল্ট' এই অচ্ছুত আর বিনা মাইনের ব্যাগার খাঁটা পেশাটা দাশমরা আর নিরাগী হিন্দুদের জন্য; ওখানে বুদ্ধিমান লোকেরা কেন যাব? তখন শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের; তাও তিনি শিক্ষকতার পাশে হয় কাছের বাজারে ডিসপেন্সারি দিয়ে বসতেন- অর্থাৎ সংসার চালানোর জন্যে ডাক্তারি করতেন; না হয় বই লাইব্রেরি- নিদেন পক্ষে একটা মুদি দোকান থাকত। পেট চালানো বলে কথা! শুধু মাস্টারি করে কি আর সংসার খরচ উঠে?
এখন দিন পাল্টেছে, এতদিন যেখানে সংখ্যালঘুরা বিনে মাইনেতে কামলা দিত-এখন সেখানে সরকার বাহাদুরের বদান্যতায় কিঞ্চিত অর্থযোগ এসেছে; সুতরাং আর ছাড় কেন? এখন সব সুদেমুলে উসুলের সময়!
অবস্থা এখন পাল্টেছে; অবস্থা দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এরই মধ্যে- মাত্র গত দশ-বারো বছরের মধ্যেই শিক্ষাক্ষেত্রে হিন্দুদের সেই একছত্র কৌলিন্য আর নেই। এখন অবস্থা এরকম - শুধুমাত্র হিন্দুধর্ম শিক্ষকই এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের-তাও আবার অনেক প্রতিষ্ঠানেই নেই। ফাঁক ফোঁকর দিয়ে এখনও যে দু'একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক রয়ে গেছেন; তারা সম্মান থাকতে পালাবার পথ খুঁজছেন। কারণ তারা বুঝতে পারছেন যে- সম্মান পাবার আশায় তারা এতদিন এই পেশায় লেগে ছিলেন; সেখানে এখন তাদের সম্মান তো নেই - এমন কী জীবনেরও নিরাপত্তা বিঘ্নিত। সুতরাং এবার মানে মানে পালাবার সময়; আর ঘাড় ত্যাড়ামী করলে যে তার ফলাফল কী হতে পারে- সেটা নিশ্চয় ভেঙ্গে বলার দরকার পড়বে না; তারা বুঝে গেছেন।
আর যারা এখনও সব দেখেশুনেও না বুঝার ভান করছেন সেই সব প্রধান শিক্ষক কিংবা সহকারী শিক্ষক অবশিষ্ট শ্যামল কান্তি ভক্ত'রা এবার তৈরী থাকুন; কারণ এই দেশে সংখ্যালঘু হয়েও শিক্ষা পেশায় চাকুরীর এত মোহ কেন, সেই বিষয়টা এবার তলিয়ে দেখার সময় এসেছে বৈকি?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: দিন বদলের সাথে শিক্ষকদের চরিত্রও বদলেছে
বর্তমানে অনেক শিক্ষকরা দলিয় রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মহীনতা, বানিজ্যিক মনোভাব, নেশা এবং যৌন নীপিড়নের মত ভয়াবহ অপকর্মে লিপ্ত। শিক্ষক নামের মহান শব্দটি আজ বর্তমান সময়কার ছাত্রদের কাছে মহান নয়। পদ-পদবী, ক্ষমতা এবং আর্থিক সুবিধার জন্য শিক্ষকরা এখন ছাত্রনেতাদের দ্বারস্ত হন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ধর্ষন, নির্যাতন, ধর্মহীনতা, সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ এখন হরহামেশা শুনা যায়। এখনকার শিক্ষকদের সাথে দয়া করে আমাদের শিক্ষকদের মিলাবেন না।