![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে। কষ্টের কথা কাকে বলি ভেবে পাচ্ছিলাম না। কষ্টের কথা শেয়ার না করলে নাকি কষ্ট আরো বেড়ে যায়। কিন্তু এমন কেউ নেই যাকে বলবো। অবশেষে অনেক চিন্তা করে দেখলাম একমাত্র ব্লগেই দুঃখের কথা শেয়ার করা যায়। কারণ, এখানে দুঃখ শেয়ার করলে বাড়িতে কেউ জানতে পারবে না।
আজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে ও চলে গেছে। চলে গেছে সাত সুমদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে সেই সুদূর আমেরিকায়। সেই সুদূর নিউ ইয়র্কে। অথচ দুঃখ রয়েই গেল আমার হৃদয়ে। ওকে কিছু বলতে না পারার দুঃখ। যাবার আগে ওকে খুব বলতে ইচ্ছে ছিল আমার ভাল লাগার কথা। জানাতে ইচ্ছে ছিল আমি সেই ছোটবেলা থেকেই ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম। এখনও দেখি। কিন্তু মনে হয় সে স্বপ্ন চিরজীবন স্বপ্নই থেকে যাবে।
ও আমার খুব কাছের এক আত্মীয়। এখন সপরিবারে আমেরিকায় থাকে। আমি যখন খুব ছোট, প্রাইমারিতে পড়ি, তখন থেকেই ওকে আমার ভাল লাগতো। ও তখন খুব ছোট। মাঝে মাঝে আমার মায়ের কোলে বসে থাকতো। সেখান থেকেই ভাল লাগার সুত্রপাত। তখন প্রেম কি জিনিস বুঝিনি। তবু কোন এক অজানা ভাল লাগা আমাকে তাড়িত করতো।
ভাল লাগার অনেক কারণও আছে। ওর স্বভাব কিছুটা আমার মত। আমি যেমন কোলাহল পছন্দ করি না, সেও ঠিক তেমনি আমার মত নিভৃতচারী। আমি যেমনি পড়াশোনা করতে ভালবাসি, সেও ঠিক তেমনি পড়তে ভালবাসে। আমার গায়ের রং যেমন ফর্সা নয়, তেমনি ওর গায়ের রং ওর বোনদের মত অতটা ফর্সা নয়, উজ্জ্বল শ্যামলা। আমি হাসলে আমার যে দাতটা বাঁকা দেখা যায়, ও হাসলেও ঠিক সেই দাতটাই বাঁকা দেখা যায়। আমি নিজে চশমা না পড়লেও ছোটবেলা থেকেই চশমা পড়া মেয়েদের আমার খুব ভাল লাগে; ও সবসময় চশমা না পড়লেও পড়াশোনা করার সময় চশমা ছাড়া করতে পারে না। তবে সবচেয়ে যে বিষয়টা আমাকে ওর প্রতি আকৃষ্ট করতো তা হলো- ওর ঠান্ডা স্বভাব আর ছোটবেলা থেকেই আমার প্রতি ওর আগ্রহ। কিন্তু ওর সাথে আমার সবচেয়ে বড় যে অমিল রয়ে গেছে, সেটা হলো প্রাচুর্যের বৈষম্য। ওদের টাকার পাহাড়ের সামনে আমার অবস্থা কিছুটা বস্তিবাসী টোকাইয়ের মত। তাইতো অনেক সুযোগ পেয়েও নিজের আত্মসম্মানের কুরবানী দিয়ে বলতে পারিনি, আমি তোমাকে ভালবাসি। পাছে আবার ও ভাবতে পারে, আমি ওর প্রাচুর্যের প্রতি দূর্বল বলেই ওর প্রতি আমার নিছক ভালবাসা প্রদর্শন করছি।
আমি প্রাইমারী থেকে হাইস্কুলে উঠতে উঠতেই ওরা সপরিবারে আমেরিকা চলে যায়। তারপর একবার এসেছিল 2003 এ। 2003 এর আচরণগুলিই আমাকে ওর প্রতি আবার নুতন করে আকৃষ্ট করে। সে সময় যে কয়টা দিন বাংলাদেশে ছিল, আমাকে ছাড়া যেন কিছুই বোঝেনি। নিভৃতচারী হবার পরেও লাজ লজ্জা ভুলে আমার পাশে এসে বসে থাকতো। ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম। এবং নিজের বিত্তবৈভবের কন্ডিশন উপলব্ধি করে নিজেই ওর কাছ থেকে দূরে সরে থাকার চেষ্টা করলাম। কিন্তু অত্যন্ত নিকটাত্মীয় হবার কারণে বিভিন্ন কাজের সময় ওর কাছে যেতেই হতো। আর সে সময় ও আমার পাশে এসে বসে থাকতো কিংবা কখনো শরীরে শরীর ঘেষে গল্প শুরু করতো। মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করতাম, বড় হয়ে তুমি কি হবে? ও বলতো, আমি ল-ইয়ার হবো। কিন্তু আমি বলতাম- "না, আমার খুব ইচ্ছা তুমি ডাক্তার হবে।" ও বলেছিল, "ঠিক আছে, আপনি যখন বলছেন আমি চেষ্টা করবো।"
ব্যাপারটা ওর মায়েরও দৃষ্টিগোচর হলো। কিন্তু তিনি কাউকে বুঝতে দিলেন না। উচ্চাভিলাষী ওর মা নিজের মেয়েকে মফস্বলের একটা বোকা টাইপের ছেলের সাথে মিশতে দিলেন না। নিয়ে চলে গেলেন ওর নানার বাড়ি। এবং সেখান থেকেই সোজা আমেরিকা। কৌশলে জানিয়ে দেয়া হলো ফ্লাইটের দিন যেন বয়োজ্যেষ্ঠ ছাড়া এয়ারপোর্টে কেউ না আসে। তাই আমার এয়ারপোর্টে যাওয়া হলো না। আমার মা গেলেন। আর নিজের অজান্তেই আমার চোখ ভিজলো ওর যাবার মুহুর্তে। এরপর আর দেখা হয়নি। চেষ্টাও করিনি। কারণ ওকে আমি মনে মনে ভাল বেসেছিলাম। সেও হয়তো আমাকে বেসেছিল, কিংবা এখনো বাসে। কিন্তু দুজনেই নিভৃতচারী বলে হয়তো কেউ কাউকে কোনদিন বলতে পারবো না নিজেদের মনের কথা। তাছাড়া একাকী যোগাযোগের তেমন কোন সুবিধাও নেই দুজনের মধ্যে। তাই চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছিলাম।
এরপর আবার 2006। আর এবার এসেছে এক কোটিপতি ছেলের সাথে ওর বড় বোনের বিয়ে দেবার জন্য। কিন্তু আমি যতটা সম্ভব দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি জানি ওর কাছাকাছি থাকলে শুধুই মানসিক যন্ত্রনা বাড়বে। ওর ছোট বোন প্রায়ই বলেছে- "আপনার সাথে মেঝো আপার খুব মিল, দুজনের কথাবার্তা, স্বভাব-চরিত্র, এমনকি দুজনের একই রকমভাবে দাত বাঁকা।" কিন্তু আমি বলতে পারিনি- "আমার মত একটি মেয়ে আমার জীবনে চাই বলেই তোমার মেঝো আপা আমার মত।" আরেকদিন জিজ্ঞেস করেছিল- "আপনি কাকে লাইক করেন?" আমি বললাম- "তুমি গেইস করতো আমি কাকে লাইক করি।" ও চট করে উত্তর দিল- "আপনি মেঝো আপুকে লাইক করেন, তাই না?" কিন্তু আমি তখন নীরব থেকেছি। নীরব থাকা ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। কারো কাছে ছোট না হওয়া এবং আত্মসম্মান বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে ত্যাগ স্বীকার করার দীক্ষা পরিবার থেকে পেয়েছি বলেই হয়তো এবারও সরাসরি বলা হলো না আমার মনের কথা। সেজন্যই হয়তো ওকে বলতে পারিনি-
তোমার জন্য মরতে পারি, ও সুন্দরী তুমি গলার মালা
এই যে দেখ তোমার জন্য আনছি ফুলের মালা।
কিংবা এতটুকুও বলতে পারিনি-
বলব না আকাশের চাঁদ এনে দেব
বলব না তুমি রাজকন্যা
শুধু জিজ্ঞেস করি-
দেবে কি পাড়ি, হোক যত ঝড় বন্যা?
আমি জানি, এখন ওরা অনেক অনেক বড়লোক। নিউ ইয়র্কে ওদের নিজেদের বাড়ি, নিজেদের মালিকানায় হোটেল। ঢাকা শহরেও যাত্রাবাড়িতে ওদের নিজেদের বাসা হয়েছে। সেইসাথে ও সেদেশের একটি নামী স্কুলের ক্লাশ টেনের ছাত্রী। ও এখন আর ল-ইয়ার হতে চায় না। ওর ইচ্ছা ডাক্তার হওয়া। হয়তো আর কয়েক বছর পরে একজন ডাক্তার হয়ে বাংলাদেশে আসবে। আর আমি? আমি এক গরীব দেশের অনেক অধিকার বঞ্চিত একটি মফস্বল শহরের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের দায়িত্বশীল বড় ছেলে। পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে মাঝেই মাঝেই যার অনার্সের পাঠ থেমে যাবার উপক্রম হয়। কিন্তু বিদ্যার প্রতি অদম্য উৎসাহের কারণে নিভু নিভু প্রদীপের মত এখনও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। কতক্ষন পর প্রদীপ নিভে যাবে জানি না। আর তাই এরকম একটা অনিশ্চিত জীবনের সাথেও ওকে আমি জড়াবো না। কিন্তু এ কথা তো আর মন থেকে মুছে ফেলতে পারি না যে, জীবনে একমাত্র ওকেই আমি ভালবেসেছি। আর কাউকে ভালবাসিনি, কখনো বাসতেও পারবো বলে মনে হয় না।
2 সেপ্টেম্বর 2006, সকাল 6 টার ফ্লাইটে যাত্রাবাড়ীর বাসা থেকে যাত্রা করে ও চলে গেছে নিউ ইয়র্কে। আমি এই মফস্বল শহর থেকে এয়ারপোর্টে যেতে পারিনি। পারিনি কারণ আমার প্রতি ওর মায়ের সন্দেহ। কিংবা পারিবারিক জটিল বলয়ে আমি বন্দী। সামাজিকতার মাথা খেয়ে এয়ারপোর্টে ওকে বিদায় জানানো সম্ভব হবে না। আবার কবে আসবে তা জানি না। যখন আসবে তখন এই আমি সেই আমি থাকবো কিনা তাও জানি না। কখনো আমার মনের কথাটা ও জানবে কিনা তাও জানি না। জানি না বলেই মনটা আমার খুব খারাপ। কেমন খারাপ তা হয়তো আমার মত ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন।
কিন্তু ব্লগের বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ, ওর জন্য আপনারা দোয়া করবেন। ও যেন নিউ ইয়র্কের একজন ভাল ডাক্তার হতে পারে। নিউ ইয়র্কের জ্যাকশন হাইটে ওর দিনগুলি যেন জীবনানন্দের শিশিরের শব্দের মতন করে কেটে যায়। আপনাদের দোয়া চাওয়া ছাড়া আমার আর কিছু চাইবার নেই। এখানে তাও চাইতে পারছি একটা সাহসে। আমার ফ্যামিলির কেউ যেহেতু কম্পিউটার জানে না সেহেতু এ লেখাটা কেউ পড়তে পারবে না। অনেক কষ্ট করে সম্পূর্ন লেখা পড়ার জন্য আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। পারলে একটা সান্তনার বাণী পাঠাবেন।
সুপ্ত সবুজ
2-8-2006
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৪৭
অতিথি বলেছেন: মনটা খারাপ করে দিলেন। আজ এমনিতেই মন খুব খারাপ।
কিন্তু আপনি মনের কথা কেন যে বললেন না!!!!!!
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৪৯
অতিথি বলেছেন: আর শোমচৌ-এর কথা ভেবে দেখবেন। আপনাকে তিনি critisize করেননি। বরং একটা সত্য কথা বলেছেন।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৫৩
অতিথি বলেছেন: সুপ্ত সবুজ,
আপনার লেখাটা পড়ে প্রচন্ড কষ্ট লাগলো। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। সামান্য সান্তনা দেওয়া আমার কিছু করার নেই।
অন্তর থেকে দোয়া করছি উনার জন্যে এবং আপনার জন্যে।
আমার একটা অনুরোধ
আপনি কিন্তু ব্লগে আমাদের সাথে থাকবেন। আপনার লেখাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। সময় পেলে আজকে আমি একটা লেখা পোস্ট করবো...আশাকরি আপনি আমার লেখাটা পড়বেন।
ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:০৫
অতিথি বলেছেন: সুপ্ত সবুজ
ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে......সেই সাথে কষ্টও .......
আর হ্যাঁ,আপনার দোয়া কবুল হোক ....
আপনার মনের মানুষ যেন ডাক্তার হতে পারে.........আমিও সেই দোয়া করছি....
যাকে ভালোবাসেন তার সুখে সুখি হোন এবং তার সুখ কামনা করুন...
সাকিবের মত আমিও বলছি আপনি আমাদের মাঝে থাকুন......
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:০৭
অতিথি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে লগইন করলাম।
খুব খারাপ লাগল।
গরিবের ছেলে-ধনীর ছেলে কি যোগ্যতার মাপকাঠী? আমার ব্যক্তিগত মত না।একজন ধনীর ছেলের চেয়ে একজন গরীবের ছেলে অনেক বেশী যোগ্য হতে পারে। যার যার যোগ্যতা তার তার সাথে, বাবার টাকার সাথে নয়।
এভাবে হতাশ না হয়ে আপনি শুধু নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলুন।
আপনার এবং তার দুজনের প্রতিই দোআ রইল।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:১৩
ম. রহমান বলেছেন: খুব বেশী খারাপ লাগলো...দোয়া করি ডাক্তারনী যেন আপনার হয়...
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৩৫
অতিথি বলেছেন: ভাইরে, মনটাই খারাপ করে দিলেন। ব্যস্ততার মাঝে শুধু আপনাকে মন্তব্য করার জন্য লগ ইন করলাম। কিন্তু আপনি একটা জায়গায় ভূল করেছেন। আপনার মনের কথাটি তাকে বলা উচিত ছিলো। কারণ আপনি ইতিবাচক কিছু সারা পেয়েছিলেন। বলাতো যায়না সে আপনার মতোই ভাবতো। কিন্তু কখনো কিছু মুখ ফুটে বলতে পারেনি সেজন্যই হয়তোবা নিভৃতচারী বলে (গুটিয়ে রাখা নিজেকে)। যাইহোক, নিজেকে সামলে নিন। কষ্ট করে পড়াশোনা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে যোগ্য করে তুলুন। এমনওতো হতে পারে, আপনার জীবনে এমন একজন মানুষ অপেক্ষা করছে, যে আপনার চাইতেও বেশি আপনাকে ভালোবাসবে। জানেনইতো, মানুষ যেখানটায় খুব বেশি কষ্ট পায়, একদিন সেখানটাই বেশি সুখ পায়।
আর হঁ্যা, আপনার লেখাটা আমাদের সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। কোনোভাবে চেষ্টা করুন সেই লেখাটি প্রবাসী মানুষটাকে দেখাতে। এতে অন্তত লাভ হবে এটাই, জমিয়ে রাখা ভালোবাসাগুলো তাকে তো জানানো হবে। এমনকি বলা যায় না সে আপনার একলা পথের পথিকও হয়ে যেতে পারে।
ভালো থাকুন ভাই।
বি.দ্র. লেখাটি বড় হওয়ার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৩৬
রোবট রাজকন্যা বলেছেন: প্রকৃতির অকৃত্রিম বলয়ে আমরা নির্মম ভাবে বন্দী ...............
তবে আমি প্রচন্ড রকমের optimistic ........হতাশার চরম শিখরেও আমি আলোর স্বপ্ন বুনি .........
Just believe that .... Miracles do really happen .... keep your good works ...... And you will find yourself in the destination....
আপনার ভালবাসাই আপনাকে পথ দেখাবে...... লড়তে শেখাবে .....
পেছনে থেকেই ত এগিয়ে যেতে হয়.....তবেই না সেই জয় আনন্দের.......
আপনি হারেননি ............. ভালবাসাকে পুঁজি করেই শুরু হোক আপনার নতুন পথচলা.....
আপনি আপনার ভালবাসাকে খুঁজে নিবেন সুদূর আমেরিকা থেকেই.........
সেই সাত সমুদ্র তের নদী পার হওয়ার অবিনাশী শক্তি আপনার মাঝেই আছে..........
জেগে উঠুন সবুজ ............আপনার আলোয় আলোকিত করুন আপনার পরিবার , আপনার সমাজকে ........
আর এক মুহূর্তও দেরী নয়.......... আপনার অভিযান শুরু হয়ে গেছে..........
Just Believe GOD Never Leave Us ....
কর্মের মাঝেই খুঁজে নিন আপনার তৃপ্তি..........
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৪১
রোবট রাজকন্যা বলেছেন: প্রকৃতির অকৃত্রিম বলয়ে আমরা নির্মম ভাবে বন্দী ...............
তবে আমি প্রচন্ড রকমের optimistic ........হতাশার চরম শিখরেও আমি আলোর স্বপ্ন বুনি .........
Just believe that .... Miracles do really happen .... keep your good works ...... And you will find yourself in the destination....
আপনার ভালবাসাই আপনাকে পথ দেখাবে...... লড়তে শেখাবে .....
পেছনে থেকেই ত এগিয়ে যেতে হয়.....তবেই না সেই জয় আনন্দের.......
আপনি হারেননি ............. ভালবাসাকে পুঁজি করেই শুরু হোক আপনার নতুন পথচলা.....
আপনি আপনার ভালবাসাকে খুঁজে নিবেন সুদূর আমেরিকা থেকেই.........
সেই সাত সমুদ্র তের নদী পার হওয়ার অবিনাশী শক্তি আপনার মাঝেই আছে..........
জেগে উঠুন সবুজ ............আপনার আলোয় আলোকিত করুন আপনার পরিবার , আপনার সমাজকে ........
আর এক মুহূর্তও দেরী নয়.......... আপনার অভিযান শুরু হয়ে গেছে..........
Just Believe GOD Never Leave Us ....
কর্মের মাঝেই খুঁজে নিন আপনার তৃপ্তি..........
এই কর্মই আপনার ভালবাসার পথকে সুগম করতে পারে ।।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:০৫
ইয়ামিন বলেছেন: মনটা এমনিতেই ভালো না তারউপর আপনার এই লেখাটা পড়ে আরো খারাপ হলো মনটা। কারণ, আপনি যা লিখেছেন তার হুবহূ একটি ঘটনার পান্ডুলিপি আমার জীবনে রয়েছে যা আমি কখোনো বলি না। যাই হোক, দোয়া করি আপনি যেন আপনার কাঙ্খিত মানুষটিকে জীবন চলার সাথি হিসেবে পান।
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:৩২
মামু বলেছেন: সপ্ত সবুজ। ভালোবাসা হল আকাশের মতন। কথনও সেখানে মেঘ জমে , আবার কখনও সূর্য এসে উঁকি দেয়। সত্যিকারে ভালোবাসা মানুষকে সাহসী করে তোলে। কিন্তু হারাবার ভয় নিয়ে কখনওই ভালোবাসতে নেই । সাহসী হও । প্রকাশ কর তোমার ভেতরে তার জন্য কতখানি জমে আছে জল। তোমার ভালোবাসাই তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আর একটা কথা , নিজেকে কখনই ছোট ভাববে না ।
১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:৫০
অতিথি বলেছেন: সুপ্ত সবুজ,
ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। তবে ভেঙে পড়লে তো চলবে না। আপনার ভেতরের সুপ্ত আগুন জ্বালিয়ে দিন। ডাক্তার হতে না পারার আফসোস মনে না রেখে আপনি মানুষ হোন- পরিশ্রমী হোন- ভাগ্যলক্ষী আপনার পায়ে এসে সালাম জানাবে। আপনার ও আমেরিকায় থাকুক বা ডাক্তার হোক- সেটা এখন আর ভাবনার বিষয় নয়। বিষয় হলো- আপনার সংসার আর নিজের জীবন। জীবনে বেঁচে থাকলে কতো আপনার জীবন সংগ্রামের ফসল- কারখানায় অনেক ডাক্তার পুষে রাখতে পারবেন!
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:২৬
রুপা বলেছেন: মনটা এমনিতেই ভালো যাচ্ছেনা কয়েক দিন হল।
-------------------------------
আপনার লেখাটা পড়ে, খুব কষ্ট পেলাম।
ভাল মন্তব্য করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৭
খুশবু বলেছেন: শুভ কামনা আপনাদের জন্য ।
১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নাহিদ বলেছেন: কষ্ট পেয়ে গেলাম শুধু কষ্ট দিতে পারলাম না...
১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:০৮
অতিথি বলেছেন: আপনি শুধু কষ্ট গুলো দিবেন কিন্তু আপনার আনন্দ গুলো আমাদের দিবেন না তা কি হয়.নিয়মিত লিখুন.আপনার মন ভাল হবার কথা গুলোও আমাদের জানান.আপনি এবং সে ভাল থাকুন.[ইংলিশ][/ইংলিশ]
১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৪:৩০
অতিথি বলেছেন: আমার ব্লগে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনুরোধ মতো - আপনাকে সান্ত না দিতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু আপনার এখন সাহসের দরকার। ডিসিশন নেয়া দরকার। আপনাকে ডিসাইড করতে হবে - আপনার আর তার মাঝে সম্পর্কটি আসলে কি? এটা কি প্রেম, ভালোলাগা, বন্ধুত্ব নাকি মোহ? তারপর ভাবুন - এ সম্পর্কের পরিণতি কি হতে পারে, অথবা আপনি নিজের আকাঙ্খিত লক্ষ্যে যেতে পারবেন কিনা। আপনার ভালোবাসার জন আপনার সাথে একমত কিনা...। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধানের কারণে আপনাদের দু'জনকে হয়তো একলা পথ পাড়ি দিতেও হতে পারে...। আপনারা দু'জন কি সে পথ পাড়ি দেয়ার ক্ষমতা রাখেন? ভেবে দেখুন।
সবচেয়ে বড় কথা - আপনি আগে আপনাদের সম্পর্কটা নির্দিষ্ট করুন।
সব কিছু যদি বৈরী স্রোতে ভেসে যায় - তবুও হতাশ হবেন না।
*জীবনের গল্প এতো ছোট নয়, একদিন এসে ফুরিয়ে যাবে...
*বড় প্রেম শুধু কাছে টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়...
১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:২৭
অতিথি বলেছেন: আমার কষ্টটাকে তুচ্ছ মনে হলো আপনার কষ্টের কাছে, আপনার দুঃখটা ঠিক যেন আমার ভেতরের বোবা কান্না।
২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:২৪
অতিথি বলেছেন: ভাইজান, একখান কতা কই। এইসব বিষয়কে অতো সিরিয়াসলি নেওনটা একটা 'খামাখা' কাম। শোমচৌ ভাইয়ের কথাটা 100% সত্য। টেকা মাটি মাটি টেকা, আজ ধনী তো কাল ফাকা। এইটা নিয়া বেশি টেনশন করবেন না। সাহসী হোন। সরাসরি প্রোপজ করুন। ওই মাইয়া যদি আপনারে আসলেই ভালোবাসে, তাইলে সাড়া দিবো। দোনোমোনো করলে ওর কথা ভুইলা গিয়া বাইরের পৃথিবীতে চোখ দিন। সবকিছুই আলটিমেটলি রক্তমাংস।
২১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০৬
অতিথি বলেছেন: সবুজ,
বিষাদময় একটা অনুভুতি নিয়ে লিখে যাওয়া লেখাটার বিষাদটা যেকোন পাঠককে স্পর্শ করবে।
আপনার বিষাদে আমিও বিষন্ন হলাম। খুব গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কানে কানে কয়েকটা গোপন কথা বলে যাই, সব না-পাওয়া, সব সময় খুব খারাপ না।
যে সবচেয়ে সুখের কারন, সেই সবচেয়ে দু:খের কারন হয়।
কমন সেনসে যেটা আমরা মনে করি, যা পেলে খুব ভালো হতো; সেটা না পাওয়ার মধ্যে অনেক সময়ে অনেক বড় মঙ্গল লুকিয়ে থাকে।
আপনার প্রিয় মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা থাকলো। সমানভাবে আপনার জন্যও।
জীবনটা কত্ত বড় আর কত্ত সম্ভাবনাময়।
প্রত্যেকেটা সম্ভাবনাকে শতভাগ কাজে লাগান। কে জানে মফস্বল ছাড়িয়ে সবুজও একদিন জ্যাকসন হাইটের কোন 30 তলা দালানে চাকুরী করবে। তার অফিসের টেবিলে সবসময় সবুজ রঙের একটা মানিপ্লান্টের লতা থাকে জলে ডোবানে।
খুব ভালো থাকবেন। বুক ভরে শ্বাস নিন মিয়া। অনেক দুর যেতে হবে...
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০১
সুপ্ত সবুজ বলেছেন: সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। অনেকদিন পর উত্তর লিখলাম। নেট কম ব্যবহার করি, উত্তর লেখার প্রক্রিয়াটা এতদিন জানা ছিল না।
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:৪২
এফ আই দীপু বলেছেন: পাওয়ার যেমন আনন্দ আছে, না পাওয়ারও তেমন একটা কিছু আছে। সেটা না হয় বেদনা।
আপনি না হয় সেটাই পেলেন। দুঃখ করবেন না। ভালোবাসা এমনই। জীবন অনেক বড়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন। তাকিয়ে দেখুআপনার মায়ের দিকে। তিনিও হয়তো চেয়ে আছেন আপনার মুখ পানে। মায়ের কাছে ভালোবাসা খোজার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার সাময়িক ভালোবাসার অনাকাঙ্খিত ঢেউ কেটে গিয়ে ভালোবাসার অতল সাগরে হারিয়ে যাবেন।
২৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৩
অতিথি বলেছেন: হুমমম,
এতোদিন পরে পড়লাম। আপনে কই আছেন মিয়া? দেখি টেখি না। ব্লগে জীবিত আছেন তো নাকি?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬
সুপ্ত সবুজ বলেছেন: জীবিত আছি এখনো। তবে সজাগ নই। মৃত মানবের মত। হঠাৎ একটু করে নাড়া দেই।
২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০২
অতিথি বলেছেন: মিথিলার প্রতি শোক জানিয়ে বেচারা নিজেই হাওয়া হয়ে গেলো।
২৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
পথিক!!!!!!! বলেছেন: না পাওয়ার বেদনা মাুনষ কে সিদ্ধ করে...
ভেবে দেখবেন।
এত সুন্দর মর্মস্পর্শী লেখা রা বাসানা ট হতোই না না পাওয়ার বেদনা না থাকলে। ....এতো তুচ্ছ .না পাওয়ার বেদনা দেখবেন জীবনে অনেক সুন্দর স্বপ্ন এনে দেবে
তবে কষ্ট বিলাসী হতে হবে ....
কষ্ট বিলাসী হওয়া যায়না..হয়ে যায়...হয়ে যায়।
তবে আমি স্বার্থপর ভীষন , তাই চাই কষ্ট বিলাসী যেন কেউ না হয়। কেবল হবো আমি একা
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭
সুপ্ত সবুজ বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনটা ভাল হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৫
অ্যামাটার বলেছেন: জীবনটা রূপালি পর্দা না,আর না বলেই আপনার জীবনের গল্পটা এ'রকম!
আপনি বুদ্ধিমান, তাই নিজেই সরে এসেছেন। সবাই পারে না। মরিচিকার পেছনে ছোটাই যেন নিয়তি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮
সুপ্ত সবুজ বলেছেন: দোয়া করবেন যাতে সামনে এগুতে পারি।
২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২২
সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: অনেক কষ্ট পেলাম আপনার লেখাটা পরে.......আপনার মনের গভীরতম কষ্টকে শক্তিতে রুপান্তরিত করুন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯
সুপ্ত সবুজ বলেছেন: কষ্টটা এতদিনে কাটিয়ে উঠেছি। এখন সামনে এগুতে চাই। কিন্তু ঠিক কোন দিকটাকে সামনের দিক বলে এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। তাই থেমে আছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৩২
অতিথি বলেছেন: সত্যিকার প্রেম মানুষকে সাহসী করে।
ভীরু ও নিভৃতচারিরা প্রেমের সঠিক মর্যাদা ও সম্মান দিতে জানে না। তাদের প্রেমে না পড়াই সবার জন্য মঙ্গল।
আর প্রেম করলে খোলস ভেঙে সৎসাহসে দাঁড়াতে হয় পাশাপাশি, হাত ধরে।