নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমুসলিমদের হাতে অন্ন খেলে ৪০ দিনের ঈবাদত নষ্ট হয়

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৪


ছবি: আরিশের নতুন গার্লফ্রেন্ড (GF), ক্লিক: আরিশের আব্বু

আমরা বিয়ে করেছি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের ০৫ তারিখ।
সামনের ডিসেম্বরে সাত বছর পূর্ণ হবে আমাদের দাম্পত্য জীবনের। বিয়ের এতটা বছর পেরিয়ে গেলেও একসাথে সংসার করা হয়ে উঠেনি। আরিশ হওয়ার পর আমরা একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। আরিশের দুই মাস বয়সে আমরা বাসায় উঠি। এত ছোট বাচ্চা কিভাবে বড় করবো এই আশংকায় বাড়ির অনেকেই মানা করেছিলেন। কিন্তু আরিশের আম্মু যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি আর সে সিদ্ধান্তে অমত করিনি। বাধ্য ছেলের মতো বাসায় উঠার সরঞ্জাম জোগাড় করেছি। বাসা ভাড়া করা থেকে শুরু করে সব কিছুই আমাদের দুজনের পছন্দে হয়েছে। ভিডিও কলে সব কিছুর ডিজাইন এবং রঙ দেখে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আরিশের আম্মু।

নতুন বাসায় নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
মা-ছেলে বাসায় সারাদিন শুয়ে বসে দিন কাটায়। মাঝে মাঝে ছোট ছোট কারনেও রাগ দেখায় আমার উপর। আমি ওর একাকিত্ব বুঝি। জেলখানার মতো থাকতে কারই বা ভালো লাগে! ওর জায়গায় আমি থাকলে হয়তো এমনি করতাম। নতুন পরিবেশ তার উপর কোভিড সিচুয়েশন, সব মিলিয়ে পাশের বাসার কারো সাথেও ভালো করে কথা বলা হয়ে উঠেনা। প্রথম এক মাসের মতো সময় অবশ্য আরিশের খালামনি ছিল বাসায়। ও যাবার পর একাকীত্ব আরো আকড়ে ধরে আয়েশাকে।

আমরা থাকতাম তিন তলা বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায়। প্রতিটি ফ্লোরে ৪ টি করে ইউনিট হলেও তৃতীয় তলায় একটি বাসা খালি ছিল। আর দুই ভাড়াটিয়া যথাক্রমে ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ী। একমাস পর আস্তে আস্তে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠতে থাকে। টুকটাক রান্না-বান্না করে আরিশের আম্মু পাশের বাসায় হাদিয়া পাঠাতেন। তারাও দিতে থাকে মাঝে মাঝে। এভাবেই আসা যাওয়া করে করে বেশ ভালোই সময় পার করছিলো আয়েশা।

চতুর্থ মাসে পাশের খালি বাসাটাতে এক হিন্দু পরিবার উঠলো।
অমুসলিম হওয়ায় কেউই তাদের সাথে ভালো করে কথা বলতো না প্রথম প্রথম। আরিশের আম্মু আবার তার অভ্যাস অনুযায়ী হাদিয়া হিন্দুঘরেও পাঠান। তাদের ঘর থেকে আসা খাবার আমরাও গ্রহন করি সানন্দে। একদিন ব্যবসায়ীর স্ত্রী আয়েশাকে বলতেছে "তোমরা যে ওদের ঘরের খাবার খাও এটা তো জায়েজ না। হিন্দুদের হাতের খাবার খেলে ৪০ দিনের ঈবাদত নষ্ট হয়।" আয়েশা মনে কষ্ট পেলেও তাকে কিছু বলেন নি। ওই কথা আবার হিন্দু মহিলাটি শুনে ফেলে। কষ্টও পান খুব।

রাতে বাসায় ফেরার পর হিন্দুদের থেকে কিছু খেলে ঈবাদত নষ্ট হবার ব্যাপারে আয়েশা আমাকে জিজ্ঞেস করে। আমি বললাম কোন সমস্যা নেই, খাওয়া যাবে। আমরা তো বাইরে থেকে খাবার কেনার সময় দেখিনা কোনটা হিন্দু দোকান কোনটা মুসলিম দোকান। তাছাড়া হাদিস-কোরআনে কোথাও এ ব্যাপারে নিষেধ করা হয়নি। আয়েশা আশ্বস্ত হলো।

হিন্দু পরিবারের সাথে আয়েশার সখ্যতা বাড়তে থাকে।
ঐ পরিবারেও একটা বাচ্চা ছিলো। নাম সৃষ্টি। খুবই মিষ্টি মেয়ে। সারাদিন আরিশের সাথে খেলতো। সৃষ্টির মা ও আরিশকে রাখতো রান্না করার সময়। এতটা হেল্প মুসলিম পরিবার থেকেও পাইনি এই দুই মাসে। এমন কোন দিন যেত না যেদিন সৃষ্টিদের ঘর থেকে খাবার আমাদের ঘরে আসে নি। একেবারে আপনজনের মতো হয়ে ছিলাম ওদের সাথে। সৃষ্টিরা বাসায় ওঠার আগে আমাকে সারাদিনই ফোন করতো অথবা টেক্সট করতো। আমিও চিন্তায় থাকতাম। ওরা আসার পর আয়েশা দিনে একবার কি দুইবার খোঁজ নিতো। তবুও আমি নিশ্চিন্ত থাকতাম যে কোন সমস্যা হলে সৃষ্টির মা আছে। ওরা হিন্দু হলেও ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলে আলহামদুলিল্লাহ বলতো। বলতো আল্লাহ ভালো রাখছেন। যেটা অনেক মুসলিমের মধ্যেও পাওয়া যায় না। আমাদের গত বিবাহ বার্ষিকীতে সৃষ্টির মা একটা ইসলামিক সো পিস গিফট করে, যেটাতে আয়াতুল কুরসি এবং সূরা ফাতিহা খচিত। আমরা যখন ঐ বাসা থেকে চলে আসি তখনো গিফট করেছে একটা জায়নামাজ এবং সো পিস। এত ভাল ব্যবহার আর কোন পরিবার থেকে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

এবছর ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ আমরা শিফট করি ভালুকাতে।
যখন থেকে ওরা জানতে পারে আমরা বাসা ছেড়ে দেবো তখন থেকেই মন খারাপ করে। শিফট করার কথা শোনার পর দিনের প্রায় সময়ই আমাদের বাসায় থাকতো সৃষ্টি আর ওর মা। যেদিন শিফট করবো সেদিন সকাল বেলা সৃষ্টি সে কি কান্না...! একেবারে হাউমাউ করে কান্না করছিলো। সৃষ্টির মায়ের কান্না আর দেখে কে। আয়েশার গলা ধরে শিশুর মতো কান্নায় ভেংঙে পড়ে দুজনেই। মনে হচ্ছিল কোন প্রিয়জন চলে যাচ্ছে। কোন আপন মানুষ চলে গেলেও হয়তো এতোটা কান্না করে না কেউ। ওদের কান্না দেখে আমার গলাটাও ভারী হয়ে আসছিলো। কন্ঠ থেকে কোন আওয়াজ বেরুচ্ছিলো না আমার।

এখানে এসেছি প্রায় ছয় মাস হতে চললো।
এখনো আয়েশার পুরাতন অভ্যাস অনুযায়ী নতুন কিছু রান্না করলে পাশের দু' তিন বাসায় সে খাবার পৌঁছে। তারাও দেন নিয়মিত। মেন্যুতে থাকে বড়লোকী আইটেম। কিন্তু সৃষ্টিদের মতো ভালোবাস মিশানো থাকে না সেই খাবারে। এখনো কেউ সৃষ্টির মায়ের মতো হলো না এখানে। আয়েশা প্রায়ই সৃষ্টিদের কথা বলে। সৃষ্টির মা ও ফোন দেয় মাঝে মাঝে। আরিশের আম্মু আর সৃষ্টির আম্মুর মধ্যে ভালোবাসা দেখে আমারও আনন্দ হয়। ধর্মের কারণে যে বিভেদ তৈরী করে সমাজ তার দেয়াল আমাদের আড়াল করতে পারে নি। পারবেও না কোনদিন!

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: এই সব ফালতু হাদিস এরা কোথা থেকে পায় আল্লাহ মালুম। খোদ নবী তার শেষ সময়ে যখন তার ঘরে কিছুই ছিলো না তখন তার পরশি এক ইহুদীর কাছে তার তলোয়ার ও বর্ম বন্দক রেখে যব নিয়ে আসেন এতে নবীর ইবাদত নস্ট হলো না নস্ট হয় আমাদের ইবাদত, যত্তসব ঠুনকো ইবাদত!!

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৪

হাবিব বলেছেন: এই রকম ফালতু ধারনা এদেশের অনেক নামধারী মুসলমানদের। কিভাবে বুঝাবেন তাদের!!

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাজে কথা হাবিব স্য্যর !!
অন্য ধর্মাবলম্বীদের রান্না করা খাবার যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েজ।
তবে খাবারটি কোনোভাবেই হারাম না হতে হবে।
পাশাপাশি তাতে হারাম কোনো কিছুর সংমিশ্রণ না থাকতে হবে।
(তাদের কোনো উপাস্যের জন্ম উৎস্বর্গকৃত না হতে হবে। )
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অমুসলিমদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন।
তাদের রান্নাকৃত খাবার খেয়েছেন। তাদের দেওয়া উপহারও
গ্রহণ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৬১৫)

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৪

হাবিব বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। তবে মনে হয় আমার পোস্ট পুরোপুরি না পড়েই মন্তব্য করেছেন।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: গোটা চীন আর ভারত ঘুরতে গিয়ে যাদের হাতের রান্না খেয়েছি তারা সবাই অমুসলিম । মনে কখনই একথা জাগেনি আমার ইবাদত নষ্ট হবে । খুব অবাক হলাম সাম্প্রতিক সময়ে নও ভণ্ড মুসলিমদের আগ্রাসন দেখে । আমার আলিম শিক্ষক বাবা হিন্দুদের মিষ্টির দোকানে বসে রসিয়ে খেতেন সাথে আমিও । তার শিক্ষা আমাদের পথের পাথেয় ।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৬

হাবিব বলেছেন: আপনার বাবা ধার্মিক লোক ছিলেন নি:সন্দেহে। তবে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধর্ম ভীরুতা ভালো কিন্তু ধর্মান্ধতা ভয়ঙ্কর।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৭

হাবিব বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার পোস্ট পুরোপুরি পড়েছেন কি ভাই?

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। তবে মনে হয় আমার পোস্ট পুরোপুরি না পড়েই মন্তব্য করেছেন।

আমি আপনার লেখার শিরোনামের জবাব দিয়েচি স্যার !!

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৮

হাবিব বলেছেন: : নুরু ভাই, আমার পুরো লেখাটা পড়ার অনুরোধ করছি (যদি সময় হয়) । আমার বিশ্বাস পুরো লেখাটা পড়ার পর আপনার মন্তব্য ভিন্ন হবে। পুনঃরায় মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার পোস্ট পুরোপুরি পড়েছেন কি ভাই?

জ্বী, পড়েছি। আর পড়ে মেজাজও খারাপ হয়েছে তাই বেশী কিছু লিখতে ইচ্ছে হয় নি।

হিন্দুদের হাতে খাবার খেলে ৪০ দিনের ঈবাদাত নষ্ট হয়।
যারা বা যিনি এ ধরনের কথা বলছেন তাদের ধর্মান্ধ মনে হয়েছে আমার কাছে। এ ধরনের মানুষ সমাজের জন্য বিপদজ্জনক।

প্রথমত, ইসলামে এ ধরনের কোন কথা বলা হয় নি। বরং পবিত্র কোরআনে পরিষ্কার বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহ্কৃত পশু আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু...." (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত ৩। সূত্র)।

দ্বিতীয়ত, সঠিকভাবে কোনকিছু না জেনে তা অন্যকে কোন জানানো বা বলাটা ঠিক নয়। খুব সম্ভবত এ ধরনেরও একটা হাদীস রয়েছে। আর পবিত্র কোরআনের বলা হচ্ছে,"হে মুমিন বা বিশ্বাসীগণ, তোমাদের কাছে কোন পাপাচারী ব্যক্তি কোন তথ্য নিয়ে আসলে তা আগে যাচাই করে দেখ যাতে অজ্ঞতাবশত তোমারা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি না করে ফেল আর তোমাদের কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে হয়। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৬। সূত্র)।

ভাই আর বলতে পারছি না। এগুলো নিয়ে লিখতে গেলে আমার বরাবরই মাথা গরম হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজাত করুন, সকল পাপ কার্য থেকে দূরে রাখুন। আর আপনিও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৪

হাবিব বলেছেন: আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু পরিবারের সাথে আমাদের সখ্যতার গল্প বলা। জানিনা কতটুকু সফল হয়েছি

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪১

স্প্যানকড বলেছেন: সবই ঠিক আছে সমস্যা মগজে। সব জায়গায় ধর্ম টেনে আনি অথচ ধর্মের কচু মানি ! ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫২

হাবিব বলেছেন: ওদের মগজে গিলুর বদলে অন্য কিছু থাকে।

পাঠ শেষে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু পরিবারের সাথে আমাদের সখ্যতার গল্প বলা। জানিনা কতটুকু সফল হয়েছি।
সেদিক থেকে আপনি পুরোপুরি সফল, আপনাকে আর আপনার পরিবারকে সে জন্য সাধুবাদ জানাই। শুধু হিন্দু বলে নয়, অন্য সকল ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত, পারষ্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। সবার আগে তারা মানুষ তারপর তাদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় চেতনা। আসলে ঐ একটা উক্তি শুনেই, মাথাটা বিগড়ে গেছে এই জন্যই হয়তো অনেক কিছু লিখেছি। আশা করছি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার আর আপনার পরিবারের প্রতি রইল অনেক অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

হাবিব বলেছেন: আপনার অসাধারণ মূল্যায়ন আমাকে মুগ্ধ করলো

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৮

করুণাধারা বলেছেন: গল্পের মাধ্যমে একটা মেসেজ দিয়েছেন হাবিব স্যার, আমাদের অনেকের ধারণা আছে অমুসলিমদের রান্না করা খাবার খেলে ধর্ম থাকে না।

সহজ সুন্দর এক জীবনের ছবি এঁকেছেন লেখায়। +++

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

হাবিব বলেছেন: আপা, পাঠ শেষে সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখায় প্লাস প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি আপনাদের দু পরিবারের আন্তরিকতাপূর্ন সদ্ভাব ও বন্ধুত্বের গল্প শুনে অভিভূত হয়েছি

আপনি পরিবার সহ ভাল থাকুন-সৃষ্টি ওর মা সহ পুরো পরিবার যেন ভাল থাকে

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

হাবিব বলেছেন: এমনি করে থাকতে চাই আজীবন। দোয়া করবেন ভাইজান

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো লিখেছেন বস। পোস্টে + রইলো

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান, এতো সুন্দর মূল্যায়ন আমাকে মুগ্ধ করলো। প্লাস প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার একটা খুব প্রিয় গান আছে

“আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ...”

একটা সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হোক এই মম মিনতি প্রাণে।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

হাবিব বলেছেন: সেলিম ভাই, গানটি আমার ও খুব প্রিয়। পাঠ শেষে সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:০০

অপু তানভীর বলেছেন: জীবনের এই গল্প গুলো আমার অনেক বেশি প্রিয়। আপনার জীবনের এই ছোট গল্প পড়ে মন সিক্ত হল।
আমার নিজের জীবনেও এই রকম অভিজ্ঞতা একদিন শেয়ার করবো।

ভাল থাকুন সব সময়।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

হাবিব বলেছেন: অপু ভাই, আপনার গল্প ও শুনবো একদিন

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তাহলে যে আশ্বিনে রাধে ভাত কার্তিকে খায় সেই সময় খই চিড়া খাই

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০০

হাবিব বলেছেন: ধর্ম নিয়ে যারা বাড়া বাড়ি করে আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন না

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ মিষ্টির কারিগর হোল হিন্দু এবং এমন কি মুসলমান দোকানের মালিকের মিষ্টির কারিগর হিন্দু কারন মিস্টি যারা বানায় তারা বংশের ধারা বাহিকতায় এই কাজ করছে এবং তাদের বানানোর হাত খুব পাকা । তাহোলে মিষ্টি খাওয়া কি মুসলমানরা বন্ধ করে দিবে ?

হুজুর মমিনরা ও প্রচুর মিষ্টি খায়, তাহোলে তাদের সব ইবাদত কি বাতিল বলে গোণ্য হবে ?

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১২

হাবিব বলেছেন: আপনি কি শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করেছেন?

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা এক এক পরিবেশে ই বেড়ে উঠেছি, অতটাই আন্তরিকতাপূর্ণ আর হৃদ্যতা আমাদের সবার সাথে।
চমৎকার পোষ্ট, তোমাদের দুই পরিবারের জন্য ই শুভ কামনা।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২০

হাবিব বলেছেন: হৃদ্যতা বেঁচে থাক আজীবন। পোস্ট পাঠ এবং আপনার সুন্দর মূল্যায়নের জন্য কৃতজ্ঞতা মুনিরা আপা।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: মজার বিষয় কি জানেন হিন্দুদের ও একই ধারনা, যবন অর্থাৎ মুসলমানদের হাতে কিছু খেলে বা তাদের ছোঁয়া কিছু খেলে জাত ও ধর্ম দুইটাই চলে যায়। B-) ;)

১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫১

হাবিব বলেছেন: একদমই ঠিক বলেছেন। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় এমন ধারনা প্রকট। একবার কোন কিছু ধরলে সাতবার জলের ছিটা দেয়। এই নিয়ে একটা নাটকও দেখেছিলাম। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনীত। নাটকের নাম মনে হয় "বাতাসা" ছিল।

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

তারেক ফাহিম বলেছেন: দুই পরিবারের এমন আন্তরিকতাপূর্ন সদ্ভাব দেখে ভালো লাগছে।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

হাবিব বলেছেন: এমন সদ্ভাব টিকে থাকুক আজীবন।
পাঠ এবং মন্তব্যে নিরন্তর শুভেচ্ছা তারেক ফাহিম ভাই

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের পাশের শহরে এক বাংলাদেশী হিন্দু পরিবার আছে, যাদের বাসায় মাঝে-মধ্যে যাওয়া হয়। ভালো-মন্দ খাওয়াও হয়। এখন আমার এবাদতের কি হপে?? :((

লেখা পছন্দ হয়েছে। দেশে পটকা হুজুরদের প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ জরুরী!!! :P

১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

হাবিব বলেছেন:



ভাইরে ভাই আপনের ঈবাদত তো সব শ্যাষ....... :((
কয়দিন খাইছেন হিসাব করেন...... হিসাব না পারলে ক্যালকুলেটর নিয়া বসেন।...... ;)

পটকা হুজুরদের বিচি না থাকলে আর এমন পটকা কেউ জন্মাবে না। খেল খতম!! ;)

২০| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫০

বিটপি বলেছেন: অমুসলিম বিশেষ করে হিন্দুদের রান্না করা মাংস জাতীয় কিছু না খাওয়াই ভালো। আমার এক ক্লোজ ফ্রেন্ড তার বোনের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করতে এসেছিল। আমি একটু উস্কোখুষ্ক করাতে সে বলে যে বিয়ের রান্না একজন মুসলিম বাবুর্চি করবে। তখন আমি সস্ত্রীক সেই বিয়েতে যাই এবং অনেক মজা করি।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৮

হাবিব বলেছেন: বর্তমানে সব ধরনের মাংস প্রসেসিং করা হয় দোকান থেকে। শুধুমাত্র রান্নাতে কোন সমস্যা হয় বলে আমার জানা নেই। আমাদের সাথে যে পরিবারের সাক্ষাত হয় ওনারা মুরগির গোশত রান্না করে দিলে আমরা থেতাম। আমরা দিলে ওনারাও গ্রহণ করতেন।

২১| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

বিটপি বলেছেন: রান্নাতে তো নয়ই, মুরগি জবাইতেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু মুরগি বা অন্য কিছু জবাই দেবার সময় যদি কোন দেবতা, কালী, নারায়ণ বা লোকনাথের নাম উচ্চারণ করে, তবে সেই জিনিসের মাংস খাওয়া হারাম হবে। সৃষ্টিদের মুরগি যদি বাজার থেকে প্রসেস করে নিয়ে আসে, তবে কোন সমস্যা নেই, নিজেরা জবাই দিলেও সমস্যা নেই - একমাত্র সমস্যা হল জবাইয়ের সময় কন দেব দেবী বা মহাপুরুষের নাম উচ্চারণ করলে।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১০

হাবিব বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.