নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরো একটি ব্যর্থ ছাত্র আন্দোলন

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৬




অনশন করে আন্দোলন সফল হবার দিন বাংলাদেশে আর নেই। এই কথাটির প্রমাণ পেলাম আরো একবার। হামলা-মামলা-অনশন শেষে শাবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ইতি টানলেন। ভিসি মহোদয় ফিরলেন তার কার্যালয়ে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দফায় দফায় মিটিং করে কোন সমঝোতায় আসতে না পারলেও শেষমেশ অধ্যাপক জাফর ইকবাল স্যারের কথায় অনশন ভেঙেছেন। আরো আগেই অনশন ভাঙা উচিত ছিল। সত্যি কথা বলতে অনশনে বসার সিদ্ধান্তটাই ভুল ছিল। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকহাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনের অনশন আর আন্দোলনে কিচ্ছু হবে না তা আগেই ভুঝেছিলাম। যেমনটি হয়নি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। সামগ্রিক ভাবে আন্দোলন করতে পারলে আশানুরোপ ফলাফল আসতো। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা মুখে ললিপপ দিয়ে মায়ের কোলে ফিরে গেছেন। বাসায় বসে বসে আন্দোলনের আপডেট দেখেছেন পত্রপত্রিকায়। আর বোকার মতো গুটিকয়েক শিক্ষার্থী আন্দোলন চালিয়ে যাবার দু:সাহস দেখিয়েছেন।

২০১১ সালের কথা। আমার বিশ্ববিদ্যালয়েও (মাভাবিপ্রবি) এমন একটি আন্দোলন হয়েছিল। জাফর ইকবাল সাহেব আমাদের আন্দোলন নিয়ে একটি কলামও লেখেছিলেন তখন। কলামটি ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমরণ অনশন নামে প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছিল। স্থানীয় নেতানেত্রীদের হস্তক্ষেপে আমরা অনশন ভেঙেছিলাম। কোন স্যার আসেননি সেদিন। আমাদের সেই আন্দোলনও ব্যর্থ হয়েছিল। প্রতিটি আন্দোলনেই মীর জাফর টাইপের কিছু পোলাপাইন থাকে। যাদের কারনে ফলাফল শুন্য থেকে যায় আন্দোলন।

বাংলাদেশের কথিত বিরোধী দলও নাবালক টাইপের আন্দোলন কর্মসূচী পালন করেন। কখনো প্রতিকী অনশন, কখনো অবস্থান কর্মসূচী, কখনো বা কম্বলের নিচে শুয়ে শুয়ে কাঁদা ছুড়ে মারেন। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য যে দেশে সরকারের কাছ থেকেই অনুমতি নিতে হয় সে দেশে আর যাই হোক আন্দোলন করে সরকার পতনের ডাক আর গ্রাম্য বিড়ালের হুংকার সমান কথা।

ছাত্র আন্দোলন দেশে আরো হবে। বিভিন্ন দাবীতে ছাত্র-ছাত্রীরা রাজপথে নামবে, মিছিল স্লোগানে আকাশ কাপিয়ে তুলবে। তবে তাদের প্রতি একটাই অনুরোধ আন্দোলনের নামে তারা যেন অনশনে না যান।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ায় একটু চাপ দিলে বা পরিক্ষার তারিখ ঘোষনা করলে কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঝামেলা শৃষ্টি হয়, বা ঝামেলা শৃষ্টি করা হয়। একপর্যায়ে পদত্যাগ দাবি করে আন্দলোন। কয়েক বছর জাবৎ এই তামাসা চলছে। পুরাই ফালতু।

ভিসির বিরুদ্ধে অপরাধ অভিযোগটা এখনো অস্পষ্ট।
ভিসির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুর্নিতি, অর্থ আত্নসাত, নারী নির্জাতন কাজে অযোগ্যতা, দুর্ব্যবহার ইত্যাদি তেমন একটিও জোড়ালো অভিযোগ দেখাতে পারেনি। বরং উনি করোনা কালে সফলভাবে নিয়মত অনলাইন ক্লাস চালু রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেসনজট মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সরকার অনুগত থাকাটা কি অপরাধ? সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতনে থেকে সরকারি বাসভবনে থেকে সরকারি আইনের প্রতি অনুগত থাকাইতো উচিত।
উনি অযোগ্য বা ছাত্র দুর্ব্যবহারকারি কি না, সেটা হলে একটা কথা ছিল। একটি ছাত্রী হলের দুর্বল ওয়াইফাই নিয়ে
তুচ্ছ অভিযোগে হইচই করে একজন প্রভোষ্টের অপসারন চাওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত দাবী ছিল? ​

তালা খুলতে আসা পুলিশের উপর বেপরোয়া ভাবে ইটপাটকেল মেরে পরে মাত্র ৬ জন একটু মার খাওয়ার পর সব দাবি ভুলে যেয়ে মুলদাবি হয়ে গেল ভিসির অপসারন চাই। সেটাই বা কোন যুক্তিতে?
পুলিশের হাতে মার খাওয়ার দায় তালাবদ্ধ ভিসির হবে কেন?
তুচ্ছ দাবিতে ভিসি মহোদয়কে অবরুদ্ধ করে বাসভবনে ৩-৪ দিন বিদ্যুৎ ও খাদ্য পানিয় সরবরাহ বন্ধ করে পরিবারের সদস্যদের জীবন দুর্বিসহ করার দায় কে নিবে? আনাড়ী পোলাপান বিদ্যুতের খুটিতে উঠিয়ে অতি বিপদজনন ভাবে তার কেটে দেয়ার মত প্রাণঘাতি হঠকারীতার দায় কার?
আইনের শাসনে বিশ্বাসি থাকলে শুধু বিদ্যুৎ আইনেই এইসব বেয়াদবদের চিহ্নিত করে ৫ বছর জেল দন্ড হওয়ার কথা।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৬

হাবিব বলেছেন: ছাত্রদের দাবীগুলো অযৌক্তিক হলে তাদের সবাইকে শাস্তি দেয়া উচিত ছিলো। কিন্তু তা দেয়া হলো না কেন?

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৪৯

সাজিদ! বলেছেন: প্রথম কমেন্ট পড়ে বমি আসলো। ওয়াক!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৬

হাবিব বলেছেন: সবারই স্বতন্ত্র মতামত থাকবে এটাই স্বভাবিক।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৯

বিটপি বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী, ভিসি মহোদয় যদি এতই মাসুম বান্দা হয়ে থাকে, তবে যেসব ক্রিমিনালরা তার চরিত্র হননের চেষ্টা করল, সরকার বা সাস্ট প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কেন?

ভার্সিটি স্টুডেন্টরা যে উচ্চমানের গর্দভ - সেটা আরেকবার প্রমাণিত হল। এই গাধা গরুরাই পরে ভিসি হয়, ডিসি হয় আর দেশের বারোটা বাজায়।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৭

হাবিব বলেছেন: ভিসি মহোদয়ের স্বেচ্ছাচারিতা ঘটনার প্রবাহ লম্বা করেছিল।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



ফেইসবুক জেনারেশন, কি কারণে কি করা দরকার, ওরা কিভাবে বুঝবে?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৮

হাবিব বলেছেন: এদেশের অধিকাংশ ছাত্রই এখন আন্দোলন বুঝে না। এরা শুধু বসে বসে এমপিথ্রি মুখস্থ করতে জানে

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পদত্যাগ দাবি করার চেয়ে দাবিদাওয়াগুলো আদায়ের জন্য জোর দেওয়া উচিত ছিল।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৯

হাবিব বলেছেন: সবার অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে পারলে আন্দোলনে সফলতা আসতো।

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি এখনও বুঝলাম না, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিডেন্টে ছাত্র মারা যাওয়ার পর প্রক্টরকে কেন সরানো হল। প্রক্টর যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর উন্নয়ন কাজ করে সেটা তো নিজের জন্য করছিল না...

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩০

হাবিব বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে বলে আমি মনে করি।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০০

অর্ক বলেছেন: আন্দোলন করা লক্ষ্য না পড়াশোনা! এই আন্দোলনের কতিপয় ছাত্রের কথাবার্তা শুনে তো ছাত্রের থেকে বেশি মহল্লার গুণ্ডামাস্তান মনে হয়েছে। আমি শিওর, ওদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলা হলে দুই লাইনের বেশি চার লাইন পারবে না। তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ বা যৌক্তিকও ছিলো না এই আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে উক্ত উপাচার্যের আলোচনাতেই সমস্যার সমাধান হতে পারতো। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আদবকায়দা শিক্ষক গুরুজনদের সম্মান প্রদর্শনের অভ্যাস উঠে গেছে বললেই চলে। "শিক্ষা" এদেশে আদৌ কতোটুকু শিক্ষা আছে কে জানে! রাষ্ট্র, সমাজ, জনতার জন্য শুভকামনা। বাস্তবতা হলো এই যে, শিক্ষা আজ আর শিক্ষা নেই, টাকা কামানোর মেশিনে পরিণত হয়েছে। করেন আপনারা আরও আন্দোলন আন্দোলন করেন।

শুভেচ্ছান্তে...

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩২

হাবিব বলেছেন: শিক্ষার উদ্দেশ্য চাকরী করা। শিক্ষা নিয়ে কেউ উদ্দোক্তা হতে চায় না। বর্তমান জামানায় উদ্দোক্তা বলতে বুঝি ২/৪টা শাড়ি টারি বিক্রি......

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ যেমন বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে। তেমনি এই দেশে কেউ আন্দোলন করে সুবিধা করতে পারবে না। সরকার যা চায় তাই হবে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩২

হাবিব বলেছেন: এমন করে আর কতদিন টেকা যাবে?

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩১

জটিল ভাই বলেছেন:
কিচ্ছু করার নাই স্যার। এটাই সাইন্স!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

হাবিব বলেছেন: সাইন্স শিখতে হলে যেতে হবে শাবির ভিসির কাছে।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কী আর করা সব হলো পলিটিক্স

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

হাবিব বলেছেন: আন্দোলনে নতুনত্ব আনা প্রয়োজন

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনশন আন্দোলন এখন একটি প্রহসন মাত্র। এর কোন কার্যকারিতা এখন আর নেই।
আগেকার দিনে আন্দোলনকারীগণের নেতৃত্বে থাকতো মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। ওরা মধ্যবিত্ত সমাজের টানাপোড়েনের মধ্যে বড় হয়ে জনগণের সুখ দুঃখ সম্পর্কে সম্যক অবহিত থাকতো। তাই তারা জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতো। এখনকার মধ্যবিত্ত লোকেরা নিজেরা মধ্যবিত্ত হলেও তাদের সন্তানদের লালন পালন করে বুর্জোয়া শ্রেণীর মত। ফলে সেসব সন্তানেরা তাদের মা বাবার সুখ দুঃখের কথাই জানে না, ওরা জনগণের সুখ দুঃখের কথা ভেবে আন্দোলন করবে কিভাবে? অত্যধিক আদরে লালিত হওয়ায় তাদের ধৈর্য কম, সাহস কম, ত্যাগ স্বীকারের প্রবণতাও কম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.