নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।
আমি যখন ৮ম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমাদের ক্লাশে ৪ জন হেফজ পড়ুয়া ছাত্র ভর্তি হয়। ক্লাস ওয়ান থেকে সেভেন পর্যন্ত কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তাদের ছিলনা। ফলাফল, কোন মতে এসএসসি পাশ করে তারা। সেই চারজন তাদের হেফজ মাদরাসার জীবন নিয়ে নানান গল্প করতো আমাদের সাথে। সেই গল্প-কথার একটা কমন বিষয় থাকতো কে কি পরিমান পিটুনি খেয়েছে তা নিয়ে। তাদের ভাষ্যমতে, চুন থেকে পান খসলেই মাদরাসার হুজুররা পেটাতো। পড়া না শিখলে তো পিটুনি মাস্ট। শারিরিক নির্যাতন করতে করতে লাঠি ভেঙে ফেলারও নজির আছে। আর মানসিক নির্যাতন তো আছেই!
একজন ছাত্রকে হেফজ মাদরাসায় দেয়া হয় ৫/৬ বছরে। যে বয়সে আল্লাহ নামাজই ফরজ করেননি সেই বয়সে তাদেরকে রাত ৪ টায় উঠে পড়তে বসতে হয়। একজন বাচ্চার মানসিক বিকাশের কোন সুযোগই থাকে না অধিকাংশ হেফজ মাদরাসায়। যে বয়সে একজন বাচ্চা তার মায়ের আদরে থাকার কথা, যে বয়সে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কথা সেই বয়সে হাফেজ হবার জন্য বোর্ডিং-এ পাঠানো অমানবিক বলে আমি মনে করি।
অনেক মা-বাবা ছেলে হবার আগেই মানত করে রাখে সন্তানকে হাফেজ বানাবে। এমন মানসিকতা তৈরীর পেছনে আবার মাহফিলে হুজুরদের মুখরোচক সওয়াবের বয়ান অনেকাংশেই দায়ী। পিতা-মাতা মনে করে ছেলে হাফেজ বানালে জান্নাত কনফার্ম।
এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত তরুণ বড় হয়ে এমন প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষক হন। তাদের না থাকে কোন প্রশিক্ষণ না থাকে সুস্থ মানসিকতা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত করে এই সব মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা জরুরী। কারিগরী শিক্ষাবিহীন একটা বড় অংশ বেড়ে উঠছে আমাদের আশেপাশে। যারা কেবল মসজিদের ইমাম আর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা ছাড়া অন্য কোন স্বপ্ন দেখেন না।
একটা দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে এই যে বিরাট একটা প্রজন্ম নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেড়ে উঠছে এদের কে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন। দরকার সময়োপযুগী প্রশিক্ষণ। ধর্মের কাজ করতে গিয়ে যদি হাত পাততে হয় অসাধু লোকদের কাজে, ঘুষখোর-সুদখোরদের দান নিয়েই যদি প্রতিষ্ঠান চালাতে হয়, তাহলে আমি বলবো এই সব প্রতিষ্ঠানের হুজুররা মুনাফেক! তারা মুখে ধর্মের কথা ঠিকই বলে কিন্তু কাজে তার বাস্তবায়ন নাই।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮
হাবিব বলেছেন: বিশ্বাসীদের জন্য ধর্মের প্রয়োজন আছে, অবিশ্বাসীদের জন্য এর প্রয়োজন নেই।।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বিশ্বাসীদের জন্য ধর্মের প্রয়োজন আছে, অবিশ্বাসীদের জন্য এর প্রয়োজন নেই।।
-সব মুসলিম দেশে এটা চলছে; বিশ্বাসীদের জীবন ও সংস্কৃতি এই রকম, আপনি ইহা বদলানোর জন্য ট্রেনিং'এর কথা বলছেন কেন? আপনি তো নিশচয় বিশ্বাসী নন।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭
হাবিব বলেছেন: আপনি আমার লেখা বুঝতে পারেন নি
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বিশ্বাসীদের জন্য ধর্মের প্রয়োজন আছে, অবিশ্বাসীদের জন্য এর প্রয়োজন নেই।।
-ওরা বিশ্বাসী বলেই এভাবে চলছে, ওটাই ওদের জীবন, ওরা কি আপনার থেকে কম বিশ্বাসী, আপনার থেকে কম বুঝে?
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭
হাবিব বলেছেন: ওরা সঠিক পথে নেই
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনি আমার লেখা বুঝতে পারেন নি ।
-আবার লেখন, এবার বুঝার মতো করে লিখুন। আপনি নিজের লেখা পড়লে বুঝতে পারেন তো?
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
হাবিব বলেছেন: হা হা হা .......আপনি বেশ মজার মানুষ।
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ওরা সঠিক পথে নেই
-আমিও সেটাই বলেছি, ওটা সঠিক পথ নয়, উহা অপ্রোজনীয়
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
হাবিব বলেছেন:
ওকে .... বুঝতে পেরেছি।
দেশে আসবেন কবে? আপনাকে সাথে নিয়ে একটা অভিযান পরিচালনা করতে চাই।
আপনি দেশে না আসলে আমিই আমেরিকা চলে আসবো
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: মাদরাসা ছাত্রদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয় - এটা সত্য। তবে মাদরাসা শিক্ষা, ছাত্রদের মেধা এবং কর্ম নিয়ে আমার ধারণা অনেক ভালো।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
হাবিব বলেছেন: আপনার মতামত, পর্যবেক্ষণ নিয়ে একদিন লেখবেন আশা করি
৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন এটা অনস্বীকার্য্য। কিন্তু আমরা আমাদের পুরা ফোকাস যে লেখা পড়ার দিকে এত এত বছর ধরে দিয়ে রেখেছি, সেই লেখা-পড়ারই এখনও করুণ দশা। সেই লোকদের দ্বারাই যদি আবার মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে চাওয়া হয়, তাহলে বিপদ হবে বলে মনে করি।
আমাদের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার যে খারাপ দশা, এর থেকে বের হয়ে আসাটা আমাদের জন্য বেশী জরুরী।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
হাবিব বলেছেন: আমি আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণভাবে একমত। লেখাপড়া বর্তমানে শুধু সনদ নির্ভর হয়ে গেছে। স্কীল্ড লোক বানানোর কোন পদক্ষেপই নেই। কারিগরি শিক্ষার নামে যে ব্যবস্থা আছে সেটাও জেনারেল শিক্ষার সাথে খুব একটা তফাৎ নেই।
৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শিক্ষা অর্জনে শিশুদের এই বয়স অস্বাভাবিক নয়। তবে টাইমিং পরিবর্তন আনাতে পারলে ভালো। আপনার হয়তো ধারনা চাইনিজরা আরো ছোট থেকে শিক্ষা শুরু করে। ইহুদিরা মায়ের পেট থেকে। ঢাবি,বুয়েটে মেধা তালিকায় নেতৃত্ব দিচ্ছে এই মাদ্রাসার ছাত্ররা। কাদের জ্ঞান দিবেন?
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩০
হাবিব বলেছেন: সারা বাংলাদেশে কতজন ছাত্র হাফেজ হচ্ছে? এর সাথে ঢাবি আর বুয়েটে পড়ালেখা করা ছাত্রদের রেশিও বের করে দেখেন।
৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সহমত।
সুন্দর কথা বলেছেন
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩১
হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ সামিউল ভাই।
১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৪
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সোনাগাজী আপনি এখানে সবগুলো না বুঝে, না পড়ে আন্দাজে কমেন্ট করেছেন। তাই এমন কমেন্ট
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩১
হাবিব বলেছেন: যার যেমন বুঝ, সে তেমনই ভেবে নেই
১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৫
সোনাগাজী বলেছেন:
@সামিউল ইসলাম বাবু ,
আমার আন্দাজ আছে, আপনার আন্দাজ, মান্দাজ কোনটাই নেই।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩২
হাবিব বলেছেন: হুম। আপনি ঠিক বলেছেন হয়তো
১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৫
আরোগ্য বলেছেন: আমরা শৈশবে যে ওস্তাদজীর কাছে পড়েছি, উনি দাঁত না পড়লে পড়তে নিতেন না।
পুরো মাদ্রাসা শিক্ষার কাঠামো ঢেলে সাজানো উচিত। হিফজ করা অনেক বড় অর্জন কিন্তু শুধু তোতাপাখির মত পড়তে পারলেই কি কোরআনের হক আদায় হয়ে গেলো? কিন্তু আল্লাহ কোরআনে অনেক জায়গায় বলেছেন, চিন্তাশীলদের জন্য উপদেশ আছে।
অনেক দিন পর পোস্ট দিলেন। স্বাগতম।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
হাবিব বলেছেন:
জ্বি ভাই। অনেকদিন পর আসলাম। আশা করি ভালো আছেন।
বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা। প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি পার করার কৌশল ছাড়া কিছুই শেখানো হয়না
১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:৩৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: হাবিব ভাই এখানে অনেক কিছু বলতে গিয়ে ভদ্রতার জন্য তা বলেননি। আপনি শুধু বলেছেন এদের ভালো আধুনিক শিক্ষা দেয়া উচিৎ। আমিও কাউকে ছোট করতে চাইনা। তবে সময় বদলে গেছে, ১৪০০ বছর ধরে নিরব থাকা ধর্মের কল এখন বাজতেছে।তবে সেটা বাতাসে নয়। মানুষের ভাবনায়। মেধায়। এবং সৃষ্টি কর্তার অসীম ক্ষমতা বুঝতে পারছে এবং তার নেশায় পড়ে এখন মেধাবী মানুষ গুলো আল্লাহ সৃষ্টি রহস্য উদঘাটন করছেন। এবং আল্লাহ কোরান পাঠানোর পর থেকে আজকের সময়ের জন্যই অপেক্ষা করছেন। মানুষ বিজ্ঞান বা বিশেষ জ্ঞান দিয়ে ওনার প্রবিত্র কোরাণে হিডেন বিষয় গুলো বের করে নিয়ে আসবে। এবং এখন সেটাই হচ্ছে।
কিন্তু এই কাজ গুলো করার কথা ছিলো আরবী নিয়ে গবেষনা করা মাদ্রাসার ছাত্ররা । দুর্ভাগ্য ক্রমে তারা এসব করতে পারছেনা। কারণ ওদের মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে সওয়াব বেহেশ্ত হুর এবং সারাবান তাহুরা। বিষয়টা যেন এমন দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করা প্রতিযোগী খেলার গন্তব্যের দিকে না দৌড়ে মাঠের কোণায় টেবিলে যেখানে পুরুষ্কার রাখা আছে সেই দিকেই দৌড় দিলো । এই জন্য এরা গন্তব্য হারিয়ে ফেলেছে।
মাদ্রাসা মানে বিদ্যালয়।সাবযেক্ট গুলো কি , আরবি বাংলা ইংরেজি অংক ফেকাহ হাদিস ইত্যাদি। কি কি ভাষা এখানে ? বাংলা আরবি ইংরেজি পারসি এবং উর্দু।অবশ্য কিছু বছর আগে উর্দু সরিয়ে ফেলেছে। দশ ক্লাস পড়ার পর একটা সনদ পায় যার নাম দাখেল, এর দুই বছর পর আরেকটা সনদ পায় যার নাম আলেম। এরপর ফাজেল,কামেল। ছয় হাদিস উপর পরীক্ষার মাধ্যেমে কামেল সনদ মিলে। আর হাদিস কি সেটা আজকের দিনে সবাই মোটামুটি জানে।আমি সেইদিকে যাচ্ছিনা এখানে।
আলেম - মানে জ্ঞানি। ইংরেজিতে বলে ওয়াইজ। এই আলেম শব্দটা কোরান শরীফে বহুবার এসেছে। এবং আল্লাহ বলছে তোমরা যেই বিষয় জানতে চাও সেই বিষয়ের উপর যার বিশেষ জ্ঞান আছে তার কাছে যাও। ব্রিটিশরা আলিয়া মাদ্রসা স্থাপন করেন আমাদের উপমহাদেশে। বিশেষ করে ঢাকা আলিয়া উল্ল্যেখ যোগ্য। এরা আমাদের সহজ সরল ধর্মভীরু মানুষ গুলোকে মেধা শুন্য রাখার জন্য তাদের জ্ঞানকে সীমাবব্ধ করে দিলো আলেম সনদ বসিয়ে। তারা আমাদের মানুষ গুলোর মাথায় ঢুকায় দিলো তোমাদের কোরাণে এই আলেমের কথাই বলেছে যা তোমরা হয়ে গেছো, এখন যাও তুমি জ্ঞানী মানুষ পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো আযান দিয়ে মিলাদ পড়ে খাও বেঁচে থাকো। আর আমাদের বোকা মানুষ গুলো জামার কলার ঝাকি দিয়ে বলে কোরাণে বলা আমি সেই আলেম, সো কাম টু মি এবাউট এভেরিথিং, আই উইল গিভ ইউ দ্যা এ্যনসার।
আসলেই কি তারা কোরাণের সব জবাব দিতে পারবে?তারা কি মানব জীবনের বা মানব শরীরের সব কিছুর জবাব দিতে পারবে? নাহ, সম্ভব না, কারণ ইউনিভার্স সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের যেতে হবে নাসা বা এই বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে । আমার জন্য কোন খাবার গুলো বিপদ জনক বা ক্ষতিকারক নয় সেসব বিষয়ে আমার যেতে হবে আলেম ডক্টরের কাছে। ইত্যাদি ইত্যাদি
যেহেতু মাদ্রাসা সাথে জড়িত মানুষ গুলো আল্লাহ কোরাণ পরকাল এসবকে জীবনের সাথে প্রাধান্য দেয় সেহেতু এখানে আমরা কোরাণ ধর্মকে ফোকাস করি। দেখি এখানে ওনাদের কতটুকু দখল আছে বা দখল করতে পারবে কিনা। সেই জন্য আমি কোরানে হাজার হাজার সাইন্টেফিক বিষয় গুলো থেকে একটা কথা বলি-
যখন অবিশ্বাসিরা বললো - মোহাম্মদ পাগল হয়ে গেছে ,সে বলে আমরা মরার পর মাটিতে পচে গলে মিশে যাবো এর পর নাকি তার আল্লাহ আমাদের হুবহু বানিয়ে পুনরায় উঠাবে। কিভাবে সম্ভব
তখন আল্লাহ বললেন- আপনি তাদের বলুন , আমি শুধু তাদের পুনরায় বানাবোনা, আমি তাদের আঙুলের অগ্রভাগ মিলাবো।
আমরা বিশেষ জ্ঞানের মাধ্যেমে জানি আঙুলের অগ্রভাগে প্রিন্ট যাকে বলে ফিংগার প্রিন্ট যা একজনের সাথে একজনের মিলেনা।
এরপর আল্লাহ বললো - তারা বলে তাদের মাটি খেয়ে ফেলবে, আমি জানি মাটি তাদের কত টুকু খেতে পারে।
আমরা বিশেষ জ্ঞান দিয়ে জানি পৃথিবীর সকল জীবের ডিএনএ আছে। এই ডিএনএ কখনো নষ্ট হয়না, এই ডিএনএ হলো আমাদের সবার ডাটা সেভিং ডিস্ক। এখানে আমাদের সকল কিছু সেভ করা আছে, এই ডিএনএ মাটিতো নষ্ট করতেই পারবেনা এবং কি কোন মানুষ কে যদি বাঘে খেয়ে ফেলে তবুও ঐ ডিএনএ বাঘের মল মুত্র দিয়ে জমিনে উপর পড়বে। সেই ডিএনএ আখেরাতে আমাদের ভার্চুয়াল শরীর বসানোর পর আমাদের সকল কিছু ফিরে আসবে। এইভাবে বলতে গেলে অনেক কথা বলা যাবে।
যাইহোক আমি সহজ ভাষায় বুঝি আমাদের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের সীমাব্ধতায় আমাদের মেধাবী মানুষ গুলো সঠিক মেধা পাচ্ছেনা। এখন সবাই বলবে আরবী পড়ে তারা কোরাণ অনুবাদ করবে। কোরাণের অনুবাদ যতটুকু হয়েছে এতটুকুই হবার ছিলো তা হয়ে গেছে, বাকি যে মুতাসাবা আয়াত সহ গভীর ভাবনার আয়াত গুলো আছে সেগুলো জানতে আপনাকে তিনটা দিক জানতে হবে - বিজ্ঞান ,ইতিহাস, এবং পৃথিবীর ভৌগলিক ধারণা। এসব না জানলে আপনি যত অনুবাদ করেননা কেন আল্লাহর কোরাণ বুঝবেননা। যেমন অনুবাদ করলে আপনি এমন পাবেন। হেড মাষ্টার মানে মাথার শিক্ষক। আপনি একটা আরবি শব্দ কে বুঝতে গেলে আপনার ভাষাতেই বুঝবেন, যেমন তাল আরবি শব্দ যার মানে আসো। আপনিতো তাল শব্দটা আপনার ভাষায় আসো হিসেবেই বুঝচ্ছেন। সুতরাং আমার হিসেবে ধর্মকে বুঝতে এখন আর আরবী ভাষার উপর বিশেষ সময় পার করার কোন দরকার নেই। তবে কোরাণের আরবি ভাষার ছন্দ আল্লাহ বিশেষ সৃষ্টি ,সেটা আপনি সেই সুর ছন্দে পড়তে চাইলে পড়তে পারেন এটা মানুষের মন মগজ শান্ত করে। আরবি পড়ার জন্য আপনার জীবনের ১৬ টি বছর আলাদা করে পার করার কিছু নেই, সেটা আপনি জীবনের যেই কোন মুহুর্তে শিখতে পারবেন।
হাফেজ নিয়ে পরের মন্তব্যে বলবো।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
হাবিব বলেছেন: আপনার প্রথম লাইনটা একদমই ঠিক। আপনি আমাকে বুঝতে পেড়েছেন বলে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মন্তব্যে বেশ ভালো বলেছেন। আমার পোস্টের পরিপূরক।
১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:০৭
বিটপি বলেছেন: সব শিশুকেই মায়ের কোলে ঘুমাতে হবে - এমন ভাবা ঠিক নয়। এই বিলাসিতা কেবল স্বচ্ছল পরিবারের শিশুদের মানায়। দারিদ্র্যের কষঘাতে জর্জরিত পরিবারের শিশুদের জন্য মায়ের কোল বা পুষ্টিকর খাবারের বিলাসিতা মানায় না। তাই তাদেরকে কষ্ট করতে হয় তাঁদের পিতা মাতাকে হাশরের দিন ভিআইপি মর্যাদা দেবার জন্য।
ঈমানদারদের জন্য আসল জায়গা হল পরকাল। তাই দরিদ্র ঈমানদার বাবা মায়েরা তাঁদের শিশুদের ইহকালের সুখ বিসর্জন দেন পরকালের সুখ শান্তির আরাধনায়।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৭
হাবিব বলেছেন: আপনার কি ভিআইপি মর্যাদার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন?
১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৭
আমি নই বলেছেন: ৫/৬ বছর বয়সে কিন্ডারগার্ডেনে গেলে হেফজ কেন নয় মাথায় ঢুকলনা। তবে বোর্ডিং এবং পড়ানোর টাইমিংয়ে অবস্যই পরিবর্তন আনা উচিৎ, তাদের পর্যাপ্ত খেলাধুলার ব্যাবস্থা করা উচিৎ। পুরো ব্যাপারটার জন্য শিক্ষকের চাইতে ম্যানেজমেন্টকে বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
হাবিব বলেছেন:
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের দিয়ে দান-ছদকা উঠানো হয়। যা খুবই দৃষ্টিকটু।
আপনার কথার সাথে একমত। তবে শুধু কোরআন হেফজ করা নিয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে এর অর্থ বুঝা-কুরআন রিসার্চ করার মত জ্ঞান যাতে অর্জিত হয় সে অনুযায়ী পাঠ্যসূচি তৈরী করা উচিত।
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
তানভির জুমার বলেছেন: লেখক বলেছেন: অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের দিয়ে দান-ছদকা উঠানো হয়। যা খুবই দৃষ্টিকটু।
আপনার কথার সাথে একমত। তবে শুধু কোরআন হেফজ করা নিয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে এর অর্থ বুঝা-কুরআন রিসার্চ করার মত জ্ঞান যাতে অর্জিত হয় সে অনুযায়ী পাঠ্যসূচি তৈরী করা উচিত।
কোনকিছু নিয়ে পোস্ট করার আগে ঐটা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করবেন নিজ থেকে, অন্য মানুষের কাছ থেকে শুনে নয়।
১) বর্তমানে সর্বোচ্ছ ১০-১৫% মাদ্রাসার দান-ছদকা উঠানো হয় যেগুলোতে এতিম-দরিদ্ররা বেশী থাকে কোন ফিক্সট অনুদান নেই। (বেশীরভাগই গ্রাম অঞ্চলে)। এইসব এতিম-দরিদ্ররদের বিনামূল্যে খাবার-শিক্ষা দেওয়ার জন্য তো হুজুরদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সবচেয়ে বেশী পুরস্কৃত করা উচিত।
২) শুধু কোরআনে হাফেজ হয় এমন সংখ্যা খুব কম। কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর বেশীরভাগ ছাত্রই কোরআন- হাদিসের উচ্চতর জ্ঞান নেয়। আর কোনআনে হাফেজ হওয়া ও খুব সহজ কিছু নয়। আল্লাহর বিশেষ রহমত না থাকলে এটা সম্ভব না।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৪
হাবিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুনরায় এসে তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১
বিটপি বলেছেন: আপনার কি ভিআইপি মর্যাদার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন?
আমার আসলে কোন মর্যাদারই প্রয়োজন নেই। আমি কোন মতে জান্নাতে যেতে পারলেই খুশী। তবে আমার কোন সন্তানের কর্মকান্ডের প্রশংসা অন্য কেউ করলে আমি গর্বিত হই। ভেবে দেখুন, জান্নাতে আপনার হাফেজ সন্তান যখন আপনার হাত ধরে উঁচু ও সম্মানজনক আসনে নিয়ে বসাবে, তখন কেমন লাগবে আপনার!
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৫
হাবিব বলেছেন: আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হোক
১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শিক্ষকদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষন দেয়া জরুরী।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৫
হাবিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন
১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
তারেক ফাহিম বলেছেন: পরিবর্তন হচ্ছে।
পরিবর্তন আসবে।
ক্যাডেট মাদ্রাসাগুলো অনেকটা কেজি স্কুলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৬
হাবিব বলেছেন: হুম। আমরাও চাই পরিবর্তনের এই ধারায় হেফজ প্রতিষ্ঠান যুক্ত হোক
২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৫
আরোগ্য বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশা করি আপনিও পরিবারসমেত ভালো আছেন ।
দুই বছর পর নতুন পোস্ট করেছি, আমার বিশ্বাস আপনার কাছে ভালো লাগবে। সময় পেলে পড়ার অনুরোধ রইলো।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৭
হাবিব বলেছেন: আলহামদুল্লিাহ। আপনি আবার লেখা শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার লেখা পড়েছি। সুন্দর হয়েছে পোস্ট।
২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২০
রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। হ্যাঁ আমি জানি মাদ্রাসায় দরিদ্র ও অসহায় পিতা মাতার সন্তানেরা পড়ে। সরকারের উচিৎ দেশে শিক্ষার মান বাড়ানো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার কি মনে হয়নি যে, পুরো ব্যাপারটাই অপ্রয়োজনীয়; তাদের শিক্ষাংগন ও সংস্কৃতিটা সমাজের জন্য ও তাদের নিজের জন্য ক্ষতিকর।