![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে
৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ চট্টগ্রামের
আনোয়ারা উপজেলা, রাজাকার
কমান্ডার আব্দুল হাকিম
স্থানীয়ভাবে একটি রাজাকার দল গঠন
করে এলাকাই ব্যাপকভাবে অত্যাচার
নির্যাতন শুরু করে। পুরষ্কার
হিসেবে একটি রিভলবারও পুরষ্কার
পেয়েছে শান্তি কমিটি থেকে।
বেলা ১১টায় মেয়ের
বিয়ে উপলক্ষে তার বাড়িতে প্রায় দু "শ
লোকের খাওয়া - দাওয়ার আয়োজন
চলছিল, মানুষের লুটের টাকা দিয়ে।
সে সময় দু "শ লোক খাওয়ানো অনেক বড়
ব্যাপার ছিল।
এমনই সময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার
শাহাজাহান ইসলামবাদীর
নেতৃত্তে শ"খানেক
মুক্তিযোদ্ধা লঞ্চযোগে ওসখাইনঘাটে ভিড়ে,
মুক্তিযোদ্ধারা মাইলদেড়েক পথ
পায়ে হেটে রাজাকার কমান্ডার
আব্দুল হাকিমের
বাড়িটি ঘিরে ফেলে।
সকল মুক্তিযোদ্ধার মাথা ছিল
সাদা রুমালে বাধা, গায়ে গেঞ্জি,
পরনে হাফপেন্ট।
বাড়ি ঘিরে মুক্তিযোদ্ধারা আগত
অতিথিদের বলেন, যে যেভাবে আছেন
থাকুন আমরা কারও ক্ষতি করবো না। শুধু
আব্দুল হাকিমের শাস্তি দিতে এসেছি।
কাজ শেষ করে আমরা চলে যাব।
এরই মধ্য আব্দুল হাকিমের এক সহযোগী এক
রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য
করে গুলি চালায়।
চারজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে।
ঐ সময় পাল্টা গুলিতে আরো ৩ জন
রাজাকার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
এমন সময় রাজাকার আব্দুল হাকিম
মুক্তিবাহিনীতে নিজের আপন
ভাগ্নেকে দেখতে পায়।
ভাগিনাকে দেখে আব্দুল হাকিম দু"হাত
তুলে আত্নসমর্পণ করে।
কিন্তু ভাগ্নে বলে, না মামা তোমার
জন্য এক রাউন্ড গুলি রাখা হয়েছে।
পাশে ফেনাপুকুর,
অবস্থা বুঝতে পেরে আব্দুল হাকিম
পুকুরে ঝাপ দেই। এরই মধ্যে গুলি তার
কপাল বেধ করে চলে যাই, তার মৃত্যু
নিশ্চিত জেনে জয় বাংলার
মুক্তিযোদ্ধারা শৃঙ্খল
ভাবে ফিরে আসে ।
©somewhere in net ltd.