![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিক্রিয়ায় বিক্রিত একটি মনুষ্য আমি। মনুষ্য হয়ে জন্মেছি মনুষ্যকে ভালবেসে বরণ করে বেঁচে আছি।সৃষ্টিকর্তার লীলায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,রোজ সকালে যখন প্রাকৃতিক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চোখ মিট মিট করে সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন বুঝতে পারি স্বপ্ন দেখার মনটি এখনো নুয়ে পরে নি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরোও একবার সৃষ্টির স্বাধ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।অলস দুপুরে ঘামের পানি গুলো টপ টপ করে তখন একটু ছায়ার আশায় নিবৃত্ত থাকি , বটতলায় দাড়িয়ে থাকা শিশু গাছটি তার ঢাল পাতা দিয়ে আমায় সূর্যি মামার রাগান্বিত রুপ থেকে রক্ষা করে।দিনশেষে আমরা সবাই একা, সূর্যি মামাও তার কোমল রুপে আমাদের ত্যাগ করে । জীবন জাগ্রত থেকে জাগ্রত হই স্বপ্ন দেখার।হইতো বা দুনিয়ার পাঠশালার সাথে সামলে নিতে না পেরে এই এসিড একদিন উবে যাবে।হইতো বা দুনিয়ার এই এসিডের বিক্রিয়া সকল বিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। সবই আমরা সৃষ্টির লীলা খেলায় বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টায় উজ্জীবিত থাকি এক সত্যেকে আঁকড়ে ধরে
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা: ) একটা কথা বলেছিলেন,
'শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)। তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। (তিরমিজী)
আমার রাসূল এই কথা বলেছিলেন, সে অনেক বছর আগে। একটু আশপাশে খেয়াল করুন জামাতে ইসলাম ও ছাত্রশিবির এরা কারা? এদের উদ্দেশ্য কি? ১৯৪০ সালে সৃষ্টি এই দল সারাটা জীবন কোন না কোন প্রশ্নবোধক চিহ্নের সম্মুখীন আছে, ভারত- পাকিস্তান সৃষ্টির সময় এরা ব্রিটিশদের দালালি করছে, নবীর সুন্নাতের সাথে বেয়াদবি ( আহলে সুন্নাতের অনেক আলেম এদের ফিতনা ফ্যাসাদকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে) , ৫৩ সালে লাহোরে কাদিয়ানি মুসলমানদের হত্যা , যুক্তফ্রন্ট সরকারের বিরুধিতা , আইয়ুব খানের আমলে নিষিদ্ধ দল, ফাতেমা আলী জিন্নাহ যখন প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়িয়েছিলেন তারা প্রচার করছে মেয়ে লোক রাষ্ট্র প্রধান হবে না আবার ফাতেমা আলী যখন তাদের সুযোগ দেই আবার তারাই ফাতেমাকে সমর্থন করে, ৬৩ সালের ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী হোতা ,৬৬ সালের ৬ দফা বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে লালদিঘীতে সমাবেশ করতে এসে মারামারি, ৬৯ সালে রীতিমত সেনাবাহিনী চাটুকার, ৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে একটা আসনও পাই না ( গোলাম আযম নিজে পরাজিত ছিলো) এরপর ৭১ ..... ...
ট্রাইব্যুনালের পূর্ণাঙ্গ রায়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, একাত্তরের ৫ আগস্ট দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় নিজামীর একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়। তাতে নিজামী বলেন, ‘পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। আল্লাহ একে বারবার রক্ষা করেছেন। ভবিষ্যতেও রক্ষা করবেন। দুনিয়ার কোনও শক্তি পাকিস্তানকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামীর এ বক্তব্য স্পষ্টতই সূরা হজের ২৬ নম্বর আয়াতের বিকৃতি। কারণ, এই সূরায় একমাত্র কাবাঘরকে আল্লাহর ঘর বলা হয়েছে। কিন্তু নিজামী পাকিস্তানকে আল্লাহর ঘরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
■ আলবদর, একটি নাম! একটি বিস্ময়! আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা! যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী, আলবদর সেখানেই।
(২৩ আগষ্ট ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রাম)
■ পাকিস্তানকে যারা বিচ্ছিন্ন করতে চায় তারা এ দেশ থেকে ইসলামকেই উৎখাত করতে চায়(৯ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রাম) ( সারাটা জীবন পবিত্র ধর্মকে তারা রাজনীতির সাথে ব্যবহার করেছে)
■ ...আমাদের পরম সৌভাগ্যই বলতে হবে পাক সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এদেশের ইসলাম প্রিয় তরুণ সমাজ বদর যুদ্ধের স্মৃতিকে সামনে রেখে আল বদর বাহিনী গঠন করেছে। বদর যুদ্ধে মুসলিম যোদ্ধাদের সংখ্যা ছিল ৩১৩। এই স্মৃতিকে অবলম্বন করে তারাও ৩১৩ জন যুবকের সমন্বয়ে এক-একটি ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ... আমাদের বিশ্বাস সেদিন আর খুব বেশী দূরে নয় যে দিন আল বদরের তরুণ যুবকেরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হিন্দুবাহিনীকে পর্যুদস্তু করে হিন্দুস্তানের অস্তিত্বকে খতম করে সারা বিশ্বে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করবে। ...
(দৈনিক সংগ্রাম, ১৪ই নভেম্বর ১৯৭১, ‘বদর দিবস : পাকিস্তান ও আলবদর’ শিরোনামে লিখিত উপসম্পাদকীয়)
■ যারা পাকিস্তান চায় না, তারা আমাদের শক্র। পাকিস্তানের অখন্ডতা রুখতে হবে ও শক্রদের প্রতিহত করতে হবে।
(১৪ই নভেম্বর ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রাম)
■ ...খোদাবী বিধান বাস্তবায়নের সেই পবিত্র ভূমি পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। আল্লাহর এই পূত-পবিত্র ঘরে আঘাত হেনেছে খোদাদ্রোহী কাপুরুষের দল। এবারের শব-ই-কদরে ইসলাম ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত উল্লেখিত যাবতীয় হামলা প্রতিহত করে, সত্যিকারের শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার এই তীব্র অনুভূতি আমাদের মনে সত্যিই জাগবে কি?
(১৬ই নভেম্বর ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রাম)
■ জাতির এই সংকটজনক মুহূর্তে প্রত্যেক রাজাকারের উচিত ইমানদারীর সাথে তাদের উপর অর্পিত এ জাতীয় কর্তব্য পালন করা এবং ঐ সকল ব্যক্তিকে খতম করতে হবে যারা সশস্ত্র অবস্থায় পাকিস্তান ও ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে
(১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রাম)
বাংলাদেশে ছাত্রসংঘ (বর্তমান শিবির) নামে পরিচিত একাত্তরে আলবদর বাহিনী গঠনকারী এই সংগঠনের মূল নাম জমিয়তে তালাবা। পাকিস্তানে এখনও ওই নামে চলে তাদের কার্যক্রম। জমিয়তে তালাবার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৬৯ সালের নভেম্বরে বার্ষিক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো নিজামীকে নাজিমে আলা নির্বাচিত করা হয়। লাহোরে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে ২ হাজার ৩৪০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।যখন কাদের মোল্লা, মুজাহিদ ,কামরুজ্জামান নরপিশাচদের একের পর এক যখন ফাঁসি দেওয়া হচ্ছিলো পাকিস্তানে লাহোরে এর প্রতিবাদে মিছিল করেছে
এমনকি এই নিজামী পরবর্তী সময়ে বদরনেতা থেকে এদেশের মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন। তিনি আসলে একাত্তরে কী ছিলেন, তার অনেক দালিলিক প্রমাণ মেলে। আর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে আজও নিজামীর সর্বোচ্চ শাস্তি দেখতে অপেক্ষা করেছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্ত্রী সালমা হক ও শ্যামলী নাসরিন।
খুব খেয়াল করে উদ্দীপকের নিজামির বক্তব্যে গুলো পড়েন, জামাতের রাজনীতি ঠিক এখনো বদলে নি, আপনি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবেন আপনারে ধর্মহীন বলে আখ্যা দিবে।। ধর্ম কে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। বর্তমান জামাতের রাজনীতিক সমর্থকরা মোটামোটি বুঝতে পেরেছে যে তাদের দলের ৭১ সালে একটা বাজে ভূমিকা আছে।। কিন্তু তারা এটা স্বীকার করতে চাই না, এর কারণ বছরের পর বছর এই মানুষগুলো এক ব্রেইন ওয়াসের মধ্যে গেছে যে এরা এক প্রকার অন্ধে চলে গেছে, সাইদিরে চান্দে দেখা এর বড় উদাহরণ।।জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের সময় এদের মধ্যে একধরণের মানুসিকতা জন্মেছে যে মরলে শহীদ বাঁচলে গাজি। । জান্নাতের টিকেট যেন তাদের রাজনীতিক দলই দিয়েছে , যাই হোক এসব পোলাপান আজকাল মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম গুলিয়ে ফেলে। মোটামোটি মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই। নাউজুবিল্লা, পবিত্র কোরআন শরীফে স্পষ্ট বলা আছে, আল্লাহর নাম কখনো বিক্রি করবে না। ।। জামাতে ইসলাম সম্পর্কে সব থেকে মজার কথাটা বলেছে যে, মাওলানা ভাসানি। 'নীল নদের পানি যেমন নীল নয় জামাতের ইসলাম ঠিক ইসলাম নয় '।।।
মাঝখানে তনু হত্যা এবং নিজামি নিয়ে অনলাইন আর অফলাইনে দেখলাম, ' ৪০ বছর আগে ধর্ষকের ফাঁসি হয়, কিন্তু বর্তমানে ধর্ষকের কিছুই হয় না ' ।
প্রথমত কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাত আর ঘি!!!
এরপর নিজের জন্ম নিয়ে যারা সন্ধিহান থাকে তারা হলো জারস, স্বাধীনতার ৪৪ বছর চলছে এই জারসরা সেটা জানে না এরপর ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানিরা ধর্ষণের পর ধর্ষণ চালিয়ে গিয়েছিল চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় ।। অন্যদিকে হিটলার বাহিনী যে খুন খারাবি করেছে তার বিচার কিছু বছর আগেও হইছে। ।।
মানে এই দেশ গুলাতে আর খুন - ধর্ষণ আর হই না??
জবাব দে ছাগল.......
দিনশেষে প্রত্যক মুসলমানের ঈমানী কর্তব্য হলো, এই ফিতনা ফ্যাসাদ কারীদের ধইরা উত্তম মাধ্যম দিয়া পেয়ারা ফাকিস্তানে পাঠাই দেওয়া।।
আল্লাহ আমাদের সে শক্তি যেন দেই আমিন।
০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: অবশ্যই উত্তম মাধ্যম দিয়া
২| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১:৪১
রাফা বলেছেন: নরপিশাচদের অস্রই হইতেছে ধর্ম।৭১ সালে এর চরম অপব্যাবহার করার চেষ্টা ব্যার্থ হওয়ার ফলেই সৃষ্টি হয়েছে এই বাংলাদেশের।লান্নতের জিবন তাদের, তাই যত চেষ্টাই করুক বার বার ব্যার্থ করে দিবে সাধারণ মানুষই।
ধন্যবাদ,নিজামির অপকর্ম সামনে নিয়ে আসার জন্য।এটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে।নির্লজ্জ বেহায়ারা যাতে বাংলার মাটিতে আর শেকড় ছড়াতে না পারে।
০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদেরই, এটা ছড়ানোর পবিত্র দায়িত্ব আমার আপনার সবার
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১:৪১
সুদীপ কুমার বলেছেন: পাকিস্থানে পাঠায় দেওয়া হোক।