নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না তবু কেউ কেউ বেঁচে থাকে।

হাবিব শুভ

হাবিব শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্পঃ- অহংকার

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১১

মেয়েটি যখন ক্লাস নাইনে পড়তো তখন ছেলেটি ভার্সিটি তে পড়তো। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে বলে ছেলেটি প্রাইভেট পড়াতো । সেই সুবাধে মেয়েটিকে পড়ানোর সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু মেয়েটির অভ্যাস ছিল প্রাইভেটটিউটরের পড়ানোতে একটু ভুল ধরলেই কয়েকদিন পর পর অথবা এক মাস পর পর প্রাইভেটটিউটর চেঞ্জ করা। ছেলেটিকেউ কয়েকদিন পর মেয়েটি মেয়েটির মাকে দিয়ে বলায় যে ও আর পড়বে না,
মেয়েটির মা মেয়ের কথা অনুযায়ী ছেলেটিকে প্রাইভেটটিউটর হিসেবে বাদ দিয়ে দেন। ছেলেটির প্রচুর টাকার প্রয়োজন ছিল তখন। মাঝপথ থেকে এভাবে না করে দেয়ায় ছেলেটির সে মাসের বেতন ও পায় নি।
ছেলেটি এভাবে বাদ দেয়ার কারণ জানতে চাইল মেয়েটির মা স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে, তুমি ওকে ঠিক মত বুঝাতে পারো না।
ছেলেটি আগেই খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছিল যে, এই মেয়ে কয়েকদিন পর পর স্যার চেঞ্জ করে। ভাল স্কুলে পড়ে সে জন্য নিজেকে ভাল ছাত্রী হিসেবে অহংকার করে।
ছেলেটি মেয়েটিকে ডেকে বললো, এভাবে স্যার চেঞ্জ না করতে, এইরকম করলে পড়ালেখার ক্ষতি হবে। কোনদিন কিছু শিখা হবে না। তারপর ছেলেটি চলে গেল।
কয়েকবছর পর....
মেয়েটি ওর পুরনো ডায়রি থেকে ছেলেটির নম্বর খুঁজে বের করে ছেলেটিকে ফোন দেয়। মেয়েটি ঢাকা ইউনিভারসিটিতে বি.বি.এ তে চান্স পেয়েছে। সে কথা জানানোর জন্য ফোন দেয়। কারণ ছেলেটি একদিন বলেছিল এভাবে পড়লে ভাল কিছু করতে পারবে না। ছেলেটিকে ফোন করে সে কথার বিদ্রুপ করে। ছেলেটি ফোনে কোন কথা বলে নি। নিরব থেকেছিল।
...কয়েকদিন পর যখন মেয়েটি ভার্সিটিতে ক্লাস করতে যায় তখন ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখল, সেই ছেলেটিকে, যে এই ডিপার্টমেন্টের হেড টিচারের দায়িত্বে নিযুক্ত। যাকে একদিন সে ওর স্যার হওয়ার অযোগ্য মনে করেছিল। আর কয়েকদিন আগেও ফোন করে বিদ্রুপ করেছিল।
অনুগল্পঃ- অহংকার
____হাবিব শুভ

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: nice little story.
newton's 3rd law.

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

মার্কো পোলো বলেছেন:
শিক্ষণীয় বিষয়। ভাল লাগলো।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মোরালটা ভাল। কিন্তু উপমাগুলো যুক্তিহীন। ভার্সিটির ডিপার্টমেন্টের হেড টিচার বা ঐ পদবীতে পৌছুতে অনেক সময় লাগে। অল্প কয়বছরেই সেটা সম্ভব না। যতটা পটেনশিয়ালিটিই থাকুক না কেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.