নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবীব_ফরিদপুর

হাবীব_ফরিদপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইদেশে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল বন্ধকরলে সরকার টিকানো অসম্ভব– বিশ্বাস করেন ??

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১১















পত্রিকা খুললেই চোখে পরে কার্বাইড মেশানো ফল বিক্রি হচ্ছে , রং মেশানো খাবার বিক্রি হচ্ছে ইত্যাদি । সরকারের অ্যাজেন্সিগুলো কমবেশী চেষ্টা করে যাচ্ছে এই অ্যাডাল্ট্রেট ফুড কন্ট্রোল করতে । কিন্তু পারছে কি বা কতটুক পারছে জানিনা । তবে কিছু মুখে দিলেই বিশেষ করে ঢাকা শহরে মনে মনে ভাবি কতটুক রং খাইলাম ,

কতটুক কার্বাইড খাইলাম !



আমার মাথায় একটা জিনিষ ঢুকছে তা হল এই যে এক মহাবিদ্যা এটা এইসব অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত লোকদের মাথায় আসল কিভাবে ?



এর একটা সন্দেহ আমার মাথায় আসছে । আচ্ছা আমাদের দেশে কতদিন যাবৎ এই খাবারে ভেজাল মিশানো এইরকম মাত্রাতিরিক্ত বারছে ? আমার মনে হয় গত ১০ বছর ।



আমাদের দেশে ৩৫০ টার উপরে ঔষুধ কোম্পানি আছে । দেশের ফার্মামার্কেট হল বৈধভাবে সারে তিন হাজার কোটি টাকার আর আসল মার্কেট সারে পাচ হাজারকোটি টাকার । মানে সারে তিন হোয়াইট বাকী ২ হাজার কোটি টাকার ব্ল্যাক মার্কেট ।



এই হিসাব সাধারনত কাগজে কলমে সারে তিন ধরা হয় । যদি সারে পাচও ধরা হয় তবুও এই মার্কেটের চারভাগের একভাগেরও কিছুটা বেশি দখল করে আছে একটি কোম্পানী । বাংলাদেশীভিত্তিক মাল্টিনেশনাল । আরে বাকী তিনভাগ এই ৩৫০ টা কোম্পানী । অনেক কোম্পানী আছে যাদের ফ্যাক্টরীখুজে পাওয়া খুবই কঠিন ।

এই সমস্ত কোম্পানীকে বেচে থাকতে হয় ঔষুধ বিরক্রি করে । দেশের মানুষের যদি অসুখ না হয় তবে এরা বেচবে কি ??



আমি জানি এইসব কোম্পানীর মার্কেটিং স্ট্রাটেজী । কত ডেসপারেট এরা হতে পারে । সার্ভাইব করার জন্য এহেন কাজ নাই যে এরা করবেনা । আসলে করে সবাই আমাদের দেশে দুই নাম্বারীর কথা আসলেই আসে

রাজনীতিবিদদের কথা । অথচ করপোরেশন , আর্মি , বুর‌্যোক্রাটদের কাছে দেশের রাজনিতিবিদরা ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা । ঐ ২/৫ জন রাজনীতিবিদ অ্যাকসিডেন্টলী পজিশন গতভাবে হাই করাপশন করছে -তবু তারা আলোচিত সমালোচিত অন্তত হইছে । কিন্তু বাকীরা তো আমাদের দেশে ফেরশতা । দেশের পশ্চাৎদেশে বাংগী দিয়া গাং কইর‌্যা ফালাইতেছে কিন্তু ঘুনাক্ষরেও কেউ কিছু জানেনা । যাক সে কথা ।



ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর কথায় আসি , যেটা আমার মাথায় বাজতেছে বহুদিন । আমাদের দেশে খাবারে কেমিক্যাল মিশানোর কথা দেশের অশিক্ষিত মানুষকিভাবে জানল ? আর তারা এইসব কেমিক্যাল হাতে পায় কোত্থেকে ? আমি সন্দেহ করি আমাদের দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলা এই কাজ করে । দায়িত্বনিয়া এইসব গরীব মানুষদের হাতে এইসব কেমিক্যাল তুলে দেয় এবং খাবারে এদের ব্যাবহার নিশ্চিত করে ।

কেন আমি এইটা মনে করি তা বলার আগে আর ইকটু কথা বলি , যাতে আমার বিশ্বাশের কারনটা ডিটেইল করতে সুবিধা হয় ।



যে সমস্ত উপায়ে খাবারে ভেজাল মিশানো হয় বা খাবারে ভেজাল পরিস্হিতির দিকে তাকাই ---



** রাজধানীতে প্রতিদিন খাদ্য হিসেবে গৃহীত ৫০ মেট্রিক টন শাকসবজির মধ্যে ৬০ ভাগই হচ্ছে কীটনাশক মেশানো



** মাছ ও দুধে সাধারনত ফরমালিন মিশানো হয় ।



** ভাজা খাবারে তেলের বদলে পোড়া লুব্রিকেটিং মানে পোরা মবিল । সয়াবিনে পামোয়েলের ব্যাপার তো পুরোনো এবং আমাদের অনেকটা অ্যাডজাষ্ট হয়ে যাবার মতন হয়েছে । যারা বাইক চালান তারা ভালো বুঝবেন । প্রতি মাসে মবিল পাল্টানোর সময় যে মবিলটা ফেলে দিয়ে আসেন সেইটা দিয়ে বিস্কুট , জিলাপী ইত্যাদি জিনিষ ভাজা হয় । এটা ভাজলে ঐ জিনিষ মিইয়ে মানে উদায় যায়না সহজে-- দীর্ঘক্ষন টনটনে থাকে । এই কাজ ফার্মাকোম্পানী করেনা - কিন্তু ঐ পোরামবিল দিয়ে ভাজলে তার এফেক্ট এমন হয় এই অশিক্ষিত লোকজন জানল কিভাবে ??



** ফুডগ্রেডের বদলে টেক্সটাইলে ব্যবহৃত রঙ ব্যাবহার করা হয় কাবারের ঔজ্জল্য ধরে রাখতে ।পিয়াজু, বেগুনী, আলুর চফ কিংবা জিলাপীতে ব্যবহৃত হয় টেক্সটাইলের কাপড়ের রং । নষ্ট ও মেয়াদর্ত্তীর্ণ ডালকে গুড়ো করে বেশনের গুড়া তৈরী,যা দিয়ে বেগুনী বানানো হয় । অনেক মিষ্টি দোকানগুলোতে ক্ষতিকর ক্যামিকাল ও রং দিয়ে মিষ্টি তৈরী হচ্ছে।



গত ১২ আগষ্ট,২০১০ এ বাকলিয়া থানাধীন মিয়াখান নগর এলাকায় গলির ভিতরে তিনটি নকল মসলার মিলের সন্ধান পেয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ . অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেমিক্যালের রং, কালো রং, চালের ভূষি, পচা মরিচ, পটকা মরিচ মিশ্রন করার সময় পটিয়া হরিখাইন এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৮), সোলেমান (২০) ও এনামুল হক (৩০) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ সময় ৪০ মণ ভেজাল মসলা ও মসলা তৈরীর উপকরণ জব্দ করা হয়।





* * মুড়িকে আকারে বড় করতে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্যানারির বিষাক্ত রাসায়নিক সোড়িয়াম হাইড্রো সালফাইড।



* * চাল সাদা করতে ধান সিদ্ধ করার সময় ব্যবহৃত হচ্ছে ইউরিয়া সার।



** তারপর আছে খোলাবাজারে চাপাতা । এইসব চাপাতার বেশীরবাগই হচ্ছে লাশের কফিনে ব্যবহৃত পুরানো চাপাতা। মৃত লাশকে তাজা রাখার জন্য কফিনে ব্যবহার করা হয় চাপাতা। যা কমদামে মার্কেটে ছাড়া হয় ........... সেকারিন আর এক্সপায়ারড দুধ দিয়ে আমরা তা খাই



** এছারা বাচ্চাদের স্কুলের সামনে মিশ্রত আচার, জালমুড়ি, আমড়া সব কিছুতেই কেমিকেল , রং দেওয়া হয় ।



** লটিয়া ও চিংড়ী মাছে লাল রং মিশানো হয় দ্রিষ্টিআকর্ষনের জন্যে । মুরগী মোরগ এমনকি দেশী মুরগীও পাথর খাওয়াই বাজারে নিয়ে আসে ওজনে বেশী হবার জন্যে । মাছের গায়ে রং । মাঝে মাঝে মনে হয় এইডা কি কোন দেশ নাকি ? কেমনে আমরা এখনও বেচে আছি ? কেমনে বস্তির লোকজন বেচে আছে ? শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই আছে ১৩০০ ( ১৭০০ ও হতে পারে ) বস্তি ।





*** এর পর আছে কার্বাইড এর কথা । আপনি জান গ্রামে গন্জে যেখানে যত রিমোট এরিয়া যান , রেনডম স্যামপ্লিং করেন - কাউকে জিগ্গেস করেন - ভাই কার্বাইড কি ? দেখবেন বলে দিছে । মানে এমন অনেক অশিক্ষিত লোক পাবেন যারা আম , কলা পাকানোর কেমিকেল কার্বাইড চেনে । ফার্ষ্ট ওয়ার্ল্ডে এমন শিক্ষিত লোকও মনে হয় পাওয়া যাবেনা



আসেন ইকটু কার্বাইডনামা ঘাটাঘাটি করি ।



কার্বাইডের পুরা নাম হল ক্যালসিয়াম কার্বাইড । এটা মূলত ব্যবহার হয় কারখানায় গ্যাস ঝালাইয়ের কাজে।

এই যৌগের মধ্যে ক্যালসিয়াম সক্রিয় মৌলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর পারমানবিক সংখ্যা ২০। মানে ক্যালসিয়ামের একটি সক্রিয় যৌগ হলো ক্যালসিয়াম ও কার্বন নিয়ে গঠিত ক্যালসিয়াম কার্বাইড। এই রাসায়নিক পদার্থটিতে দুটি ক্ষতিকারক পদার্থ আর্সেনিক এবং ফসফরাস থাকে । মানে নলকূপ চেপে আপনার আর্সেনিক খাওয়ার কোনই দরকার নাই । খাবারের ভেজালের কারনে আপনি তা বিনাচেষ্টায় পাচ্ছেন ।

ইহা শুধু আমাদের স্বাস্থহানি নয় সুযোগ পাইলে জীবনও বিপন্ন করতে পারে। এবং আমি শুনছি এর ক্ষতি জেনেটিক কোডের মধ্যে মেসেজ ক্যারি করে যা বংশপরম্পরায় চলার একটা নিশ্চয়তাও পাওয়া যায় । মানে আপনার কার্বাইড খাওয়ার জন্যে আপনার সন্তান কার্বাইড যদিও না খায় ( অ্যাকসিডেন্টলী - কারন এই দেশে থাকবে কার্বাইড খাবেনা -- তাতো আর সম্ভব না ) এর এফেক্ট পাবে ।



কার্বাইড ব্যবহারের প্রথমেই এতে একটু পানির ছিটা দিতে হয়। আর ক্যালসিয়াম কার্বাইড জলীয় সংস্পর্শে এলেই অ্যাসিটিলিন গ্যাস নির্গত করে, যা পাকানোর সময় ফলের সাথে মিশে ক্ষতিকর ইথাইলিনে রূপান্তরিত হয়। অ্যাসিটিলিন ইথাইলিনে রূপান্তরিত হয়ে ফল খুব শিগগিরই পাকতে শুরু করে।--- আমি চিন্তা করি গ্রামের অশিক্ষিত লোক এই বিদ্যা কেমনে জানে











উপরের ছবিতে চাচা কার্বাইড মারতেছে কলা পাকাইতেছে । আমি বাজী ধরে বলতে পারি চাচা নিজের নামও লেখতে পারেনা ।

মাত্র ১০-১২ ঘন্টায় কস্টি কাচা কলা পাইক্যা লাল হয়ে যাবে । সন্ধ্যারাইতে বা বিকালে কলা পাইড়্যা কার্বাইড মারলে সকালে বাজারে পাকা কলা নিয়ে হাজির হওয়া যায় ।



কলার কাঁদির নিচে কেরোসিনের স্টোভ জ্বালিয়ে হিট দিয়ে কলা পাকানো হচ্ছে। কেমিক্যাল মেশানো পানি ফলের গায়ে ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে। হিট দিয়ে পাকানো কলার ভেতরের অংশ শক্ত হয়ে পড়ছে। এসব কলা একেবারেই স্বাদহীন। আবার আমে কার্বাইড দেয়ার ফলে আমের কষ ও ঘামের সঙ্গে এ পদার্থ মিশে তৈরি হচ্ছে এসিটাইলিন গ্যাস। এ গ্যাস তাপ সৃষ্টি করছে। এ তাপের ফলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পেকে যাচ্ছে আম। আম,কলার দামের সাথে যোগ হচ্ছে এই কেরোসিন আর কার্বাইডেরও দাম ।





আম কলা পেপে কি না পাকানো হচ্ছে কার্বাইড দিয়ে ? আনারস বর করার জন্যে হরমোন ইনজেকশন হাকানো হচ্ছে আর তো কার্বাইড । এই অশিক্ষিত লোকেরা এই বিদ্যা পাইল কোথায় আর এত কার্বাইড পায় কোথায় ?? কার দেয় ? খাবারে কার্বাইড মিশালে লাভ কার ??





সাধারণত খাদ্যবিজ্ঞানে ফলমূল পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহারের অনুমোদন আছে, তবে সেটারও মাত্রা আছে। অর্থাৎ ওই পরিমাণ কার্বাইড ব্যবহার করলে সাধারণত স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকবে না। তাছাড়া কার্বাইড ছাড়া ফলমূল পাকালে তা তাড়াতাড়ি পঁচে যায় বলে পৃথিবীতে পরিমিত কার্বাইড ব্যবহারের আইন আছে।



বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ ১৯৫৯ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৬(এ) ধারায় ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।কেউ তা করলে তার ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।



কার্বাইডের অস্তিত্ব শনাক্তের জন্য আড়তগুলোর আম ডিস্টিল ওয়াটারে ডুবিয়ে তাতে ক্যালসিয়াম ইনডিকেটর দেওয়া হয়। কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম কিছুক্ষণ পর সবুজ রং ধারণ করে।





ক্যালসিয়াম কার্বাইড বেশি পরিমাণে মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে পাকস্থলি ও অন্ত্রনালিতে ক্যানসারও হতে পারে। কার্বাইড মিশ্রিত ফল খেলে পাকস্থলিতে প্রদাহ ও ঘা, বদহজম, পেটে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য হয় ।



বাজারে অ্যান্টি- আলসারেন্টের সেল ফিগার আর তার রাইজিং কার্ভ দেখেন । ডমপেরিডনের সেল ফিগার দেখেন । দেশের ভবিষ্যত টের পাবেন ।



খালি কি ঐ ম্যাজিষ্ট্রেট আর পত্রিকা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পাঠাইলে চলবে ??

যেই বিদ্যা দিয়া এই অশিক্ষিত লোকদের শিক্ষিত করা হয়েছে তার কি হবে ? ভ্রাম্যমান আদালত দিয়া অস্র আটকাইতে পারে ২/৪ টা গরীব অ্যারেষ্ট করতে পারে কিন্তু যেই ট্রেনিং বাংলার হাঠে মাঠে ছরাইছে তার কি হবে ? আমাদের মাঝরাতে ঘোম কামাই দিয়া যারা পটর পটর করে তারাও এই বিষয় নিয়ে কোনদিন একবার মুখ খোলেনাই । আসলে বিষয়টা জানে কিনা এই এত কিছু জানার প্রয়োজন ইচ্ছা ধৈর্য আকাংখা এবং মগজ আছে কিনা সেটা নিয়াও আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে ।



আর যেই ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী হইছে তার কি হবে ? যে চাচা কলায় কার্বাইড দিচ্ছে ও কার্বাইড না দিলেতো ও মরবে । কারন ঐ কলা বেচতে হবে না বেচলে খাবে কি সেইডা চিন্তা না , চিন্তা হল কিস্তির টাকা দিবে কোথায় থেকে ? কিস্তির টাকা না দিলে কি হয় সে আরেক কেচ্ছা - সেই কেচ্ছা কাহিনী ঘাটলে দেখা যাবে হিমালয়ের থেকেও অনেক অনেক উচু ডায়মন্ডের থেকেও অনেক কঠিন এই ইনফ্রাষ্ট্রাকচার ।একটা সুদ খোর আমার কাছে মনে হয় একটা মৌলিক ব্যাপার । একজন সুদখোর শুধুই সুদখোর । শুধু তা বিভিন্ন কায়দায় , বিভিন্ন পরিচয়ে -- রূপ যতই বহু হোক অংগ কিন্তু একটাই ।



তো যা বলছিলাম । কোন সরকার কি পারবে এই বর বর রং আমদানী বা তৈরী করে যারা তাদের দোষারূপ করতে ? কোন সরকার কি পারবে এই এত বড় এবং এত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীদের কুচিয়ে উল্টে পাল্টে তদন্ত করতে ?



যারা ভেজাল মেশায় তাদের তাদের জেল জরিমানা করলেই কি চলবে ? ডিগ করে মেইন ক্রিমিনাল বার কড়ে এলিমিনেট করতে হবে । এই ইনফ্রাষ্ট্রাকচার ভেংগে চুরে চিরতরে ধুলিস্যাত করে দিতে হবে । শোষিতের পক্ষে জীবন বাজী রেখে মাথে উচু করে কথা বলা এবং শোষিতের অধিকার রক্ষায় অ্যাজেন্ডাবাস্তবায়ন করতে হবে ।



কিভাবে এই কাজ করা যায়- এই ভেজাল মিশানো বন্ধ করা যায় ?? ইকটু চিন্তা করে দেখি



যে বিক্রতার খাবারে ভেজাল পাওয়া গেল তাকে রিমান্ডে নিয়ে বার করা হল যে সে কেমিক্যাল কোথা থেকে পেল ? তারপর কেমিকেল যেখানে পাওয়া গেল এমন লোকদেরও রিমান্ডে নেওয়া হল । যে এই বিদ্যা তারা কোথায় শিখল । দেখা গেল একটা সিন্ডিকেট পাওয়া গেল যে এরা একসময় দেশ ভরে ট্রেনিং দিছে । এই ট্রেইনারদের রিমান্ডে নেওয়া হল - আমি শিউর এরা কম করে হলেও থার্ড পার্টি হবে । বহু বহু চরাই উৎরাই পেরিয়ে হয়তবা পাওয়া গেল আরেক সিন্ডিকেট যারা মূল থিংকট্যান্কের সাথে কানেক্টেড বা পার্ট অব মেইন থিংক ট্যান্ক । তখন কি হবে ?? -- জানিনা তবে আচ যদি করি তবে কি দারায় ? কি হবে তখন ?

অবশ্য এই খাবারে ভেজাল মেশানো থেকে কারা বেনিফিসিয়ারী আমরা ইকটু চিন্তা করলেই বুঝে জেনে যাব যে এরা কারা - কারা এই কোর পিপল ।



কিন্তু আমার মনে হয় এই রিমান্ড প্রক্রিয়া শুরু হলেই দেখা যাবে যেই সরকারই থাকুকনা কেন নরে চরে বসেছে । মানে সরকার পতনের সম্মুখীন হয়ে যাবে । বিভিন্ন মন্ত্রনালয় সহ বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে শত শত মোটা মোটা ব্যাগ যার কিছু অংশ কিছু মানে ছিটা ফোটা মন্ত্রী বা তার চেলবেলার ঘরে যাবে । কিন্তু আসল এবং স্বাস্হ্যবান ব্যাগগুলো চলে যাবে দারিওয়ালা সুফী সদ্রিশ এবং ক্লীনসেভড রিটায়ার্ড এবং চলমান বড় আমলা এবং সেনা অফিসারদের ঘরে, তাও আবার সেই ঘর লন্ডন , কানাডা বা সুইজারল্যান্ডে বা নাম না জানা কোন দেশে ভিন্ন ভিন্ন জটিল প্রক্রিয়ায় । সরকার পাল্টায় কিন্তু ওনারা পাল্টায়না । শেরাটন ওয়েষ্টিনের লবি ব্যাস্ত হয়ে যাবে ব্যাগধারীদের জরুরী এবং সংক্ষিপ্ত মিটিং এ , টিএন্ডটি মন্ত্রনালয়ের আউটগোয়িং ইনকাম বারবে , এমিরেটস ও অন্যান্যদের চাপ বারবে , এইচ এস বিসি এবং অন্যান্যদের আলগা কেচাল বারবে বাংলাদেশ ব্যান্কে , বর্ডারে গোলাগুলি বেরে যাবে , হঠাৎ করে লোকজন মানে ছোট এবং মাঝারী কখনই বড় নয় এমন ব্যাবসায়ী এবং সামাজিক গুরুত্বপূর্ন ব্যাবসায়ী হাপিস হবে , রাজধানী সহ সারা দেশে হত্যা গূপ্ত হত্যা বেরে যাবে , অ্যামনেষ্টী সহ আরো মেলা ইন্টারন্যাশনালের ওয়াচডগগুলো খেউ করে উঠবে যদিও তারা বিডিআর মিউটিনিতে হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন হইছে বলে মনেই করেনি এমন কি শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পাওয়া এক পোদ্দার যে দেশকে উচু চূরায় বসাইছে বলে দাবী করে তিনিও না । আজ পর্যন্ত মিউটিনিতে নিহত অফিসারদের বউ বাচ্চাদের কেমন আছে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পেয়েও একবার তা জানবার প্রয়োজন মনে করেনি , ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত মন্ত্রী ও তার চেলাবেলা ব্যাবসায়ীদের পেছনে গোয়েন্দালাগানোর জিকির আজগার করবে কিছুক্ষন , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুংকার দেবে যেই জরিত থাক পার পাবেনা ছার পাবেনা , মিডিয়ায় কিছু ক্ষনজন্মা মুখেসদাফেনাসমেতরাজনিতিবিদধৌতকারী কালজয়ীভাবধারী কিছু সাংঘাতিক এবং সদামেজাজী ( অলওয়েজ ফোরটিনাইন ) রিপোর্টারের আবির্ভাব ঘটবে বা নাজিল ঘটবে । সরকার প্রধানের উপর বোমা পরবে । গ্রেনেডও পরতে পারে । আর এখন দেশে রকেট লান্চারেরও ব্যাবস্হা হয়েছে ।



চ্যাটের বাল এইডা কোন দেশ নাকি ? শাউয়ামারানি আর চুদিরভাইতে গেছে ভইর‌্যা । গুড ফুড হল মানুষ এবং প্রানীর জন্য । এইসব চুদিরভাইগো চরিত্রও যেমুন খায়ও তেমুন । শয় শ ।



একটা জিনিষ আমার মনে হয় মাঝে মাঝে খুব যে- ভাল মানুষ যে কয়ডা ছিল মনে সব সাফ হয়্যা গেছে ৭১ এই । আর বাকী যে কয়ডা অনফরচুনেট বাইচ্যা আছিলো বেবাকটি যে যেইখানে আছে সব আজীবন মাইনক্যার চিপায় আছে, এবং মোটামুটি সিগন্যাল পাইয়া গেছে যে এই চুতমারানির ভীরে এই দেশে আর কিছু হবেনা । সবচেয়ে বড় একটা বোকালোক কপাল খারাপে টিক্যা গেছিলো ৭৫ এ দলবলে শেষ হইয়্যা গেছে । মামলা ঢিসমিস ।



আমার মনে হয় কারার এই লৌহকপাট ভাংতে কিছু ক্ষুদিরাম খুব দরকার । হয় ঐ বাকী মাইনক্যার চিপাত যেগুলা আছে সেগুলারে মুক্তিদেবার জন্যে নাইলে বাকী যেসোব ভোদ্দরনোক আছে তাগো ব্যাপারে একটা ডিসিশনে আশার । কি -- বুকে হাত দিয়া কনতো ভুল কিছু কইছি ??

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১৪/-১

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩০

যে আছো অন্তরে বলেছেন: না, ভুল কন নাই। অনেক কষ্ট করছেন ভাইসাব। এইবার দুই খানা কলা ও এক খানা কার্বাইড মেশানো আম খায়া শক্তিমান হন। :P

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৬

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: lol---

apnar jonneu dimu naki -- poira coment koira
kosto tu apneu korlen--lol

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আমি কান্না করতেও ভুলে গেলাম...........

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪০

স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: খাইসে।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬

আরাফাত রহমান বলেছেন: এই লেখা পড়ে কবে আপনাকে সাইবার ক্রাইম অপরাধী হিসেবে জেলে নিয়ে যায় আমিতো সেই চিন্তায় আছি।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: :(

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা খারাপ কন নাই। তয় শেষের আগের প‌্যারায় যা কইলেন তাতে খানিক নিজের ভাব মশলা না দিলৈও পারতেন।

কারণ কথায় কথা আনে।

এই ব্যাপক অপরাধপ্রবনতার শুরু কিন্তু সেই তখন থেকেই।
সেই কর্পোরেশন, ব্যাক্তিকেন্দ্রিক বিকাশ, গাঁ ছাড়া ভাবে দলীয় আনূকূল্যে শুভারম্ভ.....
যারা আপনার মতো ন্যায় আর সত্য নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেছে... সিরাজ শিকদার, মেজর জলিল, ৩০ হাজার জাসদ কর্মী...তারা শুধূ জাসদের নয়.. এই শুভ চেতনার যা আপনিও ধারন করছেন-- শুভ বোধ থেকে, তেমনি
তাদেরকে মেরে কি হল? স্বার্থবাদী দলীয়, পূজাবাদের পিঠ চাপড়ানো হল..যা পরে হয়ে গেল ধারাবাহিক নাটক/ সিরিয়াল...

সবাই আত্ম বিস্মৃত হয়ে সেই লোভ, ক্ষমতা আর নেশায়...
তাদের হাত ধরেই আসে, থাকে এভং ক্ষমতা থেকে যায় ও!!!!

মীর মদন, তিতুমির,ক্ষুদিরাম, ভগত সিং, সিপাহী নূর মোহাম্মদ... কেউ কিন্তু নিজের দিকে তাকায়নি... সকলের তরে আপনি প্রাণ সপে কালে কালে দায়িত্ব পালন করে গেছে।
আর দুঃখজনক ভাবে কর্পোরেটরা সেই জায়গাতেই বেশী কোপাচ্ছে এখন... চেতনায় স্বার্থপরতা ভ্যাক্তিকেন্দ্রীকতার বিষ ঢালছে মিডিয়ায়, বিজ্ঞাপনে, নাটকে , সিনেমায়, গানে, নেকটাই উড়ানো কর্পোরেট গোলামদের মাধ্যমে.. এমনকি ধর্মীয় আবরনে মূর্খ একদল স্বার্থবাদীও জুটিয়ে নিয়েছে তাদের মূল স্বার্থ উদ্ধারে!!!!

তাই চল ভাই জীবনের গান গাই
আপনারে বিলীয়ে দিয়ে সবারে বাচায়ে যাই......

আছৈ আর কেউ!!!!?????

আমি আছি।


১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০১

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: .. সিরাজ শিকদার, মেজর জলিল, ৩০ হাজার জাসদ কর্মী.. কি সত্য নিয়া যুদ্ধ করছিল বলবেন ?

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

তামজীদ বলেছেন: ভাইরে ঢাকায় যাইতে আর মন চায় না, যেইদিন ইনশাল্লাহ ১৫ দিন পুরোটা সোনারগাও বা রেডিসনে থাকার মত ক্ষ্যামতা হইব সেইদিনই যাব, না হলে এই খাবার আর জ্যামে পরে ওখানেই ইন্নালিল্লাহ!

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: .. সিরাজ শিকদার, মেজর জলিল, ৩০ হাজার জাসদ কর্মী.. কি সত্য নিয়া যুদ্ধ করছিল বলবেন ?

>>সিরাজ শিকদার, মেজর জলিল, ৩০ হাজার জাসদ কর্মী...তারা শুধূ জাসদের নয়.. এই শুভ চেতনার যা

আপনিও ধারন করছেন-- শুভ বোধ থেকে, তেমনি


তাদেরকে মেরে কি হল?

স্বার্থবাদী দলীয়, পূজাবাদের পিঠ চাপড়ানো হল..যা পরে হয়ে গেল ধারাবাহিক নাটক/ সিরিয়াল...

সবাই আত্ম বিস্মৃত হয়ে সেই লোভ, ক্ষমতা আর নেশায়...
তাদের হাত ধরেই আসে, থাকে এভং ক্ষমতা থেকে যায় ও!!!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: uttor diben na bollei hoto
eto volatile word through korar
dorkar silona


Jasod er 50 joner Nam bolen to

jara murder hoislo

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মামা, এইসব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর মালিকগুলানের কিছুতো আবার সরকারী বেসরকারী দলের বড় ফান্ড রাইজার এমনকি এমপিও!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩০

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: হুম.... আসলে এদের দল একটা - টাকা ।

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোহাইমেন বলেছেন: অসাধারন। +

অনেক আগের একটি লেখা, সময় পেলে পড়ে দেখবেন -
" style="border:0;" />


১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মোহাইমেন বলেছেন: Click This Link

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৪

মুভি পাগল বলেছেন: কলা খাইতে মূঞ্চায়



আপনি কোন ব্র্যান্ডের পারফিউম ব্যবহার করেন? মতামত দিন দয়া করে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২১

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: lol

১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৩

প্রভাষক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো... ধন্যবাদ...

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৪

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সবচেয়ে বড় শাস্তি এদের প্রাপ্য

১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৭

আমি ভাল আছি বলেছেন: বিশ্বাস করি।



মাছ ধরলে কৈ মাগুর, জামাই ধরলে সভার ঠাকুর!!!:P:P:P

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৪

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: asole infrastructure ta

vanga dorkar..esara koi boal dhore lav nai

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৭

আমি ভাল আছি বলেছেন: এই চক্র ভাঙ্গা কি এত সহজ!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৪

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: sohoj to dure thak

somvob kina tai dekhen :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.