নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারদিকে নদী বেষ্টিত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মত, চির সবুজের সমারোহ বিকেল বেলায় পশ্চিমা আকাশে রুদ্রের লুকোচুরি খেলা এক অজপাড়া গাঁয়ের নাম নিজ ছেংগার চর।জনম দুঃখিনী মায়ের অন্ধেরযষ্টি এলএলবি সমাপ্ত করে সম্মান জনক পদে অধিষ্টিত থাকায় নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত।।

আমি সম্মানের পাত্র নই

যুগ্মসাধারন সম্পাদক (রায়াব)

আমি সম্মানের পাত্র নই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদ গোড়স্থান নাম করনের পূর্বেই, জাতীয় সংসদের ঐতিহ্য রক্ষা চাই"

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

"সংসদ গোড়স্থান" নাম করনের পূর্বেই জাতীয় সংসদের ঐতিহ্য রক্ষা চাই।।



পথিবীর দৃষ্টিনন্দন আইনসভা ভবনের একটি হচ্ছে আমাদের জাতীয় সংসদ ভবন। রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত। মহান জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার আয়তন ২১৫ একর। যেখানে মূল ভবনের পাশাপাশি রয়েছে উন্মুক্ত সবুজ পরিসর, মনোরম জলাধার ও সংসদ সদস্যদের কার্যালয়। ১৯৬১ সালে এ ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়। ইতিহাসের নানা চড়াই উতড়াই পেরিয়ে ১৯৭২ সালের ২৮ জানুয়ারি এ ভবনের উদ্বোধন কনেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্থপতি লুই আই কান ।

সুন্দর পরিবেশ বির্নিমানের অগ্রদূত, বিশ্ব শান্তির প্রতিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বাস্তব প্রতিচ্ছবি গ্রাম-বাংলার ঐ গ্রাস রোড থেকে জাতিসংঘ পর্যন্ত উজ্জলতার রাখিবন্ধন তৈরি করে জনমনে তিনি আজ শ্রদ্ধার আর ভালবাসার আসনে অধিষ্টিত।শ্রেষ্ঠ সংস্কারক, পরিবেশ বান্ধব, স্থাপত্য শিল্পকে কারুকার্য খচিত নয়না বিরাম মহান জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গনের সৌন্দর্য রক্ষার্তে এগিয়ে আসবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সাধারন মানুষ এমনটাই প্রত্যাশা করে থাকেন। হয়ত সে বিষয়ের উপর বিজ্ঞ গুনিজনেরা মুল্যবান মতামত উপস্থান করেছেন। তবুও আমি বলব মহান জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গনকে কোন অখ্যাত, কুখ্যাত বা বিখ্যাত ব্যক্তিদের গোড়স্থানে পরিনত না করে লুই কানের নক্সার যথার্থ বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য।

দুঃখ জনক হলেও সত্য বাংলাদেশের পরিবেশবাদীরা সংসদ ভবনের পরিবেশ রক্ষার জন্য কোন উদ্দ্যোগ নিয়েছেন বলে আমার জানা নেই।লাল বাগের কেল্লা রক্ষার জন্য যদি আন্দোলন হতে পারে, সুন্দর বনের সৌন্দর্য নষ্ট হবে মর্মে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে যদি লংমার্চ হতে পারে, মহান জাতীয় আইন পরিষদের নিজস্ব অবকাঠামো সংরক্ষনের জন্য আমরা কেন পারিনি একটা মানব বন্ধন বা শোভা যাত্রার আয়োজন করতে?

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর উত্তম খেতাবদারী মেজর জিয়াউর রহমান ছিলেন রাজাকারের জীবন দানকারী, ঠান্ডা মাথার খুনি, ক্ষমতার মোহে ইতিহাস বিকৃতি থেকে শুরু করে স্বাধীনতার মুল চেতনা দ্বিগম্বড় করে প্রতিষ্ঠা করলেন পাকি জারজদের চেতনা। শুধু চেতনা লালনকারীই নয় পদস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করলেন জাগদল থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।তার মন্ত্রী পরিষদে স্থান পায় শাহ আজিজসহ অর্ধডজন রাজাকার আলসামসদের নেত্রীস্থানীয় ব্যক্তিরা
মেজর জিয়া বলেছিলেন, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের জন্য কঠিন করা হবে।সত্যি রাজনীতি আজ রাজনীতিকদের জন্য কঠিন সময় পার করছে।তার চালু করা ভাইরাস জ্বরে সাধারন ভোটার পর্যন্ত আক্রান্ত। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ঘোষনা করেছিলেন,আমার দলে যোগ দিন কাজ নিন,যোগদিন মন্ত্রীত্ব নিন অর্থাৎ রাজনীতি করলে বা দলে যোগ দিলে কিছু পেতে হবে, এমন সব সংস্কৃতি চালু করে গেছেন সে অবস্থা থেকে আজ বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ছে।ছাত্রদের হাতে কলমের বদলে তিনিই প্রথম অস্ত্র তুলে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংশ করে গেছেন।বিচার হীনতার সংস্কৃতিও তিনি চালু করে গেছেন।মোটকথা গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে চাতুরতার কৌশলে বর্তমান ইয়াবা নামক ভয়ানক নেশার মত যুব সমাজটাকে তথা বাংলাদেশটাকে যুদ্ধাপরাধীদের মিশ্রনে গড়ে তুলেছেন এক ভেজালে ভরা জাতীয়তাবোধ।

বিএনপি জাতীয়তাবোধে বিশ্বসী সমর্থক ভাই-বোনেরা হয়ত আমার প্রতি ক্ষুব্দ হতে পারেন আমার বক্তব্য পড়ে।তবে স্বচ্ছতার নিরিখে অন্তত একবার যদি উপলব্দি করেন,তাহলে আপনাদের বিবেক আপনাকে প্রশ্ন করবে , শাহ আজিজের মত কুখ্যাত রাজাকার তার দলের প্রভাবশালী মন্ত্রী হয় কিভাবে? আবার সেই লোককে মহান জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গনে দাফনের ব্যবস্থা করা কি সংসদকে অপমান বা কুলশিত করা হয় কি না? জাতির জনকের হত্যাকারীদের পুরস্কার দেয়া, রাজাকারদের প্রতিষ্টা করা,শত শত মুক্তিযুদ্ধা সেনা অফিসারদের বহিস্কার করা,রাজাকার সমর্থীত অফিসারদের প্রোমোশন দেয়া, অর্থাৎ স্বাধীনতা উত্তর তার সামগ্রীক কার্যাবলী কুলশীত করে তার বীর উত্তম খেতাবকে।

মেজর জিয়া সংসদ প্রাঙ্গনে কবর দেয়ার যে সংস্কৃতি চালু করলেন ক্রমাগত সকল শ্রেনী পেশার বিখ্যাত বা কুখ্যাত লোকদের সৎকারের ব্যবস্থা করলে এক সময় মহান জাতীয় সংসদের নাম করন পরিবর্তিত হয়ে আজিমপুর গোড়স্থানের মত নাম হবে সংসদ গোড়স্থান।তাই আসুন সকলে মিলে লুই কানের ডিজাইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল কবরগুলো স্থানান্তর করে মহান সাংসদের ঐতির্য্য রক্ষার আন্দোলে একমত পোষন করে গর্বিত সুনাগরিকের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ঠ হই।সবশেষে সরকারের প্রতি আবেদন থাকবে ২০১৬ সালের পূর্বেই যেন জিয়ার মাজারসহ সকল কবরগুলো স্থানান্তরের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
১৫.১১.২০১৫ ইং
রবিবার।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৫

আমি সম্মানের পাত্র নই বলেছেন: মেজর জিয়া সংসদ প্রাঙ্গনে কবর দেয়ার যে সংস্কৃতি চালু করলেন ক্রমাগত সকল শ্রেনী পেশার বিখ্যাত বা কুখ্যাত লোকদের সৎকারের ব্যবস্থা করলে এক সময় মহান জাতীয় সংসদের নাম করন পরিবর্তিত হয়ে আজিমপুর গোড়স্থানের মত নাম হবে সংসদ গোড়স্থান।তাই আসুন সকলে মিলে লুই কানের ডিজাইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল কবরগুলো স্থানান্তর করে মহান সাংসদের ঐতির্য্য রক্ষার আন্দোলে একমত পোষন করে গর্বিত সুনাগরিকের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ঠ হই।সবশেষে সরকারের প্রতি আবেদন থাকবে ২০১৬ সালের পূর্বেই যেন জিয়ার মাজারসহ সকল কবরগুলো স্থানান্তরের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.