![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষাজীবন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজতত্ত্ব বিভাগে। অনেকপরে আবার একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম,বি,এ,করি। ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে কর্মজীবনের শুরু। উন্নয়ন সংস্হায় প্রথম কাজ করি। এই সময় দেশের বিভিন্ন স্হানে ঘুরাঘুরির সুযোগ হয়। দেশের মানুষ ও প্রকৃতির রঙ, আর বিচিত্র পেশার মানুষে সাথে দেখা হয়। অতঃপর পোশাক শিল্পে কাজ করি। ২০০০-২০০৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম। ২০০৪ সালে আবার ফেরৎ আসি আমার প্রাণের কর্মক্ষেত্র পোশাক শিল্পে। সেই থেকে আজ অবদি কাজ করছি এখানে। বিচিত্র অভিজ্ঞতা, নানান দেশে ভ্রমণ করি। কাজের ফাঁকে পড়ি। মন চাইলে লিখি। ভাষার দক্ষতা তেমন নেই। চেষ্টা করছি ভাষা আয়ত্ত্ব করতে। কিছু বিচিত্র বিষয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। লেখার কাজে হাত দিয়েছি। দেশে দেশে পোশাকের বিবর্তন নিয়ে লিখছি। এই নিয়ে পড়াশোনা করতে ভালই লাগে। যাপিত জীবনের কথা, ক্লেদ, প্রেম অভিজ্ঞতা লেখব ভাবছি।
ইরাক; ১৯১৫ থেকে ২০১৬
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তিতে ভূ-রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আসে। মধ্যপ্রাচ্য এই পরিবর্তনের বিরল অভিজ্ঞতা অর্জন করে; বিশ্বের বৃহৎশক্তি সমূহ যুদ্ধে তাদের অধিকৃত অঞ্চল গুলো নিজ নিজ সাম্রাজ্যের অধীনে আনয়নে তৎপর ছিল; কিন্তু বাধ সাধেন তৎকালীল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইঊলসন। তিনি মনে করতেন বিশ্বব্যাপী ইউরোপীয় শক্তিসমূহ তাদের তাদের আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগীতা কারনেই এই যুদ্ধ। ইরাক, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বৃটিশদের অধীনে আসে। বৃটিশদের ভাবনায় ইরাক ছিল সামরিক কৌশল ও ব্যবসায়িক বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বসরা, বাগদাদ ও মসূল নিয়ে গঠিত হয় আধুনিক ইরাক রাষ্ট্রের কাঠামো। যুদ্ধউত্তর কালে ইরাক একটি তত্বাবধায়ক রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইঊলসনের উদারনৈতিক নীতিমালা নব্য রাষ্ট্রগুলো গঠনে ভূমিকা পালন করে। তিনি আমেরিকার অনুকূলে নয়া বিশ্ব ব্যবস্হা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। উইলসনের মতে অছি রাষ্ট্র-এর ধারনা ( Mandate state system)** তুলনামূলকভাবে মুক্তবাণিজ্য, রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন সরকার গঠনে সহায়ক ছিল; ফলশ্রুতিতে সারা বিশ্বে কতকগুলো স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রাথমিক ভীত তৈরি হয়। ইরাক রাষ্ট্রপ্রতিষ্টার প্রথাগত কাঠামোর অনুসরন করা হয়নি। বর্তমান ইরাকের আনুষ্ঠানিক নাম রিপাবলিক অফ ইরাক ( Republic of Iraq/ irak),যার আয়াতন ১৬৭৯২৪ বর্গমাইল বা ৪৩৪৯২৪ বর্গ কিমি। সীমানা –দক্ষিন দিকে; কুয়েত, পারস্য উপ-সাগর, ও সৌদিআরব ; পশ্চিমে- জর্ডান ও সিরিয়া; উত্তরে তুরস্ক এবং পূর্বদিকে ইরান অবস্হিত। অটোমান শাসন আমলে –ইউরোপীয়দের এই অঞ্চলের প্রতি বিশেষতঃ অর্থ ও সম্পদের প্রতি একটা আকর্ষন সম সময়ই ছিল। ১৯১৪ সালে বৃটিশ ইন্ডিয়ান এক্সপিডিশনারি ফোর্স –ডি ইরাকের দক্ষিন অংশে অবতরন করে এবং বসরা নগরী দখল করে নেয়। কুতে ( Kute)তাদের পরাজয়ের কারনে ইরাকের কেন্দ্রস্হলে তাদের বিজয় কিছুটা দেরি হয়। তথাপী বৃটিশ সেনারা ১৯১৭ সালের মধ্যেই তুর্কিদের কাছ থেকে সমস্ত অঞ্চল দখল করে নেয়।
©somewhere in net ltd.