নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদাসিদে কথা কাজের ফাঁকে কিছু করা,ব্যস্ততার মাঝে যাকিছু ভাবি তাই লিখি।

HannanMag

শিক্ষাজীবন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজতত্ত্ব বিভাগে। অনেকপরে আবার একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম,বি,এ,করি। ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে কর্মজীবনের শুরু। উন্নয়ন সংস্হায় প্রথম কাজ করি। এই সময় দেশের বিভিন্ন স্হানে ঘুরাঘুরির সুযোগ হয়। দেশের মানুষ ও প্রকৃতির রঙ, আর বিচিত্র পেশার মানুষে সাথে দেখা হয়। অতঃপর পোশাক শিল্পে কাজ করি। ২০০০-২০০৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম। ২০০৪ সালে আবার ফেরৎ আসি আমার প্রাণের কর্মক্ষেত্র পোশাক শিল্পে। সেই থেকে আজ অবদি কাজ করছি এখানে। বিচিত্র অভিজ্ঞতা, নানান দেশে ভ্রমণ করি। কাজের ফাঁকে পড়ি। মন চাইলে লিখি। ভাষার দক্ষতা তেমন নেই। চেষ্টা করছি ভাষা আয়ত্ত্ব করতে। কিছু বিচিত্র বিষয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। লেখার কাজে হাত দিয়েছি। দেশে দেশে পোশাকের বিবর্তন নিয়ে লিখছি। এই নিয়ে পড়াশোনা করতে ভালই লাগে। যাপিত জীবনের কথা, ক্লেদ, প্রেম অভিজ্ঞতা লেখব ভাবছি।

HannanMag › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঁদো বাগদাদ কাঁদো

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

কাঁদো বাগদাদ কাঁদো
------ এম, এ, জি, হান্নান
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; টাইগ্রিস নদীর
কিনারে তোমার জন্মস্হান;
খলিফা মনসুর মহান, বাগদাদ নামক
নগরের নামে যার নাম মহিয়ান।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের আধার এই নগরী,
অতীতের গৌরবের রাজধানী,
আজ ভূ-লুন্ঠিত,পদানত-রক্তস্নাত।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; ৭৬২ সাল
থেকে আজ অবদি কতইনা কল্প কথা,
রূপকথা, কতইনা বিজেতা স্বগৌরবে
রঁচিছে ইতিহাস,নতুন করে তোমার বুকে।
হালাকু, চেঙ্গিস-মোঙ্গল, মামলুক
অটোমান-ইরান, কতইনা জাতি –যোদ্ধা
করেছে অস্রবান তোমার বুক চিরে
রক্তের প্লাবন মিশেছে টাইগ্রিসের
জলছুঁয়ে পারস্য উপসাগরে।
শান্তির এই নগরী –দার আল ইসলাম
কবিতা, দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান
জ্যোতিসশাস্ত্র,গণিত,সংগীত, চিকিৎসা
সকল জ্ঞানের শাখায়-তোমার অবদান
থাকবে অম্লান; বায়তুল হিকমা
তোমার অপর নাম।।
ইউক্লিডিয় জ্যামিতিক বৃত্তাকার
প্রাচীর বেষ্টিত নগরীর নকশা
তোমার অলংকার, কালের পুরাণে
গাঁথা অতীতের চেয়ে আগুয়ান;
নিনেভা, উর, ব্যাবিলনের ভূমিতে
বাগদাদ এক নয়া নাম।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; বোমা, গোলা
গ্রেনেডের আঘাতে এখন এখানে
শুধুই রক্ত ঝরে; তোমার বুকে আজ
অমানুষেরা যুদ্ধ করে।
কবিতা এখানে বেমানান, দর্শন
বিলুপ্ত প্রাণীর মত অতীত;
সংগীতে সুর শোনা যায় কখনো –কখনো
কিন্তু বোমার আঘাতে তা এক
নয়া ব্যঞ্জনা রচে; বিজ্ঞানের চর্চা হয়
খুব বেশী-মানুষের প্রাণ সংহারে।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; মিদাদ পাশার
দ্রোহে ভেঙ্গেছে তোমার প্রাচীর কাঠামো,
সব হারিয়ে হয়েছে শুন্য তোমার
কেন্দ্র ভূমি –বিরান অকাতরে।
দু’হাত বাড়ায়ে প্রসস্ত বুকে যখনি
মেলেছ পাখা, শকুনিরা খামছে ধরেছে
তোমার ডানা।
১৯১৪-১৯৩২, ফিরিঙ্গিরা এসেছে
এখানে মানচিত্র হরনে;
নয়া দেশে নয়া বেশে-ইসরাইলের পাশে।
অতঃপর স্বাধীন ইরাকে
তোমার আদিপ্রাচীর লাগোয়া-কিছুটা
দক্ষিনে-সাদ্দাম বিষের পেয়ালা
ধরেছিল তুলে; মানুষ মেরেছে অকারনে
কারাদাদ মারিয়ামে।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; কেনানা
মৃত্যুর মিছিলে আজ আজরাইল
পতাকা নাড়ে; তোমার বুকে
হেনেছে পদাঘাত, পদাতিক,
অশ্বারোহী ও ট্যাংকের বহর, শব্দহীন
বোমারু বিমানের গোলার আঘাতে
করেছে ভেদ তোমার প্রাণের মন্দির।
ধ্বসেছে প্রাসাদ, মসজিদ, প্রার্থনালয়;
মৃত্যুর কোলে ঢলেছে নারী-পুরুষ
শিশু –বৃদ্ধ সকলই; কেবল পোড়া মাটি
আর লাশের গন্ধে বাতাস হয়েছে ভারী।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; কেনানা
তোমার বুকে দাঁড়িয়ে একদিন
শুধু বিউগলের করুন রাগিণী
শোনা যাবে –প্রহরে প্রহরে।
চোখের জলে নিবিয়ে দাও
তোমার অন্তর্দহন,ফোরাতের জলে
আর কত রক্ত প্রবাহ ঝরাবে ?
খলিফা মামুন আজো বুঝি কাঁদে?
কেনানা কান্নার বীজ বপণ
করেছিল সে নিজ হাতে।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; কেনানা
কান্নাই তোমার উৎসব, লাশ আর
লাশ, মৃত্যুর উপত্যকায় শুধু
লাশের রাশি। এইত সেদিন ২০০৩ সালে
রাতের আধাঁর ছেঁদিয়ে আলোর ঝলকানি
তোমার আকাশ জুড়ে ওঠিল ফোটে,
কেঁপে ওঠিল ভূতল,লাশের স্তুপে চাঁপা
পড়ল শিশুর ক্রন্দন-কান্না থেমে থাকেনি,
আজও কাঁদে শিশু প্রতিদিন, অবুঝ
শিশুর কান্নায় তোমার বাতাস বুঝি ভারী?
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; কেনানা
এখানে মৃত্যু আসে স্বশব্দে, শরীরে
বোমা জড়িয়ে-আত্মঘাতি রূপে;
স্বাভাবিক মৃত্যুর দাবি নিরর্থক, এখানে
বোমা ফোটে মসজিদে, স্কুলে, হাসপাতালে
ঘরের মেঝেতে-ঘুমন্ত মায়ের বুকে; যেখানে
নবজাতকেরা আশ্রয় খুঁজে, অবুঝ মনে।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; কেনানা
পাষণ্ড দানবেরা এখানে নৃত্য করে,
মৃত্যুর নৃত্য, ওরা তৃষ্ণার্ত –প্রসস্ত উদরের
ক্ষুদা- তৃষ্ণা মেটাতে রক্ত, মাংশ আর কিছু
কংকাল চাই; এখানে মৃত্যু আসে বাতাসে
নিঃশব্দে –গ্যাসের কুন্ডুলি পাঁকিয়ে;
ঘুম পারিয়ে মৃত্যুর ঘুম; কোন বেদনা ছাড়াই।
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও; কেনানা
তোমার কান্নার শব্দে যদি-ঘুমন্ত
পৃথিবী একদিন জেগে যায়; যদি
লাশেরা তাদের পোষ্টমর্টমের রিপোর্ট
পেয়ে যায়; যদি আগামী দিনে অনাগত
প্রজন্ম জানতে চায় তাদের পূর্ব পুরুষের
মৃত্যুর কারন, তবে কি জবাব দেবে?
কাঁদো বাগদাদ কাঁদো; তুমি জন্মের
নান্দনিকতা ভুলে যাও!!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

অন্ধকারে আলোর পথ বলেছেন: জাগো বাগদাদ জাগোঁ/ অসাধরন লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.