![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষাজীবন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজতত্ত্ব বিভাগে। অনেকপরে আবার একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম,বি,এ,করি। ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে কর্মজীবনের শুরু। উন্নয়ন সংস্হায় প্রথম কাজ করি। এই সময় দেশের বিভিন্ন স্হানে ঘুরাঘুরির সুযোগ হয়। দেশের মানুষ ও প্রকৃতির রঙ, আর বিচিত্র পেশার মানুষে সাথে দেখা হয়। অতঃপর পোশাক শিল্পে কাজ করি। ২০০০-২০০৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম। ২০০৪ সালে আবার ফেরৎ আসি আমার প্রাণের কর্মক্ষেত্র পোশাক শিল্পে। সেই থেকে আজ অবদি কাজ করছি এখানে। বিচিত্র অভিজ্ঞতা, নানান দেশে ভ্রমণ করি। কাজের ফাঁকে পড়ি। মন চাইলে লিখি। ভাষার দক্ষতা তেমন নেই। চেষ্টা করছি ভাষা আয়ত্ত্ব করতে। কিছু বিচিত্র বিষয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। লেখার কাজে হাত দিয়েছি। দেশে দেশে পোশাকের বিবর্তন নিয়ে লিখছি। এই নিয়ে পড়াশোনা করতে ভালই লাগে। যাপিত জীবনের কথা, ক্লেদ, প্রেম অভিজ্ঞতা লেখব ভাবছি।
ইথিওপিয়ার মানুষের জাতিতাত্ত্বিক ও ভাষাতাত্ত্বিক বৈচিত্রতা অনেক ব্যাপক। এই দেশটিতে নানান ভাষায় কথা বলা হয়ে থাকে। প্রদেশভিত্তিক আলাদা আলাদা সরকার স্বীকৃত ভাষা আছে। সারাদেশেও সরকারিভাবে একটি ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আগেই বলেছি ইংরেজি বহুল প্রচলিত ভাষা।কাজেই সাধারণ শিক্ষিত লোকের সাথে ভাব বিনিময়ের জন্য কোন প্রকার সমস্যা নেই। ভাষা আর জাতিস্বত্তার সম্পর্ক অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। একটিকে বাদদিয়ে আরেকটিকে আলোচনা করা যাবে না। বর্তমানে ইথিওপিয়ার সংবিধানে জাতিস্বত্তার বিষয়টিকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তোলে আনে, সংবিধানের শুরুতে জাতি, জাতিয়তা ও ইথিওপিয়ার জনগণ, এই কথা বলে তাদের নানান জাতির স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বর্তমানে ইথিওপিয়ার ৮০টির বেশি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যে এমন কিছু জাতির মানুষ আছে যাদের লোকসংখ্যা ১০০০০ চেয়েও কম। এই বহুজাতিক দেশটিকে প্রধান প্রধান জাতির ভিত্তিতে আঞ্চলিক –প্রাদেশিক কাঠামোতে বিভক্ত করা হয়। এই জন্য ইথিওপিয়াকে বর্তমানে বলা হয় এথনিক ফেডারেলইজম। আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণে জাতি গোষ্ঠীর প্রাধান্য দেয়া হয়।
আগামীতে অপেক্ষা করতে হবে এই কাঠামো কতটা কার্যকর তা দেখার জন্য। ইথিওপিয়ার প্রধান প্রধান জাতিগোষ্ঠিগুলো হল, ১) ওরোমো, ২) আমহারা, ৩) সোমালী, ৪) তিগরে, ৫) সিডামা, ৬) গারেজ, ৭) ওয়েলাইতা,৮) হাদিয়া, ৯) আফার, ১০) কিমান্ত। এই জাতিগোষ্ঠীর গুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি অনেক সম্বৃদ্ধ। হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা এই সব মানুষের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে নানা কাহিনী, গল্প, উপকথা। রাজনীতির কুচক্রে তাদের জীবন ইতিহাসে বদলেছে বার বার। তাদের ভাগ্যচক্রে লেখা ছিল বঞ্চনা আর শোষণ, নির্যাতন। ফলে তারা সংগ্রাম করেছে। ইতিহাস তাদের সাথে সুবিচার করেনি। এই কয়েকটি জাতির মানুষের কথা, পরিচয় এখানে উল্লেখ করা হল। বর্তমান ইথিওপিয়া একটি বহুজাতিক, বহু ভাষার মানুষের ঠিকানা।
©somewhere in net ltd.