![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/HaqueIsOne
প্রিয় ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান, আজ আপনার শুভ জন্মদিন। শুভেচ্ছা নিন। প্রকাশ থাকুক যে, শুভেচ্ছাটা আমি কেবল আপনাকেই জানাচ্ছি, আপনার উদ্ভাবিত হোমিওপ্যাথিকে নয়। কারণ সারা জীবন ধরে অনেক গবেষণা ও পরিশ্রম করে আপনি যে চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, আমি একে আদৌ চিকিৎসা বলে মনে করবার কোনো কারণ খুঁজে পাই নি। পৃথিবীতে মানবজাতির সবচেয়ে মারাত্মক শত্রু হচ্ছে জীবাণু। বাতাসে মাটিতে পানিতে ছড়িয়ে আছে কোটি কোটি জীবাণু। এগুলো নানাভাবে প্রবেশ করছে মানুষের শরীরে, মানুষকে মেরে ফেলছে। আপনি নিশ্চয়ই মানবেন, অ্যালোপ্যাথির হাতে এমন বহু মারণাস্ত্র আছে যা দিয়ে জীবাণুর চৌদ্দগোষ্ঠী ধ্বংস করে ফেলা যায়। অ্যান্টিবায়োটিক না থাকলে আজ পৃথিবীর জনসংখ্যা নিশ্চয়ই সাত শো কোটি হতো না। গড় আয়ূও থাকতো অনেক কম। জীবাণু মোকাবেলার ফলেই মানুষ ভালো করে বাঁচতে পারছে, বেশি করে বাঁচতে পারছে। কিন্তু হায়, আপনার অনেক সাধের হোমিওপ্যাথি একটা জীবাণুও মারতে পারে না। আপনার প্রবর্তিত পদ্ধতির কথিত চিকিৎসকেরা যা করেন, তাকে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। সে কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) হোমিওপ্যাথি থেকে মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।
হোমিওপ্যাথি নিয়ে দুনিয়ার বড় বড় পণ্ডিতদের মহা মহা বাণী আছে, সেসব বাদ দিয়ে আমি আমাদের দেশের ছোট এক লেখকের কথাই বলি। তাঁর নাম হুমায়ূন আহমেদ। তিনি বলতেন: “আমি দু’টা জিনিস বিশ্বাস করি না। এক. ভূত। দুই. হোমিওপ্যাথি।”
প্রিয় হ্যানিম্যান, শুনেছি শেষকালে আপনি গবেষণা করতে করতে ইসলামের কী এক মাহাত্ম্য খুঁজে পেয়ে মুসলিম হয়েছিলেন। অতি ভালো কাজ করেছেন। বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার হোমিওপ্যাথি ব্যর্থ হলেও এটা ব্যর্থ হবে না। এবং এটা যদি ব্যর্থ না হয়, তাহলে হোমিওপ্যাথিও পুরোপুরি ব্যর্থ হবে না। কারণ ইসলামের নবী বলেছেন: মানবকল্যাণের সকল চেষ্টাই পুরস্কারযোগ্য। যার চেষ্টা সফল হয়, সে পায় দ্বিগুণ প্রতিদান। যে সফল হয় না, সেও প্রতিদান পায় – মহৎ চেষ্টার জন্যে মহৎ প্রতিদান।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫
আবদুল হক বলেছেন: প্রাগৈতিহাসিক অনুমান অনুমানই। অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে ও পরে পৃথিবীর মানুষের স্বাস্থ্য ও গড় আয়ূর তারতম্যের হিসেবটা কষে দেখালে আপনার ধারণা বদলাতে পারতাম বলে মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
খইকাঁটা বলেছেন: জীবানু বিধংসী এ্যালোপ্যাথী ছিলনা এমন একটা সময়ে কিভাবে মানুষ বিশাল বয়স নিয়ে বেঁচে থাকতো, এ ব্যাপারে যদি একটু আলোচনা করতেন তাহলে হয়তো আগের বিশ্বাস থেকে সরে আসতে পারতাম।