নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক স্বপ্নদেখা ছবিভাল লাগে আকাশ বাতাসভাল লাগে সবি।

আব্দুল্লাহ আল তানিম

আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

আব্দুল্লাহ আল তানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের কী রংয়েই পরিচয়.?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০


ধরুন, কেউ একজন তার বাসাতে রং করালো কিন্তু সে তার বাসার ভিতরের আবর্জনা পরিস্কার করল না, নোংরা রাখল কেমন লাগবে আপনার? নিশ্চয়ই খারাপ। কিন্তু আরেকটু গভীরে ভাবুন। আপনি কী এ কাজ থেকে বিরত?
আপনি কী বাহিরের রংয়ে চিন্তিত নন? বর্তমান সময়ে মানুষ মানুষকে শুধুমাত্র রং দিয়েই বিচার করে থাকেন। এতে ফলাফল স্বরূপ ময়লা রংয়ের মানুষটার পরাজয় ঘটলেও দিনশেষে কেউই বিজয়ী হতে পারে না। বাইরের রং নিয়ে চিন্তিত মানুষগুলো খুব কমই ভিতরের কথা চিন্তা করেছে। তারা চাকচিক্য নিয়ে ব্যস্ত।
মেয়েদের দোষ ধরার জন্য কালো ত্বক যেন প্লাস পয়েন্ট । তারা মেয়ে তাই লাঞ্ছিত আর সে কালো তাই ঘৃনিত। এছাড়াও মেয়ের ত্বকে মেলানিনের আধিক্য পরিবারের অন্যতম চিন্তার কারণ (ঐ যে যদি বিয়ে না হয়) । শুধু কী এখানেই শেষ? না, চাকরির ক্ষেত্রে, সমাজে কিংবা ভাইবোনদের নিকট হতে সকল ক্ষেত্রেই ছোট হতে হয় একটি মেয়েকে আর কারণটা তার ত্বক। এছাড়াও মেয়েটিকে নানা ক্রিমের নাম বলেও তার কালো ত্বকের কটুক্তিতে পিছিয়ে থাকে না কেউ। শুধুমাত্র সামাজিকভাবেই নয় এর মাধ্যমে মানসিকভাবেও ভেঙে পরে একটি মেয়ে । যেখানে আফ্রিকার মতো এত উন্নত দেশে হাজার হাজার ব্র্যান্ডের ক্রিম থাকতে তারা এখনও জাতি হিসেবে কালো। সেখানে আমাদের দেশে বরপক্ষ প্রথমেই মেয়ের রং নিয়ে প্রশ্ন তুলে। হায়, যদি তারা ভিতরেও রং করতে পারত।
গায়ের রং ময়লাতে মোটেও দোষ নেই কারো। বরং এটি শরীরে থাকা কিছু রাসায়নিক পদার্থের ফলে হয়ে থাকে যা মেলানিন নামেও পরিচিত। এই মেলানিন ত্বকের অতি বেগুনি রশ্মিল প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে। এই রশ্মি ত্বকে প্রবেশ করে তৈরি করে ভিটামিন ডি। ফলে একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায়, যেসব অঞ্চলে যত তাপ বেশি সেসব অঞ্চলের লোকজন ততো কালো। এতে বোঝাই যাচ্ছে এতে ঐ ব্যক্তি নিজে কোনভাবেই রংয়ের জন্য দায়ী না। ক্রিম নিয়ে ক্ষণিকটা বলি।
ক্রিম কখনোই একটা মানুষকে কালো থেকে সাদা করতে পারে না তাই এ নিয়ে মাথা ঘামানো ঠিক ব্যর্থ চেষ্টা । তাছাড়া হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে যারা ময়লা ত্বকেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। বড় প্রমান নেলসন ম্যান্ডেলা যিনি তার জীবন শুধুমাত্র এজন্যই উৎসর্গ করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণপাতের বিরোধীতা করতে যেয়ে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ হতে দীর্ঘ সাতাশ বছর কারাবাসে থেকেছেন।
প্রতিটি মানুষ সমাজে প্রকৃতির নিয়মে বেড়ে ওঠে। সকলের সাথে তৈরি হয় ভালোবাসার সম্পর্ক, জন্মে মায়ার বন্ধন। সকলেরই উচিত পরস্পরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা কেননা শুধুমাত্র তার গায়ের রংয়েই প্রকাশ পায় না তার ব্যক্তিত্ব । পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্রতিটি মানুষই নিজ নিজ অবস্হানে সঠিক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.