নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই...
ফ্রান্সের কান শহরে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন নোয়াখালির যুবক রাসেল। শুক্রবার বাদ জুমা উবারভিলা বাংলাদেশ জামে মসজিদে জানাযার নামাযের ছবি এটি। আজ একই সময়ে ইস্তা বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদে কুমিল্লার আক্কাস নামক অপরজনের নামাযে জানাযা অনুষ্টিত হয়। তিনি দূর্ঘটনায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অন্যদিক গতরাতে মুন্সীগঞ্জের ফারুক নামের আরো এক বাংলাদেশি মৃত্যুবরন করেছেন। একই সাথে প্যারিসে তিনটি মৃত্যু সংবাদ এর আগে শোনা যায়নি!
সোনার বাংলার রেমিটেন্স যোদ্ধারা এভাবেই আত্নীয় পরিজনহীন প্রবাসে মৃত্যুবরন করছে! যারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও কষ্ট বুকে নিয়ে বলে ভাল আছি। বুঝতে দেয়না পরিবারের সুখের জন্য নিজের জীবনের সোনালী দিনগুলো তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে...
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম। দুই দশকে দেশের অর্থনৈতিক শক্তির বড় উৎস প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির পাঠানো রেমিটেন্স। গতমাসে প্রথমবারের মত ২৭ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন। বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতি এখন নেই বলে দেশের পরনির্ভরতাও নেই।
বাংলাদেশে এখনো প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ যেখানে দরিদ্রসীমার নিচে বাস করে সেখানে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় জীবন যাপন করছে। অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে যে প্রবাসী আয় সেই রেমিটেন্স যোদ্ধারা দেশে পা রাখলেই প্রথমেই হয়রানির স্বীকার হয় বিমানবন্দরে। অনেকের লাগেজ হারিয়ে যায়...
বৈদেশিক মুদ্রার দিকে সরকারের যেমন সুদৃষ্টি রয়েছে তেমনি প্রবাসীদের মর্যদা, হয়রানী বন্ধের বিষয়টিও রাষ্ট্রের দেখা উচিত।
গত ছয় বছরে প্রবাস থেকে যে ১৪ হাজারের অধিক অভিবাসীর লাশ দেশে গেছে তাদের দায় কেউ নেয়নি...
এম এ হাশেম, প্যারিস প্রবাসী সাংবাদিক।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০
হাশেম বলেছেন: উদাহরন দিতে চাইলে অনেক দেয়া যাবে। বিমানবন্দরে হয়রানীর বিষয়টি নতুন কিছু না, মানুষ বুঝে তারা হয়রানি করে। প্রবাসে মৃত্যু হলে অবশ্যই সরকারের করনীয় আছে।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীতে সবচাইতে নিকৃস্ট বাজে অপদার্থ তৃতীয় শ্রেনীর বিমানবন্দর হল ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর। দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট অদক্ষ অপদার্থ অযোগ্য অফিসার কর্মাচারীরা সব বিদেশে বাংলাদেশের সব এম্বেসী আর দুতাবাসগুলোতে থাকে।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
স্টেনটোরিয়ান বলেছেন: দূর্ঘটনায় মৃত্যু হলে সরকারের কি করনীয় সেটা একটু বুঝায় বলেন না! প্রবাসীদের হাত ধরে রাস্তা পার করা শেখাবে? মৃত্যু হলে মৃতদেহ দেশে পাঠানোর সবকিছুই দূতাবাস করে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৮
হাশেম বলেছেন: ৫০-৫৫ বার বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন অথচ লাশ কিভাবে পাঠানো হয় কার টাকায় মৃতদেহ দেশে পৌছায় সেই খবর আপনি জানেন না! শোনেন মৃত ব্যক্তির লাশের টাকাও আমরা প্রবাসীরাই দিয়ে থাকি। একেকটি লাশ পাঠাতে কত খরচ হয় জানেন? ৩৫০০ ইউরোর বেশি। অর্থ সংকট বা পরিচয়হীন অনেকের লাশ দেশে পাঠানো হয়না, প্রবাসেই দাফন হয়। বাংলাদেশের বিমানবন্দর শুধুমাত্র বিদেশ থেকে যেসব লাশ যায় তার হিসাব রাখে। বিদেশগামী শ্রমিকরা অনেকেই নিরক্ষর বা সামান্যই লেখাপড়া জানা। এতবার বিমানবন্দর ব্যবহারকারী হয়েও আসা যাওয়ায় আপনার চোখে এসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কোন সমস্যা/ভোগান্তি ধরা পড়েনা! বাংলাদেশ ব্যাংকের সিন্দুক ভরে গেছে বৈদেশিক মুদ্রায় তবুও লক্ষ লক্ষ যুবক দেশ ত্যাগ করে কেন? সমুদ্রে গিয়ে প্রস্রাব খেয়ে তৃেষ্টা মেটায় কেন? দেশে দেশে গনকবরে বাংলাদেশিদের কঙ্কালের খবর পাওয়া যায় কেন? এবিষয়গুলোর উত্তর কে দিবে? রাষ্ট্র কী এদের জন্য কিছুই করতে পারেনা সেই প্রশ্ন নিজেকে করেন, উত্তর পেয়ে যাবেন।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
স্টেনটোরিয়ান বলেছেন: ঢাকাবাসী : আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন। সংবাদপত্র প্রদত্ত তথ্যনির্ভর করে আজকাল কিছু বলা বা করা যায় না।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
স্টেনটোরিয়ান বলেছেন: আমি আপনার চেয়েও ভালভাবে জানি প্রবাসে মৃত্যু হলে কিভাবে কি হয়। আমার নিজের বন্ধুই মারা গিয়েছে এবং তাকে পাঠানোর যাবতীয় খরচ বহন করেছে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। প্রবাসী হতে হলে কতগুলো নিয়ম মানতে হয়। মুত্র খেয়ে নৌকা ভ্রমন করলেই প্রবাসী হওয়া যায়না। বিদেশে অবশ্যই হেলথ ইন্স্যুরেন্স করতে হবে, যেন বিপদের সময় অর্থনৈতিক সাহায্য পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে নির্দশনা দেয়া থাকে।অনেকেই সেটা করেনা আর বিপদে পড়লে সব দোষ রাষ্ট্রের। রেমিটেন্সের কথা বলছেন? দেশের অর্থনীতিতে অবদান অনুযায়ী সি আই পি মর্যাদা দেয়া হয়। মাসে ২০০ ডলার পাঠায় নিজেদের সব নিয়ম নীতির উর্ধে ভাবার কোন কারন নেই। বিমান বন্দর ব্যবহার করার সময় আমার সেখানে কর্মরত কর্মীদের কোন অব্যবস্থা চোখে পড়েনি। চোখে পড়েছে কিছু অসভ্য প্রবাসীদের নিয়ম নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানের প্রবনতা। নিয়ম অনুযায়ী ২০ কেজির জায়গায় ৩০-৩৫ কেজি নিতে চাওয়া। লাইনে না দাড়ানো, গ্রিন চ্যানেলে লাগেজ দিতে অনীহা, এয়ারক্রাফটের মধ্যে অহেতুক পায়চারী করে অন্যকে বিরক্ত করা, নিষেধ জেনেও টয়লেটে গিয়ে ধুমপান করা, অন্যের সিটে গিয়ে বসে পড়া, কেবিন ক্রুদের নির্দেশনা না মানা ইত্যাদি ইত্যাদি। যখন এসব নিয়ে ঝামেলা হয় তখনই আপনারা হয়রানীর কথা বলেন এবং রেমিটেন্সের দোহাই দেন।
আমার একজন আত্মীয়ের কথা বলি। ওনার বাবার অনেক ফসলী জমি আছে, পুকুর আছে। কিন্তু উনি বিদেশে যাবেন, সেখানে শেখদের ফরমায়েশ খাটবেন, মুত্র পান করে হলেও প্রবাসী হবেন। কিন্তু দেশে বাবার জমি চাষ করবেন না, কিংবা পুকুরে মাছ চায় করবেন না। কোন রাষ্ট্রের ঠেকা নাই এসব লোকের দায় নেয়ার। বিদেশে যাবার আগে বার বার দালালদের ব্যাপারে সাবধান করা হয়, তারপরও দালাল ধরে যেতেই মজা লাগে বেশি। যখন চিপায় গিয়ে পড়ে তখন রাষ্ট্রের দোষ। নিজেকে প্রশ্ন করে আমি যে উত্তর পাই তা হল, যে অসভ্য, তার সাথে অসভ্যের মতই ব্যবহার করা উচিত। এয়ারপোর্টে ঠিক তাই করা হয়। আপনি নিয়ম মানলে আপনাকে কেউ কোন ঝামেলায় ফেলবে না। আর নিয়ম না মেনে রেমিটেন্স এর দোহাই দিলে জামাই আদর করবে? আর লাগেজ হারিয়ে যাবার খেসারত এয়ারলাইনার দিবে। এ বিষয়েও নিয়ম আছে। চেকড ইন ব্যাগেজ হারালে আপনি ক্ষতিপূরণ পাবেন। হারায় সাধারনত কেবিন ব্যাগেজ, যে গুলো বিমানে ওঠার মুহুর্তে আপনার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। এখানেও আপনারাই দায়ী। নির্দিষ্ট মাপ থাকা সত্ত্বও বড় ব্যাগ নিয়ে কেবিনে আসেন, সেগুলো বিমানে ওঠার আগে এন্ট্রি ছাড়াই নিয়ে নেয়া হয়। হারানো লাগেজের কিছু বিমানে ওঠেই না, আর কিছু দেশে এসে চুরি হয়। আপনি ঘর খুলে ঘুমাবেন, চুরি হলে তার দায় রাষ্ট্রের। এটা মনে রাখবেন, আপনার জন্ম ৩য় বিশ্বের অসভ্য জনগনের রাষ্ট্র বাংলাদেশে, এদেশের সরকার সভ্য হবে এমন আশা করাটাই বোকামী। নিজে সতর্ক না হলে পদে পদে ভোগান্তি।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই...
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
স্টেনটোরিয়ান বলেছেন: দূর্ঘটনায় মৃত্যু হলে করনীয় কি? আর হয়রানী করার বিষয়টা আসলে পরিস্থিতি না দেখে বলাটা ঠিক না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫০-৫৫ বার বিমানবন্দর ব্যবহার করেছি, কখনও হয়রানী হতে হয়নি। ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স হতে দেরী হওয়া কিংবা লাগেজ পেতে সময় লাগাটাকে যদি হয়রানী বলেন, তাহলে সেরকম হয়রানী সবাইকেই কখনও না কখনও হতে হয়।