নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মভূমির সাথে কখনোই বন্ধন ছিন্ন করা যায়না। দূরে চলে আসলেও নাড়ির টানে আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে, ভালো থেকো প্রিয় বাংলাদেশ (দেশে যখন ছিলাম কাজ করেছি বিদেশীদের সাথে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে, বর্তমানে প্যারিসে, সংবাদকর্মী) hasem7@জিমেইল.কম ফেসবুক.কম/hasem

হাশেম

আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই...

হাশেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিবাসীদের সহায়তা করায় দায়ে ফ্রান্সে কৃষকের জেল !

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২২


ফ্রান্সের আলপাইন উপত্যকার অধিবাসী ৩৭ বছর বয়সী ফরাসী কৃষক কাদ্রিক হারু।
ফ্রান্স এবং ইতালি সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে শরনার্থীদের ফ্রান্সে প্রবেশে সহযোগীতার দায়ে আদালতে পাঁচ বছরের জেল এবং ত্রিশহাজার ইউরো অর্থ দন্ডে দন্ডের সম্মুখীন।

ইতালি থেকে আসা অভিবাসীদের স্রোত ঠেকাতে ফরাসী সরকার দুই বছর আগে বর্ডার নিয়ন্ত্রন শুরু করে।
হাজারো অভিবাসী তখন ইতালির সীমান্তবর্তী এলাকা 'ভান্তিমিলা' দিয়ে ফ্রান্সে প্রবেশে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। সড়ক ও রেল পথে দিবারাত্রি টহল পুলিশ ভ্রমনকারীদের থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই করত এবং অবৈধদের গাড়ি, ট্রেন থেকে নামিয়ে ইতালিতে ফেরত পাঠাত। তেমনি মুহুর্তে সীমান্তবর্তী আরেক এলাকা নীল সমুদ্রবেষ্টিত আল্পস পর্বত ঘেষা 'রয়া ভ্যালি' আটকে পড়া অভিবাসীদের ফ্রান্সে আসার বিকল্প প্রবেশদ্বার হয়ে উঠে।
কিন্ত একসময় পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পারে।

কৃষকের সমর্থনে শতাধীক কর্মী আজ নিস আদালতের সামনে সমাবেশ করে।
যুদ্ধ এবং দারিদ্র থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসীদের জন্য খাদ্য, আশ্রয় ও অন্যান্য সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে সে তার নাগরিক দায়িত্ব পালন করেছে বলে আদালতকে জানিয়েছে।

অভিবাসীর প্রবেশপথ রূদ্ধ করাকে রাষ্ট্রের মানবিক, নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বলে জানিয়েছে কৃষক কাদ্রিক হারু। প্রতিবাদসরূপ মুক্ত মানুষের চেয়ে চোখ, কান বন্ধ করে জেল হাজতে থাকা তার কাছে অধিকতর পছন্দ।


গত দুইবছর ধরে ফরাসী কৃষক হারু এবং এলাকার কিছু অধিবাসী অবৈধ শরনার্থীদের ফ্রান্সে প্রবেশে সহযোগীতা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা সহ আহতদের সেবা-শুশ্রূষা, ভাষা শিক্ষা দেওয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় পৌছে দেয়ার কাজ করেছে যা ফ্রান্সে আইন পরিপন্থী বলছে আদালত। এর আগেও হারু গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ফরাসী রেল কতৃপক্ষের জায়গার উপর অভিবাসীদের নিয়ে শরনার্থী ক্যাম্প খোলার অপরাধে।

কৃষক কাদ্রিক হারু বর্তমানে অভিবাসীদের প্রতি সংহতির একটি প্রতীক। যে গ্রামে হারু বসবাস করে গত নির্বাচনে সেখানকার অধিবাসীদের আশি শতাংশ ক্ষমতাসীন সোশ্যালিষ্ট পার্টিকে ভোট দিয়েছে। অভিবাসী সঙ্কটে বর্তমান সমাজতান্ত্রিক সরকারের অমানবিক প্রতিক্রিয়ায় এলাকার অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করে। অভিবাসীদের পক্ষে সংগ্রামের কারনে 'নিস মাতা' পত্রিকা পাঠক জরিপে ইতিমধ্যে কৃষক হারু'কে 'ম্যান অব দ্যা ইয়ার' ভূষিত করেছে।
অন্যদিক অভিবাসী বিরোধীরা হারুকে দস্যুর সাথে তুলনা করেছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: যুদ্ধ এবং দারিদ্র থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসীদের জন্য খাদ্য, আশ্রয় ও অন্যান্য সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে সে তার নাগরিক দায়িত্ব পালন করেছে বলে আদালতকে জানিয়েছে। ---- এই হারুরা আছে বলেই মানবতা বলে কিছু আছে।

অথচ এই সরকারগুলোই তাদের হীন স্বার্থে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় রত সেখানে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪২

হাশেম বলেছেন: হুম...
X(

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: so sad

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: #:-S যুদ্ধ থেকে বাচতে সাধারণ মানুষের নিরাপদ যায়গায় আশ্রয় লাভ করার অধিকার আছে- আমি না, বলেছেন, এঞ্জেলা ।

গত দুইবছর ধরে ফরাসী কৃষক হারু এবং এলাকার কিছু অধিবাসী অবৈধ শরনার্থীদের ফ্রান্সে প্রবেশে সহযোগীতা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা সহ আহতদের সেবা-শুশ্রূষা, ভাষা শিক্ষা দেওয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় পৌছে দেয়ার কাজ করেছে।

যুদ্ধ লাগলে কেউ বৈধ অধিবাসী হয়ে অন্য কোন রাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে পারে না। তখন দৌড়ের উপ্রে থাকতে হয়। এর বাস্তব উদাহরণ, আমাদের মুক্তি যুদ্ধের সময় আমাদের শান্তিকামী জনগন ভারতে অভিবাসী হওয়া। তখন কিন্তু কেউ বৈধ হয়ে ভারতে যায়নি।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপিলে সে জয়ী হবে।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৪

পবন সরকার বলেছেন: তার জন্য দুঃখ লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.