নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন পরাজিত ভবঘুরে মানুষের কিছু নিজস্ব কথা

ভবঘুরে হিমু

আমার অনেক ইচ্ছে করে একসাথে অনেক কিছু হতে । আমি যখন নাইনে পড়ি তখন খেলোয়াড় হওয়ার ভুত মাথায় ছিল । পারলাম না হতে । ফলস্বরূপ পরীক্ষায় করলাম খারাপ । যাই হোক টেনেটুনে উঠলাম কলেজে । শুরু হল রাজনীতি করা । তখন পুরোপুরি ভাবে সিদ্ধান্ত নিলাম রাজনীতিবিদ হব । সত্যি বলতে আমার রাজনীতি করার মত সাহস নাই । ( সবাইকে তাই মুখে বলি , রাজনীতির বেহাল দশা দেখে রাজনীতি থেকে অবসর ) । এরপর আসল লেখক হওয়ার ইচ্ছা । কিছুদিন চলল লেখালেখি । আমিই লেখি আর আমিই পড়ি । আর কেউ নাই । তাই হতাশ হয়ে দিলাম ছেরে । এরপর ফিল্ম ডিরেক্টর । ফিল্ম তো বানাতেই পারলাম না উল্টো কিছু পয়সা নষ্ট । এরপর এবার আসল কবি হওয়ার ইচ্ছা । কবিতা লেখি আর খাতা শেষ করি । অজস্র ফাউল কবিতা । এইসব কবিতা পড়লে কোন আসল কবির হার্ট-এটাক ও হয়ে যেতে পারে । কিন্তু দিন শেষে আমি কিছুই হতে পারলাম না । কখনও হতে পারব কিনা তাও জানি না । কিন্তু এত কিছু হতে গিয়ে আমি নতুন একটা আউলা জিনিস হয়ে গেছি । তা হল - ভবঘুরে ( vagabond ) এবং আমি এখন একজন পঞ্চম শ্রেণীর ভবঘুরে .........!!!

ভবঘুরে হিমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারাগারে দুই রাজাকারের কাল্পনিক কথোপকথন

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮

কারাগারে গু আজম আর নিজামির কাল্পনিক কথোপকথন -



গু আজম - নিজামি তুমি দিন দিন শুকাইয়া যাইতেছ কেন ? রাতে ঠিকমত ঘুমাও না নাকি ?

নিজামি - হুজুর ঘুমামু কেমনে বলেন । টেনশনে তো ঘুম হারাম হইয়া গেছে ।

গু আজম - এত টেনশন নিতাছ কেন ? টেনশনের কিছু তো নাই । জন্ম যখন নিছ এক সময় মরতে তো হবেই । কি বল , ঠিক বলি নাই ?

নিজামি - হুজুর আপনের তো এক পা কবরে আগেই জাইয়া রইছে । আপনে তো এখন এই কথা কইবেনই । আমার তো আরও বেশি বাঁচনের কথা । আমি বয়সে আপনার ছোট ।

গু আজম - নিজামি তুমি তো দেখি কাফের মুনাফিক বেয়াদবের মত কথা বললা । জন্ম মৃত্যু সব আল্লাহর হাতে । তুমি আমার থেইকা বেশি নাও তো বাঁচতে পার ।

নিজামি - ভুল হইয়া গেছে হুজুর । ক্ষমা দেন ।

গু আজম - এখন বল দেশের কি অবস্থা ? আমাদের পোলাপান নাকি মসজিদের ভিতরে আগুন দিছে ?

নিজামি - জি হুজুর ।

গু আজম - মসজিদে আগুন দেয়াটা ঠিক করে নাই । আমাদের মেইন ইস্যুই হচ্ছে ধর্ম । সেইখানে আমরাই মসজিদে আগুন দিলে কেমনে হবে । দেখ তো কোনমতে দোষটা শাহবাগের বিচ্ছু গুলার ঘাড়ে চাপান যায় নাকি ।

নিজামি - সম্ভব না হুজুর । আমরা তো সবাই ভিতরে । বাইরে থাকলে চেষ্টা নিতাম । বিচ্ছু সাংবাদিক গুলা সব ভিডিও কইরা রাখছে ।

গু আজম - পতাকাও নাকি পুরাইছে ?

নিজামি - জি ।

গু আজম - আহ শান্তি পাইলাম । পতাকা আবার কি ? এই দেশের একটাই পতাকা । তা মহান পাকিস্তানের ।

নিজামি - হুজুর । আস্তে কন । শাহবাগের মানুষ শুইনা ফেলতে পারে । শুনলে খবর আছে ।

গু আজম - আমি তো চাই ওরা শুনুক । তুমি একটা সংবাদ সম্মেলনের ব্যাবস্থা কর । আমি ওদের সাথে একাত্মতা করতে চাই ।

নিজামি - কি বলেন হুজুর !!!

গু আজম - হুম । ৪২ বছর ধইরা পাকিস্তান ফেরত যাইতে চাইতাছি । কিন্তু পারতাছি না । ভাই- ভাবী মায়া কইরা আটকাইয়া রাখসে । কিন্তু আমি মরতে চাই পাকিস্তানে । মরুভুমির মাঝে আমার একটা কবর হবে । আমি চাই না বাংলার মাটিতে আমার কবর হোক । কিন্তু কেউ আমাকে যাইতে দেয় নাই । এখন এই পোলাপান গুলা সারাদিন চিল্লায় - " জামাত-শিবির-রাজাকার , এই মুহূর্তে বাংলা ছার " শুইনা আনন্দ পাই মনে । যাক এইবার মনে হয় পাকিস্তান যাওয়া হবে ।



নিজামি দাঁড়িয়ে গেছে ।



গু আজম - দারাইলা কেন নিজামি ?

নিজামি - হুজুর কথা একটু সংক্ষেপে বলেন না । বেশিক্ষন তো বসতে পারি না । পাছায় বিষফোঁড়া উঠছে । খুচরা পাপের ফল ।

গু আজম - নাউজুবিল্লাহ । অশ্লীল কথা বার্তা বল কেন নিজামি ? তুমি তো নাপাক হইয়া গেলা ।

নিজামি - এখন নাপাক হইছি কিন্তু পবিত্র তো হইতে পারুম । কিন্তু ভাবতাছি আসল পাপের ফল তো এখনো পাই নাই । পাইলে মনে হয় আর পবিত্র হওয়ার সুযোগ পামু না ।

গু আজম - তুমি তো দার্শনিক লেভেলের কথা কইতাছ । মৃত্যু চিন্তা ঢুকে গেছে মনে ।

নিজামি - পোলাপান গুলা বিচ্ছু কম না । ওরা সারাদিন ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই করলে মৃত্যু চিন্তা তো ঢুকবই ।



এমন সময় সেন্ট্রি এসে নিজামিকে বলে - নিজামি চোরা তোর সময় শেষ । পাছায় বাশ ডলার সময় হইছে । বাইরে আয় ।



নিজামি - হুজুর যাই । দেখি ফোঁড়াটা আজকে গালানো যায় কিনা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.