নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাদরীসের ব্লগ

শুধু তোমার জন্য প্রেমকে আমি পরিণত করেছি কবিতায়...!

নাদরীস

নেই তবু যা আছের মতো দেখায় আমরা তাকে আকাশ বলে ডাকি, সেই আকাশে যাহারা নাম লেখায় তাদের ভাগ্যে অনিবার্য ফাঁকি ! --নির্মলেন্দু গুণ

নাদরীস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারো উত্তাল জাবি ক্যাম্পাসঃ চিকিৎসা ব্যবস্থার অসারতায় এক ছাত্রের মৃত্যু

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫





জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৩৬ তম ব্যাচের মাওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র ‘মালেক” আজ সন্ধ্যার দিকে (৭.৩০) অসুস্থ হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিক্যালে তাঁকে সাময়িক চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকলে, সেখান থেকে তাঁকে সাভারস্থ এনাম মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন মেডিক্যালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ান আহমেদ। মালেকের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাম্বুলেন্স আর আসে না। এভাবে সময় যেতে থাকে, শেষে ডাক্তার রেজওয়ান উপাচার্য ডঃ আনোয়ার হোসেনকে ফোন করেন এবং জরুরী ভিত্তিতে মেডিক্যালে এম্বুলেন্স পাঠাতে বলেন। অবশেষে এ্যাম্বুলেন্স আসে এবং মালেককে এনামে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়। মালেককে নিয়ে এনামে পৌছার পর এনাম মেডিক্যালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানায় সে প্রায়মৃত, তাঁকে অনেক দেরীতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁকে যে সেবা দেয়া হয়েছিল তাও পর্যাপ্ত ছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই “মালেক” মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থার অসারতার জন্যই মূলত মালেককে প্রাণ দিতে হয়। মেডিক্যালের এ্যাম্বুলেন্সের আগমণে বিলম্ব এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মালেক প্রাণ হারিয়েছে এখবর সাধারণ ছাত্রছাত্রীর মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে যায়।



শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল মেডিক্যালের অবস্থার উন্নয়ন। তাই তাঁরা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতাই এই মৃত্যুর কারণ। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল ভাংচুর করতে আসলে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাঁদের বাঁধা দিতে আসে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাঁদের বারণ না শোনে মেডিক্যালে চরম ভাংচুর চালায়।



ইতিমধ্যে আরো শিক্ষার্থীরা জানতে পারে যে মেডিক্যালের চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না দেয়ায় এবং যথাসময়ে এ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার দরুণ মালেক নামক এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এখবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আরো ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসা ঘেড়াও করে, তাঁর বাসভবনের সামনে অবস্থানরত ৩টি গাড়ি ও একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করে (৯.১০)। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনাতেও হামলা শুরু করে।



তাঁরা একটি শ্লোগানে ক্যাম্পাস মুখর করে তুলে, “আমার ভাই মরল কেন? প্রশাসন জবাব চাই!”



ক্যাম্পাসের অবস্থা যখন এ পর্যায়ে ঠিক এই সময়ে কিছু বহিরাগত জনতা উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশ করে, এবং উত্তেজনাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। এরপর বহিরাগত জনতার এক অংশ উপাচার্যের বাসায় প্রবেশ করে লুটপাট চালায়। উপাচার্য এসময় ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছিলেন তাই তাঁকে কোন হামলার শিকাড় হতে হয়নি। রাত ১০.৩০ এর দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহিরাগত জনতার আরেক অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরী গেইটে অবস্থানরত দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং লুটপাট করে।



এভাবে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে রাত ১১ টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



ডেইরীর দোকানদারেরা জানায়, ক্যাম্পাসের মামাগো তো আমরা চিনি, এরা আমাগো কোন ক্ষতি করবো কে? বাইরেত্তে অনেকে আইছিল, এরাই আমাগো দোকান লুটছে।



জাবি উপাচার্য জানান, মালেকের মৃত্যুতে তিনি শোকাহত! আর ক্যাম্পাসের উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে বহিরাগত জামায়াত ও শিবিরের কর্মিরা ক্যাম্পাসে তাঁদের নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালিয়েছে। এদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে?



















মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

ইমন০০৭েবস্ট বলেছেন: আমার ভাই মরল কেন জবাব চাই জবাব চাই!!!! আমরা সবাই এক।।। আমরা সবাই বাংলাদেশী । আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি আমরা রক্ত দিয়ে সবকিছু আদায় করতে জানি!!!!!!!!!ধন্যবাদ আপনাকে!!!!!!!

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

নাদরীস বলেছেন:
ধন্যবাদ ইমন ০০৭ আপনি ঠিকই বলেছেন, এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না...
কাগজে-পত্রে শিক্ষার্থীদের মেলা সুবিধা আদতে নাই,
চিকিৎসা না পায়া মালেকরা মরলেও প্রশাসনের কোন করণীয় নাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.