![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা’ পার্টি আপনাদের জন্য, আপনাদের অংশগ্রহণে, আপনাদের দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা বাংলাদেশের আপামর জনতার জন্য আর তৈরি হয়েছি জনতার অংশগ্রহণ এবং সমর্থন নিয়ে। ‘বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা’ নের্তৃত্ব তৈরি করে, পাশাপাশি নের্তৃত্বই জাগ্রত জনতার মূল হাতিয়ার। সবসময়ের মতোই আমাদের বক্তব্য আমরা রাজনীতি করতে এসেছি আপনাদের জন্য। আমাদের আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি আপনারা। আমরা আত্মবিশ্বাসী; দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী আপনাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা বাস্তবায়ণ করতে পরবো আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো এবং সমান্তরালে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো একশো বছর সামনে, যেটা আপাতভাবে বর্তমানে অনেকের কাছে অকল্পনীয় বলে প্রতীয়মাণ হতে পারে। আমরা আপনাদের বলছি, আমরা আজগে যেটা ভাবি, পুরো বিশ্ব সেটা ভাবে এক বছর পর।
স্পষ্ট করে বলতে চাই কারো বিরোধিতা করবার জন্য আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা কারো সমালোচনা করতে চাইনা, আমরা কাউকে অপসারণ করতেও চাইনা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এবং আমাদের গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে আমরা মনে করি, আমরা নের্তৃত্ব দিতে এসেছি বাংলাদেশকে। আমাদের নের্তৃত্ব কেবল আমাদের সংগঠক, কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; আমরা মনে করি দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আমরা। আমরা কাউকে অপর বলিনা, আমরা কাউকে বিরোধী বলিনা। দলীয়ভাবে আমরা যেমন নের্তৃত্ব দোবো সবাইকে; একইভাবে সরকার গঠন করলেও আমরা নের্তৃত্ব দেবো আপামর জনসাধারণের বাংলাদেশ এবং তার জনগণদের। প্রচলিত মতধারায় ‘তুমি ওমুকের সমর্থক, সে তমুকের সমর্থক’ এধরনের মানসিকতা আমরা ধারন করিনা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব কিছুই ঠিক করা হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে। আমরাও তাই। তাই বলে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতাই নয়, যুগোপযোগী, প্রয়োজনীয় এবং গ্রহণযোগ্য যেকোনো মতকেই আমরা বিবেচনা করতে চাই। মানুষের মতামতের উপর আমাদের সহমর্মিতা সবার আগে। আমাদের কাছে যে কেউ যে কোনো মত প্রকাশ করতে পারে।
আমরা অহিংস মতাদর্শের। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমাদের দল কখনোই সহিংসতা প্রকাশ করবেনা। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ। সব ধর্মের মানুষের ধর্ম-কর্ম, ধর্ম চর্চা, ধর্ম প্রচারে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবো, সে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্য যেকোনো ধর্মই হোক না বা কেন। আমরা বিশ্বাস করি সর্বোচ্চ জনসমর্থন অর্জনে আমরা এগুবো টর্নেডোর গতিতে। ধর্মকে হেফাজত করবার জন্য অন্য কাউকে লাগবেনা; আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আমরাই হেফাজত করবো আপনাকে, আপনাদেরকে এবং ধর্মকে।
সবার সাথে আমাদের পার্থক্য এখানেই। সুনির্দিষ্ট আর স্পষ্ট করে বললে,
১. আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিটি পর্যায়ে শতভাগ গণতান্ত্রিক।
২. আর সবার মতো আমরা কারো কট্টর বিরোধী মনোভাবাপন্ন নই।
৩. আমরা অহিংস মতাদর্শের।
৪. রাজনীতির জন্য বা অন্য কোনো কারণে আমরা কখনো সহিংস হবো না।
৫. হরতাল, অবরোধের মতো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচী কখনোই পালন করা হবেনা।
৬. আমরা সামনে এগিয়ে যাবার জন্য অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করিনা।
৭. আমরা ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক।
৮. আমাদের নের্তৃত্ব সার্বজনীন।
৯. আমাদের নের্তৃত্বের ক্ষেত্রে সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বশিক্ষিত।
১০. আমাদের নের্তৃত্ব সৎ, সাহসী এবং উদ্যোগী।
১১. রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যয় নির্বাহের জন্য আমাদের দলের বিভিন্ন ধরনের বহুমুখী অর্থনৈতিক প্রকল্প বাস্তবায়ণাধীন রয়েছে।
১২. একমাত্র আমরা আমাদের কর্মী-সংগঠকদের বেতন-ভাতা প্রদান করবো এবং তাদের সকলেই কোনো না কোনোভাবে আমাদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রকল্পের সাথে জড়িত থাকবেন।
আসুন আর একটু বিস্তারিতভাবে আমাদের দলে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করা এবং আপনার সমর্থন প্রদানের পক্ষের যুক্তিগুলো জানুন।
রাজনীতি করবার জন্য সৎ, শিক্ষিত, সাহসী নের্তৃত্ব প্রদান করা এবং দেশের এবং রাজনীতির দায়িত্ব নিতে আগ্রহী প্রতিটি সৎ, সাহসী, শিক্ষিত এবং যোগ্য নের্তৃত্বকে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করবার জন্য আমরা প্রস্তুত এবং সেধরনের নীতিমালা আমাদের মেনিফেস্টোতে যুক্ত করছি আমরা।
আমাদের রাজনৈতিক নেতা, সংগঠক এবং কর্মীদের স্ব স্ব পদ অনুযায়ী বেতন কাঠামো প্রদান করা হবে।
আমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড, সিদ্ধান্ত, নের্তৃত্ব তৈরি এবং দলীয় পদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক এবং জনমতের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। দলীয় প্রধানের মেয়াদ চার বছর মেয়াদে নির্দিষ্ট এবং পরপর দুই মেয়াদে কেউ একই পদে বহাল থাকবেন না। পরিবার বা ব্যক্তিকেন্দ্রীতার বদলে একাধীক নের্তৃত্ব সামনে থেকে দলকে নের্তৃত্ব প্রদান করবে।
দলীয় সিদ্ধান্ত এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং দলীয় প্রধান পারস্পরিক আলোচনা এবং মতামতের ভিত্তিতে উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একক মতামতের স্থলে সামগ্রিক মতামতকে বিবেচনা করা হবে।
নির্বাচনের সময় মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাভুটি এবং সক্রিয়, শিক্ষিত, সৎ, অভিজ্ঞ প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে।
প্রবীণ, অভিজ্ঞ, দেশের প্রতিথযশা ব্যক্তিগণের সক্রিয় সমর্থন এবং প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এ পরিষদের যুক্তিযুক্ত, প্রাসঙ্গিক, যুগোপযোগী যেকোনো পরামর্শ, উপদেশ, সংশোধনী পরামর্শ দল সবসময় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
আপনার, আপনাদের, তোমার, তোমাদের, তোর, তোদের সবধরনের মতামতকে আমরা অগ্রাধীকার ভিত্তিতে গুরুত্ব প্রদান করবো। প্রতিটি স্বতন্ত্র্য মতামত আমাদের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবার মতকে আমরা প্রাধান্য দেবো সমানভাবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের উপর আপনারা আস্থা রাখতে পারেন এবং ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত, ও সমষ্টিগত সবধরনের মর্যাদা আমাদের কাছে সমান এবং সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনার প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানের ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর।
দেশের সামগ্রিক পরিবর্তনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ব্যতিক্রমী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক এবং মানসিক দৃঢ়তা রয়েছে আমাদের। আমরা তরুন - শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে। বয়স বিবেচনায় দীর্ঘ সময় ধরে দেশের জন্য আমরা কাজ করে যেতে সক্ষম। পাশাপাশি সৎ, মেধাবী এবং বুদ্ধিদীপ্ত নের্তৃত্বের মাধ্যমে সব ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে দেশ এবং জাতির জন্য যেকোনো ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ণে আমরা অন্য সকলের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করি আমরা। বাঙালি জাতিকে একতাবদ্ধ করবার দৃঢ় ব্রত নিয়ে আমরা এসেছি। মুক্তির স্বাদ পুরোপুরি আস্বাদনের জন্য আমরা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করবো। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের দেশপ্রেমিক। দেশপ্রেমিক বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে বলতে চাই বৃহত্তর স্বার্থে যেকোনো ধরনের বিভক্তিকে আমরা দূর করতে চাই। মনে রাখতে হবে আমরা বাংলাদেশের সন্তান। আমরা পৃথিবীর আর যেকোনো জাতির চেয়ে স্বতন্ত্র্য এবং আমাদের দেশকে ভালোবাসি। জাতি হিসেবে আমাদেরকে আমরা প্রমাণ করেছি, দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করতে চাই আবারো। এর জন্য চাই একতা, সম্মিলিত প্রয়াস এবং একক পরিচিতি। সবার সমর্থন নিয়ে এবং জনসমর্থন তৈরি করবার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদের সবধরনের বিভেদ ও বিভক্তি দূর করে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রতিষ্ঠা করবো আমরা।
আমাদের রাজনৈতিক চর্চায় আমরা বিরোধী দলসমূহের সমালোচনা কিংবা নিন্দা করতে আগ্রহী নই। ভালো সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করতে বা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং ‘জনঅহিতকর কর্মকাণ্ডের’ গঠনমূলক বিকল্প প্রস্তাব এর মাধ্যমে আমরা আমাদের মতামত প্রদান করতে আগ্রহী।
হরতাল, অবরোধ, জনভোগান্তি কিংবা দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এ ধরনের যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরা কখনোই করবোনা। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ কখনোই আমাদের দল করবেনা।
দলীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এবং অর্থসংস্থানে আমরা সম্পূর্ণভাবে আত্মনির্ভরশীল। দলীয় নেতা, সংগঠক এবং কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে আমাদের দলীয় নের্তৃত্বের অধীনস্থ অর্থকরী প্রকল্পসমূহে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো আমরা।
প্রতিটি উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে শিক্ষার বিকাশে এবং যুগোপযোগি শিক্ষার প্রসার এবং বিকাশের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষা প্রদান করার পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
আমরা প্রতিটি জেলায় প্রবীণ হিতৈষি এবং পথ ও পাথেয়হীন শিশু, নারী, কিংবা বৃদ্ধদের জন্য আলাদা আলাদা সংগঠন তৈরি এবং তাদের দেখভাল করবো।
প্রতিটি উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে আমাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যালয়সমূহে দাতব্য চিকিৎসালয় এবং ডিসপেনসারি স্থাপন করা হবে। এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে দরিদ্র এবং অসহায় মানুষ-জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং ওষুধ বিতরণ করা হবে।
ধর্ম পালনের সব ধরনের সুযোগ তৈরি করা হবে। ধর্ম প্রচারের জন্যও সব ধরনের সুবিধা প্রদান করা হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করা হবে। ধর্মের প্রেমের বাণী প্রচার করা হবে।
সবধরনের সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় মৌলবাদ, কুসংস্কার দূর করবার জন্য সর্বোচ্চ এবং সবধরনের জনসংযোগ করা হবে। সরকার গঠন করলে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে জনমতকে গুরুত্ব দেবার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় মৌলবাদ, কুসংস্কার বন্ধ করা হবে।
রাজনীতির ক্ষেত্রে সরকারের বাইরের দল হিসেবে আমাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা গঠনমূলক, ব্যাতিক্রমী এবং কল্যাণমুখী। আমাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্থাৎ আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সমসাময়িক সরকার এর সমান্তরালে আমরা একটি ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। এ ছায়া সরকার সরকারি অগ্রহণযোগ্য, দুর্বল, জন অহিতকর, ব্যয়বহুল যে কোনো সিদ্ধান্ত, কার্যক্রম, প্রকল্প, বাজেট এবং এ ধরনের সবধরনের কার্যক্রমের বিকল্প, যুগোপযোগী, গ্রহণযোগ্য কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত প্রদান করবে এবং কীভাবে এগুলো বাস্তবায়ণ করা যেতো তা জনগণের সমনে উন্মোচন করবে। সরকার কী করছে, আর আমরা সরকার গঠন করলে কী ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতাম সেটির জানান দেয়া এবং দেশকে সঠিক পথ দেখানোই আমাদের উদ্দেশ্য।
আরো বিস্তারিত তথ্য এবং কার্যক্রমের বিস্তারিত পরবর্তী সময়ের কিস্তিগুলোতে আমরা প্রকাশ করবো। সরকার গঠন করলে আমরা কী ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবো এবং কীভাবে আমাদের দেশকে এবং দেশের মানুষকে এগিয়ে নোবো এবং উন্নয়ণের অংশীদার করবো সেগুলো পর্যায়ক্রমে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে।
আস্থা রাখুন। সাহসী হোন। যোগ দিন। সমর্থন করুন।
বিজয় সুনিশ্চিত। জয় বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
অরণ্যতা বলেছেন: [email protected]
Delete my comment after viewing