![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের রাজনীতি, সামগ্রিক কর্মকাণ্ড এবং অন্যান্য সবধরনের সিদ্ধান্ত একান্তভাবে আপনাদের সহযোগে, আপনাদের প্রয়োজনানুযায়ী কেবলমাত্র আপনাদের জন্য। আমরা দেশে কল্যাণের ক্ষেত্রে, এবং দেশের প্রয়োজনে সবধরনের সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বদ্ধপরিকর এবং চূড়ান্তভাবে দেশের সামগ্রিক কল্যাণ এবং দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়া এবং গতিশীল করা আমাদের সার্বিক লক্ষ্য।
দেশ পরিচালনার জন্য চমৎকার কর্মপরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আমরা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও যোগ্যতা অনুসারে সর্বোচ্চ মেধার মূল্যায়ণ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, বিভিন্ন কৃষি এবং শিল্প উদ্যোগের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় পরিমাণ এবং ক্রমান্বয়ে উদ্বৃত্ত অর্থ উপার্জন করবার সুযোগ সৃষ্টি করবার ক্ষেত্রে এবং সঠিক পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুযোগ করে দেবার জন্য বিশ্বাসযোগ্য ক্ষেত্র।
আমরা দেশ থেকে সবধরনের দুর্নীতি, অপরাধ এবং অপরাধপ্রবণতাকে উৎখাত করবো। আমরা আইন মেনে চলতে প্রতিটি জনগণকে প্রস্তুত করবো, যার মাধ্যমে আমাদের নাগরিকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবার পাশাপাশি মেনে চলবেন আমাদের দেশের প্রচলিত আইন এবং ভঙ্গ করবেন না আইনের কোনো ধারা। সব ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে দৃঢ় এবং কঠোরভাবে।
আমরা কর্মঠ, সাহসী, শিক্ষিত, একতাবদ্ধ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যৌবনোদীপ্ত, গতিশীল, সৎ, পরিবর্তন প্রত্যাশী, উদ্যোক্তা, সংগঠক এবং সংস্কারক।
আমাদের গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ দেখে আমাদের সাথে রাজনীতিতে টিকে থাকবার জন্য বর্তমানে সক্রিয় প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের নের্তৃত্ব, কর্মকাণ্ড এবং গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন, সংস্কার এবং গতিশীলতা আনতে বাধ্য হবে নতুবা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাজনীতি থেকে অপসারিত হবে।
আমরা আপনাদের মতোই সাধারণ কাতারে থাকা জনগোষ্ঠী এবং আপনাদের আকুন্ঠ সমর্থন লাভ করে আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জয়যুক্ত এবং নির্বাচিত হয়ে আমরা বাংলাদেশে সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করবো; আমাদের সামাজিক অবস্থান, ভাবনা, প্রয়োজন এবং জীবন-যাপন সাধারণ এবং এক্কেবারে আপনাদের মতো; আমরা উচ্চশিক্ষিত এবং আমাদের নের্তৃত্বে সম্পৃক্ত নেতা-কর্মীরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক এবং/বা বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে স্বশিক্ষিত। আর এ কারণেই আমরা আপনাদের সমর্থন লাভের ব্যপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী এবং আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে আপনাদের স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটাবো আমরা। যুক্ত হোন আমাদের সাথে।
তারুণ্য আমাদের শক্তি। আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি আমাদের দেশের কয়েক কোটি তরুণ অমিত সম্ভাবনার দৃঢ়তাকে ধারন করে। আমাদের প্রতিটি তরুণ কর্মঠ, বুদ্ধীদীপ্ত, সৃষ্টিশীল, সৎ, পরিশ্রমী, বিজ্ঞানমনস্ক, আধুনিক মানসীকতাসমৃদ্ধ, সৃষ্টিশীল এবং গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী এবং সর্বোপরী দেশ এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করবার ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং উচ্চাভিলাষী। আমরা আমাদের অভিজ্ঞ প্রবীণদের মধ্যেও খুঁজে পাই তারুণ্যের দ্যূতি। দেশকে এগিয়ে নিতে চাওয়া, দেশের জন্য সৃষ্টিশীল কিছু করতে চাওয়া, দেশকে সমৃদ্ধশালী অবস্থায় পৌঁছে দেবার মানসিকতাসম্পন্ন এবং দেশকে নিয়ে ভাবা প্রতিটি যেকোনো বয়সী মানুষ তরুণ এবং তাঁরা আমাদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারন করার পাশাপাশি আমাদের পুরো তরুণ মানসিকতার মানুষদের জন্য আদর্শ এবং পথ প্রদর্শক। আমরা আপনাদের সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে অভূতপূর্ব সাফল্যগাঁথা রচনা করবো।
আপনাদের জানাতে চাই, আমাদেরকে সমর্থন করবার প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাবেন আপনারা। সর্বাগ্রে সর্বোচ্চ প্রযোজ্য কথাটি হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সবচাইতে ব্যতিক্রমী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি আমরা। আমাদের প্রথম এবং প্রথম বিবেচ্য জনগণ এবং আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি মানুষ এবং তাঁর সম্মান ও মর্যাদা আমাদের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে সবধরনের নাগরিক সুবিধা ভোগ করবার সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টি করে দেবো। আমাদেরকে সমর্থন করবার জন্য অবশ্যই আপনারা সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চাইবেন। আর সে ব্যাখ্যা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবার জন্যই আমাদের আজগের আলেখ্য।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথমত, নিজেদের শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করে আমরা আমাদের রাজনৈতিক দলের সূচনা করতে চলেছি। আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যয় বহন করবো আমাদের সংগঠক এবং কর্মীদের সম্মিলিত অর্জিত উপার্জনের মাধ্যমে। পাশাপাশি আমরা শুভানুধ্যায়ী এবং সুহৃদ চাঁদা গ্রহণ করি ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিকট থেকে। আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমান্তরালে বিদ্যমান রয়েছে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক বেশ কিছু ব্যাতিক্রমী কৃষি উদ্যোগ ও প্রকল্প। এধরনের প্রকল্প একদিকে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে সমৃদ্ধ করছে, একইভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে কৃষকের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য অর্থকরী কৃষি প্রকল্প শুরু করা, কৃষি প্রকল্পসমূহে আর্থিক ও শারিরিক অংশগ্রহণ এবং পরামর্শ প্রদান এ তিন উপায়েই সহায়তা প্রদান করবার মতো অবস্থা এবং আত্মবিশ্বাস দান করেছে আমাদের। এটি নিকট ভবিষ্যতে (খুব দ্রুত) একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হবে গ্রামীণ অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। প্রথমে আমরা বেছে নিয়েছি একটি গ্রাম। এ গ্রামটিতে আমরা ‘দারুচিনি চাষ’ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। তিন বছরের মধ্যে এ প্রকল্প থেকে অভাবনীয় অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হবে এবং বাংলাদেশে কোনো কৃষি প্রকল্প (বর্তমানে বিদ্যমান অর্থকরী চা বা এধরনের আরো অনেক কৃষি প্রকল্প) এর অর্ধেক পরিমাণ অর্থও উপার্জন করতে পারেনি এখন পর্যন্ত। আমরা পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পটিকে বর্ধিত করবো এবং অন্যান্য মশলা চাষাবাদ শুরু করবো। পাশাপাশি শুরু করা হবে চা চাষ প্রকল্প। কৃষিজ অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ফলজ, ঔষধি বৃক্ষ, ডেইরি (গরু, ছাগল), পোল্ট্রি (ব্রয়লার এবং দেশি মুরগি, হাঁস), মাছ চাষ করা হবে আমাদের কৃষকদের নিজস্ব জমিতে সমন্নিত অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে। তাছাড়াও বিশুদ্ধ মিনারেল ওয়াটার প্ল্যান্ট, ধানের তুষের তেল, জলপাই তেলসহ ভোজ্য তেল প্রভৃতি ব্যাবসায়িক প্রকল্পও শুরু করা হবে কৃষক-জনতার ভাগ্যোন্নয়ণের জন্য; কৃষক-জনতাকে সম্পৃক্ত করবার মাধ্যমে। আমাদের কাছে কৃষকদের জন্য সমবায়নির্ভর এরকম আরো কিছু পরিকল্পনাধীন কৃষি প্রকল্প আছে যার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি কৃষককে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১৫-৩০ হাজার টাকা উপার্জনক্ষম কৃষকে পরিণত করতে পারি (বিস্তারিত পরিসংখ্যান পরবর্তী সময়ে উপস্থাপন করা হবে পর্যায়ক্রমে)। বর্তমানে প্রতি মাসে ১.৫/৩/৪ হাজার টাকা উপার্জনকারী আমাদের প্রান্তিক কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নে এধরনের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন এখন পর্যন্ত কেউ পরিকল্পনা করেননি, এমনকি অনেকের কাছে এটির বাস্তব ভিত্তিও অকল্পনীয় ঠেকতে পারে। আমরা প্রথমে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। ক্রমে ক্রমে আমরা এধরনের কৃষি প্রকল্প বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছিয়ে দিতে চাই।
এসব কৃষি উৎপাদনমুখী প্রকল্পের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে আছে উৎপাদিত কৃষিপণ্যসমূহের বিপণন। কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লোকসান এড়াবার জন্য এবং এ প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্ত্বভোগকারীদের অনাহুত প্রবেশ ও অর্থ উপার্জনকে রোধ করবার জন্য আমরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং গ্রামগুলোর কাছাকাছি থাকা শহরগুলোতে বসবাসকারী শহুরে জনগোষ্ঠীদের সমন্বয়ে একটি বণিকগোষ্ঠী তৈরি করবো যাদের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা শহরে একটি করে ‘চেইন শপ (সুপার শপ)’ স্থাপন ও পরিচালনা করা হবে। সরাসরি কৃষকদের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য তুলনামূলক কম দামে ক্রেতারা কিনতে পারবে এসব বিপণীকেন্দ্র থেকে। এসব পণ্যে থাকবে ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত সংরক্ষণকারী উপাদানমুক্ত সতেজ সামগ্রী পাবার নিশ্চয়তা। অন্যদিকে গ্রামীণ কৃষক পরিবারে অর্থনীতিতে তুলনামূলক কম ভূমিকাপালনকারী নারী জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন ধরনের শিল্পসামগ্রী ও কুটিরশিল্প (নকশীকাঁথা, হস্তশিল্প, হাতপাখা, হুক্কা, খেলনা, শোপিস, উপহার সামগ্রী, পোষাক ও অন্যান্য নানাবিধ সামগ্রী) তৈরিতে প্রশিক্ষণ দান করবার পর তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলোকেও এসব চেইনসপসমূহের মাধ্যমে বিপণন করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এবং রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বৃহৎ পরিসরে কৃষকদের উদ্যোগে আমাদের রাজনৈতিক দলের ব্যবস্থাপনায় চেইনশপ স্থাপন করা হবে কৃষকদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে।
এর মাধ্যমে কৃষকরা হবেন আর্থিকভাবে লাভবান; পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান, পরিবর্তন হবে কৃষকসহ সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার, আসবে সমৃদ্ধি।
অর্থনৈতিক কৃষি প্রকল্পগুলোতে কৃষকদের পাশাপাশি থাকবে আমাদের অংশীদারত্ব, যা আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত মানুষজনের অর্থনৈতিক তথা অর্থ উপার্জনের বিষয়গুলোকে এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অর্থ সংস্থান এবং ব্যবস্থাপনাকে করবে একইসাথে সহজ এবং সাবলিল।
কৃষকদের উন্নয়ন এবং তাদেরকে উৎসাহিত করবার পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলা শহরে আমরা এক একর বা কাছাকাছি পরিমাণ জমিতে একটি বিপণন কেন্দ্র (মার্কেট), সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং আমাদের পার্টি অফিস স্থাপন করবো। এসব স্থাপনার সর্বমোট জমির ২৫ শতাংশ স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষ রোপণ করার মাধ্যমে পুরো অবকাঠামোটিকে পরিবেশবান্ধব করে তৈরি করা হবে। ৫ তলাবিশিষ্ট নির্মিত ভবনের আকৃতি হবে অর্ধচন্দ্রাকৃতির। এর মধ্যে অর্ধচন্দ্রের এর উত্তল অংশটির অবস্থান হবে পেছনের দিকে এবং সমতল অংশটি থাকবে সামনে। ভবনের সামনের অংশ ব্যবহৃত হবে বাণিজ্যিকভাবে এবং এটি ব্যবহৃত হবে বিভিন্ন ধরনের বিপণী বিতান, বাণিজ্যকেন্দ্র এবং সরকারী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস স্থাপনের জন্য। পেছনের তলাগুলোর মধ্যে নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলায় থাকবে ‘বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা’র পার্টি অফিস। তৃতীয় তলায় আমাদের পার্টির উদ্যোগে স্থাপন করা হবে পাবলিক লাইব্রেরি এবং পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হবে এ তলায়। চতুর্থ তলায় থাকবে কনফারেন্স রুম, রেস্টুরেন্ট, অডিটোরিয়াম এবং সিনেমা হল বা এধরনের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। পঞ্চম তলায় থাকবে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, এবং বাণিজ্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা সংক্রান্ত কার্যালয়। ভবনের মাঝখানের স্থানটি ব্যবহৃত হবে পার্টির বিভিন্ন মিটিং, সমাবেশসহ সবধরনের অংশগ্রহণমূলক কর্মকাণ্ডে।
আমাদের পার্টি অফিসে স্থাপন করা হবে একটি ‘চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র’, এবং একটি ‘ডিসপেনসারি’। এ চিকিৎসাকেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা জেলার দুঃস্থ এবং গরীব মানুষজনকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ বিতরণ করবো।
শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি ছাড়া কখনোই ভালোভাবে কার্যোদ্ধার বা কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা। এজন্যই আমরা আমাদের সংগঠক, কর্মী, সমর্থক এবং পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং অন্য রাজনৈতিক দলের সংগঠক, কর্মী, সমর্থকদেরও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা এবং পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করতে সহায়তা প্রদান করে অর্থ উপার্জনের পথ বাতলে দেবো।
আমরা আমাদের সমাজে হিজরা নামে পরিচিত জনগোষ্ঠীকে তাদের ভাসমান এবং মানবেতর জীবন যাপনের অবস্থার উত্তরণ ঘটানোর জন্য কাজ করবো এবং পুনর্বাসিত করবো। আমাদের বিভিন্ন কৃষি এবং ব্যাবসায়ী প্রকল্পে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হবে। তাদেরকে পড়া-শোনার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে এবং তাদের ইচ্ছা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন কারিগরি ও শিল্প সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি বা পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের স্থলে সম্মানজনক কাজে অংশগ্রহণ করিয়ে অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। তাদের মধ্য থেকে আগ্রহী এবং সম্ভাবনাময় প্রত্যেককে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হবে, তাদের মধ্য থেকে চিকৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবি, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক হবার সম্ভাবনা থাকা প্রতিটি ব্যক্তিকে সে সুযোগ প্রদান করা হবে।
আমাদের কাছে পতিতা নামে পরিচিত সমাজের সেইসব নিগৃহীতাকে আমরা দেহপোপজীবিনী বলি। তারা পতিতা নন। আমরা তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। তাদেরকে তাদের অন্ধকার জগত থেকে তুলে এনে আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগ, প্রকল্প এবং আমাদের মাধ্যমে পরিচালিত কার্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদান করা হবে। তাদেরকে আমাদের রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে প্রদান করা হবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা এবং তাদের নিরাপত্তা বিধান ও সুন্দর জীপন যাপনে আমাদের পার্টি সবধরনের সহযোগিতা দেবে। চেষ্টা করা হবে তাদেরকে এ পেশা থেকে সরিয়ে তাদের ইচ্ছানুযায়ী ভালো পেশায় সংযুক্ত করবার। তারপরও যারা স্বেচ্ছায় এ পেশাটিতে থাকতে চান তাদের চিকিৎসা, নিরাপত্তা এবং মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করবার জন্য আইনজীবি সমন্বয়ে আমাদের একটি দলীয় সেল থাকবে। আমরা শুনবো তাদের কথা এবং ভূমিকা পালন করবো তাদেরকে সম্মানিত জীবন যাপনের অংশীদার করবার।
দলীয় কর্মকাণ্ড এবং উপরে বর্ণিত কর্মযজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন পরিচালনার পাশাপাশি আমরা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা সংগঠক, কর্মী, সমর্থক এবং দলীয় উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রচলিত সাধারণ জনগণ সংশ্লিষ্ট মাধ্যম যেমন গার্মেন্টস, বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরী, শিল্প প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবহণ ব্যাবসা ও অন্যান্য ব্যাবসা, ব্যাংক, বীমা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো এবং এসব প্রতিষ্ঠানে আমাদের সমর্থন দানকারী এবং সাধারণ জনগোষ্ঠী হতে প্রয়োজনানুযায়ী মেধাবী, যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষজনকে চাকরি প্রদান করবো। আমাদের পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রতিটি কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী এবং এ প্রতিষ্ঠানসমূহের ভোক্তাগণের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবার সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করবো। স্থাপিত এসব প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা এবং সেসবের স্ব স্ব কার্যাবলী যেকোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা ছাড়া সম্পাদন করা হবে। একটি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন গতিশীল হওয়া উচিৎ, প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ভোক্তাদেরকে যে ধরনের সেবা প্রদান করা উচিৎ, প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া যেমন স্বচ্ছ হওয়া উচিত তার সবধরনের ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করবার পাশাপাশি সম্ভাব্য সবধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে বেতন কাঠামোকে যুগোপযোগী করা হবে। এসব করা হবে মূলত মডেল হিসেবে, যেমনটি হওয়া উচিৎ এবং কর্মী এবং ভোক্তদের সব ধরনের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করে তাদেরকে সন্তুষ্ট রেখেও যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থাপন করা যায় সেটি আমরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবো।
উপরে আলোচিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মূলত রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের কর্মযজ্ঞকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত আকারে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সামগ্রিক চিত্র এবং ব্যাখ্যা পরবর্তী সময়ে বিস্তারিতভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
সরকার গঠন করলে আমাদের মাধ্যমে গৃহীত কমসূচীসমূহ
সরকার গঠন করলে আমাদের কাছ থেকে দেশ, জাতি ও জনগণ পাবে সম্পূর্ণ নতুন এক বাংলাদেশ; সম্পূর্ণ নতুন শাসন ব্যবস্থা, নতুন সরকার, যেটি জনগণকে দেবে গতি, সমৃদ্ধি, শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি, নিরাপত্তা, এবং সহজ সাবলিল জীবন যাপন। আমরা নিশ্চিত করবো আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর। আমরা জনগণের সব মৌলিক চাহিদা পূরণকে করবো সহজসাধ্য এবং জনগণ খুব সহজে নিজেদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করবার পর তাদের অন্যান্য চাহিদগুলো মেটতেও সক্ষম হবে খুব সহজে আমাদের শাসন ব্যবস্থায়।
আমরা দেশের সব এবং সাধারণ মানুষকে অর্থ উপর্জনের সব ধরনের ব্যবস্থা করে দেবো; সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের এবং বেকারত্ব হ্রাস পাবে। রাষ্ট্রীয়, বেসরকারি, বহুজাতিক এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের বাইরে সাধারণ জনগণকে গড়ে তোলা হবে উপার্জনক্ষম করে, তাদের জন্য উপস্থাপন করা হবে সহজে বাস্তাবায়নযোগ্য অর্থকরী বিভিন্ন ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ প্রকল্প, সৃষ্টি হবে আত্মকর্মসংস্থানের।
দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। উদ্বৃত্ত খাদ্য মজুদ করার ব্যবস্থা করা হবে এবং বিদেশে রপ্তানী করা হবে। অন্যান্য অর্থকরী ফসল এবং পণ্যের ক্ষেত্রেও দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত পণ্য বিদেশে রপ্তানী করা হবে।
দেশে প্রযুক্তি এবং কারিগরিখাতে এবং অন্যান্য সৃষ্টিশীল এবং চাহিদানির্ভর সেক্টরে দক্ষ জনবল তৈরি করা হবে। প্রযুক্তি ও কারিগরি খাতে দক্ষ জনবলকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।
পণ্য ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করবার মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করা হবে।
দেশে দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে। দেশিয় উদ্যোক্তাদের বৈদেশিক রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাস করা হবে। বৈদেশিক রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশিয় বণিকদের বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পণ্যে জিএসপি সুবিধা আদায় করা হবে। অন্যান্য আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে শুল্কের পরিমাণ দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিবেচনায় দেশের অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক মহল, গবেষক, বিশেষজ্ঞ এবং বণিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সাথে আলোচনা করে সঙ্গতিপূর্ণ পর্যায়ে নির্ধারণ করা হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা, গবেষণা প্রতিটি ক্ষেত্রে মানোন্নয়ন ঘটানো হবে। শিক্ষক নিয়েগের প্রক্রিয়াটিকে দ্রুততর করবার জন্য এবং ভালোমানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ মেধা এবং যোগ্যতার বিষয়টিকে প্রাধাণ্য দেয়া হবে; শুধুমাত্র সাক্ষাতকার গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে সাক্ষাতকারের আগে একাডেমিক ফলাফল (প্রাপ্ত নম্বর), বিষয় সংশ্লিষ্ট গবেষণা, চাকরি ও অন্যান্য অভিজ্ঞতা, প্রকাশিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রবন্ধ বা গ্রন্থ, নের্তৃত্ব ও শিক্ষা বহির্ভুত কার্যক্রমের অভিজ্ঞতার আলোকে আলাদা আলাদাভাবে নম্বর প্রদান, সাক্ষাতকারের মাধ্যমে প্রদানকৃত নম্বর এবং ডেমো ক্লাসের মাধ্যমে আর একবার যাচাই ও নম্বর প্রদান করে সব নম্বরের সমষ্টির মাধ্যমে গড়কৃত সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থী হতে ফলাফল নির্ধারণ করে ক্রমানুসারে শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়াটিকে তুলে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিষয় বন্টন করা হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশ ভ্রমণে উৎসাহিত করা হবে এবং সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোর সাথে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করা হবে; যাতে একদিকে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- সম্পন্ন করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের বাস্তব কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতার সাথে যুক্ত করা যায়। পাঠ্যক্রমে তাত্ত্বিক বিষয়াবলীর প্রাধান্য কমিয়ে ব্যবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কারিগরি বিষয়ে অধ্যয়ণরতদের দেশের বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট কারিগরি সেক্টরে বাস্তব ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণাগার এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সুবিধা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা দূর করে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী ধারণক্ষম আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। গবেষণাখাতে সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টি করা হবে এবং এ খাতে অর্থনৈতিক বরাদ্দ সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। সফল এবং মানসম্পন্ন গবেষণাকর্মের জন্য পাবলিক-প্রইভেট পার্টনারশিপের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রবষণা প্রকল্পগুলোকে ট্যাগ করা হবে। বিদেশি মানসম্পন্ন বিশ্বদ্যিালয়গুলোর সাথে শিক্ষক-গবেষক বিনিময় চুক্তি করা হবে এবং শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ এবং গবেষণাগার সুবিধা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে শিক্ষক-গবেষকদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা এবং গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। বিদেশি গবেষকদেরও বাংলাদেশে গবেষণার সুযোগ করে দেয়া হবে। বিদেশি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকারের সাথে শিক্ষা ও গবেষণা বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরাল প্রোগ্রামে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য। ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন’কে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’ এ রূপান্তর করে আরো শক্তিশালী করা হবে এবং উচ্চশিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী এ কমিশনের আওতাভুক্ত করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শক্তিশালী করা হবে এবং পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (এইচএসসি পর্যায়) অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরগুলোকে শক্তিশালী করা হবে এবং এসব অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়গুলোর আন্তঃসম্পর্ককে জোড়দাড় করা হবে। ১ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কাঠামো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ৯ম থেকে ১২শ শ্রেণি পর্যন্ত কাঠামো মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন করা হবে। দুটি পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে করা হবে শক্তিশালী এবং সব পর্যায়ের শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি পর্যায়ে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। উভয় পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো বৃদ্ধি করা হবে এবং প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করে স্বতন্ত্র পদমর্যাদা নির্ধারণ করা হবে। ইতোপূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত কম শিক্ষাগত যোগ্যতার শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে নতুন কাঠামোর সাথে যুক্ত করা হবে। শিক্ষকদের চাকরির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে। সমান্তরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা এবং বেতন কাঠামোকেও বৃদ্ধি করা হবে।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রহণ করা হবে বিভিন্ন শিল্প উদ্যোগ। বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পসমূহ যেমন কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, পরিবহণ: গাড়ি, সাইকেল, মটরসাইকেল প্রভৃতি নির্মাণ কারখানা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি বেসরকারি শিল্প উদ্যোগকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হবে। পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের ক্ষেত্রে প্রদান করা হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে এধরনের পণ্য উৎপাদন করা হবে। আমাদের পক্ষে সম্ভব; কারণ আমাদের আছে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের শ্রমিক মজুরি কাঠামো। তুলনামূলক কম খরচে উৎপাদিত এসব পণ্য দেশিয় বাজারে বিপণনের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির সুযোগ করে দেয়া হবে।
দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা হবে। দুর্নীতির কারণে সরকারের কোষাগার বা সরকারি বা দেশিয় অর্থনীতিতে কোনো লাভ হয়না। বরং এর কারণে সরকার হয় কালিমালিপ্ত। এর সুযোগ গ্রহণ করে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি। এ কারণে সরকারিভাবে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা হবে। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে প্রদান করা হবে কঠোর শাস্তি। আর দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে যে কারণটি দুর্নীতি প্রবণতা তৈরি করে অর্থাৎ স্বল্প অর্থনৈতিক উপার্জনের কারণে দৈনন্দ্যিন চাহিদা পূরণের জন্য যে অতিরিক্ত অর্থের ঘাটতি এবং ফলস্বরূপ দুর্নীতির মহাযজ্ঞ, সেটিকে দূর করা হবে। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবিদের বেতন কাঠামো বৃদ্ধি করা হবে এবং চাকরিজীবিসহ সাধারণ জনগণের বৈধ উপায়ে আয় বৃদ্ধির সুযোগ করে দিয়ে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। সরকারের যে ক্ষেত্রগুলোতে দুর্নীতি ক্রিয়াশীল সেগুলো সম্বন্ধে আমরা সবাই ওয়াকিবহাল। সেসব প্রতিষ্ঠানে তদারকি বৃদ্ধি করা হবে, কাজের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ করা হবে, প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। অপরাধের জন্য যে অর্থ এর আগে ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করা হতো এবং অপরাধী পাড় পেয়ে যেতো; সেটিকেই অন্যভাবে জরিমানা হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে গ্রহণ করে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মরতদের মাঝে বন্টন করা হবে। অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে তাদের মাধ্যমে বেশ কিছু অর্থ উপার্জনকারী প্রকল্প শুরু করা হবে, যেগুলোর উপার্জন সে প্রতিষ্ঠানের সবাই নিজ নিজ যোগ্যতা ও স্কেল অনুযায়ী সমানুপাতে সুষম বন্টনের মাধ্যমে অর্জন করবে।
আইনের শাসন এর প্রয়োগ করা হবে। আইন ও বিচার বিভাগকে পৃথক করা হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোরভাবে সক্রিয় ও গতিশীল করা হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আইন মানতে জনগণকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করা হবে। আইনের প্রয়োগ এবং অপরাধের শাস্তি কার্যকর করতে যেকোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করা হবে। সেমিনার, সিম্পেজিয়াম এবং বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করে জনগণকে আইনের ধারা বিষয়ে, অপরাধ এবং অপরাধের শাস্তি বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা হবে।
জনগণের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সবগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে (পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনি, গ্রাম পুলিশ প্রভৃতি) বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দান করে সদা সক্রিয় রাখা হবে। তাছাড়া নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা, চুরি, ডাকাতি, চিনতাই, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, খুন, ধর্ষণ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, জেলা, এবং বিভাগে সবপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী, গণ্য-মান্য ব্যক্তি, তরুণ এবং যুবক, জনপ্রতিনিধি, ওয়ার্ড কমিশনার, মেয়র, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং এমপি সহযোগে একটি তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ কমিটি/সেল গঠন করা হবে যারা সর্বদা নিজ নিজ এলাকার জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সক্রিয় থাকবে। উল্লিখিত অপরাধসমূহ সংগঠনকারীদের প্রতিরোধ করবার জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা অ্যাপস তৈরি করে সবার হাতে পৌঁছে দেয়া হবে, যার মাধ্যমে অপরাধী যেই হোক না কেন, যেখানেই থাকুক না কেন, তাকে সনাক্ত করা যাবে এবং ধরা পড়ার পর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করবার ব্যবস্থা করা হবে। সবার সচেতনতা, সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শাস্তি প্রদানের দ্রুততা একদিকে অপরাধ প্রবণতা কমাবে অন্যদিকে সৃষ্টি করবে জননিরাপত্তা। চাই সবার সহযোগিতা, আমাদের সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবার জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে।
ঢাকা শহর অর্থাৎ রাজধানী এবং বিভাগীয় শহর এবং অন্যান্য বড় শহরে গড়ে ওঠা সব বস্তি উচ্ছেদ করা হবে। যেসব এলাকায় বস্তিগুলো গড়ে উঠেছে সেগুলোকে সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা হবে। এসব অধিগ্রহণকৃত জমিকে প্রাচীরবেষ্টিত করা হবে এবং সেখানে মোট জমির ৪০% অংশে ফলজ, বনজ, ঔষধি বৃক্ষ রোপণ করে বনায়ন করা হবে; ৩৫% জমিতে জলাশয় খনন করা হবে, এক প্রান্তে ১৫% জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বস্তির লোকজনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে এবং বাকি ১০% জমিতে পার্ক ও খেলার মাঠ স্থাপন করা হবে। তাই বলে সবগুলো বস্তির স্থানে বস্তিবাসীদের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হবেনা। অধিগ্রহণকৃত বস্তির জায়গাগুলোর মধ্যে কয়েকটি জায়গার মধ্যেই বস্তিতে বসবাসকারীদের জায়গার সংস্থান করা যাবে। অন্যান্য অধিগ্রহণকৃত জমিগুলোতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বাসা নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হবে উল্লিখিত একই ভূমি পরিকল্পনায় (প্রয়োজনে ভূমি পরিকল্পনা অল্প বিস্তর পরিবর্তন পরিবর্ধন করা যেতে পারে)।
ঢাকা শহরে স্থাপিত বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ কারখানা এবং অন্যান্য শিল্প কারখানাকে ঢাকার বাইরে স্থাপন করার নির্দেশনা প্রদান করা হবে। চাপ কমানো হবে ঢাকা শহরের। এসব করখানায় কর্মরত কর্মীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করবার জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ প্রদান করা হবে। তাছাড়া সরকারও পরোক্ষভাবে তাদের আবাসনের ব্যপারে সহযোগিতা প্রদান করবে। কারখানায় কর্মরত প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করবার ব্যপারে সরকার নীতিমালা করে দেবে এবং চিকিৎসা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্যও সুনির্দিষ্ট সরকারি নীতিমালা থাকবে।
‘গ্রামে চল’ কর্মসূচীকে উৎসাহিত করা হবে। প্রতিটি গ্রামকে উৎপাদনকারী এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক গ্রামে পরিণত করা হবে। গ্রামের প্রতিটি কৃষককে এধরনের উৎপাদনশীল কৃষি প্রকল্প প্রদান করা হবে যাতে করে তার মাসিক উপার্জন ১৫-৩০ হাজার টাকায় উন্নীত হয় (টাকার পরিমাণ বর্তমান সময়ের মানদণ্ডে উল্লেখ করা হয়েছে; সেসময় এর পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস)। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে থাকবে ধান, অন্যান্য রবিশস্য ও সবজি চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ, গরু লালন পালন ও দুধ উৎপাদন, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি প্রতিপালন, কবুতর পালন, বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষের চাষাবাদ, মশলা চাষ, চা চাষ প্রভৃতি। গ্রামীণ এ কৃষি প্রকল্পগুলো হবে সমবায়নির্ভর। এধরনের কৃষি প্রকল্পে গ্রামীণ জনগণকে সহযোগিতা করবে কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়, সমবায় অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সহযোগী অন্যান্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর এবং অন্যান্য সরকারি অফিসসমূহ। কৃষকদের উৎপাদনের বিপণনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। পাশাপাশি আমাদের দলীয় সহযোগিতাও সমান্তরালে বিদ্যমান থাকবে।
চাষাবাদের বাইরে গ্রামীণ নারীদেরকেও অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক বিষয়াবলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দেয়া হবে। তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন শিল্পপণ্য উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দেবার পাশাপাশি তাদেরকে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সন্তান লালন-পালন প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করবার জন্য শিক্ষা প্রদান করা হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
প্রতিটি এনজিওকে তাদের কর্ম এলাকায় অবস্থিত উপজেলায় একটি করে প্রাথমিক স্কুল পরিচালনা করা হবে এমন শর্তে অনুমোদন প্রদান করা হবে এবং ইতোপূর্বে অনুমোদনপ্রাপ্ত এনজিওগুলোকেও এ নীতিমালা অনুসরণ করার শর্ত আরোপ করা হবে।
বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের জাতীয় সম্পদ। বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি। আমাদের ভূখণ্ডের যেকোনো অংশে বসবাসকারী প্রতিটি জনগণ: পাহাড়ী আদিবাসী, সমতলের আদিবাসী, সমতলে বসবাসকারী প্রতিটি নাগরিক এক নামে পরিচিত। আমরা বাঙালি। চাকমা বাঙালি, মারমা বাঙালি, বঙ বাঙালি, সাঁওতাল বাঙালি সব সব্বার জন্য ভূখণ্ডের আইন সমান, ভূখণ্ডের সুযোগ-সুবিধা সমান। আমরা পাহাড়ে বসবাসকারী প্রতিটি বাঙালি জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সব ক্ষেত্রে আমরা সমান সুযোগ প্রদান করবো সব্বাইকে। আপনাদের বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতি, জীবনাচরণ, জীবনের প্রতিটি দিক আমাদের নিজস্বতা তৈরি করেছে, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছে; বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের স্থান করে দিয়েছে বৈচিত্রময় সংস্কৃতির দেশ হিসেবে অনন্য এক অবস্থান।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এবং বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বন্ধু ও ভাতৃপ্রতিম রাষ্ট্রের মর্যাদায় আসীন হবো। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং সমস্যাগ্রস্ত দেশগুলোতে আমরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবো। সেসব দেশে আমরা আমাদের বিভিন্ন এনজিও ভিত্তিক কার্যক্রমের হাত সম্প্রসারিত করবো। আমাদের অর্থনীতি এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী অভিজ্ঞ ব্যাক্তিবর্গ সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল প্রেরণ করা হবে সেসব দেশে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রদান এবং সেসবের বাস্তবায়ন করবার জন্য। পাশাপাশি আমরা আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর অনুষ্ঠান বা আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন করে এবং বিভিন্নভাবে ব্যয় সংকোচন করে সেসব থেকে অর্জিত অর্থ একত্রিত করে বছরে তিনবার করে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে তাদের জনগণের অংশগ্রহণে পিছিয়ে পড়া জনগণকে এগিয়ে নিতে পারে এবং অর্থ উপার্জনে সহায়ক এ ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প প্রদান করবো। সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সেসব দেশের সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করা হবে এবং বাণিজ্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হবে।
উন্নত বিশ্বের সাথেও আমরা আমাদের সম্পোর্কন্নয়ন বজায় রাখা হবে। এক্ষেত্রেও আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করবো। আমাদের বিশ্বাস আমরা আমাদের দেশকে শক্তিশালী অর্থনীতির উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবো এবং সমশক্তির দেশ হিসেবে আমাদের সম্পর্ক স্থাপিত হবে তাবত বিশ্বের সাথে।
আমরা আত্মবিশ্বাসী। আর আমাদের আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি আমাদের উন্নত এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, সাধারণ্যের কাতারে দাঁড়ানো আমাদের অসাধারণ নাগরিক সকল এবং আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং যুবা তরুণরা। আমাদের নারীরাও একইভাবে দেশে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা গর্বিত আমাদের নারীদের কর্মকাণ্ডে। আমরা মনে করি আমাদের জনগণ আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি। আমরা সবাই মিলে জাগ্রত, আমরা জাগ্রত বাঙালি এবং বাংলাদেশের প্রতিটি বাঙালির সম্মিলিত অংশগ্রহণে আমরা বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা। আমরা আপনাদের উপর পুরোপুরি আস্থাশীল। জয় বাংলা।
২| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৪৫
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: শেষের ২টা শব্দতেই বুঝে গেছি,
আমরা এমনেতেই অনেক উন্নতির মধ্যে আছি, এর বেশী উন্নতি সহ্য করতে পারবো না, দয়া করে আর উন্নতি কইরেন না, একটু অবনতি করেন, আমাদের দিকে চাইয়া একটু অবনতি কইরেন
০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
হিমরাজ ব্লগ বলেছেন: নিরব বাংলাদেশী, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে এবং আর সবাইকে বলতে চাই ‘জয় বাংলা’ কারো দখলে থাকা বা কারো বাপের স্লোগান নয়।
অনেকে মনে করতে পারে আমরা আওয়ামীলীগ ঘেঁষা কোনো দল। তাদেরকে বলছি, দয়া করে আমাদের অন্য লেখাগুলো পড়ুন, আপনারা স্বতন্ত্র্য এবং ব্যতিক্রমী আমাদেরকে জনতে পারবেন।
আসো পতাকাতলে। বিজয় সুনিশ্চিত। জয় বাংলা।
৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
সাধারন বলেছেন: চাকমা বাঙ্গালী,মারমা বাঙ্গালী সবাই বাঙ্গালী !!?
আপনাদের জাতীয়তাবাদের ধারনার সাথে দ্বি-মত পোষন করতে হচ্ছে। এই দেশে সবাই মুসলমান না আবার সবাই বাঙ্গালীও না,ঐক্য স্থাপন যদি উদ্দ্যেশ্য হয়ে তাকে তাহলে সবাইকে বাংলাদেশী হিসেবে
পরিচয় দিয়ে এক কাতারে নিয়ে আসতে সমস্যা কোথায়?
আপনাদের অন্যান্য পরিকল্পনাগুলো ভালো লেগেছে।যদিও আমরা ঘরপোড়া গরু,আশ্বাস পেতে পেতেই সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২৬
নিকষ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। একদিনে পড়া সম্ভব না - ইনস্টলমেন্টে পড়িব।