![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত যেকোনো রাজনৈতিক দল এবং তাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড সে রাষ্ট্রের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতীক এবং প্রকাশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, কলা, দর্শন, ভাবধারা, আদর্শ প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক দল এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। দেশের জনগণের চাওয়া পাওয়া প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে এবং সেসকল চাওয়া পাওয়া অর্জন সম্ভবপর করে তোলে রাজনৈতিক দল, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, তাদেরকে একত্রিত করে, সর্বসম্মুখে সেসব তুলে ধরে, কখনো জোর গলায় আওয়াজ তুলে, কখনো আন্দোলন-সংগ্রাম করে, কখনো বিপ্লব-বিদ্রোহের মাধ্যমে। যেমনটি যখন প্রয়োজন। যুগে যুগে, কালে কালে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক দলসমূহ তাদের মাধ্যমে সংগঠিত ও সংঘটিত কর্মসূচী ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘটিয়েছে বিপ্লব, করেছে বিদ্রোহ-আন্দোলন-সংগ্রাম, এনেছে স্বাধীনতা, দিয়েছে অধিকার, অর্জন করেছে স্বাধিকার। যেকোনো দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সরকার গঠন ও পরিচালনা সে দেশের স্বকীয়তা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ধারক, বাহক ও প্রতীক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি দল হিসেবে যেকোনো রাজনৈতিক দলের মাধ্যমেই একটি দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, আইন-কানুন, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক ব্যবস্থা, সমাজ, সংস্কৃতি এবং দেশের জনগণ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। রাজনৈতিক দলের হাত ধরে গঠিত সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতার ফলাফল হিসেবে বিশ্বের সমান্তরালে একটি দেশ হয় এগোয় অথবা পিছিয়ে পড়ে। সে অর্থে একটি জাতির ভাগ্যোন্নয়নের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে যেকোনো রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও ভূমিকা।
আমরা বাঙালি। বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য বৈশিষ্ট্যের সাহসী, আত্মমর্যাদাশীল, কর্মঠ, বুদ্ধিদীপ্ত, ধৈর্যশীল, মেধাবী, সৎ এবং অহিংস মানসিকতার প্রমাণ আমরা রেখে আসছি যুগ যুগ ধরে। কয়েক শতক ও সহস্রাব্দের ধারাবাহিকতায় আমরা এদেশে নিজেদের উন্নত সভ্যতা নির্মাণ করেছি পুরো বিশ্বের সমান্তরালে বেশ কয়েক হাজার বছর আগেই। আমাদের দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, অনুকূল পারিবেশিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেমন এখানে নগরকেন্দ্রীক সভ্যতা গড়ে তুলেছি; তেমনিভাবে এখানকার অনুকূল ভৌগোলিক আর্থ-সামাজকি-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অবস্থার কারণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষজন কালে কালে এ অঞ্চলে এসেছে, এখানে এসে এ অঞ্চলে বসতি নির্মাণ করেছে। কখনো বসতি স্থাপনকারী হিসেবে, কখনো শ্রমিক হিসেবে, কখনো বণিক হিসেবে, আবার কখনো কখনো শাসক হিসেবে। নিজের ঐশ্বর্যকে উজার করে ঢেলে দিয়ে সবাইকে আমাদের বাংলাদেশ ভূখণ্ড সবসময় দিয়ে গেছে অফুরন্তভাবে তার রত্নভাণ্ডার। আর এ রত্নভাণ্ডারে এসে এখানকার আতিথেয়তায় এবং এখানকার অনুকূল পরিবেশে স্থায়ী আবাস গড়ে থেকে গিয়েছে এখানে। আপন করে নিয়েছে এখানকার সংস্কৃতিকে। আবার বাহির থেকে নিয়ে আসা সংস্কৃতি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছে আমাদের সংস্কৃতিকে। কেবল ব্রিটিশ আর পাকিস্তানি শাসনামলে এখানকার সম্পদ পাচার হয়েছে খুব বেশি পরিমাণ। তারপরও আনুমানিক দুশো-সোয়াদুশো বছরকালব্যাপী সে শাসনামলেও বাংলাদেশ এবং বাঙালি সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। মানতে হবে এসময়েই পদ্ধতগিতভাবে বিজ্ঞান, ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, ভূগোল, সংস্কৃতি এবং সাহিত্য চর্চা শুরু হয়েছে; বিভিন্নভাবে, কখনো তাদের মাধ্যমে যাতে করে এ উপমহাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতিকে পুরোপুরি আত্মস্থ করার মাধ্যমে এখানে তাদের শাসনকে পোক্ত করা যায়, কখনো যৌথ অংশগ্রহণে, আবার কখনো আমাদের প্রথিতযশাদের মাধ্যমে, যারা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকে। পাশাপাশি আমরা পরিচিত এবং সমৃদ্ধ হয়েছি পর, অপর, নিপীড়ন, নিষ্পেষণ, উঁচু, নিচু, জাত-পাত, শোষণ, দাঙ্গা, জাতিগত বিদ্বেষ, বিপ্লব, বিদ্রোহ, আন্দোলন, সংগ্রাম, স্বাধীকার, স্বদেশ, মুক্তি, স্বাধীনতা এবং এ ধরনের আরো বিভিন্ন ধরনের কনসপ্টে, প্রক্রিয়া, কর্মকাণ্ড, কর্মযজ্ঞ এবং কার্যকরণ সম্বন্ধে যেগুলো একইসাথে অভিজ্ঞ এবং সমৃদ্ধ করেছে অন্যদেরকেও।
কয়েক হাজার বছর ধরে বাংলার আদি বসতি স্থাপনকারী জনগোষ্ঠী, এখানে বসবাসকারী আদিবাসীগোষ্ঠী, বাংলার সনাতন ধর্মাবলম্বী, এখানকার ভূমিজ সন্তান বা বাংলার বাহির থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, মুসলমান জনগোষ্ঠী; বহির্দেশীয় মৌর্য, শুঙ্গ, কুষাণ, গুপ্ত, সেন; বা দেশীয় পাল, চন্দ্র, বর্ম, খড়গ, রাত, নাথ, দেব; কিংবা বহির্দেশীয় সুলতানী, মুগল, পাঠান, ওলন্দাজ, পর্তুগীজ, ব্রিটিশ, পাকিস্তানী বা ভারতীয় উপমহাদেশভত্তিকি রাজবংশ এবং/বা শাসক এবং বণিক বা ঔপনিবেশিক জনগোষ্ঠী এবং তাদের সামগ্রিক সংস্কৃতির সম্মিলিতি রূপ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি আর বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী এবং জন্মসূত্রের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভ করা জনগোষ্ঠীর সবাই মিলে আমরা বাঙালি, যারা বিশ্বের বুকে একটি সমৃদ্ধ এবং অনন্য সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।
সাহসী, ব্যতিক্রমী, দেশ গঠনে প্রতিশ্রুতিশীল মানসিকতা ও আদর্শ ধারনকারী রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা’। বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শপুষ্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে আস্থা রাখার মতো একটি রাজনৈতিক দল এটি। আমাদের দেশে বসবাসকারী প্রতিটি বাঙালিকে, প্রতিটি মানুষকে আত্মবিশ্বাস প্রদানের জন্য এবং তাদের সাথে পরচিয় করিয়ে দেবার জন্যই আমাদের রাজনৈতিক দলের আদর্শ জনসম্মুখে তুলে ধরবার প্রয়োজন মনে করছি আমরা। আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবে আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হবার জন্য। সবচেয়ে বড় কথা আমরা আপনাদেরই সন্তান, ভ্রাতা, ভগ্নী এবং আত্মীয়। আপনারা এবং আমরা সহযোগে যেমন আমরা সবাই বাঙালি; ঠিক একইভাবে আমরা চির জাগ্রত, বাংলাদেশের জাগ্রত জনতা। যাদের রাজনৈতিক দলের নাম ‘বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা’।
কেন আমাদের আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে? কি জন্য বাঙালিদের জন্য প্রয়োজন এমন একটি রাজনৈতিক দল; যেটি দেশটির আমূল আর্থ-সামাজকি-সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটাতে চায়? কেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন প্রয়োজন? কেন বলা হয়ে থাকে, বাঙালি অধ্যুষিত বাংলাদেশ এর প্রতিটি ক্ষেত্রে সামগ্রিক উন্নয়ন প্রয়োজন?
আমরা নেতিবাচক মানসিকতার নই; আমরা নেতিবাচক কথা বলতে চাইনা। তবে রুঢ় বাস্তবতা হলো, আমাদের দেশের নেতৃত্ব আজ তথাকথিত ক্ষমতালিপ্সু, স্বল্পশিক্ষিত, পরিবারকেন্দ্রীক, দুর্নীতিপরায়ণ, এবং একই সাথে ভীরু ও সহিংস মানসিকতার নেতা-নেত্রী নামক জনগোষ্ঠীর হাতে জিম্মি। বর্তমান সময়ে আমাদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতা বা নিরাপত্তাজনিত ভীতি, উপার্জনের অভাব বা অর্থর ঘাটতি, প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ক্রমাবনতি, নিম্ন জীবনযাত্রার মান, জীবনযাত্রা নির্বাহের উচ্চ ব্যয়, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা ধরনের এবং নানামুখী সুবিধাহীনতা, উচ্চব্যয়, এবং প্রয়োজনীয় ও নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাধাগ্রস্ততা, দীর্ঘসূত্রীতাসহ নানামুখী সমস্যা, প্রয়োজনীয় যেকোনো দ্রব্যসামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে নকল ও ভেজাল পণ্য প্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা, খাদ্য সামগ্রীতে কীটনাশক ও স্বাস্থ্যহানিকর উপাদানের ব্যপক ব্যবহার সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের আপামর বাঙালি জনগোষ্ঠীকে যেমন একদিকে বীতশ্রদ্ধ করে তুলেছে, তেমনি দিয়েছে সুস্থ জীবনযাপনের নিশ্চয়তার ঘাটতি, নানামুখী স্বাস্থ্যহানি ঘটবার মতো সম্ভাবনা, আস্থাহীনতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা, এবং যুগের পর যুগ একই ধরনের নিপীড়নমূলক শাসনকে মেনে নেবার প্রবণতা, দেশে পরিবর্তন আসা সুদূর পরাহত এবং ভাগ্যের নিয়তি হিসেবে এদেশে বেঁচে থাকাকে একটি অভিশাপ মনে করা, এবং সুযোগ পেলে বা সুযোগ থাকলে পরবাসী হবার মানসিকতা। বিস্তারিত বলবার প্রয়োজন নেই; বহুবধি, নানামুখী সমস্যা আমাদের, আপনাদের সবার ঝুলিতে এত্তো বেশিবার ঘটেছে, এত্তো বেশি বিব্রত করেছে; আমরা সবাই ওয়াকিবহাল আমাদের সমস্যাগুলো সম্বন্ধে।
আর সমস্যা নয়, এখন প্রয়োজন সমাধানের। সজাগ হবার। সাহসী হবার। আর এ সমাধানের নেতৃত্ব দেবেন আপনারা, আমরা হবো আপনাদের সহযাত্রী। গ্রহণ করবো সহযোগী নেতৃত্বের ভার। আমরা নেতৃত্ব দিতে জানি। আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারেন অবিচল। আমাদেরকে জানুন। আমাদের আদর্শকে জানুন, আমাদের কৃত কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যতে গ্রহণ করা হবে এমন কর্মপরিকল্পনার সাথে পরিচিত হোন। এখানে আমরা আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো; জানাবো কেনো আপনারা আমাদেরকে সানন্দে বরণ করে নিতে পারেন সামনে থেকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবার জন্য।
আমাদের আদর্শ আর মূলনীতির ভিত্তি হিসেবে পালনীয় এবং ক্রিয়াশীল দর্শনগুলো হলো:
ক) কট্টর বাঙালি জাতীয়তাবাদ।
খ) অহিংসা।
গ) উচ্চশিক্ষা (সু এবং/বা স্বশিক্ষা)।
ঘ) প্রগতিশীলতা।
ঙ) ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী।
চ) বিজ্ঞানমনস্কতা।
ছ) দুর্নীতিবিরিোধী দৃষ্টিভঙ্গী।
জ) গণতন্ত্র ও সাম্যবাদ।
ঝ) প্রগতিশীল অর্থব্যবস্থা (ইসলামী-পুঁজিবাদী-সমাজতান্ত্রিক ভাবধারাপুষ্ট)।
ঞ) নারী-পুরুষ সমানাধিকার।
ট) পরম সহিষ্ণুতা এবং পরমত সহিষ্ণুতা।
ঠ) মানবতাবাদ ।
ড) গতি।
ঢ) সমবায়নির্ভর সমন্নিত কার্যক্রম।
ণ) কর্ম উদ্যোগ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৯
মোঃ শিলন রেজা বলেছেন: আপনার ভাবনা গুলা অসাধরন তবে কমন। এমন সবাই ভাবে তবে ক্ষমতা পাওয়ার পরে সব ভুলে যায়।