নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতি

চির উন্নত মম শির

হিমরাজ ব্লগ

চির উন্নত মম শির

হিমরাজ ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা: রাজনৈতিক ভাবনা, দর্শন ও মতাদর্শ (৪র্থ কিস্তি)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০২

জ) গণতন্ত্র ও সাম্যবাদ।

আমরা আমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড, কার্যক্রম, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে শতভাগ গণতান্ত্রিক। আমাদের নেতৃত্ব নির্বাচন, দলীয় প্রধানসহ অন্যান্য পদে পদায়ন পুরোপুরি গণতান্ত্রিক এবং সর্বোচ্চ জনসর্মথনের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গণসমর্থনের পাশাপাশি যেকোনো কর্মকাণ্ডে জনঅংশগ্রহণ শতভাগ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের দলীয় প্রধানসহ অন্যান্য পদের মেয়াদ চার বছর মেয়াদী এবং কোনো ব্যক্তি একই পদে পর পর দুই মেয়াদের বেশি না থাকবার বিধান রাখা হয়েছে আমাদের গঠনতন্ত্রে।



আমরা সাম্যবাদী। ‘সকলের জন্য সমতা’ আমাদের অন্যতম মূলনীতি। আমরা নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, উঁচু-নিচু, আশরাফ-আতরাফ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র, জাত-পাত, শিয়া-সুন্নী সবধরনের বিভেদ দূর করে মানবতা এবং সবার উপর মানুষ সত্য এই ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করবো। আমরা সবাইকে সমান সুবিধা প্রদান করবো। আমরা সবার জন্য সব ধরনের সুযোগসুবিধাকে সমানভাবে বন্টন করে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করবো।



আমরা যেমন গণতন্ত্রী আর সাম্যবাদী, তেমনিভাবে সমন্নিত জনমতের উপর আমাদের আস্থা এবং সমর্থন পুরোভাগে। একজন একজন করে সংগঠিত জনগণের প্রতিটি জনকে আমরা শ্রদ্ধা করি, বিশ্বাস করি। আমরা যেমন সমষ্টির উপর আস্থাশীল, ঠিক তেমনি আলাদা আলাদা প্রতিটি ব্যক্তিতেও আমাদের সমান আস্থা। গণতন্ত্রী হবার পাশাপাশি আমরা শিক্ষিত, সৎ, যুক্তিবাদী, অবিচল। আলাদা আলাদা করে সবার মান রাখার মাধ্যমেই আমরা সবার মান রাখবো, সবার চাওয়াগুলোকে পূর্ণতা দেবো। কথাটা এজন্য বলা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের বাইরে যেয়ে ‘সূর্যের চারদিকে পৃথিবী আর অন্য গ্রহগুলো ঘূর্ণায়মান’ এমন মত প্রচার করতে যেয়ে খ্রিস্টপূর্ব সময়ে চার্চ, প্রশাসনসহ জনরোষে পড়তে হয়েছিল একজন এরিসটারকাসকে। দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা যেমন জনমতকে প্রধান্য দেবো, একইভাবে প্রয়োজনবোধে একজন বা সংখ্যালঘিষ্ঠের যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য মতামতকেও গ্রহণ করবো আমরা।



ঝ) প্রগতিশীল অর্থব্যবস্থা (ইসলামী-পুঁজিবাদী-সমাজতান্ত্রিক ভাবধারাপুষ্ট)।

আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সামগ্রিক অর্থব্যবস্থা প্রয়োজনমাফিকভাবে ইসলামী-পুঁজিবাদী-সমাজতান্ত্রিক ভাবধারাপুষ্ট। অর্থনৈতিক মুক্তি এবং অর্থের সুষম বণ্টন ও জনগণকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ উপার্জনের সব ধরনের সুযোগ করে দেবো আমরা। আমাদের রাজনৈতিক ব্যয় নির্বাহের জন্যও আমাদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে বেশ কিছু লাভজনক অর্থনৈতিক প্রকল্প। আমরা আমাদের উৎপাদন এবং লভ্যাংশ সঠিকভাবে ব্যবহার এবং বণ্টনের ক্ষেত্রে সবসময় স্বচ্ছতা এবং সুষম বণ্টনের বিষয়টির প্রতি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমাদের অর্থব্যবস্থা পরিচালতি হয়ে থাকে ইসলামী-পুঁজিবাদী-সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার আলোকে। পাশাপাশি আমরা অর্থনীতি এবং অর্থব্যবস্থা সর্ম্পকে প্রচলিত ভুল ধারনাগুলো দূর করবার ক্ষেত্রে সোচ্চার এবং অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তিকে এ প্রচারণায় যুক্ত করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি।



তবে দৃঢ়ভাবে জানান দিতে চাই, আমরা ইসলামী মৌলবাদী নই, আমরা পুঁজিবাদী নই, আমরা সমাজতন্ত্রী নই। আমাদের এ তিনটি ভাবধারার যেকোনো একটির অনুসারী এধরনের মনে করবার প্রয়োজন নেই। কিংবা কারও এ ধরনের প্রচার চালাবারও দরকার নেই। আমরা জানাতে চাই বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য; আর এক্ষেত্রে নতুন কোনো মতাদর্শের দল হিসেবে আমাদেরকে বিবেচনা করতে পারেন, যাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর সেটি অর্জন করতে যে যে অর্থনৈতিক পন্থা অবলম্বন প্রয়োজন হবে, আমরা সেটিই গ্রহণ করবো।



ঞ) নারী-পুরুষ সমানাধিকার।

আমরা বাংলাদেশের জনগণ সর্বাগ্রে মানুষ এবং তারপর নারী, পুরুষ কিংবা উভলিঙ্গজন (হিজরা)। আমাদের দেশে আমরা নারী-পুরুষ-হিজরায় কোনো বিভাজন করিনা। আমরা সমানাধিকারে বিশ্বাস করি। আর দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের কাছে সমগ্র বাঙালির পাশাপাশি আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি জন সমান মর্যাদার এবং আলাদা আলাদাভাবে সবার সম্মান রক্ষা করবার ব্রত নিয়েছি আমরা। আমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড মানবতাকে এগিয়ে নেবার জন্য। আমাদের গৃহীত কর্মসূচী এবং আগামী কর্মকাণ্ডগুলোও মানুষ-জনকে করবে আত্মবিশ্বাসী, দেবে সমাজে সম্মানজনক অবস্থান। মানুষ হিসেবে আমাদের জনগোষ্ঠীকে তিনটি জিনিসে আমরা সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো। প্রথমত, শিক্ষিত এবং উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করে শিক্ষার প্রসার (কেবল পাঠ্য বইভত্তিকি শিক্ষা নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সবার জন্য, সব বয়সীদের জন্য- প্রত্যক্ষ, ব্যবহারিক, প্রয়োগিক এবং লাগসই, আমরা হাতে কলমে সবাইকে শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষিত করে তুলবো); দ্বিতীয়ত, অতিরক্তি ও উদ্বৃত্ত অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেবার মাধ্যমে সমৃদ্ধ অর্থনীতি; তৃতীয়ত, বহুমুখী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে মানুষকে কর্মঠ করে গড়ে তুলে সবধরনের কাজের উপযোগী কর্মক্ষম করে গড়ে তুলে সব কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি জনগোষ্ঠী। সমন্নিত ফল হিসেবে তীব্র আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান। আমাদের তাঁরাই সমাজে নারী পুরুষে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসবেন সর্বাগ্রে, পাশে থাকবো আমরা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.