![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতির অঙ্গণে আমাদের আগমনের প্রধানতম উদ্দেশ্যই হলো ‘বাংলাদেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি আর পরিপূর্ণ বিকাশ’। ‘দেশের সামগ্রিক রাজনীতিকে মানসম্পন্ন পর্যায়ে উত্তরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনের ক্ষেত্রে দ্রুগতিসম্পন্ন, সাবলিল, সাহসী, উদ্যমী, আত্মবিশ্বাসী রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে নেয়া’ রাজনীতির অঙ্গণে পদ সঞ্চালনে আমাদের আর একটি উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য। আমাদের রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী একদিকে জনগণের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করবে; অন্যদিকে আমাদের সামগ্রিক কর্মসূচীসমূহ দেশের জনগণের আর্থ-সামজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করবার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে।
দেশের রাজনীতিকে এগিয়ে নেবার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই অনুকূল ক্ষেত্র তৈরি করে নেবো। যাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজনীতি করবো, যারা আমাদেরকে সমর্থন দেবেন, যারা আমাদেরকে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভোট প্রদান করে সরকার গঠনে সহায়তা করবেন তাদেরকেও আমরা প্রস্তুত রাখবো আমাদের যুগান্তকারী দেশ পরিচালনায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রসর হবার মতো জনগোষ্ঠী হিসেবে। পাশাপাশি আমরা দেশের সর্বস্তরের জনগণের জন্য। দল মত নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি জনগণ আমাদের আস্থার নির্মাণ। আমাদের রাজনৈতিক দলের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক জনগোষ্ঠীসহ দেশের প্রতিটি জনগণ বাংলাদেশের নাগরিক, আমাদের ভাই-বোন এবং সর্বোপরি বাঙালি। আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারক এবং প্রতিটি বাঙালির জন্য আমাদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড নিবেদিত।
আমাদের কর্মপরিকল্পনা এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠার দিন থেকে সদা সর্বদা ক্রিয়াশীল এবং চলমান থাকবে। ২০১৭ সালে আমরা আত্মপ্রকাশ করবো আপনাদের জন্য। আর আত্মপ্রকাশের পূর্বে বর্তমান সময়ে আমাদের কথা বলা এবং প্রচার প্রচারণা ভিত্তি রচনা করছে আপনাদের জন্য আগমনী রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা’র। সে দলের কর্মী, সংগঠক, সমর্থক হবেন আপনারা। আমরা চলবো আপনাদের পাশাপাশি, আপনাদের জন্য, আপনাদের নির্দেশনা অনুসারে। আমাদের রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি আপনারা এবং আপনাদের জন্য এবং কেবল আপনাদের জন্য আমরা। আসুন, পরিচিত হোন আমাদের কর্মপরিকল্পনার সাথে।
সবার আগে আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই। এক্ষেত্রে আমাদের প্রধানতম কর্মউদ্যোগের জায়গা হলো শিক্ষা। আমরা আমাদের দেশের মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলবো। শিক্ষার বিস্তারে আমরা গড়ে তুলবো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ, উদ্যোগী, উদ্যমী যুবাশিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে শিশু, কিশোর, যুবক, মধ্যবয়স্ক কিংবা প্রৌঢ় জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা বিস্তার এবং সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবো। এজন্য দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হবে। আমরা আমাদের সাধারণ জনগণের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা প্রসারে সর্বাত্মক গুরুত্বারোপ করবো। পুরানা জিনিসকে নতুনভাবে কাজে লাগানোর জন্য আমরা ফিরিয়ে আনবো ‘সত্যাগ্রহ আন্দেলন’, ‘স্বদেশী আন্দোলন’ ‘ব্রতচারী আন্দোলন’ এর মতো চর্চাগুলোকে। আমাদের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীই সত্যবাদী, সত্যাচারী যাদের উপর আস্থা অর্থাৎ বিশ্বাস স্থাপন করা যায়; এক কথায় যাদের পরিচিতি আরবি প্রতিশব্দ আল-আমীন নামে। তারপরও অন্য যাদের মধ্যে অনৈতিকতার চর্চা রয়েছে সে জায়গায় সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মাধ্যমে জনসাধারণের নৈতিক অবস্থার উত্তরণে আমরা সহায়তা করবো। ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচার, প্রচারণা, জনসংযোগ, শিক্ষা প্রদান, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সৃষ্টি, ক্লাব বা বিভিন্ন যুব সংগঠনের মাধ্যমে কিশোর-তরুণ-যুবকদের দৈনন্দিন জীবনাচরণ, চিন্তা, চেতনা, মনন এবং কর্মকাণ্ডে সৃষ্টিশীলতা এবং গতিশীলতা আনয়ন করে তাদের সৃষ্টিশীল কাজের স্বীকৃতি এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রদান করা হবে।
২০১৭ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং ব্যপক জনসংযোগ করা হবে। এর মাধ্যমে জনমানসে পরিবর্তনের আভাস এবং আগামী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপরেখা এবং সে রূপরেখা অর্জনের পথগুলো বাতলে দিয়ে জনগণকে আগামী দশ বছরের করণীয় কাজের তালিকা প্রদান করা হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত এবং সামনের দিকে ধাবিত করা হবে।
সমসাময়িক সময়ে স্বদেশী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশিয় পণ্য ব্যবহারে দেশের জনগণকে উৎসাহিত করা হবে। দেশের মানুষ-জনকে দেশি পণ্য উৎপাদনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানানোর পাশাপাশি দেশি পণ্য উৎপাদনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। আমরা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, দীক্ষা, নির্মাণ, প্রযুক্তি, জ্ঞান, বিজ্ঞান, উৎপাদন, বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্বকীয়তা অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের উপর নির্ভরশীল হওয়ার যোগ্যতা রাখি। আমরা আত্মনির্ভরশীল হবার আত্মবিশ্বাসটিকে জাগিয়ে তুলবো। আমরা আমাদের অংশগ্রহণে, দেশের মানুষের উদ্যোগে স্বদেশী আন্দোলনে জাগিয়ে তুলবো আমাদের আমিত্বকে। আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বে উপস্থাপন করবো বাঙালির বাংলাদেশ হিসেবে।
ব্রতচারী আন্দোলনের মাধ্যমে জনমানসে নৈতিকতার বিকাশের পাশাপাশি জনগণকে কর্মক্ষম, সুস্থ, সাবলিল করে গড়ে তোলা হবে। ব্রতচারী আন্দোলন বৈশ্বিক পরিসরে আত্মিক ও সামাজিক উৎকর্ষ সাধনের একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের জনগণকে জ্ঞান, শ্রম, সত্য, ঐক্য ও আনন্দ এই পঞ্চব্রতে দীক্ষিত হয়ে চরিত্র গঠন ও দেশসেবায় আত্মোৎসর্গ করবার জন্য প্রস্তুত করবো। কঠোর ব্রত নিয়ে বাংলাদেশের কাজ করবার জন্য শক্ত দেহ, মুক্ত উদার মানসিকতা আর তরুণতার সজীব ধারা জীবনের মাঝে আনা হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞচিত্তে। আমরা প্রতিটি বাঙালিকে পণ করিয়ে নেবো, “আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি, আমি বাংলাদেশের সেবা করবো, আমি দেশের ব্রতচারী হবো”। ‘জ্ঞানের সীমা প্রসারণ, বনভূমি প্রবর্ধন, শ্রমের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি, সবজি-ফল উৎপাদন, আলো বাতাসের সঞ্চালণ, প্রতিপালিত প্রাণিকূলের যত্নআত্মি ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, পানির পরিশুদ্ধি নিশ্চিতকরণ, পরিপাটি জীবনাচরণ, ব্যায়াম এবং বিভিন্ন খেলা-ধূলায় অংশগ্রহণ, নারীর স্বাধীনতা ও মুক্তি নিশ্চিতকরণ, সৎপথে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ উপার্জন, শিল্পমানসের বিকাশ, সময়নিষ্ঠ জীবণাচরণ, সেবায় আত্মোৎসর্গ, দলগত ঐক্য বিনির্মাণ, আনন্দ উৎসবে লিপ্ত থাকা’ এ ষোলোটি ব্রতে ব্রতী করে আমরা প্রতিটি বাঙালির মধ্যে জাগ্রত করবো দেশপ্রেম আর লিপ্ত করবো আত্মবিকাশে। পাশাপাশি ব্রতী করা হবে অপচয় রোধ করতে, প্রগতিশীল হতে, নের্তৃত্ব অনুসরণ করতে, ত্যাগের মাধ্যমে আত্মোন্নয়ন, দেহ মন এবং কথায় নির্মল এবং বিনয়ী হতে, এবং আচরণগতভাবে দক্ষতা অর্জনে। নিষেধ করা হবে বিলাসী জীবন যাপনে, জগাখিচুড়ি কথা না বলতে, মেদ বৃদ্ধি না করতে, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ না করতে, আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় না করতে, বাধা বিপদে ভয় না পেয়ে নির্ভয় থাকতে, গর্বিত মনোভঙ্গী প্রকাশ না করতে, রাগ হলেও রাগের প্রকাশ না করতে, দুঃখ কষ্টেও হাসতে না ভুলতে, দেমাগ না দেখাতে, অসত্য মনোভঙ্গী বা মানসিকতা পালন না করতে, অপ্রীতিকর ও অশিষ্ট ফন্দী না আঁটতে, দৈব বা ভাগ্যে বিশ্বাস না করতে, কোনো কিছু অর্জন করতে যেয়ে সেটি কঠোরভাবে চেষ্টা করতে, কোনো কিছুতে বিফল হলেও মনোবল না ভাঙতে, ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বিরত থাকতে এবং কথা দিয়ে কথা না ভাঙতে। শিশুদের পালনের জন্য দেয়া হবে বারোটি ব্রত: ‘খেলা-ধূলায় সবসময় হাসিমুখ থাকা, সবাইকে ভালোবাসা, গুরুজনকে মান্য করা, লেখা-পড়া করে জানার পরিধি বৃদ্ধি করা, জীবে দয়াশীল হওয়া, সত্য কথা বলা, সত্য ও সৎ পথে চলা, নিজ হাতে জিনিস গড়ার অভ্যাস করা, ব্যায়াম করে শক্ত শরীর গঠন, নিজ দলের পক্ষ অবলম্বন, পরিশ্রম করতে শেখা এবং সদা সর্বদা হাসি-খুশি আর নাচ-গান করা’।
প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা সেসময়ের সমসাময়িক সরকারের সমান্তরালে একটি ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। সরকারের গৃহীত অবাস্তব, জন অহিতকর, রাষ্ট্রের স্বার্থ বিরোধী, ব্যয়বহুল, দুর্নীতিগ্রস্ত সিদ্ধান্ত বা প্রকল্পসহ অবাস্তব, অগ্রহণযোগ্য বাজেট বা অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সমান্তরালে প্রকৃত অর্থে কী ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ দরকার ছিল, সেটি উপস্থাপন করা হবে। সে সময়ে বিরোধী দলের দেশের স্বার্থ বিরোধী এবং দেশের জনগণের জন্য ক্ষয়-ক্ষতির কারণ হতে পারে এ ধরনের সিদ্ধান্তের স্থানে কী ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কর্মসূচী প্রদান করা উচিত সে বিষয়ে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং সম্ভাব্য গৃহীত কর্মসূচী উপস্থাপন করা হবে।
প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বছর থেকে জেলায় জেলায় দলের স্থায়ী কার্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করা হবে। সপ্তম থেকে দশম বার্ষিকীর মধ্যে আমরা দেশের প্রতিটি জেলায় আমাদের পার্টি অফিস স্থাপন করা সম্পন্ন করবো। প্রতিটি জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে ২ একর সমপরিমাণ বর্গাকার জায়গায় জ্যামিতিক চাঁদা আকৃতির/অর্ধচন্দ্রাকৃতির পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। বর্গাকৃতির সমতলের উপর এ ধরনের ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত ভবনের সামনে, পেছনে এবং চারপাশের অবশিষ্ট জায়গায় বিভিন্ন ফলজ, বনজ, ঔষধী এবং ভেষজ বৃক্ষ রোপণ করে ভবনটিকে করা হবে পরিবেশবান্ধব। মোট জমির পঁচিশ শতাংশ (২৫%) জায়গায় বৃক্ষ রোপণ করা হবে। চন্দ্রাকৃতি ভবনের সামনের দিকে অবস্থান হবে ভবনের সমতল/সরলরেখা অংশের; উত্তল অংশের অবস্থান হবে ভবনের পেছনের অংশে। আমাদের পার্টি অফিস স্থাপন করা হবে বক্রাকৃতির দালানের নিচ তলায়। মাঝখানের উন্মুক্ত স্থানটি ব্যবহৃত হবে পার্টির বিভিন্ন ধরনের মিটিং সমাবেশের জন্য। নিচ তলায় দলীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি থাকবে পার্টির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একটি বিনামূল্য চিকিৎসাসেবাকেন্দ্র। আরো থাকবে প্রধাণত দরিদ্রদের বিনামূল্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে স্থাপিত একটি ওষুধের বিপণীকেন্দ্র। দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হবে একটি বয়স্কশিক্ষাকেন্দ্র, একটি সমাজসেবাকেন্দ্র, একটি শিশুশিক্ষাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তৃতীয় তলায় স্থাপন করা হবে একটি বৃদ্ধাশ্রম। চতুর্থ তলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সমাজসেবামূলক সংগঠনকে কার্যালয় বরাদ্দ প্রদান করা হবে। পঞ্চম তলায় থাকবে একটি কনভেনশন সেন্টার এবং একটি রেস্টুরেন্ট। ভবনের ছাদে একটি মঞ্চ স্থাপন করা হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সিনেমা, নাটক, যাত্রা, পালা, গান প্রভৃতি প্রদর্শন ও আয়োজনের জন্য। মাঝখানের উন্মুক্ত স্থানেও সময়ে সময়ে, বিভিন্ন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ভবনের সামনের সমতল/সরলরেখা ভূমিপরিকল্পনার দালানে থাকবে বিভিন্ন বিপণীবিতান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস এবং এ ভবনটিকে ব্যবহার করা হবে ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে। যেখান থেকে অর্জিত অর্থ পার্টি অফিস সংশ্লিষ্ট ব্যয় নির্বাহে এবং নিম্ন জীবনযাত্রার জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ণের জন্য ব্যয় করা হবে।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আমাদের ইতোপূর্বে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোকে আরো বর্ধিত করা হবে। আমাদের প্রায় সবগুলো উদ্যোগ এবং প্রকল্প সমবায়নির্ভর এবং আমাদের সমাজের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক মর্যাদায় উচ্চবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, এবং নিম্নবিত্তের জনগোষ্ঠীর সবাইকে একত্রিত করে সবার বিনিয়োগ, মেধা এবং শ্রমের প্রয়োগের অনুপাতে আমাদের লভ্যাংশকে বন্টন করা হয় এবং উদ্বৃত্ত সম্পদকে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়। আমাদের অর্থনৈতিক এবং উৎপাদননির্ভর এ প্রকল্পগুলোকে আরো এগিয়ে নেবার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া হবে। সম্পৃক্ত করা হবে আরো বেশি পরিমাণ জনগোষ্ঠীকে। বর্তমানে নিম্ন অর্থ উপার্জনকারী প্রতিটি ব্যক্তিকে আরো বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেয়া হবে। তৈরি করা হবে শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড়ানো একটি সমাজ এবং জনগোষ্ঠী। আমাদের সাথে যারা প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রতিষ্ঠার দশম বছরে বা দশম বছরের পূর্বাপর কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী আসনে আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে এবং ‘বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা’ কোনো জোটের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে একক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
একটি কথা দৃঢ়তার সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যেকোনো অবস্থানে থেকে দেশের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশের জন্য, নিজেদের জন্য দেশের প্রতিটি জনগণ আমাদেরকে ভোট প্রদান করে সরকার গঠনে সহায়তা করবে। সরকার গঠন করে আমরা দেশে পরিবর্তনের জন্য রোপিত বৃক্ষের মূলের বিস্তারের মাধ্যমে দৃঢ়তা প্রদানের পাশাপাশি শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করে সুফল বয়ে আনবো। তারপরও বলতে চাই, সরকার গঠন করে নয়, রাজনৈতিক দল হিসেবেই আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশের সূচনা করবো এবং প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরের মধ্যেই আমরা দেশের সর্বস্তরের জনগণ, বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে মানসম্পন্ন অর্থনৈতিক ও কৃষিনির্ভর প্রকল্পে অংশগ্রহণ করিয়ে কর্মশীলতা, কর্মকুশলতা, ধীশক্তি এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জনক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমাদের লক্ষ্য সরকার গঠন নয়; আমাদের লক্ষ্য দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থার সামগ্রিক বিকাশ এবং বিশ্বের বুকে অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটাবার জন্য। আমরা পারবো। আপনারা আমাদেরকে সঙ্গ দিন, সমর্থন দিন, যুক্ত হোন আমাদের কর্মকাণ্ডে, কর্মযজ্ঞে। আমরা আপনাদেরকে মাথা উঁচু সমৃদ্ধ একটি জাতি উপহার দেবো।
আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। জয় বাংলা।
©somewhere in net ltd.