![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
If a Single Teacher Can’t Teach us all the subjects Then … How could You Expect A single Student to Learn all the Subjects
আবারো সেই জার্মানি আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ।৮৬ তে একবার আর্জেন্টিনা জার্মানিকে আশাহত করলেও বেশিরভাগ সময় জার্মানি আর্জেন্টিনার জয়রথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।ব্রাজিল নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপে সেরা দল,কিন্তু আমি বলব বিশ্বকাপের ইতিহাসে জার্মানি সব চেয়ে বেশি ঘটনার জন্ম দিয়েছে।সেই ৫৪ তে পুস্কাস-কক্সিস দের হৃদয় ভংগ করার মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে তাদের চমকে দেয়ার শুরু তারপর যুগে যুগে তারা বঞ্চিত করেছে ক্রুইফ,মেরাডোনাদের।চির শত্রু ইংল্যান্ডের সাথে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছে এই জার্মানি।৬৬-র ইংল্যান্ড-জ়ার্মানি ফাইনালে বল গোল লাইন অতিক্রম করা নিয়ে যে বিতর্কের জন্ম হয়েছিল তা আজো ফুটবল আড্ডার জমজমাট বিষয়বস্তু।এবারের বিশ্বকাপে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল।তবে এবার ভাগ্য জার্মানির পক্ষে।ফুটবলের সংগা দিতে গিয়ে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত স্ট্রাইকার লিনেকার বলেছিলেন " ফুটবল হচ্ছে এমন একটি খেলা যাতে বাইশ জন খেলোয়াড় একটি বল নিয়ে খেলে এবং জার্মানি জেতে"।বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ভাগ্য সবসময় জার্মানির সহায় হয়,আবার কেউ কেউ বলেন জার্মানি আসলে ১৪ জন খেলে,১১ জন খেলোয়ার আর ৩ জন রেফারি।তবে আমি বলব ভাগ্য কখনও এত সাফল্য এনে দিতে পারে না।ফুটবল বিশ্বে দুটি স্বনামধন্য বিরক্তিকর দল বলা হয় ইটালি এবং জার্মানিকে।অথচ ব্রাজিলের পরে এরাই বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল এবং ৯৪ বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত যত খেলা দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে সেরা খেলা মনে হয়েছে ২০০৬ বিশ্বকাপের ইটালি-জার্মানি সেমিফাইনাল খেলাটি।আরো অনেক পরিসংখ্যান জার্মানির পক্ষে কথা বলবে।আর্জেন্টিনা-জ়ার্মানি খেলাটি আসলে বিশেষ কিছুর মর্যাদা পেয়েছে মেরাডোনা আমলে।৮৬ এ বেকেনবাওয়ার লুথার ম্যাথিয়াস কে মেরাডোনার জন্য পারমানেন্ট করে দেয়ায় মেরাডোনা গোল পান নি কিন্তু আর্জেন্টিনা ঠিকই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।আবার ৯০ এ মেক্সিকান রেফারির দেয়া ভূল পেনাল্টি আর্জেন্টিনাকে বঞ্চিত করেছিল পরপর দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব থেকে।সেবার ট্রফি বঞ্চিত মেরাডোনার কান্না আমাদের এ দেশে বহু আর্জেন্টিনা সমর্থকের জন্ম দিয়েছিল।কিন্তু ৯০ এর পর জার্মানি চিরাচরিত ভঙ্গিতে একবার রানার্স আপ এবং একবার তৃতীয় হল কিন্তু আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনাল এর গন্ডি পেরোতে পারলো না।জার্মানি আর আর্জেন্টিনার মধ্যে পার্থক্য এটাই,জার্মানি যেভাবেই হোক ফলাফল তাদের পক্ষে নিতে জানে।পুরু খেলায় হয়ত তারা একটি আচমকা আক্রমন কেই গোলে পরিণত করছে আর আর্জেন্টিনা ২০ টি ভাল আক্রমন করেও গোলের দেখা পাচ্ছেনা।পেনাল্টি ভাগ্যটাও জার্মানির দিকে ঝুকে আছে।এত সব পরিসংখ্যান জার্মানিকে এগিয়ে রাখলেও দু দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বমোট খেলায় আর্জেন্টিনা এগিয়ে।বিশ্বকাপে জার্মানি-আর্জেন্টিনা খেলা সবসময়ই ভাল কিছু উপহার দিয়েছে।মেরাডোনা কি এবার পারবে ৯০ এর দুঃখ কে ঘোচাতে নাকি অদম্য জার্মানি আবার অজেয় হয়ে দাঁড়াবে আর্জেন্টিনার সামনে?সময় ই দেবে এর সঠিক উত্তর।
০১ লা জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২৫
ফারুক মোকতাদির বলেছেন:
ভাই ঠিকই বলেছেন আর্জেন্টিনার আক্রমন ভাগ অনেক শক্তিশালী কিন্তু জার্মানির গোল স্কোরিং দক্ষতা অনেক বেশি।আর্জেন্টিনা হেরে যাবে তা বলিনি তবে জার্মানিকে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে।কাউন্টার এটাক থেকে জার্মানির এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।ক্লোসা কাউন্টার এটাকে গোল করতে সিদ্ধহস্ত।তবে একটি অসাধারন ফুটবল অপেক্ষা করছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:০২
সাইফুল আলম শাহিন বলেছেন: ভাই লিখছেন ভালোই তবে নামরে বানানগুলা কেমন কেমন !!
আর এইবার আর্জেন্টিনাতে ৪-৫ জন তুখার স্ট্রইকার.....২০-২২ টা আক্রমন হইলে ২২ গুন ৪ ৮৮ টা গোল হইব। ওয়েট এণ্ড সি।
তবে সত্যি কথা হইল, জামার্নী ইংল্যাণ্ডের সাথে যেমন দারুন সব আক্রমন করছে (১টা তো আমার মনেহয় সর্বকালের সর্বশেষ্ট আক্রমন) ওরকম খেললে-- ম্যারাডোনা/মেসির খবরই আছে।
ম্যরাডোনাদের আল্লা আল্রা করা ছাড়া উপায় দেখি না।