নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হীরক কণা

হীরক কণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘সারা বছর নামায নেই, রোযা নেই শুধু শবে বরাতে নামায-রোযা করে কি হবে?

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৩

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে এক বিন্দু পরিমাণ বা জাররা পরিমাণ নেকী করবে সে তার বদলা পাবে।’

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যখন মধ্য শা’বান মাসের রাত্রি অর্থাৎ বরাতের রাত্রি এসে যাবে তখন তোমরা সারা রাত্র ইবাদত করো ও দিনে রোযা রাখো।’

তাই প্রত্যেকের উচিত পবিত্র শবে বরাতে সারা রাত্রব্যাপী ইবাদত-বন্দেগী করা ও পরের দিন রোযা রাখা।

যারা বলে- ‘সারা বছর নামায নেই, রোযা নেই শুধু শবে বরাতে নামায-রোযা করে কি হবে’-

তাদের এ কথা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের কুফরীমূলক বক্তব্য থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।

, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন তোমরা বরাতের রাত্রি পাবে তখন তোমরা সারা রাত্রি জেগে-জেগে নামায-কালাম পড়বে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে এসে অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করে ফজর তথা ছুবহে ছাদিক হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা দিতে থাকেন- তোমাদের মধ্যে কেউ ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। কেউ রিযিক প্রার্থী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করবো। কেউ বিপদগ্রস্ত আছো কি? তার বিপদ দূর করে দিবো।”

আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “বরাতের রাত্রিতে (আগামী এক বছরে) যে সকল আদম সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং ইন্তিকাল করবে তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। বান্দা-বান্দি উনাদের (এক বছরের) রিযিকের ফায়ছালা করা হয় এবং বান্দা-বান্দি উনাদের (বিগত এক বছরের) আমলনামা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা হয়।”

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া কবুল হয়। রজবের প্রথম রাত্র, মধ্য শাবানের রাত্র বা ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্র, ক্বদরের রাত্র এবং দু’ঈদের দু’রাত্র।” সুবহানাল্লাহ!

“যে ব্যক্তি শা’বান মাসে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!

হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “শা’বান মাসের পনের তারিখ যে রোযা রাখবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।” সুবহানাল্লাহ!

আরো ইরশাদ হয়েছে, “শা’বান মাসের রোযার ইফতারীর সময় যে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার পূর্বের গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে এবং রিযিকে বরকত দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!

হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাতে ইবাদত-বন্দেগী করার ও দিনে রোযা রাখার অসংখ্য সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরও কিছু গুমরাহ লোক সাধারণ মানুষদেরকে উক্ত রাতে ইবাদত করতে নিরুৎসাহিত করে বলে থাকে যে- ‘সারা বছর নামায নেই, রোযা নেই, ইবাদত-বন্দিগী নেই; শুধু শবে বরাতে নামায-কালাম পড়ে ও রোযা রেখে কী হবে’ তাদের এ কথা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ, যে যতটুকু নেক আমল করবে সে ততটুকুরই ফায়দা পাবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যে এক বিন্দু পরিমাণ বা জাররা পরিমাণ নেকী করবে সে তার বদলা পাবে।” তাহলে এটাতে বাধা দেয়ার অর্থই হচ্ছে তাকে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তথা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে ফিরিয়ে দেয়া। এটা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যদি এ পবিত্র বরাতের রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে কবুল করে নেন তাহলেই তো সে কামিয়াব হয়ে গেলো।

হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা কোন নেক কাজকে ছোট মনে করো না বা কোন নেকীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করো না।” কাজেই ‘সারা বছর নামায পড়ে না, রোযা রাখে না, এখন শবে বরাতে একদিন নামায-কালাম পড়ে কি হবে’ এরূপ কথা বলে পবিত্র শবে বরাতে ইবাদত-বন্দেগী থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা, নিরুৎসাহিত করা যা কাট্টা হারাম ও কুফরী হবে। অর্থাৎ নেক কাজকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা, অবজ্ঞা করা, ছোট মনে করা গুমরাহী, কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি কবুল করে নেন তাহলে ছোটটাই বড় হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!

বর্তমানে বাতিল ফিরক্বার লোকেরা আরেকটা কাজ করে থাকে, তা হলো তাড়াতাড়ি ইশার নামায পড়েই মসজিদ বন্ধ করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মসজিদগুলো খোলা রাখা উচিত ছিল। মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “ওই ব্যক্তির চাইতে বড় জালিম কে? যে মসজিদে মানুষকে ইবাদত-বন্দিগী, যিকির-ফিকির করতে বাধা দেয় এবং বিরান করার জন্য সাহায্য করে।”

মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন, “তোমরা নেকীতে, পরহেযগারীতে সাহায্য করো, শত্রুতা ও পাপের মধ্যে সাহায্য করো না।” কাজেই বরাতের রাতে ইবাদতকারীকে বাধা দিলে তারা তো নেক কাজে সাহায্যকারী হলোই না বরং তারা বদ কাজে সাহায্যকারী হলো। আর মসজিদ বন্ধ করে রাখার কারণে, মসজিদ বিরান করার দায়ে দায়ী হয়ে তারা জালিমের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই এ সমস্ত জাহিল, মূর্খ, ওহাবী, সালাফী, জামাতী, দেওবন্দী, মওদুদী, তাবলীগী বাতিল ফিরক্বার লোকদের থেকে এবং তাদের গুমরাহীমূলক বক্তব্য থেকে সকলকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.