![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়টা ১৯৯৮ এর দিকের, তখন রমজান মাসে অসহ্য গরম আর বৃষ্টির বিপরীতে থাকতো হাড় কাঁপানো শীত। ক্লাস ফোরের ছাত্র তখন অমি । প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে সেহেরী খেতে উঠতে হতো, আর এই ঘুম থেকে উঠানোয় ভূমিকা রাখতেন আমাদের মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব। বাড়ি বাড়ি যেয়ে উনি সেহেরী খাওয়ার জন্য ডেকে আসতেন। ইমাম সাহেব এখন আমাদের মাঝে নাই, এবছরই উনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন (আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন )। যাইহোক, সারাদিন অনেক লোভ সংবরণ করতে হত আমাদের। এই যেমন, সকালে আগুন পোহানোর সাথে আলু পুড়া খাওয়া, সকালের খেজুর রস, গুড়, পাকা কুল, বেল এসব উপেক্ষা করে থাকা ছিলো রীতিমতো একটা চ্যলেঞ্জ। তখনও আধুনিক মাইক এর ছোঁয়া গ্রামের মসজিদে লাগেনি। বিকাল হলেই নিমের ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার সাথে সাথে অপেক্ষায় থাকতাম মাগরিবের আজানের। আজানের কিছু আগে ছুটে যেতাম মহান দায়িক্তে লোহার কোন বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছে। মুয়াজ্জিনের ( ইনিও পরলোকগত হয়েছেন অনেক আগে) হাতের টিনের চোঙ থেকে নিঃসৃত আজানের ধ্বনি শুনা মাত্রয় হাতের লোহার রড দিয়ে শুরু করতাম ঢং ঢং ঢং । অনেক সময় অতীতে ফিরে তাকালে বুঝতে পারি, গ্রামগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, আর এখনকার বাচ্চারা হারাচ্ছে সেই নিরমল বিনোদন।
©somewhere in net ltd.