নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয়জনের ধারালো তরবারিতে নিহত হওয়ার চেয়ে স্বাদের আর কি হতে পারে

Sulaiman hossain

সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/

Sulaiman hossain › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন সূধা:নহরে হায়াত (অনন্তকাল বেচে থাকার আমল

১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:৪৭

উল্লেখ্য যে, পূরা কালে ইরানে কোনো এক বাদশা ছিল।হতেও পারে ইরাকে।
বাদশা এত পরিমান জুলুম, অন্যায় আর অত্যাচার করেছে,এখন আর মরতে চান না।কারন ভাবতেন যদি নবী রসূল এবং আওলিয়া ওলিদের দল যা বলতেছে,তা সত্য হয়ে থাকে,তাহলে তো আমার বারটা বাজবে,এতে কোনো সন্দেহ নাই।কারন কম মানুষের ।মোটকথা বাদশা আধা পাগলের মত হয়ে গিয়েছে। তৎকালীন যুগে ছিল এক মহা পন্ডিত,যে মনে মনে হয়ত নবীদেরকে বিশ্বাস করত,কিন্তু রাজামশাইয়ের ভয়ে প্রকাশ্যে বলতনা।সে বলল,জাহাপনা!আপনাকে ইদানিং খুবই চিন্তিত মনে হচ্ছে। বাদশা বললেন আমি মরার ভয়ে অর্ধেক মরে গিয়েছি ।কিছু করা যায় কিনা ভাই,দেখো তো।সামনে সুধু ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাড়া কোনো কিছু তো দেখা যাচ্ছে না।
লোকটা বলল,
আমি শুনেছি ভারত বর্ষে নাকি একপ্রকার ঔষদি উদ্ভিদ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা তাকে জীবনসুধা বলে থাকে।সেই বৃক্ষ থেকে অল্পমাত্রায় ভক্ষন করলে, মৃত্যু তাকে হাত বুলাতে আসেনা।দূর থেকেই ভাগে।
রাজা মশাই।তৎক্ষনাৎ জুরুরী গোলটেবিল বৈঠক ডাকলেন।প্রধানমন্ত্রী বললেন, যুদ্ধের জন্য আমি অলটাইম রেডি হয়েই থাকি,আমার তলোয়ার খাপের মধ্যে আবদ্ধ হয়না কখোনা,সুধু হুকুম দেন।ইহুদি হোক আর খ্রিষ্টান। বাদশা বললেন,আমি বেচে থাকতে চাই অনন্তকাল।আমি মরতে চাই না।জলদি একদল সশস্ত্র সৈন্য ভারতবর্ষে পাঠাও।সেখান থেকে জীবনসুধা নামে যদি কোনো গাইগাছড়া পাওযা যায় সব নিয়ে আস।যদি আনতে না পার তবে তোমরা পারস্যে ফিরে আসতে পারবে না।তোমাদিগকে হত্যা করা হবে।প্রধানমন্ত্রী একদল বাহিনী নিয়ে রওনা হল ভারতবর্ষের উদ্দেশ্য। কিন্তু পুরো ভারতবর্ষ খুঁজেও সেই বৃক্ষ পাওয়া গেলনা।প্রধানমন্ত্রী হয়রান পেরেশান হয়ে গেল। স্থানীয়দের কেউ ই সন্ধান দিতে পারলনা।বলল এমন গাছের নাম তারা শুনেনি। প্রধানমন্ত্রী এখন পারস্যেও আসতে পারেনা জালেম বাদশার ভয়ে।হঠাৎ এক ভয়ংকর জঙ্গলের মধ্যে দেখা হল,তৎকালীন যুগের কুতুবের সাথে।কুতুব এবং অগ্নি উপাসকের দল একত্রিত হলো। যেমন লোনা পানির সুমুদ্র এবং মিঠা পানির সুমুদ্র একত্রিত হয়,ঠিক তেমন।দরবেশ তাদেরকে বলল,তোমরা কারা বাবা!প্রধানমন্ত্রী বলল আমরা এক অসহায় মিসকিনের দল।আমাদের বাদশা এই ভারতবর্ষে জীবন সুধা বৃক্ষ নিয়ে যেতে পাঠিয়েছে। এত খুঁজাখুঁজি করেও কোথাও পেলাম না। দরবেশ হেঁসে বলল,ঐ পন্ডিত জানে ভারতবর্ষে এই ধরনের কোনো বৃক্ষ নেই।কিন্তু সেটা হল ইলমের বৃক্ষ। ঐ পন্ডিত তোমাদেরকে আমার সাথে সাক্ষাৎ ঘটানোর জন্যই এই কাহিনি ঘটিয়েছে। আমি তোমাদেরকে সেই এলম শিক্ষা দিব যেই ইলম শিখলে কোনোদিন মৃত্যু হয়না।কবরের মধ্যেও প্রেমের আগুনে জ্বলতে থাকে নিরন্তর ।তোমরা তোমাদের বাদশাকে গিয়ে শিখিয়ে দিও।ঐ দরবেশ পারস্য থেকে আগত মিসকিনের দলকে কয়েকদিন নিজের সাথে রাখল।মিসকিনদেন মধ্যে ও রঙ ধরে গেল। এখন আর সে প্রধানমন্ত্রী নয়,প্রেমের আগুনে জ্বলে পুরে মিসকিন হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে জাহাজ পরস্যের দিকে রওনা দিল।বহুদিন পর বাদশা তার প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরল।বাদশা বলল এনেছো ভাই সেই বৃক্ষ। এনেছি সেই বৃক্ষের নাম জীবনসুধা নয়, সেটা হল ইলম নামক এক বৃক্ষ, আমরা আপনাকে তা শিখিয়ে দিব।আপনার আর মরতে হবেনা।মোটকথা বাদশাকেও তারা সেই ইলম শিখিয়ে দিল।(বইতে পরেছিলাম ঘটনাটা,কিন্তু আমি বইয়ের ভাষায় না লিখে কিচ্ছিৎ পরিবর্তন করেছি শিক্ষার উদ্যেশ্যে।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.