নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জানিনা আমি কে?

সুলাইমান হোসেন

সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/

সুলাইমান হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইখলাস: সমুদ্র থেকে মুক্তা কুড়িয়ে আনা ডুবুরীদের কাজ, রিকসাচালকদের কাজ নহে

১০ ই আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৫:৫৩




দক্ষ নাবিকরা যেমন সাগরের গভীর থেকে মুক্তা কুড়িয়ে আনে,
ঠিক অনুরুপ দক্ষ দায়ীরাই দ্বীন প্রচারের যোগ্যতা রাখে।

হে প্রানপ্রিয় পাঠক শুুনে রাখুন যেকেউই দ্বীন প্রচার করার যোগ্যতা রাখেনা।
ডাক্তার যেমন ইঞ্জিনের কাজ পারেনা,অনুরুপভাবে পানি জাহাজের নাবিক কখোনো উড়ো জাহাজ চালাতে পারবেনা।এরকমভাবেই,সুদক্ষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত দায়ী ছাড়া কেউ দ্বীন প্রচার করতে পারেনা।

আজকাল আমরা অল্প একটু দ্বীনি কথাবার্তা শিখেই ওয়াজের মিম্বারে গিয়ে বসে পড়ি,এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করি।

আমি নিজেও তেমন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নই,আমি জেনারেল লাইনে পড়ালেখা করেছি।কিন্তু আমি হক্কানি উলামাদের মজলিসে গিয়ে বসি,হক্কানি উলামাদের বই পত্র পাঠ করি।যতটুকু শিখি তা নিয়ে গভীর ধ্যান চিন্তা করি।তারপরও আমি ওয়াজের মিম্বরে গিয়ে বসতে ভয় পাই,আমি যখন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম জুমার নামাজ পড়াতাম এবং বয়ান করতাম।কিন্তু আমার বয়ানে তেমন তাছির বা প্রভাব হতোনা।আমি চিন্তা করলাম এমনটা কেন হয়।শ্রোতাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়না।পরে আমি নিজের ভিতর তাকিয়ে দেখলাম আমার মধ্যে এখলাসের অভাব রয়েছে। তারপর আমি ওয়াজ নসিহত করা বাদ দিলাম।এখলাস অর্জনের দিকে মনোযোগ দিলাম।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো,এখলাস অর্জন করা খুবই কঠিন কাজ।আজও পর্যন্ত আমি পুরোপুরি এখলাসওয়ালা হতে পারলাম না।

প্রিয় পাঠক উক্ত কাহিনি থেকে অবশ্যই আপনারা বুজতে পেরেছেন,কেন ওয়ায়েজিন দের কোনো প্রভাব শ্রোতাদের মধ্যে পরে না।
এখলাস হলো মধুর মতো—
দেখুন মৌমাছি কত কষ্ট করে একফোটা মধু আহরন করে,এখলাসও তেমন ধরে নেন।
এখলাসের প্রতিক হল গরুর দুধ—
দেখুন গরুর পেট থেকে কত প্রকৃয়ার মাধ্যমে বিশুদ্ধ দুধ নির্গত হয় বানের মধ্য দিয়ে,এখলাসকেও তেমন ধরে নেন।
প্রশ্ন:তাহলেতো ব্যাপারটা খুবই কঠিন মনে হয়,বাঁচার উপায় কি?
উত্তর:
প্রিয় পাঠক নিরাশ হওয়ার কোনো কারন নেই।আল্লাহ তয়ালা চাইলে খুবই সহজ।যিনি রক্ত এবং গোবরের ভিতর নানা প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে খাঁটি বিশুদ্ধ দুধ বের করে আনেন,তিনি আপনাকে কেন এখলাস দান করতে পারবেন না।
আপনার কাজ হল সাধ্যমত আমল করে যাওয়া,এখলাস অর্জন হলো কি হলোনা সেদিকে নজর কম দেওয়া।
রিয়ার বিপরিত যেহেতু এখলাস,সুতরাং যদি রিয়া বা লোক দেখানো,অথবা নিজের স্বার্থের খাতিরে না হয় আমলগুলো তাহলে বুঝবেন আমল এখলাসের সহিত হয়ে গিয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১৬

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আমার উপরের লেখাটি চ্যাট জিপিটি সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে—

এখলাস: দ্বীন প্রচারের প্রাণ

দক্ষ নাবিক যেমন সাগরের গভীর থেকে মুক্তা কুড়িয়ে আনে,
ঠিক তেমনই দক্ষ দায়ীরাই দ্বীন প্রচারের প্রকৃত যোগ্যতা রাখে।

হে প্রিয় পাঠক! শুনে রাখুন—যে কেউ দ্বীন প্রচার করতে পারে না।
যেমন একজন ডাক্তার ইঞ্জিন মেরামত করতে পারে না, আবার পানির জাহাজের নাবিক কোনোদিন উড়োজাহাজ চালাতে পারে না—তেমনি, সুদক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দায়ী ছাড়া কেউ দ্বীন সঠিকভাবে প্রচার করতে সক্ষম নয়।

দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল আমরা সামান্য কিছু দ্বীনি জ্ঞান শিখেই ওয়াজের মিম্বারে উঠে বসি, এবং অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলি।


---

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

আমি নিজেও কোনো প্রশিক্ষিত আলেম নই—আমি জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করেছি। তবে আমি হক্কানি উলামাদের মজলিসে বসি, তাঁদের বইপত্র পড়ি, এবং যতটুকু শিখি তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবি।

যখন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম, আমি জুমার নামাজ পড়াতাম এবং বয়ান করতাম। কিন্তু লক্ষ্য করলাম, আমার বয়ানে তেমন প্রভাব পড়ছে না—শ্রোতাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।

আমি চিন্তা করলাম, কেন এমন হচ্ছে? আত্মসমীক্ষা করে বুঝলাম—আমার মধ্যে এখলাসের অভাব রয়েছে। তারপর ওয়াজ-নসিহত বন্ধ করে দিলাম, আর মনোযোগ দিলাম এখলাস অর্জনের দিকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এখলাস অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন। আজও পর্যন্ত আমি পুরোপুরি এখলাসওয়ালা হতে পারিনি।


---

এখলাসের গুরুত্ব

প্রিয় পাঠক! এই কাহিনি থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন—কেন অনেক ওয়ায়েজিনের বয়ানে শ্রোতাদের মধ্যে প্রভাব সৃষ্টি হয় না।

এখলাস হলো মধুর মতো — দেখুন, মৌমাছি কত কষ্ট করে এক ফোঁটা মধু সংগ্রহ করে!
এখলাস হলো গরুর দুধের মতো — দেখুন, গরুর পেট থেকে নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কিভাবে বিশুদ্ধ দুধ বের হয়!


---

প্রশ্ন: তাহলে তো ব্যাপারটা খুব কঠিন! বাঁচার উপায় কী?

উত্তর:
প্রিয় পাঠক, নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আল্লাহ তায়ালা চাইলে বিষয়টি খুবই সহজ। যিনি রক্ত ও গোবরের মধ্য দিয়ে নানা প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ দুধ বের করেন, তিনি আপনাকে এখলাসও দান করতে সক্ষম।

আপনার কাজ হলো—সাধ্যমতো আমল করে যাওয়া, এখলাস হলো কি হলো না—সে দিকে কম মনোযোগ দেওয়া।


---

রিয়া থেকে বাঁচার উপদেশ

যেহেতু রিয়ার বিপরীত হলো এখলাস, তাই—

যদি আমল লোক দেখানোর জন্য না হয়, অথবা নিজের স্বার্থে না হয়—তাহলে বুঝবেন, আপনার আমল এখলাসপূর্ণ হয়েছে।

এরপর লক্ষ্য রাখতে হবে—যাতে আমল নষ্ট না হয়ে যায়।


উদাহরণ:
কেউ সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ে, এরপর মুখ ফ্যাকাশে করে রাখে, যেন লোকজন দেখে বলে—“এ কত বড় তাহাজ্জুদগুজার!”
এগুলো সূক্ষ্ম ধোকা—যা আমি ইমাম গাজালীর (রহ.) এহইয়াউল উলুম ও কিমিয়ায়ে সায়াদাত গ্রন্থে পেয়েছি।


---

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, এখলাস অর্জন সত্যিই কঠিন, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার রহমতে অসম্ভব নয়। আমাদের কর্তব্য হলো—সততার সাথে আমল চালিয়ে যাওয়া, রিয়া থেকে বাঁচা, এবং আল্লাহর কাছে বারবার দোয়া করা—

< اللَّهُمَّ اجعلْ عملَنا كلَّه صالِحًا، واجعلْه لوجهِكَ خالصًا، ولا تجعلْ لأحدٍ فيه شيئًا

“হে আল্লাহ! আমাদের সব আমলকে সৎ কর, কেবল তোমার জন্য খাঁটি কর, এবং এতে যেন কারো অংশ না থাকে।”

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.