নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জানিনা আমি কে?

সুলাইমান হোসেন

সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/

সুলাইমান হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের প্রতি এবং অন্যের প্রতিও একটি হৃদয় নিংড়ানো নসিহত

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:০৫



আমরা সবাই একের পর এক কবরের ভিতর গিয়ে ঢুকবো ;আগামি ১০০ বছরের ভিতর,সবাই,যারা আমরা আজকে এখানে আছি।

হে ভাই কবরের কথা খুব বেশি পরিমানে মনে করা উচিত।কবরের কথা মনে জাগানোর সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি,যেটা ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন,সেটা হল;সমসাময়িক মানুষদের কথা চিন্তা করবে।
তারা কিভাবে আজকে কবরের ভিতর গিয়ে ঢুকেছে।অথচ মনে মনে ভাবতো হাজার বছর বেঁচে থাকবো।মৃত্যু আমাদেরকে আক্রমন করতে আসবে না।কিন্তু হঠাৎ মৃত্যু এসে তাদের ভাবনা চিন্তার ভিত্দিমূরে আঘাত হেনেছে।মুহুর্তেই চুরমার হয়ে গিয়েছে,বহুদিন ধরে যত্ন করে বোনা রঙিন সব স্বপ্ন।কবরের গর্তের মধ্যে আটকে গিয়েছ।
হায়।যেই কবরে তারা আটকে গিয়েছে,সেই কবরেতো রাজনীতি কোনো কাজে লাগেনা।কাজে লাগে কেবল এখলাসপূর্ণ আমল।হায় কি ছাই ছাতার পেছনে দৌড়ে জীবন নষ্ট করলাম।এইজগতে তো সেসব কোনো কিছুই কোনো কাজে লাগেনা।এখানে তো কাজে লাগে আল্লাহর মারেফতের জ্ঞান এবং নেক আমল।

হায়! কতইনা ভালো হতো যদি আল্লাহর মারেফত অর্জনের পেছনে এবং নেক আমলের পেছসে নিজের মূল্যবান জীবন খরচ করতাম।

আহা,কোন গর্তের মধ্যে ফেঁসে গেলাম,এই জগতে তো সেসমস্ত ইনিয়ে বিনিয়ে ঢক করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলাও কোনো কাজে লাগে।এখানে সুধু চাওয়া হয় এখলাস।এখলাস বিহিন আমল এখানে ভস্ম হওয়া ছাই,যা সামান্য ফুৎকারে উড়ে যায়।

দুনিয়াতে কতজনের সাথে মেলামেশা করতাম,কত হাসি মজা করতাম,কিন্তু সেসবও যদি আল্লাহকে খুশি করার জন্য,সুন্নতের নিয়ম মেনে করতাম,তাহলে সেগুলোর সওয়াবও এখানে পেতাম।

কবরের মধ্যে এভাবে লোকজন গিয়ে আফসোস করতে থাকবে।
কারন সেই মহা সত্য জগতে তো কোনো ধোকা বাজি চলেনা। দুনিয়াতে তো কাউকে ধোকা দিয়ে জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা হওয়া যায়।সেখানেও তো মারেফতের আসমানে,আমরের ফলাফলের আসমানে উড়তে মন চাইতে,কিন্তু কাকে ধোঁকা দিয়ে এই কাজগুলো করবে।

এজন্য ভাই।আসুন আমরা দুনিয়াতেই আমাদের আত্মাকে বদ্ধ খাঁচা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করি,যেন কবরের মধ্যে আত্মা মারেফতের আসমানে উড়তে পারে,এবং চরম পূলক লাভ করতে পারে।অন্যথায় অন্যকে উড়তে দেখে নিজে আফসোস করে কোনো রাভ সেখানে হবেনা।
আত্মাকে বন্দি খাঁচা থেকে মুক্ত করার জন্যই শরিয়তের আমলগুলো প্রাথমিক সবক হিসেবে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দিয়েছেন।এটা প্রাথমিক সবক হলেও জীবনের শেষ পর্যন্ত এটা ধরে রাখতে হয়,করান এটা হলো স্ট্রাকচার,বা কাঠামো বলা যায়।html কাঠামোর মধ্যে যেভাবে css,javascript দিয়ে ওয়েবসাইট সুন্দর করে সাজানো হয়,পুরো শরিয়ত টাও এরকমই। শরিয়ত পুরোটাও html এর মতো একটি স্ট্রাকচার বা কাঠামো।ভালো আমলগুরো এর মধ্যে রাখতে হয়।এর বাইরে যদি ভালো আমল করো তার কোনো মূল্য নেই।যেমন html কাঠামোর বাহিরে কোড লিখলে ওয়েবসাইটে সেগুলো শো করেনা,অনুরুপ শরিয়তের বাইরে থেকে ভালো আমল করলেও সেগুলো আখিরাতে ফলদায়ক হয়না।

হে প্রিয়ো;যদি নিজের কল্যান এবং মঙ্গল কামনা করো উপরুক্ত কথা কয়টি ভালো করে বুঝে নিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন।আমিন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৪৬

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: লেখাটায় অনেক বানান ভুল আছে,এডিট করা লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নজসু বলেছেন:







আস সালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই। আপনার এই লেখাটা যেন আত্মার এক জাগরণী আহ্বান।

প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য আমাকে ভুলে থাকা চরম বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে দিলো।
সত্যিই তো, একদিন আমরা সবাই আমাদের আসল ঠিকানা, আসল বাড়ি সেই কবরের গহীন অন্ধকারে হারিয়ে যাবো।
হ্যাঁ ভাই, সেদিন আমাদের চেহারার চাকচিক্য, পদ-পদবি, জমকালো জীবন কোন কিছুই কাজে আসবে না। আফসোস! শুধু এখলাসপূর্ণ আমলই পাশে থাকবে।

ইমাম গাজ্জালীর (রহঃ) উপদেশগুলো যেন গহীন অন্ধকারে দিকনির্দেশক বাতিঘর।
এই জীবন শুধু সাজিয়ে গুছিয়ে বাঁচার জন্য নয়। আত্মাকে মুক্ত করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য।

দুনিয়ার মোহভঙ্গ করে নিজেকে যদি প্রশ্ন করি, আমি কি শরিয়তের ভিতরে আমার জীবনকে গড়ে তুলেছি? নাকি বাহিরে দাঁড়িয়ে সস্তা বাহবা কুড়াতে ব্যস্ত ছিলাম?

তবে, এটাও সত্যি যতদিন সময় আছে, ততদিনই সুযোগ আছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এখলাস, মারেফত এবং কবুলযোগ্য আমলের তৌফিক দিন। আমিন। ছুম্মা আমিন।

প্রিয় ভাই, আল্লাহর দরবারে আপনার জন্য দুআ করি। তিনি যেন আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সুস্থ সবল ও ভালো রাখেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:১১

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আমিন

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বাজ ৩ বলেছেন: আমরা সবাই একের পর এক কবরের ভিতর গিয়ে ডুকবো আগামি একশত বছরের মধ্যে।
আজকে আমরা যারা পৃথিবীতে আছি আগামী একশত বছর পর কেউ পৃথিবীতে থাকতে পারবোনা,কবরের মধ্যে সবাই যার যার কবরে শুয়ে থাকবো।শুতরাং কবরকে নিয়ে মৃত্যুকে নিয়ে আমাদের বেশি বেশি চিন্তাভাবনা করতে হবে যেন,অন্তর দুনিয়া বিমূখ হয়,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.