| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুলাইমান হোসেন
সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/
নীরবতার আর্তনাদ
যৌথ রচনা: সুলাইমান ও GPT-5
---
সুলাইমান:
বলতে চাই অনেক কথা,
শুনাতে চাই অনেক ব্যথা,
বলতে গেলে আসে বাধা,
জানিনা কোন সূত্রে আছি বাধা।
GPT-5:
হৃদয় বলে, সবই লিখে ফেলো কাগজে,
কিন্তু কলম থেমে যায় অশ্রুর মাঝপথে।
যে কথা বলতে চায় প্রাণ নিঃশব্দে,
সেই কথাই লুকিয়ে থাকে অন্তরের কণ্ঠে।
---
সুলাইমান:
কথা বলতে গেলে, কে যেন চেপে ধরে মুখ,
বলে কথা বলবিনা, থাক চুপ।
তারপরেরও কিছু কথা বিষ্ফোরিত হয়,
অন্তর জুড়ে উত্তাল ঢেউ তখনই বয়ে যায়।
GPT-5:
চেপে রাখা কথাগুলো ঝরে যায় নিশ্বাসে,
তাদের কান্না মিশে যায় রাত্রির নিস্তব্ধ আকাশে।
যে ব্যথা বলা যায় না, সে-ই সবচেয়ে সত্য,
নীরবতার ভেতরেই বাজে আত্মার ব্যথা।
---
সমাপ্তি:
যে হৃদয় নীরব, সে-ই সবচেয়ে জাগ্রত,
তার প্রতিটি ধ্বনি প্রার্থনার মতো পবিত্র।
নীরবতার এই আর্তনাদে আছে মুক্তির পথ,
যেখানে শব্দ থেমে যায়—আত্মা পায় সত্য।
মারেফতের নদী
যৌথ রচনা: সুলাইমান ও GPT-5
---
সুলাইমান:
জীবন নদীর স্রোত, থামে না কখনো,
ভেসে চলে নিয়তির অনন্ত গানে।
কখনও শান্ত, কখনও তীব্র ঝড়ো,
সবই তো রহমত প্রভুর দানে।
GPT-5:
নদী থাকে সদা ভরে নানা প্রকার মাছে,
আমার হৃদয়ে ও চির বহমান এক নদী আছে,
সে নদীর মাছ হল মারেফতের প্রেম,
সে নদীতে চলে সদা ভালোবাসার গেম।
---
সুলাইমান:
সে নদীতে রাত দিন সবই সমান,
প্রভূর প্রেমে সদা জুড়ায় পরান,
সে নদীতে ঢেউ উঠে সুধুই তখন,
প্রভুর রহমতের সুবাতাশ বহে যখন।
GPT-5:
সে নদীর তীরে বসে মন করে ধ্যান,
প্রেমের তরঙ্গে জ্বলে নূরের জ্বালান।
যে ডুবে যায় তাতে, সে পায় আলোর দিশা,
ভেসে যায় আত্মা, পেরিয়ে নফসের নিশা।
---
সুলাইমান:
সে নদীর তীরে পাই আত্মার ঠিকানা,
নফসের কোলাহল হয় নীরব সুধা গানে।
সেখানে প্রেমই পথ, প্রেমই পরিণাম,
যে জানে না প্রেম, তার নেই কোনো দাম।
GPT-5:
এই নদী বয়ে চলে হৃদয়ের তট ছুঁয়ে,
প্রভুর স্মরণে মন হয় নূরে ভরে উঠিয়ে।
শেষে মিশে যায় সে সত্তার সাগরে,
যেখানে প্রেমই চিরন্তন, প্রভু একান্ত ভরে।
২|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:২৫
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: চ্যাট জিপিটির কাছে তার রচিত দুটি চরনের ব্যাখা চেয়েছিলাম,সে এমন ব্যাখা দিয়েছে,যা আমাকে সুধু অবাক নয় অভিভূত করে দিয়েছে,আমি হতবুদ্ধি হয়েছি,
সে নদীর তীরে বসে মন করে ধ্যান,
প্রেমের তরঙ্গে জ্বলে নূরের জালান।”
নদীর জলে যখন নক্ষত্রের প্রতিচ্ছবি পড়ে,
মন তখন ডুবে যায় সেই আলোয়।
এ আলো বাহিরের নয়—ভেতরের,
যেখানে আত্মা নিজ মুখ দেখে নূরের আয়নায়।
প্রেমের তরঙ্গ যখন স্পর্শ করে হৃদয়,
তখন সব শব্দ মুছে যায়, থাকে শুধু জিকর।
চোখ বন্ধ করলেই দেখা যায় এক সাগর—
অসীম, অথচ নীরব।
সেখানে বয়ে যায় আল্লাহর রহমতের বাতাস,
যা হৃদয়ের পরত পরত ভিজিয়ে তোলে।
ধ্যান মানে ভুলে যাওয়া নয়—
বরং ফিরে যাওয়া সেই প্রথম ঠিকানায়,
যেখান থেকে আত্মা এসেছিল,
প্রেমের ডাক শুনে আবার ফিরে যাওয়ার জন্য।
যে বসে সেই নদীর তীরে,
সে দেখে নিজের ভেতরে প্রবাহিত নূর।
নফসের কোলাহল তখন থেমে যায়,
চুপচাপ হয়ে দাঁড়ায় সময়,
আর আত্মা বলে ওঠে—
“আমি কিছু নই, তুমিই সব।”
৩|
০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: একটি লিংক
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫১
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আমার উল্লেখিত কবিতাটি কিছু কিছু চরণ ব্যাখার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে পাঠক বিভ্রান্তির শিকার না হয়।জিপিটি সাহেব কি বলেছে,তা সেই জানে।কিন্তু আমি যা বলেছি,তা ব্যাখা না করলে পাঠক বিভ্রান্ত হতে পারে।আমি বুঝাতে চেয়েছি যা,পাঠক তার বিপরিত অথবা অন্যকিছু বুঝে নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না।
বলতে চাই অনেক কথা,
শুনাতে চাই অনেক ব্যথা,
বলতে গেলে আসে বাধা,
জানিনা কোন সূত্রে আছি বাধা।
এখানে বাঁধা বলতে,সব কথা ভিতর থেকে সবসময় বের না হওয়া বুঝানো হয়েছে।এবং কিছু কথা প্রকাশ করার থেকে না করাই যে মঙ্গলজনক সেটা বুঝানো হয়েছে।প্রত্যেকেরই কিছুু কিছু গোপন কথা থাকে,যা প্রকাশ করতে বিবেক বাঁধা দেয়।অথচ সে প্রকাশ করতে চায় কিন্তু পারেনা।
মাওলানা রুমি রহ.বলেন,
গারচে তাফসিরে জবান রওশন তরাস্ত,
লেকে ইশকে বে জবান রওশন তরাস্ত।
এর অর্থ হলো,জাহেরী জ্ঞানের সৌন্দর্য এবং চমক বর্ণনায়, আর ইশক বা প্রেমের সৌন্দর্য চুপচাপ থাকার মধ্যে নিহিত রহিয়াছে।
কথা বলতে গেলে, কে যেন চেপে ধরে মুখ,
বলে কথা বলবিনা, থাক চুপ।
তারপরেরও কিছু কথা বিষ্ফোরিত হয়,
অন্তর জুড়ে উত্তাল ঢেউ তখনই বয়ে যায়।
=এর অর্থ হলো,যখন নাকি সেই কথা সালিক বলতে যায়,যা আসলে বলা ঠিক না।আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যকার ব্যাপার, তখন বিবেক জাগ্রত হয়,এবং বলে ঘরের কথা পরের কাছে বলতে যেওনা, এটা ঠিক না।
অর্থাৎ,চেপে ধরে মুখ বলতে বিবেক এসে চেপে ধরে।যখন নাকি নতুন কেউ আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য পীরের নিকট নিজেকে সোপর্দ করে,তখন সেই মুরিদের বাতেনি বিষয় অন্যের কাছে বলা নিষেদ করা হয়,উক্ত স্তবক চারটিতে সেদিকে ইশারা করা হয়েছে।
তাছাড়া যারা মুরিদ না, যেমন আমি এখোনো কারো মুরিদ না,তাদের ও সবকথা বলে দেওয়া উচিতনা।কারন কিছু কিছু কথার কারনে পরে লজ্জিত হতে হয়,এবং আফসোস করতে হয়।যেমন আমি অনেক মন্তব্যে করি,পরে আফসোস করি,আহা!কি করলাম, মন্তব্যটা করা ঠিক হয়নি,পাঠক হয়ত এর দ্বারা মনে আঘাত পাবে,অথবা মন ভেঙে যাবে।
সে নদীতে রাত দিন সবই সমান,
প্রভূর প্রেমে সদা জুড়ায় পরান,
সে নদীতে ঢেউ উঠে সুধুই তখন,
প্রভুর রহমতের সুবাতাশ বহে যখন।
এখানে রাত দিন সমান বলতে বুঝানো হয়েছে,যে ব্যাক্তি আল্লাহ তায়ালার ধ্যানে এমনভাবে মগ্ন থাকে,যেন তার নিকট কোনো রাইত আর দিন নাই, সবই সমান।
এই অবস্তা আমাদের মতো সাধারন মানুষের হয় কিনা?
আমাদের মতো সাধারন মানুষেরও এমন অবস্তা হতে পারে।এটা অসম্ভব কিছুনা।
এমন হলেই আপনি আল্লাহর ওলী অথবা বিশেষ কিছু হয়ে যাবেন তাও না।
এমন অবস্তা যাদের হতে পারে—
১।যে ব্যাক্তি কোনো গুরুতর অপরাধ করেছে।আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে।এমন ব্যাক্তির কোনো রাইত আর দিন নাই।সবই সমান।এমন ব্যক্তির ঘুম হারাম হয়ে যাবে।
২।আল্লাহ তায়ালা যাকে তার নূরের দিকে রাস্তন দেখিয়েছেন,এমন ব্যাক্তির কোোন রাত আর দিন থাকেনা।
৩।আমরা যারা সাধারন মানুষ,তাদের ও অনেক সময় রাত দিন সমান হয়ে যায়,যেমন বিয়ে অনুষ্ঠান হলে।অথবা কোথাও কনসার্ট হলে,ডিজে পার্টি, নাইট পার্টি হলে।