নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জানিনা আমি কে?

সুলাইমান হোসেন

সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/

সুলাইমান হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইলি+মজনু ০১

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২১

লাইলি মজনুর কিছু কাহীনি

১।লাইলি কালো ছিলো।একদিন বাদশা লাইলিকে বলল,তুমিই কি সেই লাইলি,যার জন্য মজনু এত পাগল হয়েছে। অন্যান্য মেয়েদের থেকে তো তুমি অধিক সুন্দরী নও।
লাইলি উত্তর দিলো,যেহেতু তুমি মজনু নও,সেহেতু তুমি চুপ থাকো,যদি মজনুর চোখ তোমাতে লাগিয়ে দেওয়া হতো,তাহলে তুমি উভয় দুনিয়া ভুলে যেতে।বাদশাহি ছেড়ে দিয়ে ফকির হয়ে যেতে।

২।একদিন মজনু একটি কুকুরের পায়ে খুব আগ্রহ ভরে চুমু খাচ্ছিলো।এই দেয়ালে,ঐ দেয়ালে চুমু দিচ্ছিলো।
লোকেরা বলল,হে কায়েস!
লোকেরা তোমাকে পাগল বলে,মজনু বলে,এখন দেখি তুমি সত্যিই মজনু।কুকুরের পায়ে কি কেউ চুমু দেয়,কুকুরের পায়ে চুমু দিতেছো কেন?

মজনু উত্তর দিলো,এই কুকুরটাকে আমি আমার লাইলির গলির মধ্যে দেখেছিলাম।

৩।ইমরুল কায়েস(মজনু)ই সুধু লাইলিকে ভালোবাসতো না লাইলি ও কায়েসকে খুব ভালোবাসতো।দুজনের ভালোবাসা প্রেমের পর্যায়ে উন্নিত হয়েছিলো।মজনু লাইলিকে যে পরিমান ভালোবাসতো,তারথেকে অনেক বেশি ভালোবাসতো লাইলি, কায়েসকে।

লাইলির পিতা সম্ভবত বাদশা ছিলো।লাইলির পিতা এই প্রেম মেনে নিতে পারছিলো না।
এজন্য লইলির পিতা কারফিউ জারি করেছে,কোনোভাবেই যেন, মজনু লাইলির সাথে দেখা সাক্ষাত করতে না পারে।লাইলিকে গৃহবন্দী করে রাখা হোক।

এদিকে লাইলি মজনুকে না দেখে থাকতে পারছিলো না।এজন্য লাইলি একটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করে।
ভিক্ষুকদেরকে তিনি নিজহাতে দান করবেন, এই ঘোষনা রাজ্যজুড়ে দিয়ে দেওয়া হয়?
ভিক্ষুকদের সাথে ছেড়া জামা গায়ে দিয়ে মজনুও ভিক্ষা করার জন্য হাজির।আসলে তার উদ্যেশ্য ভিক্ষা করা না,লাইলি কে একনজর দেখা।কারন মজনুও অনেক শিক্ষিত,ধনি,উচু বংশের লোক ছিলো।
মজনু এভাবে ভিক্ষুক সেজে আসবে কারো কল্পনায়ও ছিলোনা,রাজ দরবারে মজনুর প্রবেশ নিষদ ছিলো।

লাইলি প্রত্যেক ভিক্ষুকের ঝুলি ভরে ভরে পরিতৃপ্ত করে দিচ্ছিলো,যখন নাকি মজনু নামক নকল ভিক্ষুকের পালা এলো,লাইলি তার হাত থেকে বাটি কেড়ে নিয়ে আচড়িয়ে ভেঙে ফেলল।

সব ভিক্ষুকরা মজনুু সাহেবের এই দুর্দশা দেখে হেসে উড়িয়ে দিলো,ভিক্ষা তো পেলোই না বাটিটাও হারালো।

মজনু তাদের মুর্খতাপূর্ণ হাসি দেখে বলল,

তোমাদের উদ্যেশ্যতো একমুষ্টি ভিক্ষা,
কিন্তু আমার উদ্দেশ্য ছিলো সয়ং ভিক্ষা দাতা।
হে ভিক্ষুকের দল,তোমরাতো একমুষ্টি ভিক্ষা নিয়েই সন্তুষ্ট,কিন্তু আমিতো চাই সয়ং ভিক্ষাদাতাকে।

রাজকুমারি যখন আমার বাটি ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে, ফেলল,এটা রাগের বসে ভাঙেনি,বরং ভালোবাসার উত্তাপে ভেঙে ফেলেছে।
বাটি নিয়ে কাড়াকাড়ি ধস্তাধস্তির সময় উভয়ের শরীরের সাথে ছোয়া লেগেছে।
হে ভিক্ষুকের দল!এই ছোয়া লাগার মজা তোমরা কি বুজবে, এর মধ্যে কি আনন্দ পেয়েছি,তা তোমাদের শত শত ভিক্ষার পুটলির থেকও দামি তা আমি আর রাজকুমারি জানে।তোমরা তো হেসে উড়িয়ে দিচ্ছ।

এই ঘটনা থেকে শিক্ষা,
"সুধু তৃষ্ণার্থই পানি খুজেনা,
পানিও তৃষ্ণার্থকে খুজে"

তৃষ্ণার্থ যেমন পানিকে পেয়ে তৃপ্তি লভে,
অনুরুপ পানিও,তৃষ্ণার্থের তৃপ্তিতে তৃ্প্তি পায়,আনন্দিত হয়।

দুনিয়ার সব মানুষ সুধু সৃষ্ট পদার্থের প্রেমে ডুবে আছে,সৃষ্ট পদার্থের খোঁজে লিপ্ত রয়েছে।
হাতে গোনা দুইচার জন বান্দা আছে,যারা সুধু সৃষ্টিকর্তাকেই চায়,অন্যকিছু নয়।আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেেই দুইচারজন দের অন্তর্ভুক্ত করুন।আমিন


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.