নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ শৈলীর জাদুঘর

হুমায়ূন রেজা

বিশ্বজোড়া আছে এক নীতি, নীতিহীন সেই নীতি, রাজনীতি যার নাম; সদা পাগল বিশ্ব মানবতা পেতে তারই আস্বাদন।

হুমায়ূন রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবন্ধ- “লেখক কেন লিখেন?” (শেষ পর্ব)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

প্রতিটি লেখক বাড কবি বলা যেতে পারে এক একখানি আর্শী।

তাদের হৃদ-জগতের দর্পনে বিশ্বের সকল ছবি প্রতিফলিত হয়ে। লেখক ও কবি সমাজ নিতান্ত বদ্ধ ঘরে থেকেও দেখতে পান যে সকল চেহারা; তা নিয়ে কবি লিখেন কবিতা বা গান। লেখন লিখেন গল্প, উপন্যামস, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদি। কৌতুক রস পরিবেশনকারী লেখকগন লেখেন প্রহসন।

প্রাকৃতিক দৃশ্যে পাগল হন কবি। রচনা করেন অপূর্ব কবিতা,-গান। ধীর ঠান্ডা মস্তিস্কে লেখক লিখে যান গল্প, প্রবন্ধ,। এরা উভয়েই সমুদ্রের সুনীল জলরাশি দেখে ভাবাবেগে আপ্লুত হন। একজন লেখক লেখেন কবিতা, অন্যজন রচনা করেন প্রবন্ধ। উভয়েই চাঁদের দেশের কল্পনার পর্যটক। একের ব্যঞ্জনা গান, অন্যের বহিঃ প্রকাশ প্রবন্ধ।

জন্মভূমির দৃশ্য নিয়ে লিখেন উভয়েই। কবি উদ্বুদ্ধহন ভাবাবেগে। রচনা করেন কবিতা। একই ভাবের সাধক তারা। ঝংকার, সুর, তাল লয় ও মান্দের উপাসক কবি। লেখক রসের, সৌর্ন্দয্যের ও সত্যের সাধক সত্যের পিছনে সন্ধান চালান উভয়েই। অনুসন্ধিৎসু তাদের কলম কাগজের আশ্রয় নিতে বাধ্য করে। তারা উভয়েই শাধক। শাধনায় তাদের একমাত্র সম্বল। যার সাধনা যত নিখুঁত তিনিই ততটুক সার্থক। তারা উভয়েই সৌন্দর্যের পূজারী। সৃজনশীল প্রতিভায় উদ্বদ্ধ হয়ে কবি তোলেন কবিতার ঝংকার । লেখক লিখে যান গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস। লেখক চরিত্র চিত্রনে দেখান তার কলমের বাহাদুরী। কবির নিকট চরিত্র অংকনটি গৌান। লেখকের নিকট তা মুখ্য। তারা উভয়েই মূলতঃ শিল্পি।

আমার নিকট তারা একখানি বিশাল আরশী তুল্য। সমগ্র বিশ্বের রূপ চেহারা সেই আরশীতে প্রতি ফলিত হয়। ঘরের কোনে নিরালা বসে থেকেউ তারা দেখতে পান সুদূর আমেরিকাও ইংল্যান্ডের ছবি। দেখতে পান তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ। দেখতে পান সেখানকার রাজনৈতকি, অর্থনৈতিক ও চারিত্রিক পরিবর্তন।

দ্রষ্টা হিসেবে উভয়েই কেউ কারুর চেয়ে কম নন। তবে একজন বাইরের অন্যজন ভেতরের। কবি একটি ফুল থেকে যখন ভ্রমরের মত মধু ও নির্যাস চয়ন করেন, লেখক তখন ফুলের পাপড়ি, বৃন্ত ও পল্লার নিলে খেলা করেন। উভয়ের দৃষ্টি একত্রিত হয়ে ফুলকে সার্থক করে তোলে। উভয়েই কল্পতরু। তারা কল্পনার পাখায় উড্ডীন হন।

কবির কল্পনা বড় তীব্র। লেখকের ঠান্ডা। কবির হৃদ- আয়নায় প্রতি বিম্বিত খন্ড সৌন্দর্য রাজিকে একত্রিত করে কবি যখন তার কাব্য রচনার সাজানো রূপমালা দেখে অভিভূত; লেখক সে সমস্ত সৌন্দর্য উপকরন দিয়ে একটি প্রবন্ধ রচনা করে গম্ভীর নাদে বলে উঠেন,- আমি পেয়েছি, আমার অধিষ্ট সুন্দরের সাক্ষাৎ।
তিনি বলে উঠেন আমি পেয়েছি আমার অভিষ্ট সুন্দরের সাক্ষাৎ। তিনি বলে উঠেন তুমি চির সুন্দর, চির লোতুন।

উভয়েই নিঃস্বার্থ প্রেমিক। উন্মদিনী প্রকৃতি রানীর প্রেমে উভয়েই বাঁধা। এ বন্ধন তাদের কারুর পক্ষেই ছিন্ন করা সম্ভখব নয়। নিজেকে পণ্ডশ্রম ভেবে কবি যখন হাল ছেড়ে শুয়ে পড়েন, লেখক যখন হতাশায় কাতর হয়ে কাগজ কলম ছুড়ে ফেলে ক্রন্দন করেন;- প্রেমাস্পদ প্রকৃতি দেবি উভয়ের মানসপটে হাস্য রাস্যে লেখার উপকরন নিয়ে তাড়া দেয়। আবার লিখতে বসেন কবি ও লেখক।
ইতি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো কবি লেখক সম্পর্কিত ধারণীয় ভাবনা পড়ে। সুন্দর লিখেছেন ভাই।

চালিয়ে যান অবিরাম, লিখতে লিখতেই লেখক হয় গাইতে গাইতে গায়ক।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.