![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজোড়া আছে এক নীতি, নীতিহীন সেই নীতি, রাজনীতি যার নাম; সদা পাগল বিশ্ব মানবতা পেতে তারই আস্বাদন।
কি হতে চাও কবি? পারবেনা হতে চেষ্টা করে;
লেখক হবে সাধনা বলে, বিশ্বের সকল বই পড়ে।
কলম ধর, লিখে যাও, দেখবে একটি কথার ছবি;-
কি সুন্দর তুমি ফেলেছ এঁকে, প্রচ্ছদ পটে লুকিয়ে থাকি।
কিন্তু ইহার পুরুষ ছবি, নহেক তোমার মানসী;
কবিতা হলে সুন্দরী হত, তোমার সাধের প্রেয়সী।
কবিতা রসের ঝংকার, আর ভাবের অপূর্ব মিলন ক্ষন;
কবির কণ্ঠের মোহন বাঁশরী; সুরে সুরে তা হয় নিক্কণ।
প্রবন্ধ, গদ্য, লেখক মনের পুলক পেলব প্রশান্তি;
ভাবের তথায় রয়েছে অন্বয়, গাঁথুনির নেই কান্তি।
চিন্তা জগতে একজন হয়, মাধুরী মাখান মাতৃ মুখ;
পিতৃ বৎ গদ্যের হেরি, উভয়ে নিয়ে এই জগত ।
তবে কেন, গদ্য হইবে কবিতা বল? কবিতা হইবে গদ্য?
গদ্য কবিতা বলিতেছো যারে, সে তো বৃহ্নলার ভাগ্য।
নপুংসকে সাজালে মানসী, সার হবে তব খাটুনি;
লেখক, কবি, হবেনা কোনটা পড়ে রবে তব বাঁটুনি।
ছন্দে বন্দে কাব্য গড়েছে, রবী, দীনেশ আর সত্যেন দা;
মাইকেল, নজরুল, রচেছে কবিতা তোমরা লিখিয়াছ যা।
নহে কবিতা নহেক গদ্য, নহেক পুস্প, নহেক ফল;
কাগজ কালির মিলন শুধু; নামহীন তা ছাল বাকল।
কবিতা ছন্দে নাচবে কবি, নাচবে সকল পাঠক মন;
নেচেছেন যেমন রবী নজরুল, ভোগ করেছেন হিন্দোল।
বিষাদ সিন্ধুর পুরোটাই যদি গদ্য কাব্য হল;
অম্লক্ষার, একজোগে হায়! কি চিজ তৈয়রী ক‘ল?
থিয়েটার মঞ্চে সাজিয়া যুবতি, যুবক পরিয়া শাড়ী;
কুচ যুগ হায়! শৃঙ্গধর করি, কান পাশা টিপ কপালে পরি।
নৃত্য গীদে হাতছানি দেয়, নিছক ছবির ডাক;
দর্শক মনে জাগায় ঘৃণা, যুবতীরা পায় লাজ।
কবিতা সদায় বোর্যা পরান, আকুল প্রাণের টান;
গদ্য হইবে ঘোমটা বিহীন, হবেনা তা নৃত্য গান।
সব কিছুকেই নবীন ক‘লে, নবীনতা যায় চলে;
পিয়াস কখনো মিটিবেনা দুধে, দুধের স্বাদ মিটেনা ঘোলে।
তাইতে কবিতা গান হয়ে আছে, চন্দ্র সূর্য তারকা দলে;
লতা বৃক্ষ, কুঞ্জ পুস্পে, পাতায় শাখায় সাগর জলে।
প্রবন্ধ, গদ্য, ইযেই রচিত হলেও গাঁথুনি অন্য;
ঝংকারহীন, রাসাল রচনা হলেই গদ্য ধন্য।
কথক, লেখক, সাহিত্যিক যাহা মনে লয় হয়ে যাও;
কবি ও কবিতা, ভিন্ন জিনিশ, হতে হলে গান গাও।
সমাপ্ত
©somewhere in net ltd.