![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের আই জি বললেন এটা দুষ্ট ছেলেদের দুষ্টামি।
একই দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা এক ছাত্রীকে জোর করে টেনে ঝোপের ভিতর নিয়ে যায়, তার শাড়ী ধরে টানাটানি করার এক পর্যায়ে ছাত্রিটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তার ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতরা পালিয়ে যায় বীরের মত।
গত এক সপ্তাহের ভিতরেই মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে এক শিশু যৌন নির্যাতনের স্বীকার। অভিভাবকের প্রতিবাদের মুখে প্রিঞ্চিপ্যাল বললেন ‘‘মধু থাকলে ভ্রমর আসবেই’’। আমি জানি না, আমি বুঝতে পারি না নিষ্পাপ একটা বাচ্চা মেয়ের ভিতর কি মধু আছে??
ঢাকা মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালের আনসার ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর আত্বীয় ধর্ষণের স্বীকার। এই আনসার রাই ঢাকা মেডিকেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কর্মক্ষেত্র থেকে ঘরে ফেরার পথে রাজধানীতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। পত্রিকায় জানতে পেরেছি এই তরুণী একজন আদিবাসি। আদিবাসী না বাঙালি এখানে তা মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দুর্বৃত্তরা। একের পর এক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণ-নিপীড়নের কোন ঘটনারই বিচার হচ্ছে না। সরকার নির্বিকার। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। পুলিশপ্রধান যৌন নিপীড়নকে ‘দুষ্টুমি’ বলে চিহ্নিত করে ধর্ষক-যৌন নিপীড়কদের উসকে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের উসকানি ও মদদে ধর্ষকরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
অন্য একটি ভিন্ন খবরে জানা গেছে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটে বোরকা পরা নারীদের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছ অসংখ্য সাধু পুরুষ মানুষ।
প্রথমেই নারী মাংস লোভী পুরুষ মানুষ চিহ্নিত করে বেছে নেয় এরা। এক পর্যায়ে মুখোশধারি এমন ভদ্রলোকের একজন কে বেছে নিয়ে একসঙ্গে রিকশায় ওঠেন। উদ্দেশ্য নিরাপদ গন্তব্যস্থল। এর পর শুরু প্রতারণার কাহিনী। পুরুষ শিকারি বোরকা পরা নারীর খপ্পরে পড়ে নগদ টাকা, দামি মোবাইল ফোনসেট খুইয়ে নিজের পশ্চাদদেশে এক খানা লাথি খেয়ে মান সম্মান নিয়ে বাড়ি ফেরেন সাধু পুরুষের বেশে। । উপায়ন্তর না পেয়ে অনেকটা লুকিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান সাধু পুরুষেরা।
এই অনাচারের যুগে আমি ঐ সকল মহিলাদের একটি লাল সালাম জানাই তাদের এহেন কাজের জন্য। অফিসে, বাসে, স্কুলে, কলেজে, শপিং মলে এমন সব সাধু পুরুষের লোভাতুর কামার্ত চাহনিকে তারা চিনেছেন ও হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছেন । এই মানুষ রুপি জানোয়ার গুলির কাছে স্কুলের বাচ্চা থেকে মায়ের বয়সী মহিলা সহ সবাই কোন না কোন ভাবে যুব নিগ্রহের স্বীকার হন। একটু সুযোগ পেলেই জানোয়ার গুলি তাদের পৈচাশিক আনন্দের জন্য নারীদের লাঞ্ছিত করে থাকে।
স্রেফ অভাবের তাড়নায় হোক আর স্বভাবের তাড়নায় হোক এ সকল নারীগণ যে তাদের শিকার হিসাবে এমন সব মুখোশধারি পুরুষ মানুষ গুলিকে বেছে নিয়েছে তার জন্য আর একবার ধন্যবাদ জানাই। তোমাদের ধন্যবাদ , কারন আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে অক্ষম।
©somewhere in net ltd.