![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু বলার নাই।
বর্তমানে আমারা যে পৃথিবীকে দেখতে পারছি, আজ থেকে ১০০ বা তারও আগে আমাদের পৃথিবী এমন ছিল না। অনেক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা আজকের এই পৃথিবী পেয়েছি। এই পরিবর্তনের পিছনে অবদান আছে অনেক শাখার। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে বিজ্ঞানের হাত ধরে। জীবন ও বিজ্ঞান যেন একই সূত্রে গাঁথা। বিজ্ঞানের কল্যাণে আমাদের জীবন হয়েছে সুন্দর, সহজ আর গতিময়। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কার এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।
এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীকে সুন্দর করে সাঁজাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানিদের অবদানকেও ছোট করে দেখা যাবে না। আমরা কতজন বাংলাদেশী সেইসব কৃতি বিজ্ঞানিদের জানি বা চিনি, যাদের কারনে আমরা আজ এই সুন্দর বাসস্থান পেয়াছি?
বাংলাদেশী সেইসব কৃতি বিজ্ঞানীদের নিয়ে আমার পর্বভিত্তিক পোস্ট “বাংলাদেশঃ বিজ্ঞানী ও তাদের আবিস্কার”।
১) উদ্ভিদের প্রাণ (জগদীশ চন্দ্র বসু)
সবর্প্রথম উদ্ভিদে প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেছিলেন তিনি হলেন বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক বিজ্ঞানী এবং বাংলার গর্ব আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু।
১৯০০ সালের আগে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু শুধুমাত্র পদার্থবিজ্ঞান নিয়েই গবেষণা করতেন। এক পযার্য়ে পদার্থ বিজ্ঞানের পাশাপাশি তার জীব বিজ্ঞানের প্রতিও তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার এক পযার্য়ে তার মনে হলো, বিদ্যূত প্রবাহে উদ্ভিদও উত্তেজনা অনুভব করে এবং সাড়া দিতে পারে। সাড়া দেবার মতো ক্ষমতা শুধু প্রানীর আছে এ কথাটি সত্য নয়, উদ্ভিদও সাড়া দিতে পারে। অর্থ্যাৎ, উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে।
১৯০১ সালের ৬ জুন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু রয়েল সোসাইটির এক সেমিনারে বক্তৃতা দেন। বক্তৃতার বিষয়বস্তু,- অজৈব বস্তুর বৈদ্যুতিক সাড়া’(Electric Response of Inorganic Substances)। পরের বছর ২০ মার্চ তিনি লিনিয়াস সোসাইটির এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এবারে সরাসরি উদ্ভিদের কথা বলা হয়। সেমিনারের বিষয় ছিল- ‘যান্ত্রিক উত্তেজনায় সাধারন উদ্ভিদের বৈদ্যূতিক সাড়া’(Electric Response in Ordinary Plants Under Mechanical Stimulus)। বিভিন্ন অবস্থায় উদ্ভিদ কেমন সাড়া দেয় তা দেখার জন্য বিজ্ঞানী বসু গাজর, মূলা, বাদাম, শালগম, বেগুন, ফুলকপি সহ বেশ কয়েকটি উদ্ভিদ নিয়ে গবেষনা করেন। উদ্ভিদের বৈদ্যুতিক সাড়া এবং বৃদ্ধির পরিমান নির্নয় করার জন্য তিনি একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যার নাম অনুরণন মাপক(Resonant Recorder)।
১৯১০ সালের দিকে বিজ্ঞানী বসু তার গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল একটি বই আকারে প্রকাশ করেন। বইটির নাম ‘জীব ও জড়ের সাড়া’(Response in the Living and Non-Living)। আর এভাবেই জগদীশ চন্দ্র বসু সমগ্র বিশ্বে সামনে তুলে ধরেন একটি শ্বাশত সত্য, ‘উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে”
জগদীশ চন্দ্র বসু
একজন সফল বাঙালি বিজ্ঞানী। জগদীশ চন্দ্র বসু বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত বিক্রমপুর নামক স্থানের রাঢ়িখাল গ্রামে। তার বাবা ভগবান চন্দ্র বসু তখন ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। এর আগে তিনি ১৮৫৩ থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
জগদীশ চন্দ্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলা ভাষায় ছোটদের বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য জগদীশ চন্দ্র 'অব্যক্ত’ নামে একটা বই লিখেছিলেন। জগদীশ চন্দ্র বসু ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি, যিনি আমেরিকান প্যাটেন্টের অধিকারী। ২০০৪ সালের এপ্রিলে বিবিসি রেডিওর জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে সপ্তম স্থান অধিকার করেন।
মৃত্যু ২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ গিরিডি, ঝারখণ্ড।
২) কলেরার কারণ আবিষ্কার (ডাক্তার শাহ এম ফারুক)
ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থেকে কিভাবে মারাত্মক কলেরা হয় তার কারণ আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের এক বিজ্ঞানী। আন্তর্জাতিক কলেরা রোগ গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআরবি'র আণবিক জেনেটিক্স বিভাগের প্রধান ডাক্তার শাহ এম ফারুক ও তার গবেষণা দল এ আবিষ্কার করেছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর দিয়েছে।
যখন বিশ্বব্যাপী কলেরার কারণ হিসেবে নতুন ধরণের ব্যাক্টেরিয়াকে দায়ী বলে ধারনা করা হচ্ছে তখন গবেষক দলটি এ সাফল্য অর্জন করল। তারা বলছে, 'ভিবরিও' নামে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে মানুষ আক্রান্ত হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ গবেষণায় দেখানো হয়েছে কিভাবে অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়া ভিবিরিও'র সংস্পর্শে এসে একে আরো কার্যকরী বা শক্তিশালী করে তোলে।
ড. শাহ ফারুক
তিনি ২০০৫ সালে উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে (TWAS Prize-2005) সর্বোচ্চ পুরুষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিকভাবে এই স্বীকৃতি অর্জনের নেপথ্যে রয়েছে সায়েন্টিফিক জার্নালের পাবলিকেশন। তিনি এ পর্যন্ত বিশ্বমানের ১০০’র উপরে পিয়ার রিভিউড গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তাঁর গবেষণার মান পৃথিবীর ঐ সমস্ত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন হার্ভার্ড, কেমব্রীজ) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (NIH) কর্মরত বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের সাথে তুলনীয়। সম্প্রতি (২০১০) তার গবেষণালব্ধ তথ্য বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা সায়েন্টিফিক জার্নাল নেচার (Nature)-এ প্রকাশিত হয়েছে।
৩) স্পেকট্রোমিটার (ডঃ আনিসুর রাহমান)
মানুষের শরীরের বিস্ফুরক জাতীয় কোন উপাদান সনাক্ত করার যন্ত্র স্পেকট্রোমিটার। এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে এতদিন এই পরীক্ষা করা হত। এই স্পেকট্রোমিটারের সাহায্যে এখন আরও সহজে এই বিস্ফুরক জাতীয় কোন উপাদান সনাক্ত করা যাবে। এই স্পেকট্রোমিটারের আবিস্কারক বাংলাদেশের একজন সফল বিজ্ঞানী ডঃ আনিসুর রাহমান। মানবদেহে বিস্ফুরক জাতীয় উপাদান সনাক্ত করার জন্য অনেক দিন ধরে দেশে ও দেশের বাইরে গবেষণা চলছিল।
ডঃ আনিসুর রাহমান
ড. আনিসুর রহমানের বাড়ি বাংলদেশের পাবনায়। দেশে অবস্থানকালে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট আণবিক বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও ড. শমসের আলীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে তিনি ছিলেন সায়েন্টিফিক অফিসার।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিনে অবস্থিত মার্কেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভের পর পেনসিলভেনিয়ার এপ্লাইড রিচার্স ফটোনিক্স কোম্পানির সিইও হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
৪) সোলার এনার্জি সেলস (ড. জামালউদ্দিন)
বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর সোলার এনার্জি সেলস উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ম্যারিল্যান্ডের কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং গবেষক বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. জামালউদ্দিন ইতিহাস গড়েছেন। কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যাচারাল সাইন্সের সহকারী অধ্যাপক এবং ইউনিভার্সিটির নেনোট্যাকনোলজি রিচার্স সেন্টারের গবেষক ডঃ জামালউদ্দিন এবং তার পাঁচ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষানবিশ গবেষকরা স্পেক্ট্রোল্যাবের সোলার সেলের তুলনায় প্রায় ৪ পারসেন্ট অধিক কার্যকর সোলার এনার্জি সেল উদ্ভাবন করলেন।
প্রসঙ্গত, এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সোলার এনার্জি সেল তৈরির শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রোল্যাব। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সোলার সেল তৈরির সুনামটিও তাদের। নিজের এই উদ্ভাবনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়াতে ডঃ জামালউদ্দিন জানান, এটা সত্যিই রোমাঞ্চকর এবং আশাব্যঞ্জক একটি বিষয় যা আরো অধিক নেনোট্যাকনোলজির ওপর গবেষণাকল্পে আমাদের আরো উৎসাহ যোগাবে।
ড. জামাল উদ্দিন এবং তার গ্রুপ সোলার সেল থেকে শতকরা ৪৩.৪ পুনঃব্যবহারযোগ্য এনার্জি উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে যা বিশ্বে এই উৎপাদনের সর্বোচ্চ মাত্রা। ড. জামাল মেটাফিজিঙ্ক সফট ওয়ার-কমসল এবং পিসি-ওয়ান ডি ব্যবহার করে এই ক্ষেত্রে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন।
ড. জামাল
ড. জামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের মরহুম আব্দুল জলিল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছার পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ড. জামাল।
৫) তাপীয় আয়নবাদ তত্ত্ব (মেঘনাদ সাহা )
মেঘনাদ সাহা পরমাণু বিজ্ঞান, আয়ন মণ্ডল, পঞ্জিকা সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ ও নদী পরিকল্পনা বিষয়ে গবেষণা করেন। তাপীয় আয়নবাদ (Thermal Ionization) সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
মেঘনাদ সাহা
জন্ম ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকার কাছে শ্যাওড়াতলী গ্রামে। গরীব ঘরে জন্ম। বাবা জগন্নাথ সাহা ছিলেন মুদি। প্রেসিডেন্সী কলেজে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও প্রশান্ত চন্দ্র মহালনবিশের সহপাঠী (এবং আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ও আচার্য আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ছাত্র)। মৃত্যু ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৫৬।
৬) উলের প্রোটিন থেকে চিকিৎসা পদ্ধতি (আজম আলী )
আজম আলী উলের প্রোটিন থেকে এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন, যার মাধ্যমে অগ্নিদগ্ধ ও রাসায়নিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর ত্বক ও মাংশপেশীর আরোগ্য সম্ভব। আগুনে মানুষের শরীরের ত্বক ও মাংস উভয়ই ঝলসে যায়। বাজারে যে ওষুধগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো শুধু ক্ষত স্থানের ত্বকই তৈরি করে। আর আজম আলী কাজ করেছেন উল নিয়ে। উলে কেরাটিন নামের প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিনটা মানুষের নখ ও চুলেও পাওয়া যায়। তিনি নিউজিল্যান্ডে পাঁচ বছর ধরে এটা নিয়ে কাজ করেছেন। এই কেরাটিনকে রি-ইঞ্জিনিয়ারিং করে তিনি কেরাজেল, কেরাডাম ও কেরাফোম তৈরি করেছেন। ক্ষত স্থানে এগুলো ব্যবহার কররে শুধু ত্বকই নয়, মাংসপেশির টিস্যুও তৈরি করবে। তা ছাড়া তুলনামূলক ৪০ গুণ দ্রুত কাজ করবে এটা।
২০১০ সালে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার বেয়ার ইনোভেটর পুরস্কার পান।
আজম আলী
আজম আলী একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী। ১৯৬৭ সালের এপ্রিলে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে (বর্তমান নাম সেতাবগঞ্জ) আজম আলীর জন্মগ্রহণ করেন।
৭) রেকডি (জেনেটিক রিকম্বিনেশনের জিন) (আবেদ চৌধুরী)
আবেদ চৌধুরী আধুনিক জীববিজ্ঞানের প্রথম সারির গবেষকদের একজন। তিনি পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইনিস্টিটিউট অফ মলিকুলার বায়লজি এবং ওয়াশিংটন স্টেটের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ ইনিস্টিটিউটে। ১৯৮৩ সালে পিএইচ.ডি গবেষণাকালে তিনি রেকডি নামক জেনেটিক রিকম্বিনেশনের একটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন যা নিয়ে আশির দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যাপক গবেষণা হয়। তিনি অযৌন বীজ উৎপাদন (এফআইএস) সংক্রান্ত তিনটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন,যার মাধ্যমে এই জিনবিশিষ্ট মিউটেন্ট নিষেক ছাড়াই আংশিক বীজ উৎপাদনে সক্ষম হয়। তার এই আবিষ্কার এপোমিক্সিস এর সূচনা করেছে যার মাধ্যমে পিতৃবিহীন বীজ উৎপাদন সম্ভব হয়।
আবেদ চৌধুরী
একজন বাঙ্গালী জিনবিজ্ঞানী, বিজ্ঞানলেখক এবং কবি। তিনি বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এবং ক্যানবেরা শহরে বসবাস করেন। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে শৈবাল ও অন্তরীক্ষ গ্রন্থটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাঁর কবি হিসাবে আত্মপ্রকাশ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট হেলথ, ম্যাসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অফ টেকনলজি এবং ফ্রান্সের ইকোল নরমাল সুপিরিয়রের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থায় একদল বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত গবেষকদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অনেক পেশাদরী জার্নালে তাঁর লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি সহজবোধ্য ভাষায় বাংলা ও ইংরেজিতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।
৮) সংকর ধাতু উদ্ভাবন (আব্দুস সাত্তার খান)
তিনি নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস এবং অ্যালস্টমে কাজ করার সময়ে ৪০টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন। এই সংকর ধাতুগুলো ইঞ্জিনকে আরো হালকা করেছে, যার ফলে উড়োজাহাজের পক্ষে আরো দ্রুত উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে এবং ট্রেনকে আরো গতিশীল করেছে। তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।
আব্দুস সাত্তার খান
আব্দুস সাত্তার খান ১৯৪১ - ৩১শে জানুয়ারি, ২০০৮ বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত মহাকাশ গবেষক। কর্মজীবনে তিনি নাসা, ইউনাইটেড টেকনোলজিসের প্র্যাট এন্ড হুইটনি এবং অ্যালস্টমে (সুইজারল্যান্ড) কাজ করেছেন।
আব্দুস সাত্তারের গবেষণা এবং মহাকাশে তার প্রয়োগের জন্য তিনি নাসা, আমেরিকান বিমানবাহিনী, ইউনাইটেড টেকনোলজি এবং অ্যালস্টম থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রির একজন পেশাদার রসায়নবিদ এবং নির্বাচিত ফেলো।
২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৪
হাইড্রোজেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৮
মো: আবু জাফর বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের পদার্থ বি: এসমান গণী তালুকদার স্যার এর কথা বাদ দিলেন না জানেন না ? বিস্তারিত তার ওয়েব সাইটে http://www.mogtalukder.com/
২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৩
হাইড্রোজেন বলেছেন: পর্ব ২ বাকি আছে। চেষ্টা করবো যতটুকু জানি, জানাতে। আপনার কথাটা মাথায় থাকবে। ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১১
মো: আবু জাফর বলেছেন: উপরের আমার কমেন্টস এ বানান ভুল আছে । আর স্যার এর সাইট টির কাজ চলছে শুধু কন্টাক্ট পেইজ ঠিক আছে
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৪
মাহবুব মুনিম অর্ণব বলেছেন: আনবিলিভেবল, কঠিন কাম করসেন ভাই..। তিন জন বাদে কারো ব্যাপারে জানতামই না....।মাসাল্লাহ...আমার মার দিক কার এক কাজিন আছে নাসাতে..মংগল নিয়া কি সব করে........
২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩৪
হাইড্রোজেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১৯
সত্যান্বেষী বলেছেন: গুরুত্ত্বপূর্ণ পোস্ট।
২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩৩
হাইড্রোজেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্লাস সহ প্রিয়তে।
আমরা বাঙালিরা আজকে আত্মঅনুসন্ধানে ব্যস্ত।
পোস্টটি স্টিকি করা খুবই প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩৪
হাইড্রোজেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:০২
ৈসকত ইসলাম বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি পোস্ট +++
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০২
পরাগ জাফর বলেছেন: শাবাশ বাঙালী
৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২০
অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: ++++
সোজা প্রিয়তে
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪১
আগে নাকি ভালো ছিলাম বলেছেন: আহারে, যদি এই লোক গুলারে আমরা প্রকৃত সম্মান করতে পারতাম !!
১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
হাইড্রোজেন বলেছেন:
ধন্যবাদ
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৫
সাসুম বলেছেন: আমার আব্বার এক ছাত্র আছে নাসায় । কি একটা আবিষ্কার করলো কয় দিন আগে, খুব হইচই পড়ে গেছিলো । আমারে কালকে মেইল করলো পড়ালেখা ভালোভাবে করার জন্য, আমার জন্য নাকি লাইন দিবেন । আমি চিন্তা করলাম আমার যে রেসাল্ট তাতে নাসার বিজ্ঞানীদের ভাত রান্নার চাকুরী ও পাবো না, নিশ্চিত ।
হাইড্রোজেন ভাই আপনাতে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটা বিষয় সামনে আনার জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৫
আদরসারািদন বলেছেন: আলমারিতে