![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যার ইসলামের কথা ফাঁস হয়ে যেত তিনি
মুশরিকদের নিপীড়নের সহজ লক্ষ্যবস্তুতে
পরিণত হতেন। বিশেষত দুর্বল মুসলিমরা।
এ পরিপ্রেক্ষিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সহাবীদেরকে দ্বীন নিয়ে হাবশায়
(ইথিওপিয়া) হিজরত করার নির্দেশ দেন।
তিনি সেখানকার শাসক নাজাসীর নিকট
নিরাপত্তা পাওয়ার আশ্বাস দেন। অনেক
মুসলমান নিজের জান ও পরিবার বর্গের
ব্যাপারে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতো। তাই
নবুওয়াতের ৫ম বছরে প্রায় ৭০ জন মুসলিম
সপরিবারে হিজরত করেন। তাঁদের মধ্যে
উসমান বিন আফফান ও তাঁর স্ত্রী রুকাইয়্যাও
ছিলেন। এ দিকে কুরাইশরা ইথিওপিয়ায়
হিজরত কারীদের অবস্থান ব্যাহত করার চেষ্টা
করে। সে দেশের রাজার জন্য পাঠায় উৎকোচ। পলায়নকারীদের (মুহাজির) বহিস্কারের অনুরোধ
জানায়। তারা আরো বলে যে, মুসলিমরা ঈসা
আলাইহিস সালাম ও মরিয়াম সম্পর্কে
অপমানকর ও অশিষ্ট বাক্য ব্যবহার করে। নাজাসী
তাদেরকে ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করলে তাঁরা সত্যটি সুস্পষ্ট ভাবে বলে
দেন, শাসক মুসলিমদের আশ্রয় দেন এবং
বহিস্কার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এ বছরের
রমযান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
হারাম শরীফে যান। সেখানে ছিল কুরাইশেরএক
দল লোক। তিনি দাঁড়িয়ে হঠাৎ করে তাদের সামনে
সুরায়ে নাজম তেলাওয়াত করতে লাগলেন। এ
সব কাফেররা ইতিপূর্বে কখনো আল্লাহর বাণী
শুনেনি। কেননা তাঁরা রাসূলের কিছুই না শুনার
পদ্ধতি অনুসরণ করে আসতেছিলো। আকস্মাৎ
তেলাওয়াতের মধুর ধ্বনি তাদের কর্ণে গেলে
তাঁরা আল্লাহর হৃদয়গ্রাহী চিত্তাকর্ষক বাণী ও সাবলীল
ভাষা একাগ্রচিত্তে শুনে। অন্তরে তা ছাড়া অন্য
কিছুই নেই। এক পর্যায়ে রাসূল—
﴿ﻓَﭑﺳۡﺠُﺪُﻭﺍْۤ ﻟِﻠَّﻪِۤ ﻭَﭐﻋۡﺒُﺪُﻭﺍْ ۩ ٦٢ ﴾[ ﺍﻟﻨﺠﻢ :62
]
আয়াতটি পড়ে সেজদায় চলে যান। উপস্থিত
ব্যাক্তিদের মধ্যে কেউ নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রন
করতে পারেনি। তাঁরাও সেজদায় চলে যায়।
অনুপস্থিত মুশরিকরা তাদেরকে তিরস্কার করে,
ভৎসনা করে। অন্য কোন উপায়
না দেখে এরা রাসূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা রচনা
করে যে, তিনি তাদের মূর্তির প্রশংসা করেন
এবং বলেন, “তাদের (মুর্তিসমূহের) সুপারিশের
আশা করা যায়” সেজদা করার অজুহাত স্বরুপ
এ ভিত্তিহীন, নিরেট মিথ্যার বেসাতী করে তারা।
©somewhere in net ltd.