নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অ্যামেচারের কিছু কথা...

মু.ই.মা ইমন

বাংলাদেশী হওয়ার চেষ্টায় আছি

মু.ই.মা ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীকূলের মতিগতি বোঝা বড় দায় ...

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ছেলেদের ধারণা – মেয়েরা এমন কোন ছেলেকে জীবনসংগী করতে চায় যার মাঝে কোন চারিত্রিক সমস্যা থাকবে না – সোজা বাংলায় আরেকজন মেয়ের সাথে তার থাকবে না কোন চোখে লাগার মত সম্পর্ক এবং ছেলেটা যেন অতিরিক্ত বদমেজাজী না হয় – যাতে করে সংসারে সারাদিন ঝগরাঝাটি লেগেই থাকে ।



আসুন আমরা চোখ বুলাই একজন বিবাহিত মেয়ের ‘সমস্যার’ দিকে – যেটা একজন থেরাপিস্টকে উদ্দেশ্য করে লেখা ।



“বিয়ের সময় আমার বয়স ছিল মাত্র উনিশ বছর । হুট করেই আমার বিয়েটা হয়ে যায় । আমার বর পেশায় একজন আইনজীবি । বিয়ের পর থেকেই তাকে দেখে আসছি, প্রয়োজন না হলে সে কোন কথা বলে না । হাসি-ঠাট্টা কি জিনিস সে বোধহয় জানেই না । আমাদের পরিবারে আমি, আমার স্বামী ও পাঁচ বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান । আর্থিকভাবে আমার স্বামী যথেষ্টই সচ্ছল । আমাদের অ্যাপার্টমেন্ট, গাড়ি-বাড়ি সবই আছে । কিন্তু নেই কোন খুশির উচ্ছ্বাস । সাত বছরের বিবাহিত জীবনে একবার শুধু থাইল্যান্ডে বেড়াতে যাওয়া ছাড়া স্বামীর সাথে দেশের বাইরে তো দূরে থাক দেশের ভেতরেও কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি আমার । বহুবার তাকে বলেছি – কিন্তু সে প্রতিবারই বলে নানান ব্যাস্ততার কথা । আর বলে, আমি তোমার যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি তুমি অন্য কাওকে সঙ্গে নিয়ে যাও।



আমি এটা বলতে পারি – আমার স্বামীর কোন বদভ্যাস নেই, নেই চারিত্রিক কোন দোষ-ত্রুটি । কিন্তু তার পরেও আমার তার সাথে অ্যাডজাস্ট হয় না । মনে হয় সে যেন রসকষবিহীন নিষ্প্রাণ একটি জড়পদার্থ ।



আমি স্বামী হিসেবে এমন একজনকে চাই – যে কি না আমাকে ভালবাসবে । আমার সঙ্গে মান অভিমান হবে । মাঝে মধ্যে ঝগড়া-ঝাঁটিও হবে । যার সেন্স অফ হিউমার থাকবে । যে কি না অন্যদের সঙ্গে নিজেকে সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে ।



আপা, এবার আসল কথায় আসি – কিছুদিন আগে – প্রায় ছয়-সাত মাস আগে – একজনের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে । সে পেশায় ব্যবসায়ী । খুবই হাসিখুশি টাইপের মানুষ সে । প্রায় রোজই মোবাইলে কথা হয় ওর সাথে ।



আমি তাকে বলেছি – আমার স্বামী ও সন্তান আছে – শুধুমাত্র বন্ধুত্ব ছাড়া আর যেন কিছু সে আশা না করে । সে অবশ্য এখনও অবিবাহিত ।

আপা, আমার মনে হয় না এ ধরনের সম্পর্কের মাঝে কোন দোষ ত্রুটি থাকতে পারে । কারণ আমারও তো কিছুটা হাসিখুশি থাকা আর মানসিক চাপমুক্ত থাকার অধিকার আছে । এ ব্যাপারে আপনার সুচিন্তিত মতামতের প্রতীক্ষায় থাকলাম”

বিথি

ঝিগাতলা, ঢাকা ।



এর লেখা পড়ে মন চাইল দুটো থাপ্পড় আগে দিয়ে নেই ।

যদি স্বামী বেচারার সেই গুণগুলো থাকত যেগুলো এই মেয়ে আশা করে – আর যে গুণগুলো আছে সেগুলো যদি না থাকত – তাহলে হয়ত এ বুঝত ঠ্যালা কাকে বলে ।



সমস্যা হল – ভালো ছেলেরা ফ্লার্টি হয় না আর ফ্লার্টি ছেলেরা ভালো হয় না – কিন্তু মেয়েরা চায় একজন ফ্লার্টি ভালো ছেলে – হতাশাজনক ।



আমি আজও মেয়েদের সমস্যা বুঝি না । তারা হয় ১০০% নিখুঁত একটা ছেলে চায় ।

অথবা তারা এতটাই অধৈর্য যে একটা ছেলেকে নিজের মনের মত পালটে ফেলতে জানে না ।

অথবা তারা একটাই স্বল্প-সহনশীলা যে যে ছেলের ৯০% ভালো লাগে তার বাকি ১০% খারাপ লাগা জিনিসগুলোকে কম্প্রোমাইজ করতে পারে না – যদিও সেই ১০% খারাপ লাগা জিনিসের সাথে চিটিং –এর কোন ব্যাপারই নেই ।



তবে যেসব মেয়ের মধ্যে এধরণের সমস্যা নেই – তারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের অন্তর্ভুক্ত – কোন সন্দেহ নেই ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: ভালো ছেলেরা ফ্লার্টি হয় না আর ফ্লার্টি ছেলেরা ভালো হয় না।
সহমত
মেয়েদের মন বুঝা বড় কষ্ট

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

মু.ই.মা ইমন বলেছেন: :O :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.