![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বাংলা" একটি বিশাল নাম। বাঙ্গালী চিরদিনই স্বাধীনচেতা। বাঙ্গালীর বাঙ্গালীয়ানা হার মানায় অন্যান্য জাতিকেও। তবে বাঙ্গালীর এতটা কন্সার্ভেশন কেন তা আমাদের বুঝতে হবে। আমরা সবকিছু নিজের মত করে করতে চাই। আমার এলাকায় বিদেশের কেউ এসে হাতাহাতি করবে এটা আমরা পছন্দ করি না।
বাংলা এইজন্য ইতিহাসে অনেকটা সময় জুড়ে স্বাধীন ছিল। সম্রাট আকবরের আমলেও বাংলা স্বাধীন থেকেছে। ঈসা খাঁয়ের সাথে আকবরের একটা চুক্তিই ছিল যে বছর বছর আমরা খাজনা দেব তোমরা আমাদেরকে কিছু বলতে পারবা না। সম্রাট জাহাঙ্গীর বাংলা দখল করলেন ঠিকই। কিন্তু তা নিজের দখলে বেশিদিন রাখতে পারেন নাই। তার কারণ হলো ভারতীয়দের আমরা চিরদিনই বিদেশীদের তালিকায় ফেলেছি। ভারতীয় কেউ আমাদের উপর খবরদারি করবে এটা বাঙ্গালী মেনে নেবে না।
এইজন্য বাংলা বিহার উড়িষ্যা স্বাধীন ভাবে নবাবের হাতে পরিচালিত হত। বৃটিশ আমলের কথায় চলে আসি। যখন বৃটিশরা বাংলা দখল করে তখন বাংলার নবাব ছিলেন সব থেকে শক্তিশালী। তাঁর সাথে পেরে ওঠার ক্ষমতা বৃটিশদেরও ছিল না। কিন্তু বৃটিশরা একরকম কারচুপি করে এই যুদ্ধে জিতে গেল। তারপরের ইতিহাস সবারই জানা।
বৃটিশরা জানত, বাংলার শক্তি কতখানি হতে পারে। ইতিমধ্যে ঘটে যায় কতগুলো ঘটনা। তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো তিতুমীরের আন্দোলন। যার সাথে ৮৩ হাজার কৃষক জড়িত ছিল। এবং তিতুমীর বাংলাকে স্বাধীন ঘোষণা করতে চাইলেন। বৃটিশরা তাকে পরাজিত করলেও তাদের মনে একটা বিষ এটে গেল। বাংলাকে এক থাকতে দেওয়া যাবে না। বাংলা এক থাকলে যেকোন বড় আন্দোলন তারা গড়ে তুলবে। বাংলার শক্তি তখন বৃটিশদের জানা হয়ে গেছে।
কিন্তু বাংলার এই ভাঙ্গন কেমনে ধরাবে এইব্যাপারটা তারা বুঝতে পারছিল না। তখন একটা বিষয় তারা খেয়াল করল। বাংলার মুসলিমরা বৃটিশ শিক্ষার বিরোধী। কিন্তু কোলকাতার হিন্দুরা পাশ্চাত্য শিক্ষায় দিনকে দিন উন্নতি করছিল। জিনিসটা বুঝতে পেরে তড়িৎ গতিতে তারা কাজ করল। বঙ্গভঙ্গের ডাক দিল। তার কারণ হিসেবে দেখাল এত বড় রাজ্য নাকি চালানো অনেক সমস্যা। অতচ তারা তখন বিশ্বের অর্ধেক পরিচালনা করছিল। তা যা হোক পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালীরা ষড়যন্ত্র বুঝতে পারে। কারণ তাদের মধ্যে তখন জাতীয়তাবোধের জন্ম হয়েছে। এদিকে পূর্ববঙ্গের মানুষ অধিকাংশই মুসলিম। কিন্তু তারা তখনও পাশ্চাত্য শিক্ষা দ্বারে পৌছায়নি। বৃটিশরা কোলকাতার আন্দোলনের জবাব দিল এইভাবে, যে তারা নাকি পূর্ববঙ্গের মুসলিমদের উন্নতি চায় না। তারা একচোখা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বাংলার মানুষের মধ্যে বিভেদের কবর খোড়া ততদিনে হয়ে গেছে। বাংলার মানুষ হিন্দু মুসলিম চিনে ফেলেছে। হিন্দু কখনও মুসলিমের ভাল চায় না, আবার মুসলিম কখনই হিন্দুদের ভাল চায় না, এমনই বিশ্বাস হলো তাদের। বঙ্গভঙ্গ রদ হলেও বাংলার মানুষের মাঝে বৃটিশরা বেড়া টেনে দিয়েছে। এখন আর এক হওয়া সম্ভব নয়।
চেতনাকে বিভক্তকারী বৃটিশরা বানাতে শুরু করল, খান বাহাদুর, নবাব নামক কতগুলো চামচা। যারা বৃটিশদের চামচামি করে চেতনাকে আরও তাড়াতাড়ি বিভক্ত করে ফেলল। এদিকে বঙ্গভঙ্গ রদ হতে দেখে কোলকাতার বাবুরা চুপ। তাদের কোন আপত্তি নেই।
এই তো গেল ইতিহাসের কথা। এই বিভক্ত চেতনা পূর্ববঙ্গের জন্য হয়ে গেল শাপে বর। কেন তা একটু পরে বলছি। ১৯৪৭ সালে ভারতকে ভাগ করে দেওয়া হলো। কোলকাতাকে ভাগ করে দেওয়া হলো ভারতের ভেতর। পূর্ববঙ্গ পরে গেল পাকিস্তানের ভেতর। এইবার শুরু হলো ভারতের খেলা। তারা দেখল বাংলাকে শান্ত রাখতেই হবে। কারণ বাংলা যেকোন সময় স্বাধীন হতে পারে। কিন্তু এইখানে একটা জিনিস কাজ করল। ভারতের ক্ষমতা হিন্দুদের হাতে। আর তখন এত দাঙ্গা হাঙ্গামার মধ্যে কোলকাতার হিন্দুদের কাছে এইটাই বেস্ট সল্যুশন বলে মনে হলো। মুসলমানদের সাথে তাদের আর হবে না এইটা তারা বুঝে গেছে। ওদিকে পূর্ববঙ্গ তো খুশি। তাদের ক্ষমতাভার মুসলিমদের হাতেই আছে। আর হিন্দু মুসলমান কেচাল হবে না।
কিন্তু ততদিনে পূর্ববঙ্গের মানুষের জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত হয়েছে। এরা হিন্দু কী মুসলিম আমি শালার বাঙ্গালী মাছ ভাত ছাড়া কিছু বুঝি না বাংলা ছাড়া কিছু বুঝি না। উর্দূ ভাষীদের সাথে যুদ্ধ লেগে গেল। ভুলটা ছিল পাকিস্তানেরই। তারা প্রথম থেকেই পূর্ববঙ্গের উপর খবরদারি করা শুরু করে। যেটা ভারত পশ্চিম বঙ্গের উপরে করে নাই।
আমরা ৭১ সালে স্বাধীন হলাম। বাংলা পলাশীর প্রান্ত থেকে ফিরে আসল ঠিকই। কিন্তু টুকরো হয়ে। এই বাংলা প্রকৃত ইতিহাসবিদরা মেনে নেবেন কেমন করে? ভারত কী টুকরো ভারত মেনে নিত? কখনই না। কিন্তু আমরা মেনে নিলাম। কারণ আমাদের বাংলার চেতনাবোধ আগেই দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে। তাতে কী? আমরা মুক্ত হতে পেরেছি। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
পশ্চিমবঙ্গকে খুশি করার জন্য, এবং পাকিস্তান বিদ্বেষের কারণে ভারত একাত্তর সালে আমাদের সাহায্য করেছে। তবে এখানে টপ প্রায়রিটি ছিল এই সুযোগে যেন দুই বাংলা এক হতে (কারণ সীমান্ত তখন উন্মুক্ত) না পারে।
বাংলাদেশের বিজয়ের পরেই ভারত উঠেপরে লাগে বাংলাদেশের উপর। তাদের গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ সম্পর্কে বিকৃত খবর পেশ করা শুরু করে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা কোন কালেও বাংলাদেশের সাথে জোরা লাগতে চায়। সংবাদমাধ্যম ব্যাবহার করে ভারত পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মনে এক বিকৃত বাংলাদেশ উপস্থাপন করতে থাকে। এটার কারণ মূলত দুই বাংলাকে এক করতে না দেওয়া। কিন্তু তবু সংস্কৃতি বারবারই দুই বাংলাকে এক করেছে। গান, লেখা, উপন্যাস সবসময় দুই বাংলার মধ্যেকার মুক্তচিন্তার মানুষেরা বিনিময় করে আসছে।
ভারত তাদের ষড়যন্ত্র আগে থেকে ঠিক করে রাখে। তারা মুখে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিষ্টি ঝরালেও বৃটিশ কায়দায় গণমাধ্যম দিয়ে কোলকাতার বাঙ্গালীদের বাঙ্গালিত্ব নষ্ট করে। তারা শুধু এখানে থেমে থাকেনি। বাংলাদেশের কোন চ্যানেলকে সেখানে ঢুকার অনুমতিও তারা দেয়নি। তাহলে আর দুই বাংলা কী করে এক সংস্কৃতির নিচে আসবে? আর ভারতীয়ম অপসংস্কৃতি খেতে ভাল না হলেও কোলকাতার বাবুরা বোম্বের দাপটে সবই ভুলে ভুল খাবার খেতে শুরু করলেন। পশ্চিম বঙ্গীয় সংস্কৃতি বলে আর কিছুই থাকল না।
বাংলাদেশের কতিময় মৌলবাদী গোষ্ঠি সমূহ ভারতের বদনাম শুরু করে। তারা ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবরকে প্রাধান্য দিতে শুরু করে। আর এই দেশের সাধারণ মানুষকে ভারত বিদ্বেষী করে তোলে। এরও মূল কারণ দুই বাংলাকে দূরে রাখা।
নীরদ সি চৌধুরী তাঁর একটা প্রবন্ধে বলেছেন, "পূর্ববঙ্গের মুসলিমরাই পারবে"। তখনও আমাদের স্বাধীন হতে অনেক দেরী। আমরা পেরেছিও। কিন্তু ভারতের জন্য আমাদের পূর্ণাঙ্গ দেশটা হারিয়েছি।
এখন মজার কথা হলো, পূর্ববঙ্গের বাঙ্গালীরা তো জাত বাঙ্গালী। এরা তো বাংলার ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে হারাতে দেইনি। মনে রাখবেন দেশটার নাম কিন্তু "বাংলাদেশ"। আর ঐদিকে নিজেদের দেশ নাই বলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীরা কোথায় দাঁড়াবে? তাদের প্ল্যাটফর্ম হিন্দী না। তবে বাংলাও না। যদিও মাতৃভাষা বাংলা। তারা ভারতের দুর্নাম সহ্য করতে পারেন না, অথচ নিজেরা ভারত সরকারকে ভালবাসেন না। পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালীদের আরেকটি বিড়ম্বনাও আছে। তা হলো, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরকে একটা পুতুল (বামফ্রন্ট) সরকার দিয়ে ইচ্ছে মতন শাসন করে যাচ্ছে। সেটা তারা বুঝেও না বুঝার ভান করে। কারণ তাদের চেতনা ভারতের ডান্ডার নিচে পরে লেপ্টে গেছে। "কী দরকার ভাই, ভালই তো আছি, দিনে দুই একটা হিন্দী বললে বাঙ্গালীত্ব যায় না"।
তবে তাদেরকে বলি, বাংলা ভবিষ্যতের জন্য স্থির হয়েছে। আমাদের শত সমস্যা হলেও বাংলা মা কে আকড়ে ধরে সারাদিন বাংলা বলে বেশ কাটিয়ে দিচ্ছি। উর্দু বললে আমাদের সমস্যা আছে। আমার মায়ের ভাষা না যেটা কেন দিনের মধ্যে দু একবার হলেও বলবো?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
হমপগ্র বলেছেন: যাক আপনাদের মত কারও কাছ থেকে জবাবটা আশা করছিলাম।
বললাম না আমি মাছ ভাত খাই। আমার ওসবের দরকার নেই। তবু তো আমাদের চ্যানেলগুলোতে নোংরা হিন্দী ড্যান্স দেখতে হয় না। স্বীকার করবেন নিশ্চয়ই। আমি আপনার সাথে তর্কে যাব না। আপনি আমাকে কুপমন্ডুক বলেছেন। বলি তাহলে জার্মানের লোক, বৃটেনের লোক সবারই তো নিজের দেশ আছে। তারা তো আর যখন তখন ইতালীতে গিয়ে খানা খাইতে পারে না। এখন কী তাদের কূপমন্ডুক বলবেন? ভারত আপনাদের সব রাজ্যে ভ্রমণের অধিকার দিয়েছে। সেইটাও একরকমের দেওয়া। কিছুই না দিলে কেমনে পশ্চিম বাংলাকে ধরে রাখবে।
জঙ্গী জেহাদ আমরাও পছন্দ করি না। একথা এখানে আসছে কেন? আমি বলেছি বাঙ্গালীর চেতনার বিভক্তির কথা। এখানে এই কথা শোভা পায় না।
দেখুন, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে সমস্ত কালজয়ী বাঙ্গালী লেখক কিন্তু এই দেশেই নতুন করে ভিত করেছে। দু-দিন পরে পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীত্ব আর থাকবে না এইটা সত্য।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪০
চনদন বলেছেন:
আপনি বলেছেন...
কিন্তু ভারতের জন্য আমাদের পূর্ণাঙ্গ দেশটা হারিয়েছি।
এই কথার সাথে কিছুতেই একমত হতে পারলাম না। ভারত এখানে গৌণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারত না থাকলেও আমরা স্বাধীন হতাম, তবে ৯ মাসে না হয়ে হয়ত ৯ বছর লাগত।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
হমপগ্র বলেছেন: পূর্ণাঙ্গ দেশ মানে পুরো বাংলাকে হারিয়েছি। এর নেপথ্যে ভারত কাজ করেছে। তবে পুরো দোষটা ভারতেরও না। পাকিস্তান আর বৃটশদেরও হার আছে স্বীকার করছি!
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:০৮
পাগলা বাবু বলেছেন: মহান ইতিহাসবিদ শ্রীশ্রী হমপগ্র মহাশয়কে প্রথমেই নমস্কার ।
মহাশয় আপনার ইতিহাস চর্চা দেখিয়া আমি ভীষণ আনন্দিত ।তবে দু;খীত এই কারনে, আপনি মহাশয় কূপমন্ডুক হইয়া থাকিলেন ।
মাননীয় ইতিহাসবিদ মহাশয়,বাংলাদেশে বসিয়া ভারতবর্ষকে অতো সহজে বোঝাযায় না ।
'' ঐক্য আমাদের বল আমরা ভারতীয় ।
বন্দেমাতারম । ''
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪০
হমপগ্র বলেছেন: হুম...আমার ধারণাই ঠিক। ব্রেইন ওয়াস ঠিকমতই হইছে!
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৩
কিরিটি রায় বলেছেন: আমরা ৭১ সালে স্বাধীন হলাম। বাংলা পলাশীর প্রান্ত থেকে ফিরে আসল ঠিকই। কিন্তু টুকরো হয়ে। এই বাংলা প্রকৃত ইতিহাসবিদরা মেনে নেবেন কেমন করে? ভারত কী টুকরো ভারত মেনে নিত? কখনই না। কিন্তু আমরা মেনে নিলাম। কারণ আমাদের বাংলার চেতনাবোধ আগেই দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে। তাতে কী? আমরা মুক্ত হতে পেরেছি। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
পশ্চিমবঙ্গকে খুশি করার জন্য, এবং পাকিস্তান বিদ্বেষের কারণে ভারত একাত্তর সালে আমাদের সাহায্য করেছে। তবে এখানে টপ প্রায়রিটি ছিল এই সুযোগে যেন দুই বাংলা এক হতে (কারণ সীমান্ত তখন উন্মুক্ত) না পারে।
কিন্তু ময়ূর বাহনরা প্রমাণ করছে তারা কতটা আত্মবিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে... স্বকীয় স্বাতন্ত্রবোধের সংজ্ঞা শেখাও(যদি কেন্দ্র অনুমতি দেয়) বোধকরি পরীক্ষি পাসের জন্য তুলে রাখা......
++
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪২
হমপগ্র বলেছেন: কিন্তু ময়ূর বাহনরা প্রমাণ করছে তারা কতটা আত্মবিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে... স্বকীয় স্বাতন্ত্রবোধের সংজ্ঞা শেখাও(যদি কেন্দ্র অনুমতি দেয়) বোধকরি পরীক্ষি পাসের জন্য তুলে রাখা......
আপনার কথার উত্তরে আপনার কথাটাই তুলে দিলাম। চমৎকার মন্তব্যটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৯
ইয়াহিয়া বলেছেন: @পাগলাবাবু,ঐক্যবদ্ধ থাকাটা ঠিক আছে,তাই বলে নিজেকে ভুলে গিয়ে?হাজার বছরের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখা,চর্চা করা এক জিনিষ আর কূপমন্ডুকতা অন্য জিনিষ।যাহোক,আপনি এটা বুঝবেন এটা আশা করিনা,আপনারা তো 'সিক্ষিত মানুশ'।পশ্চিমের বাংগালীরা শুধু বাঙ্গালীত্ব ই হারাচ্ছে না,সাথে সাথে মেরূদন্ড হারিয়ে অমেরূদন্ডী প্রাণী তে ও পরিণত হচ্ছে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৩
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে বুঝতে পারছে বলে মনে হয় না।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪২
ধীবর বলেছেন: হমপ্রগ, যদিও আপনার সব বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই। কিন্তু একটি ভালো বিষয়ের জন্য ধন্যবাদ আপনার অবশ্যই প্রাপ্য।
ময়ুরবাহন ও পাগলা বাবুর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা প্রথমে ভারতীয় এর পর বাংগালি। আপনাদের দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি যে এই অন্তর্জালেও বাংলায় ভাব আদান প্রদানের জন্য কিন্তু আপনাদেরও এই বাংলাদেশিদের ব্লগের সাহায্যই নিতে হচ্ছে। ভারতের অর্থনীতিতে রাজ্য হিসেবে আপনারা প্রথম ৩ টি রাজ্যের একটি হলেও, আপনাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে তেমন পাত্তা দেয়া হয় না। জাতিয়তাবাদের জু জু দেখিয়ে আপনাদের মাতৃভাষাকে হিন্দি দিতে প্রতিস্থাপনের প্রচেস্টা অনেকটাই সফল হয়েছে। ব্যাপারটা ভেবে দেখুন।
বংকিমের মত উগ্র সাম্প্রদায়িক চেতনাধারির শ্লোগান উচ্চারণ করে বাবু প্রমান করলেন তিনি প্রকৃতিস্থ নন।
লেখককে প্লাস।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৬
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য!
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩২
নিপাতনে সিদ্ধ বলেছেন: আপনি তো আর ভারতে থাকেননি ৷ তাই আপনি নিজেই বিবেচনা করে বলুন তো যে না জেনে কথা বোকার মত কথা বলা কি ঠিক হবে? পাকিস্তান পূর্ব বাঙলাকে একটা উপনিবেশ হিসাবে ভেবেছিল ৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ হলো ভারতের অঙ্গরাজ্য ৷ ব্রেন ওয়াস নয় মনের থেকেই বলছি যে আমি ভারতকে ভালবাসি ৷ বরং আপনিই পশ্চিবঙ্গের মানুষদের ব্রেন ওয়াস করতে চাইছেন ৷
ভারত হলো বহুভাষী দেশ ৷ হিন্দী ভাষা ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলিকে একটা বন্বনে বেধেঁ রেখেছে ৷ হিন্দী হলো ভারতের সংযোগকারী ভাষা ৷ আমি বাঙ্গালী ৷ আমি যদি মনিপুর রাজ্যে যাই তাহলে তারা আমার ভাষা বুঝতে পারবে না আবার আমিও তাদের ভাষা বুঝতে পারব না ৷ গ্রামাঞ্চলে ইংরাজীর তেমন চলন নেই ৷ তাই হিন্দী ভাষাই আমাদের মেল বন্ধন ৷ আপনার হয়ত জানা নেই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত একটা বাঙলা গান "জন গন মন অধিনায়ক জয় হে" ৷ ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অনেকে বাঙ্গালী ৷ বাঙ্গলা ভাষা ভারতের সংবিধান স্বীকৃত ভাষা ৷
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৯
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পশ্চিমবাংলার বাঙ্গালীদের সমস্ত মন্তব্যের জবাব নিচে একবারে দিয়েছি। দেখে নেবেন!
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৬
রাগিব বলেছেন: প্লাস।
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা এক দিকে বাঙালিত্ব, আরেকদিকে সর্বভারতীয় পরিচয়, এ দুইয়ের মাঝে পড়ে ভর্তা। হিন্দি সিনেমাতে বাঙালি চরিত্র মানেই কমেডিয়ান, বা বেসামাল, বেকুব। হিন্দির চাপে পড়ে বাংলা হারাতে বসেছে।
@নিপাতনে সিদ্ধ্ব, আপনি বলছেন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাংলা গান ... কিন্তু এটা জানেনকি যে ভারত সরকারের দাবী অনুসারে "জন গণ মন" গানটির মূল সংস্করণ নয়, বরং "হিন্দি সংস্করণ"কেই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বলা হয়? (আমার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়বেন আমি জানি, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা সবাই এরকম করেন, কিন্তু সরকারী সাইটের "হিন্দি ভারশন" এর লিংক দিলে চুপ মেরে যায়)।
---------
বাংলা ও বাঙালিদের ভবিষ্যত বাংলাদেশেই।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৮
হমপগ্র বলেছেন: রাগিব ভাই এই প্রথম আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য পেয়েছি। আমি অত্যন্ত খুশি হলাম। এবং সেই সাথে অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন!
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ।
আর পশ্চিম বাংলার বন্ধুদের বলছি - রাজবাড়ির চারক বাকর পোস্যরা স্বাধারনত গরীব কৃষকের চেয়ে আরামেই থাকে। কিন্তু তারপরও তারা পরাধীন আর দরিদ্র কৃষক, শ্রমিক, জেলে স্বাধীন জীবন যাপন করে। আপনারা যদি ভারতীয় আধিপত্যের অধীনে সুখে থাকতে চান তাহলে বাঙ্গালি পরিচয় যত দ্রুত মুছে ফেলতে পারবেন ততই মঙ্গল। সুতরাং সেই চেস্টাই করুন - নিজেদের বাঙালী পরিচয় দেয়ারই বা প্রয়োজন কি?
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১০
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ কাঙ্গাল মুর্শিদ!
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৯
অরূপ রতন বলেছেন: ভাইরে, হিন্দী সিনেমায় অনেক ভাল বাঙালী চরিত্রও এসেছে ৷ আপনি তখন কি অন্ধ হয়ে ছিলেন? ১৯৪২ লাভ স্টোরীতে জ্যাকি শ্রফ এক বাঙালী বিপ্লবীর ভুমিকায় অভিনয় করেন ৷ রাম তেরী গঙ্গা মৈলি তেও নায়ক বাঙালী ৷ আর আমার মনে হয় বাংলা ভাষা ও বাঙালীর ভবিষ্যত পশ্চিমবঙ্গ ৷ যেভাবে বাংলাদেশে কট্টর ইসলামী মৌলবাদ দানা বাঁধছে তাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরবি ভাষার ভবিষ্যত হতে পাবে বাংলা ভাষার নয় ৷
ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো ৷
তোমাতে আমরা লভিয়া জন্ম, ধন্য হয়েছি ধন্য গো ৷৷
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৭
রাগিব বলেছেন: @ অরূপরতন
"যেভাবে বাংলাদেশে কট্টর ইসলামী মৌলবাদ দানা বাঁধছে তাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরবি ভাষার ভবিষ্যত হতে পাবে বাংলা ভাষার নয় ৷"
ভাই, বাংলাদেশে আরবি ভাষাতে আমরা কেউ কথা বলিনা। ৭৫% এর মতো বাঙালির বাস যেখানে, বাংলার ভবিষ্যত সেখানেই। বাংলার দুর্দশা যা দেখি ভারতে, তাতে আর কিছু বলার দরকার নেই। সরকার থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতটাকে হিন্দি বলে দাবি করা হয়, সেটা দিব্যি মেনে নিয়ে সর্বভারতীয়ত্বের দোহাই দেয়া হয়।
আর হিন্দি সিনেমাতে দুই একটা ব্যতিক্রম দেখাতে পারেন, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাঙালি চরিত্রটিকে বেকুব আহাম্মক কমেডি চরিত্রই দেখানো হয়। মৌলবাদ ভারতে কম নেই, আর কট্টর ভাব তো আছেই। তার চেয়েও ভয়াবহ হলো সীমান্তে বসে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারা। এরকম অমানুষিক হত্যাযজ্ঞকে আপনারা দেখতে দেখতে ডাল-ভাত বানিয়ে নিয়েছেন, গায়ে আর তা লাগে না।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৩
হমপগ্র বলেছেন: রাগীব ভাই,
আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
পাগলা বাবু বলেছেন: '' লেখক বলেছেন: হুম...আমার ধারণাই ঠিক। ব্রেইন ওয়াস ঠিকমতই হইছে! ''
@ ভাই হমপগ্র, আপনি এ কী বোকার মতো কথা বললেন !
ভারত আমার দেশ আমার জন্মভুমি একে আমি ভালোবাসবোনা সে কী !!!!!!
নিপাতনে সিদ্ধ ঠিক বলেছেন ,বরং আপনিই পশ্চিবঙ্গের মানুষদের ব্রেন ওয়াস করতে চাইছেন ৷শুনে রাখুন আমরা প্রথমে ভারতীয় তারপরে বাঙ্গালী ।
আপনাদের মতো বোকা মাথা ,এখান কার বাঙ্গালীরা রাখে না ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১২
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য!
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২০
ইয়াহিয়া বলেছেন: @নিপাতনে সিদ্ধ,
''হিন্দী ভাষাই আমাদের মেল বন্ধ''
অন্ধ্রপ্রদেশ,তামিলনাড়ু তে যে শুনি হিন্দি তে খবর পাঠ ও নিষিদ্ধ,জয়া বচ্চন কে কদিন আগে ধুয়ে ফেলা হল হিন্দি বক্তৃতা র জন্য।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৩
হমপগ্র বলেছেন: হা হা হা...ওসব বলতে হয় না!
১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১৬
ধীবর বলেছেন: নিপাতনে সিদ্ধ, আমি দীর্ঘদিন ভারতে বসবাস করেছি। তাছাড়া চিকিৎসা এবং ভ্রমনসুত্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশিরা ভারতে গিয়ে থাকেন। সুতরাং ভারতে কোথায় কি হচ্ছে সেটি আমাদের বিলক্ষন জানা আছে। আমরা কেউ আন্দাজে কথা বলছি না।
অরুপ রতন বাবু, ভারতে চরম সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি গোষ্ঠিকে আড়াল করতেই বুঝি বাংলাদেশে মৌলবাদের আষাড়ে গল্প ফাদলেন? আপনাদের দেশে সংখ্যালঘুর রক্তে হাত রঞ্জিত হলেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাওয়া যায়। আর অতি সম্প্রতি উড়িশ্যায় যে কান্ড করেছেন, তাতে নিতান্ত নির্বোধ বা আত্মসম্মানবোধের অভাব না থাকলে, বড় গলায় এরকম কথা কেউ বলতো না। মনে হচ্ছে উট পাখির মত বালিতে মুখ গুজে রয়েছেন, নইলে দঃ ভারতে হিন্দি চালানোর মত গাজাখুরি গল্প কেউ ফাঁদতে পারতো না।
আপনারা ভারতীয় হয়েই থাকুন, ভালো থাকুন, এটা কামনা করি। তবে দয়া করে এ পর্যন্ত যত নিকৃস্টমানের শত্রুতা করে এসেছেন, সেগুলি বন্ধ করুন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৫
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আবারও!
১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৫
হমপগ্র বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গে মুক্তমনা মানুষের সংখ্যা কমই বলতে হয়। তারা ভারতকে ভুলে কোন মতেই বাংলাকে আপন করতে পারছেন না। বলছেন, 'আগে ভারতীয় পরে বাঙ্গালী"। কথাটার মধ্যে একটা ট্যাকনিক্যাল ফল্টি আছে। পশ্চিম বঙ্গীয়দের মা-এরা কী হিন্দি বলেন? না বাংলা বলেন? আমার বিশ্বাস তারা বাংলাই বলেন। আর মা যদি বাংলা কথা বলেন তাহলে সে জাতিতে বাঙ্গালী ছাড়া আর কিছুই নয়।
যা হোক, আমাদেরকে বোকা বাঙ্গালী বলেছেন পাগলা বাবু। মেনে নিচ্ছি আমরা বোকা। একটা কবিতা আছে।
বাবুই পাখিকে কহিছে চড়াই
কুড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই।
আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে।
বাবুই পাখি কয়
সন্দেহ কী তায়?
কষ্ট পাই তবু থাকি নিজের বাসায়।
জ্বি ভাই, আমরা বোকা বাঙ্গালি ছিলাম বলেই নিজেদের দেশ বানাতে শিখেছি। বাংলাকে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাড়াবার মত সাহস দেখিয়েছি। নিজেকে বাঙ্গালী বলতে আজ যে গর্ব হয় তা এই বাংলার মানুষের জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমার মাথার উপর বছর বছর কেউ একটা পুতুল সরকার নাচাতে পারছে না। আমি স্বাধীন, আমি চির বাধন হারা হতে শিখেছি। আমার দেশে বাংলায় বই মেলা হচ্ছে, বাংলায় গান হচ্ছে, সাহিত্য হচ্ছে শিল্প হচ্ছে সর্বপরি বাঙ্গালী আজ কোন লুকানো ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানি জাতিসত্ত্বার মধ্যে কেঁদে মরছে না।
যাক এসব কথা তাদের কাছে হয়তো অর্থহীন।
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৬
অক্ষর বলেছেন: ইম্রোজ ভাই খবর কি?
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
হমপগ্র বলেছেন: এইতো ভাল। কেমন আছেন?
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৬
অক্ষর বলেছেন: আছি জীবিত, আমারে চিঞ্ছেন?
১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৬
মিছে মন্ডল বলেছেন: ছোট বেলায় যখন একটু একটু করে বুঝতে শিখেছি, ইতিহাস পড়ছি তখনই বাংলার ইতিহাস বিশেষ করে পলাশীর যুদ্ধ ও বঙ্গভঙ্গ পড়ে খারাপ লাগতো। মনেহত এক মায়ের বিচ্ছন্ন ২ ভাই।তখনই ভাবতাম কোনদিনই কি সম্ভব ২ বাংলার এক হওয়া? পরে ধীরে ধীরে বুঝতে লাগলাম, দিন যত যাবে আমরা ততই দূরে সরে যাবে। আর এই দূরত্ব কোনদিনও মিটানো সম্ভব না। কিন্তু কেন? এর জন্য আসলে কী কী কারণ কাজ করতে পারে? তার মধ্যে আমার মতে খুবই প্রধান বিষয় মনে হয় পশ্চিম বাংলার বাঙ্গালীদের আমাদের সম্পর্কে ভুল ধারনা ও আমাদের পুরোপুরি জানার অনীহা। কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু ভূমিকা তো আছেই। আমরা ভারত বা পশ্চিম বাংলা সম্পর্কে যতটা আগ্রহ দেখাই , তা সাহিত্য থেকে শুরু করে সব কিছু, তার বিন্দু মাত্র আগ্রহ তারা আমাদের প্রতি দেখায় কিনা সন্দেহ। নাহলে এখানেই মন্তব্যে কোন একজন এভাবে বলতে পারেন না যে বাংলার ভবিষ্যত পশিচম বাংলা। এটা আমি বলব মূর্খতা। কয়েক বৎসর আগেই আমার প্রিয় উপন্যাসিক সুনীল বাংলাদেশে এসে বলেছিলেম বাংলাদেশই বাংলার ভবিষ্যত। পশ্চিম বাংলায় তার এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলো যে তিনি তাঁর বক্তব্যর জন্য ক্ষমা চান। কিন্তু আমি আজ অবাক হই যখন দেখি ওদের বাংলা চ্যানেলে 'ড্যান্স বাংলা ড্যান্স' নামের একটি অনুষ্টানে ছোট ছোট বাচ্চাদের হিন্দী গানের সাথে নাচতে হয় ও তাতে মিঠুনের মত বিখ্যাত বাংগালী বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। ভাবি, এরা এদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কী শিক্ষা দিচ্ছেন? আরও অবাক হই বা বলতে পারেন কিছুটা কষ্টও পাই, যখন আমাদের দেশের দেশের চ্যানেল গুলো তারা দেখতে চায়না বা দেখতে দেয়া হয়না। আমাদের এখনে যখন বাংলা গানের সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগীতা মূলক অনুষ্ঠান হয়, তখন ভাবি তারা আসলেই কী নিয়ে আছে!!! কোথায় আমাদের বাংলার চর্চা আর কোথায় তাদের 'ড্যান্স বাংলা ড্যান্স'। আরা আমাদের দেশের নাটক গুলোর কথা আর বললামই না। আসলে তখন আমার কাছে সুনীলের সেই কথাটা আরও আরও অনেক বেশী করে মনে পরে, সত্যি মনে হয় যে বাংলাদেশই বাংলার ভবিষ্যত। তবে এটা আমকে আনন্দ দেয়না; বরং কিছুটা কষ্ট দেয়। কারণ তাদের বাংলা থেকে সরে যাওয়া আর হিন্দীর প্রতি আসক্তি বাংলা ভাষার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবেনা।
সকল পশ্চিম বাংলার বাঙ্গালীদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের মনের জানালা খুলে দিন, আমাদের আরও ভালোভাবে জানুন।
১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮
দিগন্ত বলেছেন: আমি নিজে বাঙ্গালি, জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। কিন্তু ভারতে আমি আমার জীবনের একটা বড় অংশ কাটিয়েছি। ভারতে যাবার আগে বাংলাদেশি বাঙ্গালিদের মত আমারও পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালিদের প্রতি এরকম নিচু ধারনাই ছিল। কিন্ত এতদিন থাকার পর আমি বুঝি ধারনাটা কতটা ভুল।
ভারতে না থাকলে, ভারতীয় আর পাঁচটা লোকের সাথে না মিশলে দেশ তা বোঝাই যাবেনা। এখানে এতজন এত মন্তব্য করলেন চাপিয়ে দেওয়া, ব্রেন ওয়াশ ইত্যাদি ইত্যাদি, তাদের উদ্যেশ্যে বলি, ভারত একটা বিস্ময়, এত ভাষাভাষি, এত বৈচিত্র, এত ধর্মের লোক এখানে একসাথে রয়েছে, কিন্তু তা সত্তেও সবাই এক নিবিড় সূত্রে গাঁথা। ভারত যেন ছোটোখাটো একটা মহাদেশ। লড়াই, হাঙ্গামা তো থাকবেই, সেটা পৃথিবীর কোথায় নেই? তা সত্তেও দেশটা কি সুন্দর গনতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে চলছে উন্নতির পথে। ভারতে আমি, আমার ভাষা, আমার সংষ্কৃতি যেভাবে অন্যভাষিকে চিনিয়ে দিতে পারি, ঠিক একি ভাবে অন্যভাষির একি জিনিসকে আমি গ্রহণ করতে পারি। এরকম সাংষ্কৃতিক বিনিময় সবাইকে একসাথে চলতে সেখায়। ভারত বহুভাষির দেশ, তাই কোনো একটা সাধারণ ভাষা থাকতেই হবে, এখানে কোনও রাষ্ট্রভাষা নেই, আছে অফিসিয়াল ভাষা ইংলিশ আর হিন্দি। যারা হিন্দি ভাষার এত জয়জয়কার দেখেন তারা দেখবেন আনেক রাজ্যে মানুষ হিন্দি জানেনা কিন্তু ইংলিশটা মোটামুটি জানে। নিজের মাতৃভাষা নিজের জায়গায় চলতে পারে, কিন্তু অন্যভাষির সাথে common ভাষা ব্যবহারে নিচুতার কি থাকতে পারে?
হিন্দি ভাষার ওপর অনেকেরই এত রাগ দেখলাম। তাদের উদ্দেশ্যে বলি, হিন্দি এখন শুধু ভারতে সীমাবদ্ধ নেই, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা সহ অনেক জায়গায় হিন্দি সিনেমা যথেষ্ট জনপ্রিয়। আমার বাংলাদেশের বন্ধুরাও হিন্দি সিনেমা খুবি পছন্দ করে, অনেকেরই প্রিয় নায়ক srk বা আমির খান। বাংলাদেশে কত মোবাইল রিংটোন এ হিন্দি মিউজিক শুনি, কত গৃহবধু নিয়মিত হিন্দি সিরিয়াল দেখেন। এরমধ্যে অপসংষ্কৃতির আছে টাই বা কি?
পশ্চিমবঙ্গে বাঙ্গালীত্ব থাকবে না, এ আশঙ্কা হাস্যকর। দেখবেন অধিকাংশ বাঙ্গালি ঘুম থেকে উঠে বাংলা পেপারই পড়েন। পুজোর সময় নানারকম পুজোবার্ষিকিতে বাজার ছেয়ে যায়, আর সবাই সেগুলো কেনেন, পড়েন, পুজো উপলক্ষে কত বাংলা অ্যালবাম বের হয়। স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নানারকম বার্ষিক উৎসব হয়, দেখবেন সেগুলোতে বাংলা গান, আবৃত্তি কতটা স্থান পায়, এছাড়া পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্র বা নজরুল জয়ন্তীর কথা ছেড়েই দিলাম। আর এত বাংলা চ্যানেল এর জয়জয়কার।
আর "জন গণ মন" গানটির মূল সংস্করণ না "হিন্দি সংস্করণ", অনেক খুজে দেখলে এই তথ্য ঠিকই হয়ত পাওয়া যাবে, কিন্তু সত্যিই এই নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। আর গানটায় সংষ্কৃত শব্দের এত আধিক্য যে এটা কোন ভাষর গান এটাই অবান্তর মনে হয়। আর দরকার ই বা কি? ভারতীয়রা একসাথে বাঁচতে, একসাথে চলতে, একসাথে আনন্দ করতে শিখে গেছে, আমাদের মত এক ভাষার দেশের মানুশের কাছে এটা অবাক লাগতে পারে, কিন্তু এটা দয়া করে পজিটিভ ভাবে নিতে শিখুন, কেননা নিজেকে আলাদা করে রাখতে পারায় কোনো আনন্দ নেই, সবার সাথে মিলেমিশেই বাঁচতে হবে।
-- অনিন্দিতা (দিগন্তর নিক ব্যবহার করে মন্তব্য করলাম)
২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৯
বেঁচে আছি বলেছেন: আমাদের সীমান্তে ঢুকে মানুষ মারার প্রশিক্ষণটা আর কদ্দিন চলবে।
২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৬
তানভীর আকন্দ বলেছেন: বাঙলা বিহার উরিষ্যা মিলে যদি এক দেশ হত তাহলে কি হত?পাকিস্তান আমলে এই বাঙলার অবস্থা যা ছিল তখন তাই থাকত এখন যা আছি তাই ভাল স্বাধীন দেশ....যদিও শান্তিতে নাই তবে বাইরের কেউতো আর আমাদের উপর রাজত্ব করছে না.....
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৯
হমপগ্র বলেছেন: বাইরের কেউ কেন আমাদের উপরে রাজত্ব করবে। আমরা নিজেরাই নিজেদের রাজা হতাম।
২২| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৪
তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: darun!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ময়ুরবাহন বলেছেন: বাংলা ভাগটও ঠিকমত হয়নি। যেমন ১৯৪৭ সালে খুলনার হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৫২%, আর পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলমানরা ছিল সংখ্যালঘু। তবুও সেগুলো গেল পূর্ব্ব পাকিস্তানে। আবার মুর্শিদাবাদ জেলা ছিল মুসলমান প্রধান। কিন্তু সেটা রয়ে গেল ভারতে।
ভারতে আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা ভালই আছি। এক প্রদেশের অসুবিধা হলে অন্য প্রদেশ এগিয়ে আসে। যেমন কলকাতায় আমি কর্মসংস্হান করতে পারিনি। তাই এসেছি ব্যাঙ্গালোরে চাকরী করতে। "শুধু বাংলাভাষী এলাকাটা আমার" এই রকম ধারনা আমাদের নেই। সারা ভারত আমার। উত্তরের বিরিয়ানী, পূর্ব্বের মাছ ভাত, দক্ষিনের ইডলী ধোসা, পশ্চিমের মান্ডভি আর ধোঁকলা সব খাবারই আমার প্রিয়। আপনি ব্যাক্তিগতভাবে যে কূপমন্ডুক হয়ে কী ভালো ভালো জিনিস মিস করছেন তা বুঝবেন না। তবে মুসলীম জেহাদ আর বোমাবাজী বন্ধ হলে আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা আরো শান্তিতে থাকতে পারব।