![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকাল বেলা নামাজ পড়েছেন কখনও? ভোর চারটের নামাজ। এই নামাজটা পড়ে যদি দিন শুরু করা যায় তাহলে সারাদিন অসম্ভব সতেজ লাগে। ভালো লাগে।
নামাজে সিজদাহ দেওয়ার সময়কার অনুভূতি ভোরে যেমনটি পাওয়া যায়, আর কোন সময় সেরকম তৃপ্তি পাইনি। সকালের নামাজটাই তাই শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়।
পূর্ণ সতেজ মন নিয়ে যখন দুপুরে মসজিদে যাই জুমার নামাজ পড়ব বলে তখনই মন মেজাজ দুইটাই খারাপ হয়ে যায়। মন মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণগুলো বলছি।
দোয়া পড়ে, হাতে তাজবীহ নিয়ে মাথায় টুপি ও সদ্য ধোয়া পাঞ্জাবী পড়ে শুক্রুবারে মসজিদে যাওয়ার একটা ভালো লাগা আছে। একটা পবিত্রতা আছে। সেই পবিত্রতা ভেঙ্গে খান খান করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। কারণ আমি আল্লাহর ইবাদাতে এসেছি, এখানে দুনিয়া আমার কাছে তুচ্ছ।
তাই হুজুর যখন শুরু করে বিষোদগার, যে ইহুদি খ্রীষ্টানরা কখনই জান্নাতে যাবে না, তারা অমুক তারা তমুক তখন মনের ভেতরে বিষ ঢুকে। সারাদিনের পবিত্রতার মধ্যে প্রশ্নবোধক চিহ্নটির উদয় হয়। তখন মসজিদের চারটি দেয়ালে আর ভালো বোধ হয় না। এ ছাড়াও তো ধর্ম হয়, আল্লাহর ইবাদাত হয়! হয় না?
কেন আমি একজন ইহুদি, একজন খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ অথবা হিন্দুকে ঘৃণা করতে শিখে আসব আল্লাহর ঘর থেকে? আল্লাহ কি আমাদের তাই শিক্ষা দেন? অথচ তিনি হলেন ৯৯ ভাগ মমতার মালিক, যার মাত্র ১ ভাগের মালিক আমরা।
নামাজ পড়ার ঠিক আগে আগে শুরু হয় আরেকটি উদ্ভট জিনিস। হিসাব দেওয়া। কে কতটাকা দিয়েছে, মসজিদের কি কি উন্নয়ন হয়েছে ইত্যাদি। যারা টাকা প্রদান করেন, তারা সম্প্রদানে করেন না। তারা নাম কামাতে চান। তাই হুজুরকে বলতে হয় টাকার কথা, অমুকের কত হিসাব, তমুকের কত হিসাব! কি দরকার?
কাজগুলো কি গোপনে সারা যায় না? আবার সেদিন যদি একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব আসে, তাহলে তো আর কথাই নাই!
মসজিদকে এসমস্ত থেকে মুক্ত করতে না পারলে, মানুষের মনে ভালোবাসা জাগাতে না পারলে ধীরে ধীরে এর প্রয়োজনও শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে হয়। আমি যখন ব্যাক্তিগতভাবে এমন বিরক্তির সম্মুখীন হই, তখন আর মসজিদে টাকা দিতে ইচ্ছা করে না।
আমাকে পরকালের ভয় দেখায় না, বরং ইহকালের ত্যাগ শিখিয়ে আমাকে ভালোবাসা শিখিয়ে আমার মনে পবিত্রতা জাগলে আমি এমনিতেই টাকা দেব, দুইটা মসজিদ আরও বানানোর কথা ভাবব!
©somewhere in net ltd.