![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামে মোট চারটি শ্রেষ্ঠ খলিফা ছিলেন এবং এই সকল খলিফা গুলোর মধ্যে হযরত ওসমান (রাঃ) ছিলেন অন্যতম, ইনি হচ্ছেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা। আজকে আমরা জানতে চলেছি এই হযরত ওসমান (রাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী নিয়ে কিছু তথ্য ও জ্ঞান।
হযরত ওসমান (রাঃ) এর অন্য নাম হলো ওসমান ইবন আফফান ইনি কুরাইশ বংশের উমাইয়্যা শাখায় আনুমানিক ৫৭৯ খ্রিস্টাব্দের জন্মগ্রহণ করেন, ইনার জন্ম তারিখ নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে এবং বিতর্ক রয়েছে কেননা সেই সময় কে জানতো যে এই রকম একজন সাধারণ বালক আগামী দিনে খলিফা হবে।
হযরত ওসমান (রাঃ) ছিলেন আস-সাবিকুনাল আওয়ালুনের অন্তর্ভুক্ত যার অর্থ হলো প্রথম পর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী। আমরা সকলেই জানি যে মুহাম্মদ সাঃ এর ৬ জন প্রিয় সাহাবী ছিলেন এবং এই সকল সাহাবীগণদের মধ্যে হযরত ওসমান (রাঃ) রয়েছে।
কুরাইশ গোত্রের বিশিষ্ট বংশ উমাইয়ায় জন্মগ্রহণকারী এই সেই খলিফা যিনি তৃতীয় নম্বরে খলিফার দায়িত্ব পালন করেন এবং পুরো বিশ্ববাসীকে খলিফার দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করেন। ওসমান হলো সেই খলিফা যার নেতৃত্বে ৬৫০ সালে ইসলামী সম্রাজ্য ফার্স বর্তমানে যাকে আমরা ইরান নামে চিনি এবং ৬৫১ সালে খোরাসান যাকে আমরা বর্তমানে আফগানিস্তান নামে চিনি এর কয়েকটি অঞ্চলে প্রসারিত হয়েছিল।
এবং হযরত ওসমান (রাঃ) হলেন সেই খলিফা যিনি 651 এবং 650 এর আগে অর্থাৎ 640 এর দশকের মধ্যে আর্মেনিয়া বিজয় শুরু করেছিলেন এবং তারপর ধীরে ধীরে তিনি পুরো বিশ্বে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য কাজ শুরু করেন।
হযরত ওসমান (রাঃ) এর পরিচয়
তিনার জন্ম হয়: আনুমানিক ৫৭৬ বা ৫৭৯ তায়েফ, আল আরবে
তিনার মৃত্যু হয়: ১৭ জুন ৫৫৬খ্রিস্টাব্দ বা (১৮ জিল্ -হাজ ৩৫ হিজরি) অর্থাৎ বয়স ছিল ৭৮ থেকে ৭৯ বছর
তিনার শাসনব্যবস্থা বা শাসনকাল: ৬ নভেম্বর ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭ জুন ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ (মোট ১২ বছর)।
তিনার শাসনব্যবস্থার পূর্বসূর যিনি ছিলেন: হযরত উমর (রাঃ) বা উমর ইবনুল খাত্তাব
শাসনব্যবস্থার উত্তরসূরি: হযরত আলী (রাঃ) বা আলী ইবনে আবু তালিব
তিনার স্ত্রী ও সঙ্গী: আসমা বিনতে আবি জাহেল, রুকাইয়াহ বিনতে মুহাম্মদ, উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মদ, ফাতিমা বিনতে আল-ওয়ালিদ। দাম্পত্যঃ "উম্মে আম", এই খলিফা মুহাম্মদ (সাঃ) এর দুই কন্যাকে বিয়ে করেছিলে বলে ইনাকে জুন-নুরাইন বা দুই জ্যোতির অধিকারী বলে উপাধি দেওয়া হয়।
তিনার সন্তানসমূহ:
১.) আবদুল্লাহ ইবন উসমান (রুকাইয়্যা এর সন্তান) (ছেলে সন্তান)
মুসলিম পরিবারের মধ্যে বা মুসলিমদের মধ্যে পারিবারিকভাবে সর্বপ্রথম হযরত উসমান (রাঃ) ও তিনার স্ত্রি রুকাইয়া হিজরত করেন এবং এই হিজরত করার সময় বিবি রুকাইয়া তার এই সন্তান জন্ম দেন। এর পরের স্ত্রির কোন সন্তাত ছিল না, আর এই মিলে হযরত ওসমান (রাঃ) এর মোট সন্তান ছিল একজন।
তিনার পূর্ণ নামে বা আসল নামঃ উসমান ইবন আফ্ফান আর এর আরবি উচ্চারন হলো: (عثمان بن عفان)
তিনার কবর বা সমাধি দেওয়া হয়ঃ জান্নাতুল বাকি, মদিনায়
তিনার বংশ পরিচয় বা রাজবংশ হলোঃ কুরাইশ (বনু উমাইয়া গত্রে)
তিনার পিতার নাম হলোঃ আফ্ফান ইবন আবি আল-আস্ (পিতা)
তিনার মাতার নাম হলোঃ আরওয়া বিনতু কুরাইজ (মাতা)
হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাসন ব্যবস্থা
হযরত ওসমান (রাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী এর মধ্যে তিনার শাসনব্যবস্থা ছিল এবং এই কারণে আমরা এই প্রশ্নের তিনার শাসনব্যবস্থা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা করব।
ইসলামের প্রতিটি খলিফা ছিল ইসলাম ধর্মের জন্য এক একটি করে নক্ষত্র কেননা ইনারা যেভাবে খলিফার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং খলিফা হিসেবে যেসকল উপদেশ এবং নিয়ম-কানুন শিখিয়েছেন সেগুলো অতুলনীয় প্রশংসিত।
বলা যায় যে কেউ যদি যেকোনো একটি সাহাবের শুধুমাত্র ২০ শতাংশ নিয়ম মেনে চলে এবং সেই অনুযায়ী খলিফার বা শাসকের দায়িত্ব পালন করে তাহলে সেই ব্যক্তি সেই কঠিন কিয়ামতের দিন বিনা হিসাবে খলিফার বিষয়টি থেকে মুক্তি পাবেন।
আমরা অনেকেই মনে করি যে খলিফা বা শাসন বা বিচারপতি মানেই যোগ্যতা কেউ আর আপনাকে আমাকে পরাজিত করতে পারবে না বা ধরতে পারবে না। তবে ইসলামের এই খলিফা গুলো তা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে খলিফা মানেই হচ্ছে দায়িত্ব যেখানে আমাদেরকে আমাদের রাজ্যের বসবাস গত জনগণকে তাদের ন্যায্য বিচার ও অধিকার ঘরে ঘরে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে।
প্রায় প্রত্যেকটি খলিফারই শাসনামল লক্ষ্য করতে গেলে আমরা দেখতে পাই যে প্রায় প্রত্যেকটি সাহাবী বা খলিফা তিনার শাসনামলে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের দুঃখ বেদনা দূর করতেন। হযরত ওসমান হচ্ছে এমন একজন খলিফা যিনি তীনা শাসনামলে অনেক বেশি মুমিন মুসলমানদের শাসন করেছিলেন কেননা এই কয়েকদিনে বা এই কয়েক বছরে মক্কা-মদিনায় মুসলমানদের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছিল।
মুসলমানগণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এদের মধ্যে অনেকেরই মাঝে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়েছিল আর এর ফলস্বরূপ কয়েকটি গোত্রের নাম হাদিসে উল্লেখ আছে যে ইনারা উসমানের খেলাফত গ্রহণ করেননি। তবুও শাসক হিসেবে উসমানের কৃতকর্ম ছিল অসীম খ্যাতিপূর্ণ এবং আমাদের জীবন বদলে দেওয়ার মতো।
তিনি তিনার শাসনামলে সব সময় চেষ্টা করেছেন জনগণকে ন্যায্য বিচার এবং ন্যায্য অধিকার ও ন্যায্য হক পৌঁছায় দিতে এবং তিনি তা করেছেনও বটে। এই খলিফার শাসনামলে বিস্তারিত আলোচনার করার মত সময় এই পোস্টে আর নেই তাই আমি চেষ্টা করব অন্য আরেকটি পোস্টে তিনার শাসনব্যবস্থা নিয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান দেয়ার জন্য ততক্ষণে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ পর্যন্ত থাকার জন্য।
©somewhere in net ltd.