![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোর্ডিং এর জন্য দেশের বাইরে কোনও এয়ারপোর্টে বসে আছেন ...
এনাউন্সমেন্ট শুনলেন; Flight অমুক is now ready for boarding… please proceed to gate no তমুক
সাথে সাথে দেখবেন কিছু দেশি মানুষ, পোটলা পুঁটলি নিয়ে দৌড়াদৌড়ী শুরু করে দিয়েছে ... কে কার আগে প্লেনে উঠতে পারে
তাদের ধারনা, আগে উঠতে পারলে ... হয়ত আগে দেশে পৌঁছাবে
ভালো ভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন, তারা যখন ঢাকা থেকে দেশের বাইরে কাজ করতে যায়, তখন কিন্তু এই একই এনাউন্সমেন্ট শুনে, এরকম ছটফট করে না...
...দেশের মায়া ছেড়ে যেতে, কেই বা ছটফট করবে
কিন্তু আবার ফিরে আসার সময়; দেশের মাটিতে প্লেন ল্যান্ড করলে, প্লেন থামার আগেই তারা পোটলা নিয়ে রেডি নামার জন্য ... এয়ারহোস্টেস যতই চোখ গরম করুক ... লাভ নাই ... যার যার হাতের পোটলা নিয়ে তারা হাসি হাসি মুখ করে প্লেনের ভিতরেই সোজা লাইন বানিয়ে ফেলবে
আগে ব্যাপারটা লজ্জা দিতো ... এখন অনেকক কিউট লাগে
বিদেশের এয়ারপোর্টের বাথরুমের বাইরেই দাঁড়িয়ে যতই এরা প্যান্ট নামিয়ে শার্টের ইন ঠিক করুক ... যতই তাদের বাটিক প্রিন্টের আন্ডারওয়ার দেখা যাক ... এরা কিউট... কিউটই থাকবে
আমি-আপনি যতই বাসার সোফায় হেলান দিয়ে কফি খেতে খেতে খুশি হই দেখে যে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবার রেকর্ড ছাড়িয়েছে ... আমরা ফাউল ... ফাউলই থাকব
এই বাটিক প্রিন্টের আন্ডারওয়ার পরা লোকগুলনের; বিদেশের মাটিতে রাত দিন কষ্ট করে পাঠানো রেমিটেন্সের কারনেই, আজ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেকর্ড ছাড়ায়
এদের আমরা সম্মান করতে শিখিনী ... যে শ্রমিকটা, ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমে উপুত হয়ে প্রথমেই মাটিতে চুমা দেয়, সেই এয়ারপোর্টেই তাদের আমরা হেনস্থা করি
হ্যান্ড লাগেজ দুই পায়ের ফাঁকে ধরে আমাদের কাছে ইমিগ্রেশনের ফর্ম ফিলাপের ব্যপারে সাহায্য চাইলে, আমরা দূরদূর করি...
কাস্টমসের লোক, ভুরু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে; কম্বল কেন এনেছেন... কম্বলেরও ট্যাক্স আছে ... ওইটা আবার কি? … ভিসিআর এর মত লাগে দেখি … এদিকে আসেন... হ্যা এদিক
তারা কেউই সোনার বিস্কিট নিয়ে আসে না... আসে, বড়োজোর তার বাপ বা সন্তানের জন্য কম্বল নিয়ে; আর তাতেই তাদের এরকম হেনস্থা
তাদের হাতের জিনিসগুলোর দিকে তাকানোর আগে, একবার কি তাদের চোখের দিকে তাকাতে পারেন না???
যদি তাকাতেন, ট্রাস্ট মি; আপনার হাত অটোমেটিক উঠে যেতো তাদের স্যালুট দিতে
ঠাশ ঠাশ স্যালুট পেতে পেতে তারা এয়ারপোর্ট থেকে বের হতো।
লেখাটি আরিফ আর হোসেন নামক একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস। উনার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী উনার অনুমতি না নিয়ে এখানে শেয়ার করার জন্য। কিন্তু কি করবো বলুন, উনি ফেসবুকে আমার বন্ধু না বলে এই হৃদয়ছোঁয়া লেখাটি তার অনুমতি ছাড়াই শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না।
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০২
ইসপাত কঠিন বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে এই + আরিফ আর হোসেনের প্রাপ্য। আমার না।
২| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা কেউই সোনার বিস্কিট নিয়ে আসে না... আসে, বড়োজোর তার বাপ বা সন্তানের জন্য কম্বল নিয়ে; আর তাতেই তাদের এরকম হেনস্থা
তাদের হাতের জিনিসগুলোর দিকে তাকানোর আগে, একবার কি তাদের চোখের দিকে তাকাতে পারেন না???
যদি তাকাতেন, ট্রাস্ট মি; আপনার হাত অটোমেটিক উঠে যেতো তাদের স্যালুট দিতে
সত্যিই স্যালুট সেই বীরদের। যারা বাবা, মা, সন্তান ছেড়ে, মা মাটিকে ছেড়ে, কখনো মৃত্যুর মিছিলে শুয়ে দেশে ফেরত আসে। অথচ সারাটা জবীন ঘাম আর রক্তে অর্জন করে নিজের জন্য দেশের জণ্য।
কাষ্টমসের কোন কর্মকর্তারা কি ব্লগিং করেন???????
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৮
ইসপাত কঠিন বলেছেন: সত্যিই তাদের স্যালুট প্রাপ্য।
জানি না কাষ্টমসের কোন কর্মকর্তা ব্লগিং করেন কি না।
৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১১
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: উনার ব্লগ নিক '' খেয়াঘাট ''। অনুমতি নিয়ে নিতে পারেন লেখকের। কিছুদিন আগে উনি কমপ্লেইন করেছিলেন উনার অনুমতি ছাড়া উনার লেখগুলো অনেকেই ইউজ করছেন এটা ঠিক না।।
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৬
ইসপাত কঠিন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি আপনার এবং এই মন্তব্যের মাধ্যমে খেয়াঘাট ভাইয়ের কাছে এই অসাধারণ লেখাটা শেয়ার করার ঘটনাত্তোর অনুমতি প্রার্থনা করছি। এত সুন্দর করে একটা মানুষ কিভাবে লেখে?
৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
ইসপাত কঠিন বলেছেন: আরিফ আর হোসেন ভালো লাগার মতই একটা লেখা লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৫
এস আই সাহেব বলেছেন: এ জন্যই আমাদের দেশের এ হাল। গুম খুন তো কোন ব্যাপারই না।
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৪
ইসপাত কঠিন বলেছেন: বিষয়ের সাথে আপনার মন্তব্যের প্রাসংগকিতা ব্যাখ্যা করলে খুশী হব। ধন্যবাদ
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
ইসপাত কঠিন বলেছেন: আপনাকে একটা গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
এক অফিসে এক কর্মকর্তা ছিলেন যিনি কোন কিছুর প্রশংসা করতেন না, বরং সবকিছুর মধ্যে খুঁত ধরতেন। একবার সেই অফিসে কোন একটা প্রোগামের শেষে দুপুরের খাবারে বিরিয়ানী দেওয়া হলো। বিরিয়ানীটি স্বাদে-গন্ধে অসাধারন হলো। অফিসের সবাই তৃপ্তি সহকারে বিরিয়ানী খেয়ে এবার সেই কর্মকর্তা বিরিয়ানীর কি খুঁত ধরেন তা শোনার জন্য তার দিকে তাকিয়ে রইলো। তো কর্তা মশাই খাওয়া শেষ করে মুখ মুছতে মুছতে বললেন, "লবন আর একটু বেশী দিলেই বিরিয়ানীর স্বাদের ১২ বেজে যেত"।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মদন বলেছেন: ++++++++++++++++