![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে ব্লগার হাসান কালবৈশাখী বেশ কয়েকটা পোস্ট লিখেছেন। অত্যন্ত স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ সেই পোস্টের বিপরীতে আমিও ২টি পোস্ট লিখেছিলা। আজও যখন দেখি তিনি বিভিন্ন ব্লগারের পোস্টের মন্তব্যে তিনি তার পোস্ট টেনে নিয়ে আসেন, তাই এই পোস্ট না দিয়ে পারলাম না।
পড়ুন
বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে হাসান কালবৈশাখীর সাম্প্রতিক পোষ্ট ও কিছু ভুল
বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে হাসান কালবৈশাখীর সাম্প্রতিক পোষ্ট ও কিছু ভুল। ২য় পর্ব
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৯
পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: কমিশনভোগী দালালরা দালালী করবেই! এটাই স্বাভাবিক। এদের চিনে রাখুন।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার পোষ্টের বিপরীতে আপনিও ২টি পোস্ট লিখেছিলেন।
আপনার সাথে আমার বিতর্ক হয়েছে মুলত টেকনিকেল ব্যাপারে। সকালে উপস্থিত সেনা ইউনিটের অস্ত্রসস্ত্র, সক্ষমতা, ফায়ারপাওয়ার নিয়ে আপনার সাথে ম্যারাথন ফাইট হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে দ্বিমত প্রকাশ করলেও আপনার মত প্রফেশনাল এক্সপার্টের মন্তব্যগুলো উপভোগ করেছি। আপনার অনেক বক্তব্য, টেকনিকেল যুক্তি মেনে নিয়েছি।
আপনি রাজনৈতিক ভাবে ভিন্নমতের হয়েও আমার মুল বক্তব্যে দ্বিমত পোষন করে নি। যা অন্যরা কখনো করে না। (উপরের মন্তব্য দুটিই প্রমান)
আপনি লিখেছেন -
১। কমান্ড ফেইলিওরের অভিযোগ সত্যি।
২। আমি ঢালাও ভাবে কা্উকে দোষ দেই না। .... সরকার এখানে দায়ী কি দায়ী না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।
৩। আওয়ামী লীগ তখন মাত্র ২ মাস হলো ক্ষমতায় গিয়েছে। সেনাবাহিনী মাত্র ২ মাস হলো সেনানিবাসে ফেরৎ গিয়েছে।
ঐ সময়ে আওয়ামী লীগ কেনো এমন একটা ঝুকি নেবে?
অনেকে ভারতের কথা বলে। এটার ই বা ভিত্তি কতটুকু?
ধন্যবাদ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১
ইসপাত কঠিন বলেছেন: আপনার ২টো লেখাই আবার দাড়ি, কমা সহ পড়লাম।
আপনার "কি ঘটেছিলো সেদিন দরবার হলে?" শীর্ষক লেখাটি আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে লিখেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো, আপনি আসল সত্যানুসন্ধানের চাইতে বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানদের বক্তব্যকেই বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন। বিদ্রোহের আগেও আপনার বেশকিছু লেখা চোখে পড়েছে। আপনি সেনাবিদ্বেষী, এটাতে আমি তেমন কোন সমস্যা দেখিনা। পৃথিবীর অনেক শান্তিকামী মানুষও সেনাবিদ্বেষী। তারা না থাকলে বিশ্ব আজ আরো ভয়ংকর মারনাস্ত্র ভান্ডারে পরিনত হত। কিন্তু তাই বলে সেনাসংশ্লিষ্টতা থাকলেই সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা বলা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়।
বিডিআর জওয়ানরা অপারেশন ডালভাতের টাকার কথা বলেছে। অপারেশন ডাল-ভাত মূলত ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার কার্যক্রমের অংশ, ঠিক যেমনটি নির্বাচনী নিরাপত্তা, উদ্ধার অভিযান (অসামরিক), ভিজিএফ, সন্ত্রাস দমন ইত্যাদি। এই ধরনের কাজের জন্য সরকার নির্ধারিত ডেইলি এ্যালাউন্স পাওয়া যায়। এটা সাধারনত মাসের শেষে সংশ্লিষ্টদের নামীয় তালিকা কোম্পানী থেকে ব্যাটালিয়ন, ব্যাটালিয়ন থেকে সেক্টর, সেক্টর থেকে বিডিআর সদর দপ্তর, সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে অর্থ মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয় যা অস্বাভাবিক তড়িৎগতিতে পাশ হয়ে আসলেও ন্যূনতম ৩ মাস লাগে। আর এই ডেইলি এ্যালাউন্স নাম অনূযায়ী পাস হয় যা ডান-বাম করার কোন সুযোগ নেই।
তারা চোরাই মাল ধরার প্রাইজমানি ৮৯ঃ১১ অনুপাতে ভাগ হওয়ার কথা বলেছে। চোরাই মাল সরকারের কাছে জমা দেওয়ার সময় একটা সিজার লিস্ট বানানো হয়। সেই সিজার লিস্টে কত টাকার মাল আটক করা হয়েছে এবং কে কে ধরেছে তা উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে সরকার কিছু অনুপাতে টাকা দেয় যা আটককারী টহলদলের সদস্যদের মাঝে মাথাপিছু হারে ভাগ করে দেওয়া হয়, পদবী অনুসারে নয়। ট্রাস্ট মি অর নট, এই প্রাইজমানি নিয়ে বিডিআরের জওয়ানরা কোনকালেই আগ্রহী ছিলো না। আগ্রহী থাকলে এদেশে এক বোতল ফেন্সিডিল ঢোকা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না।
ইউএন মিশনে বিডিআরকে আগে নেওয়া হয়েছিলো এবং সেখান থেকে কিছু বাজে অভিজ্ঞতা হওয়ার কারনে জাতিসংঘ থেকে আপত্তি ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে তা বন্ধ হয়ে যায় বলে আমি শুনেছি। তবে এর সত্যতা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই।
১। হ্যাঁ। কমান্ড ফেইলিউর অবশ্যই ছিলো। আপনার বাহিনীতে কিছু একটা কুকিং আপ হচ্ছে আর আপনি জানবেন না সেটা যেমন কমান্ড ফেইলিউর, তেমনি জেনেও সঠিক ব্যবস্থা নিতে ব্যার্থ হওয়াও কমান্ড ফেইলিউর।
২। আমি আগের কথায় এখনো অনড়। আমি নিশ্চিত না এর অর্থ "হতেও পারে, নাও হতে পারে"
৩। ভারতের প্রসংগে আমি আরো একটা প্রশ্ন তুলেছি যা আপনি সযতনে বা অবচেতনভাবে এড়িয়ে গেলেন। আমার প্রশ্ন ছিলো ভারত এত তাড়াতাড়ি সীমান্তের কাছাকাছি ঘাটিতে বাংলাদেশে প্রেরণের জন্য লজিস্টিক সহ ছত্রীসেনা জড়ো করলো কিভাবে? পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত মোতায়েনযোগ্য সেনাদল হলো ইউএস আর্মির ৮২ এয়ারবোর্ন ডিভিশন যা ৭২ ঘন্টায় পৃথিবীর যেকোন স্থানে মোতায়েন হতে পারে। কিন্তু তাদের মোতায়েন করার আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ঐ এলাকার কমান্ড নেভাল, এয়ার ও মেরিন ফোর্স নিয়ে আগে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে। তারপর ৮২ এয়ারবোর্ন ডিভিশন (অন্য কোন যুদ্ধ ক্ষেত্রে যুক্ত না থাকলে) মোতায়েন হয়। ঐ ডিভিশন ব্যাস্ত থাকলে ১০১ এ্য়ারবোর্ন ডিভিশন মোতায়েন হয় যা আরেকটু বেশী সময় নেয়। জার্মানী ২য় বিশ্বযুদ্ধে পদার্পনের আগে ৬ বছর, আমি আবার বলছি, ৬ বছর ধরে লজিস্টিক প্রস্তুতি নেয়। ভারত এমন কোন মহাশক্তিধর দেশ হয়ে গেলো যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এত প্রস্তুত হয়ে গেলো? নাকি তারা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
ইসপাত কঠিন বলেছেন: আপনার ২য় লেখায় সেনা অভিযান না চালানোর কারন হিসাবে আপনি প্রাসংগিক যুক্তি উপস্থাপন না করে সেনাবাহিনীর কার্যক্ষমতা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তুলেছেন। আপনি বলেছেন অমুক তমুক জায়াগায় সেনাবাহিনী অবস্থান নিতে পারতো কিন্তু তা দেখা যায়নি। অস্ত্র চালাতে পারলেই যদি যুদ্ধ চালানো যেত, তাহলে বছরের পর বছর প্রশিক্ষন চালানো লাগতো না। সামরিক অভিযানে সারপ্রাইজ, ডিসিপশন, আন-অর্থোডক্স এ্যাপ্রোচ সহ অনেকগুলো বিষয় আছে যা আমরা সবাই বুঝবো না। অতএব, না জেনে কথা না বলাই ভালো। আর সামরিক অভিযান চালাতে দিয়ে ব্যার্থ হলে তখন সক্ষমতা নিয়ে কথা বলতে পারতেন, তা না করে শুরুতেই অত্যন্ত শ্যালো নলেজ দিয়ে সামরিক বাহিনীর অক্ষমতা প্রমান করার চেষ্টা করেছেন। আমি আগেই বলেছি, পৃথিবীতে সেনা-বিদ্বেষী মানুষ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তারচাইতে বেশী প্রয়োজনীয় সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সৎসাহস।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যেহেতু সেসময় প্রবাসে ছিলাম তাই জানতাম না(এখনও জানি না)।। তবুও আপনাদের বিতর্কে হয়েছিলো জানা।। দেখেছি,শুনেছি অনেক পড়ে।। ব্যক্তিগত মতামত,যাদের ছিল না কোনই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা!!
আজ আবার সে সুযোগ এসেছে সত্যিকে ভাল ভাবে জানার।।
৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
দাম বলেছেন: আমার একটা প্রশ্ন হচ্ছে ছিল-
সে সব সোলজাররা গোলাগুলির মধ্যে ক্রল করে ইউ ল্যাব পার হয়ে পজিশন নিয়েছিলেন তাদেরকে সামনে না পাঠিয়ে কেন আবার ফেরৎ নিয়ে আসা হল?
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
ইসপাত কঠিন বলেছেন: সামরিক অভিযানের অনুমতি না মেলায়..।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
দাম বলেছেন: সরি ভাই প্রশ্নটা আপনার জন্য না। যারা বলেন যে ঐ ঘটনাটা সামলানো আর্মির কম্ম না প্রশ্নটা তাদের জন্য। এবং আর্মিকে সময়মত কাজ করতে দিলে তারা কি করতে পারত যারা ঐ সময় ঐ জায়গাতে ছিল তারা ভালই জানে।
আর এলাকা খালি করার করার ব্যাপারটা ছিল পুরাই নাটক। যখন ঈদগা মসজিদের হুজুরদের প্রশ্ন করলাম কি ব্যাপার আপনারা এতিম ছেলে পেলেদের নিয়ে এখান থেকে যাচ্ছেন না কেন? তখন তাদের উত্তরটা আমাকে অবাক করে দিয়েছিল।
১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৩
ইসপাত কঠিন বলেছেন: উত্তরটা কি ছিলো?
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
নতুন বলেছেন: উনার পোস্টি পড়ে একটা কথা মনে হয়েছে...
"ঠাকুর ঘরে কে রে... আমি কলা খাইনা.."
উনি খুবই চেস্টা করেছেন প্রমান করতে যে এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা...কোন পরিকল্পিত ঘটনা ছিলো না..
এটাই আমার মনে জিঙ্গাসার জন্ম দিয়েছে... যে উনার কি লাভ এতে..