![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে যখন কোন একটা ব্যর্থতা জমা হয় তার শ’খানেক না হলেও দু’একটা কারণ অবশ্যই থাকবে। এটাই চিরন্তন। যার ব্যতিক্রম হয়নি আমার জীবনের কোন একটা কালো অধ্যায়ের। লেখালেখি, ফেইসবুক, সংগঠন, কোচিং, টিউশনি, অসুস্থতা ও অলসতার কারণে জীবন চলার পথে থমকে না দাড়ালেও একটু পিছলে পড়লাম যার কাঁদা হয়ত বাকি জীবনে লেগে থাকবে। যদি আমার এই ব্যর্থতার কারণ সরকারি দলের সামরিক শাসন কিংবা বিরোধী দলের হরতালের কারণে হত তবুও দুই দলের বিরুদ্ধে কিছু বিবৃতি বিংবা দোষারোপ করা যেত। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা বলা যেত। কিন্তু আমার ব্যর্থতায় তাদের কোন অবদান আছে বলে মনে হয় না। এই ব্যর্থতার দোষ আমারই তাই এর ঘানি আমাকে টানতে হবে। জীবনের সফলতার ভাগ সবাই হয়ত নিতে চায় বা নেয় কিন্তু ব্যর্থতার ভাগ কেউ নিলেও দেওয়া যায় না। তাই কিছুই করার নেই। লজ্জা পেলেই বা কি না পেলেই বা কি?
কখনো ভালো ছাত্র ছিলাম না আমি, আবার খারাপ ছাত্রও ছিলাম না। আমার লেখা পড়া করার ইচ্ছা থাকলেও দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা যাই শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটাতে। গিয়ে বইয়ের বাইন্ডিং এ কাজ করি। ৪১ দিন ছিলাম সেখানে। জন্ডিস হলে ফিরে আসলাম। আবার যাওয়ার আগেই রেজাল্ট হলো পেলাম এচঅ- ৪.৯৪। ভেঙ্গে গেল আশা। সেখান থেকে শুরু হলো জীবনের ব্যর্থতা। খুব শখ ছিল কলেজে পড়ার। হয়নি। আলিম পড়লাম মানবিক শাখায়। রেজাল্টের মিটার কমতেই থাকল। এবার পেলাম এচঅ-৪.০০ । টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম তোলা হয়নি। পরে ফরম অনার্স ভর্তি ফরম তুললাম কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পেলাম ইতিহাস বিষয়। অন্য বিষয়ের আশা না করলেও বাংলার প্রতি দূর্বলতা ছিল আমার। মাদ্রাসা পড়ার কারণে তাও পেলাম না। কি আর করা ইতিহাসকেই আমার শেষ সম্বল মনে করে পথ চলা। বার বার ঢাকা যেতে চাইলেও মায়ের কারণে যাওয়া হয় না। মা বলে অনার্স শেষ করে না হয় বাইরে যাব। তাছাড়া যানি তো বাইরে যারা থাকে কত কষ্ট করে থাকে। পাশাপাশি ফাজিল পড়তে থাকি। ফাজিল শেষ হয়েছে বললেও ভুল হবে না। এর পর হয়ত কামিল পড়ব। পাশাপাশি অনার্স থাকল।
এক সময় ভাবি সবকিছু বাদ দিয়ে লেখা পড়ায় মন দিতে হবে। বাদ দিব স্বাদের লেখালেখি, বন্ধ করব ফেইসবুক নামের সময়খেকো মাধ্যম আইডি, সংগঠন থেকে হব দেওলিয়া। তা আর হয়ে উঠে না পুরনো অভ্যাসের কারণে। তবে সামনে হতে পারে আমি আশা বাদী।
আমাকে ঘুরে দাড়াতে হবে। জীবনে কিছু করতে হবে চলতে হবে গন্তব্যের পথ ধরে। আকাশ হতে না পারলেও হতে হবে কোন একটা গাছ যার যার ছায়ায় জমায়েত হবে আরও কিছু মানুষ।
তা কি এই ব্যর্থ জীবনে সম্ভব?
জরীফ উদ্দীন
©somewhere in net ltd.