নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই নশ্বর পৃথিবীতে একটি ফিনিক্স পাখি!

জীর্ণ বাস্তবতা

আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে আমি খুব সাধারণ। সাধারণ একটি মেয়ের যে সকল গুণাবলী থাকে আমি মনে করি আমার সেগুলো আছে। অতিরিক্ত চাকচিক্য আমার পছন্দ নয়।এককালে নিয়ম ভেঙে কোন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে ছিলো। সময়ের সাথে সাথে তা মাটি চাপা দিয়েছি।অদ্ভুত সব কিছুই আমাকে টানে।

জীর্ণ বাস্তবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহাদের জীবনালেখ্যর আনুরক্তি (প্রথম পর্ব)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৪

তাহাদের জীবনালেখ্যর আনুরক্তি (প্রথম পর্ব)

-এই বুড়ি কুনো বুড়ি!

-কচ্ছপ মশাই যে!

-খবরদার কচ্ছপ ডাকবি না

-তা এলেন যখন খবর তো দিতে পারতেন

-ব্যস্ত ছিলাম ভীষণ ,মাফ কর এবার তো ওঠ

-কোথায় যেতে হবে?

-আয় তো.........


ঘুম থেকে মাধবীকে নিয়ে অতুল প্রায় জোর করেই নদীর পাড়ে নিয়ে যায়।মাধবী জানতো সে ফিরেছে তবু জিদ ধরে কথা বলেনি।বয়েই গেলো তার কথা বলতে! আজ হঠাৎ যে ঘরেই এসে কথা বলার সুযোগটি না দিয়ে টেনে নদীর ধারে নিয়ে এলো,এক প্রকার আচ্ছন্নতা নিয়েই মাধবী এসেছে এখন ভাবছে কী এমন মহাভারতের কান্ড ঘটিয়ে অতুল এখানে তাকে নিয়ে এলো!


-তা কচ্ছপ এতোদিন ছিলেন কোথায়?

-বললাম তো বাবা ! ব্যস্ত ছিলাম

-তা আমার কাছে কী?ব্যস্তই থাক

-এমন করে বললি যেনো তোর কতো কালের যন্ত্রণা আমি,যা যাচ্ছি

-চুপচাপ বসে থাক

পিঠে দু চারটা কিল বসিয়ে দেয় মাধবী আর অতুল ক্লান্ত হয়ে গেলো।অতুল বাড়িতে ফিরেছে প্রায় তিনদিন ,একদিনের জন্য ও মাধবীর খোঁজ নিতে আসেনি।মাধবীই বা কম যায় কীসে।এমন কিছু অতুল তার লাগেনা যে তার খোঁজ নিতে পাড়া মাথায় তুলতে হবে।ঈষদচ্ছ আনমনা লাগছে মাধবীকে ,চুল এলিয়ে এমন ভাবে বসে আছে যেন কতোকালের কতো রহস্য একটি মাত্র সত্তায় জড়ানো,বাতাসে শীতের আনাগোনা,দুজনে একমনে মেঘের খেলা দেখছে তবু যেন মাধবী এখানে থেকেও নেই,বেশ জোরে অতুলের ধাক্কা খেয়ে বাস্তবে ফিরলো...


-এই তোর কী হয়েছে?

-কিচ্ছুনাতো

-বিদেশ বিভূয়ে থাকতে একখানা বই পড়ে তোকে বড্ড মনে পড়েছে রে!

-এমা,কচ্ছপে বলে কী! তা নাম কী?

-হৈমন্তী

-হা হা হা

-হাসছিস যে!?

-এ মরার বই পড়ার সুযোগ এতদিনে মিলেছে বুঝি?

-এ বই তো কলেজ জীবনেই পড়েছি!

-তা এর কথা এলো যে?

-তখন কেবল পড়েছি এবার মনে হয়েছে অন্য কিছু

-ঠিক ই বলেছিস ! এমনিতে তো তুই আর কচ্ছপ না!

-তোর হলুদ শাড়ি খোঁপায় বেলী!

-ছবি দেখেছো বুঝি?

-হা তবে লুকিয়ে

-তোমার তবে শনি আছে এ যাত্রায় ভাগো

মাধবী বেশ আড়ষ্টতা ভেঙে অতুলকে মারতে মারতে ঘরে পাঠালো।যাবার বেলায় অতুলের কৌতহলী মুখ খানা দেখলে সে কিছু ঠাওর করবার যোগ্যাতা রাখতো..................



চলবে.........



১৯/১০/১৪

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম চলুক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.